৪৭২৬

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/১৮/৩. আল্লাহর বাণীঃ তারপর যখন তারা চলতে চলতে দুই সাগরের সংযোগস্থলে পৌঁছলেন, তখন তারা তাদের মাছের কথা ভুলে গেলেন। আর মাছটি সুড়ঙ্গের মত পথ করে সাগরের মধ্যে চলে গেল। (সূরাহ আল-কাহাফ ১৮/৬১)

(فَلَمَّا بَلَغَا مَجْمَعَ بَيْنِهِمَا نَسِيَا حُوْتَهُمَا فَاتَّخَذَ سَبِيْلَه” فِي الْبَحْرِ سَرَبًا) مَذْهَبًا يَسْرُبُ يَسْلُكُ. وَمِنْهُ وَسَارِبٌ بِالنَّهَارِ

তারপর যখন তারা চলতে চলতে দুই সাগরের সংযোগস্থলে পৌঁছলেন, তখন তারা তাদের মাছের কথা ভুলে গেলেন। আর মাছটি সুড়ঙ্গের মত পথ করে সাগরের মধ্যে চলে গেল। (সূরাহ আল-কাহাফ ১৮/৬১)

سَرَبًا চলার পথ يَسْرُبُ সে চলছে। এর থেকেই বলা হয়েছে سَارِبٌ بِالنَّهَارِ দিনে পথ অতিক্রমকারী।’’


৪৭২৬. সা’ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে তাঁর ঘরে ছিলাম। তখন তিনি বললেন, ইচ্ছা হলে আমার কাছে প্রশ্ন কর। আমি বললাম, হে আবূ ’আব্বাস! আল্লাহ্ আমাকে আপনার উপর উৎসর্গ করুন। কূফায় নওফ নামক একজন কিচ্ছাকার আছে। সে বলছে যে, খাযির (আঃ)-এর সঙ্গে যে মূসার সাক্ষাৎ হয়েছিল, তিনি বনী ইসরাঈলের (প্রতি প্রেরিত) মূসা নন। তবে, ’আমর ইবনু দ্বীনার আমাকে বলেছেন যে, ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) এ কথা শুনে বললেন, আল্লাহর দুশমন মিথ্যা কথা বলেছে। কিন্তু ইয়ালা (একজন বর্ণনাকারী) আমাকে বলেছেন যে, ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) এ কথা শুনে বললেন, উবাই ইবনু কা’ব আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর রাসূল মূসা (আঃ) একদিন লোকেদের সামনে নসীহত করছিলেন। অবশেষে যখন তাদের অশ্রু ঝরতে লাগল এবং তাদের অন্তর গলে গেল, তখন তিনি ওয়ায সমাপ্ত করলেন।

এক ব্যক্তি তার কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! এ পৃথিবীতে আপনার চেয়ে বেশি জ্ঞানী আর কেউ আছে কি? তিনি বললেন, না। এতে আল্লাহ্ তার উপর অসন্তুষ্ট হলেন। কেননা, তিনি এ কথাটি আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কিত করেনি।[1] তখন তাকে বলা হল, নিশ্চয় আছে। মূসা (আঃ) বললেন, হে রব! তিনি কোথায়? আল্লাহ্ বললেন, তিনি দু’ সমুদ্রের সংযোগস্থলে। মূসা (আঃ) বললেন, হে রব! আপনি আমাকে এমন নিদর্শন বলুন, যার সাহায্যে আমি তার পরিচয় পেতে পারি। বর্ণনাকারী ইবনু জুরাইজ বলেন, আমর আমাকে এভাবে বলেছেন যে, তাকে (পাওয়া যাবে), যেখানে মাছটি তোমার নিকট হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। আর ইয়ালা আমাকে এভাবে বলেছেন, একটি মরা মাছ লও, যেখানে মাছটির মধ্যে প্রাণ দেয়া হবে (সেখানেই তাকে পাবে)। তারপর মূসা (আঃ) একটি মাছ নিলেন এবং তা থলের ভিতর রাখলেন। তিনি তার খাদেমকে বললেন, আমি তোমাকে শুধু এ দায়িত্ব দিচ্ছি যে, মাছটি যেখানে তোমার থেকে চলে যাবে, সে জায়গার কথা আমাকে বলবে। খাদেম বলল, এ তো তেমন বড় দায়িত্ব নয়। এরই বিবরণ রয়েছে আল্লাহ্ তা’আলার এ বাণীতেঃ ’’আর যখন মূসা বললেন তাঁর খাদেমকে অর্থাৎ ইউশা ইবনু নূনকে’’। সা’ঈদ (বর্ণনাকারী) এর বর্ণনায় নামের উল্লেখ নেই।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন তিনি একটি বড় পাথরের ছায়ায় ভিজা মাটির কাছে অবস্থান করছিলেন, তখন মাছটি লাফিয়ে উঠল। মূসা (আঃ) তখন নিদ্রায় ছিলেন। তাঁর খাদেম মনে মনে বললেন, তাঁকে এখন জাগবে না। অবশেষে যখন তিনি জাগালেন, তখন তাকে মাছের কথা বলতে ভুলে গেলেন। আর মাছটি লাফিয়ে সমুদ্রে চলে গেল। আল্লাহ্ তা’আলা মাছটির চলার পথে পানি সরিয়ে নিলেন যাতে পাথরের উপর চিহ্ন পড়ে গেল। বর্ণনাকারী বলেন, আমর আমাকে বলেছেন যে, যেন পাথরের মধ্যে চিহ্ন এরূপ হয়ে রইল, বলে তিনি তাঁর দু’টি বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তার পাশের আঙ্গুলগুলো এক সঙ্গে মিলিয়ে বৃত্তাকার বানিয়ে দেখালেন।

[মূসা (আঃ) বললেন] ’’আমরা তো আমাদের এ সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।’’ ইউশা বললেন, আল্লাহ্ আপনার থেকে ক্লান্তি দূর করে দিয়েছেন। সা’ঈদের বর্ণনায় এ কথার উল্লেখ নেই। খাদেম তাঁকে মাছটির চলে যাবার খবর দিলেন। তারপর তাঁরা উভয়ে ফিরে এলেন এবং খাযির (আঃ)-কে পেলেন। বর্ণনাকারী ইবনু যুরাইজ বলেন, ’উসমান ইবনু আবূ সুলায়মান আমাকে বলেছেন যে, মূসা (আঃ) খাযির (আঃ)-কে পেলেন সমুদ্রের বুকে সবুজ বিছানার ওপর।

সা’ঈদ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন, তিনি চাদর জড়িয়ে ছিলেন। চাদরের এক পার্শ্ব ছিল তাঁর দু’পায়ের নিচে এবং অন্য পার্শ্ব ছিল তাঁর মাথার ওপর। মূসা (আঃ) তাঁকে সালাম দিলেন। তিনি তাঁর চেহারা থেকে কাপড় সরিয়ে বললেন, আমার এ অঞ্চলে কোত্থেকে সালাম আসলো? কে তুমি? তিনি বললেন, আমি মূসা! খাযির (আঃ) বললেন, বনী ইসরাঈলের মূসা? উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমার খবর কী? মূসা (আঃ) বললেন, আমি এসেছি, ’’সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে দেয়া হয়েছে, তাত্থেকে আমাকে শিক্ষা দিবেন।’’ তিনি বললেন, তোমার কাছে যে তাওরাত আছে, তা কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়? তোমার কাছে তো ওয়াহী আসে। হে মূসা! আমার কাছে যে জ্ঞান আছে তা তোমার জানা ঠিক নয়। আর তোমার কাছে যে জ্ঞান আছে তা আমার জনা উচিত নয়। এ সময় একটি পাখি এসে তার ঠোঁট দিয়ে সমুদ্র থেকে পানি নিল।

খাযির (আঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, আল্লাহর জ্ঞানের কাছে আমার ও তোমার জ্ঞান এতটুকু, যতটুকু এ পাখিটি সমুদ্র হতে তার ঠোঁটে করে নিয়েছে। অবশেষে তাঁরা উভয়ে নৌকায় উঠলেন, তাঁরা ছোট খেয়া নৌকা পেলেন, যা এ-পারের লোকেদের ও-পারে এবং ও-পারের লোকেদের এ-পারে নিয়ে যেত। নৌকার লোকেরা খাযিরকে চিনতে পারল। তারা বলল, আল্লাহর নেক বান্দা। ইয়ালা বলেন, আমরা সা’ঈদকে জিজ্ঞেস করলাম, তারা কি খাযির সম্পর্কে এ মন্তব্য করেছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, (তারা বলল) আমরা তাঁকে বহন করতে পারিশ্রমিক নিব না। এরপর খাযির (আঃ) তাদের নৌকা ছিদ্র করে দিলেন এবং একটি গোঁজ দিয়ে তা বন্ধ করে দিলেন। মূসা (আঃ) বললেন, আপনি কি যাত্রীদেরকে ডুবিয়ে মারার জন্য নৌকাটি ছিদ্র করলেন? আপনি তো মারাত্মক কাজ করলেন। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, اِمْرًا অর্থাৎ নিষিদ্ধ কাজ। ’’তিনি (খাযির) বললেন, আমি কি বলিনি যে, তুমি আমার সঙ্গে কিছুতেই ধৈর্যধারণ করতে পারবে না।’’ প্রথমটি ছিল মূসা (আঃ)-এর পক্ষ থেকে ভুল, দ্বিতীয়টি শর্তস্বরূপ এবং তৃতীয় ইচ্ছাকৃত বলে গণ্য। ’’মূসা (আঃ) বললেন, আমার ভুলের জন্য আমাকে দায়ী করবেন না ও আমার ব্যাপারে অতিরিক্ত কঠোরতা করবেন না।’’

(এরপর) তাঁরা এক বালকের দেখা পেলেন, খাযির তাকে হত্যা করে ফেললেন। ইয়ালা বলেন, সা’ঈদ বলেছেন, খাযির (আঃ) বালকদের খেলাধূলা করতে দেখতে পেলেন। তিনি একটি বুদ্ধিমান কাফের বালককে ধরলেন এবং তাকে পার্শ্বে শুইয়ে যবহ করে ফেললেন। মূসা (আঃ) বললেন, ’’আপনি কি এক নিষ্পাপ জীবন নাশ করলেন জীবনের বদলা অপরাধ ব্যতীতই? ’’সে তো কোন গুনাহর কাজ করেনি। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) এখানে زَاكِيَّةً পড়তেন। زَاكِيَةًভাল মুসলিম। যেমন তুমি পড় غُلَامً زَكِيَّا তারপর তারা দু’জন চলতে লাগল এবং একটি পতনোদ্যত প্রাচীর পেল। খাযির (আঃ) সেটাকে সোজা করে দিলেন। সা’ঈদ তাঁর হাত দ্বারা ইশারা করে বললেন এরূপ এবং তিনি তাঁর হাত উঠিয়ে সোজা করলেন। ইয়ালা বলেন, আমার মনে হয় সা’ঈদ বলেছিলেন, খাযির (আঃ) প্রাচীরের ওপর দু’হাত দ্বারা স্পর্শ করলেন এবং প্রাচীর দাঁড়িয়ে গেল।

মূসা (আঃ) বললেন, لَوْ شِئْتَ لَاتَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًاআপনি ইচ্ছা করলে এ জন্য পারিশ্রমিক নিতে পারতেন। সা’ঈদ বলেন, أَجْرًا দ্বারা এখানে খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয়েছে। وَكَانَوَرَآءَهُمْ তাদের সামনে। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) এ আয়াতে أَمَامَهُمْ (তাদের সম্মুখে ছিল এক রাজা) পড়েন। সা’ঈদ ছাড়া অন্য বর্ণনাকারীরা সে রাজার নাম বলেছেন ’’হুদাদ ইবনু বুদাদ’’ আর হত্যাকৃত বালকটিরনাম ছিল ’’জাইসুর’। সে রাজা প্রত্যেকটি (ভাল) নৌকা জোর করে ছিনিয়ে নিত। খিযির (আঃ)-এর নৌকা ছিদ্র করার উদ্দেশ্য ছিল, (সে অত্যাচারী রাজা) ত্রুটিযুক্ত নৌকা দেখলে তা ছিনিয়ে নেবে না। তারপর যখন অতিক্রম করে গেল, তখন তাদের নৌকা মেরামত করে নিল এবং তা ব্যবহার উপযোগী করল। কেউ বলে, নৌকার ছিদ্রটা মেরামত করেছিল সীসা গলিয়ে, আবার কেউ বলে, আলকাত্রা মিলিয়ে নৌকা মেরামত করছিল। ’’তার পিতা-মাতা ছিল মু’মিন।’’

আর সে বালকটি ছিল কাফের। আমি শংকা করলাম যে, সে অবাধ্য আচরণ ও কুফরী করে তাদের জ্বালাতন করবে। অর্থাৎ তারা তার প্রতি মুহাববতের কারণে তার দ্বীনের অনুসারী হয়ে যাবে। ’’এরপর আমি চাইলাম যে, তাদের প্রতিপালক যেন তাদেরকে তার বদলে এক সন্তান দান করেন, যে হবে অধিক পবিত্র ও ভক্তি শ্রদ্ধায় নিকটতর।’’ খাযির (আঃ) যে বালকটিকে হত্যা করেছিলেন সে বালকটির চেয়ে পরবর্তী বালকটির প্রতি তার পিতামাতা অধিক স্নেহশীল ও দয়াশীল হবেন। (ইবনু জুরাইজ বলেন) সা’ঈদ ব্যতীত অন্য সকল বর্ণনাকারী বলেছেন যে, এর অর্থ হল, সে বালকটির পরিবর্তে আল্লাহ্ তাদের একটি কন্যা সন্তান দান করেন। দাউদ ইবনু আবূ আসিম বলেন, একাধিক বর্ণনাকারী থেকে উল্লেখ করেছেন, সন্তানটি ছিল কন্যা। [৭৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৬৭)

بَاب قَوْلِهِ : {فَلَمَّا بَلَغَا مَجْمَعَ بَيْنِهِمَا نَسِيَا حُوْتَهُمَا فَاتَّخَذَ سَبِيْلَه” فِي الْبَحْرِ سَرَبًا}

إِبْرَاهِيْمُ بْنُ مُوْسَى أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوْسُفَ أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِيْ يَعْلَى بْنُ مُسْلِمٍ وَعَمْرُوْ بْنُ دِيْنَارٍ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ يَزِيْدُ أَحَدُهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ وَغَيْرُهُمَا قَدْ سَمِعْتُهُ يُحَدِّثُهُ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ إِنَّا لَعِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فِيْ بَيْتِهِ إِذْ قَالَ سَلُوْنِيْ قُلْتُ أَيْ أَبَا عَبَّاسٍ جَعَلَنِي اللهُ فِدَاءَكَ بِالْكُوْفَةِ رَجُلٌ قَاصٌّ يُقَالُ لَهُ نَوْفٌ يَزْعُمُ أَنَّهُ لَيْسَ بِمُوْسَى بَنِيْ إِسْرَائِيْلَ أَمَّا عَمْرٌو فَقَالَ لِيْ قَالَ قَدْ كَذَبَ عَدُوُّ اللهِ وَأَمَّا يَعْلَى فَقَالَ لِيْ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ حَدَّثَنِيْ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مُوْسَى رَسُوْلُ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَام قَالَ ذَكَّرَ النَّاسَ يَوْمًا حَتَّى إِذَا فَاضَتْ الْعُيُوْنُ وَرَقَّتْ الْقُلُوْبُ وَلَّى فَأَدْرَكَهُ رَجُلٌ فَقَالَ أَيْ رَسُوْلَ اللهِ هَلْ فِي الْأَرْضِ أَحَدٌ أَعْلَمُ مِنْكَ قَالَ لَا فَعَتَبَ عَلَيْهِ إِذْ لَمْ يَرُدَّ الْعِلْمَ إِلَى اللهِ قِيْلَ بَلَى قَالَ أَيْ رَبِّ فَأَيْنَ قَالَ بِمَجْمَعِ الْبَحْرَيْنِ قَالَ أَيْ رَبِّ اجْعَلْ لِيْ عَلَمًا أَعْلَمُ ذَلِكَ بِهِ فَقَالَ لِيْ عَمْرٌو قَالَ حَيْثُ يُفَارِقُكَ الْحُوْتُ وَقَالَ لِيْ يَعْلَى قَالَ خُذْ نُوْنًا مَيِّتًا حَيْثُ يُنْفَخُ فِيْهِ الرُّوْحُ فَأَخَذَ حُوْتًا فَجَعَلَهُ فِيْ مِكْتَلٍ فَقَالَ لِفَتَاهُ لَا أُكَلِّفُكَ إِلَّا أَنْ تُخْبِرَنِيْ بِحَيْثُ يُفَارِقُكَ الْحُوْتُ قَالَ مَا كَلَّفْتَ كَثِيْرًا فَذَلِكَ قَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ (وَإِذْ قَالَ مُوْسٰى) لِفَتَاهُ يُوْشَعَ بْنِ نُوْنٍ لَيْسَتْ عَنْ سَعِيْدٍ قَالَ فَبَيْنَمَا هُوَ فِيْ ظِلِّ صَخْرَةٍ فِيْ مَكَانٍ ثَرْيَانَ إِذْ تَضَرَّبَ الْحُوْتُ وَمُوْسَى نَائِمٌ فَقَالَ فَتَاهُ لَا أُوْقِظُهُ حَتَّى إِذَا اسْتَيْقَظَ نَسِيَ أَنْ يُخْبِرَهُ وَتَضَرَّبَ الْحُوْتُ حَتَّى دَخَلَ الْبَحْرَ فَأَمْسَكَ اللهُ عَنْهُ جِرْيَةَ الْبَحْرِ حَتَّى كَأَنَّ أَثَرَهُ فِيْ حَجَرٍ قَالَ لِيْ عَمْرٌو هَكَذَا كَأَنَّ أَثَرَهُ فِيْ حَجَرٍ وَحَلَّقَ بَيْنَ إِبْهَامَيْهِ وَاللَّتَيْنِ تَلِيَانِهِمَا لَقَدْ لَقِيْنَا مِنْ سَفَرِنَا هَذَا نَصَبًا قَالَ قَدْ قَطَعَ اللهُ عَنْكَ النَّصَبَ لَيْسَتْ هَذِهِ عَنْ سَعِيْدٍ أَخْبَرَهُ فَرَجَعَا فَوَجَدَا خَضِرًا قَالَ لِيْ عُثْمَانُ بْنُ أَبِيْ سُلَيْمَانَ عَلَى طِنْفِسَةٍ خَضْرَاءَ عَلَى كَبِدِ الْبَحْرِ قَالَ سَعِيْدُ بْنُ جُبَيْرٍ مُسَجًّى بِثَوْبِهِ قَدْ جَعَلَ طَرَفَهُ تَحْتَ رِجْلَيْهِ وَطَرَفَهُ تَحْتَ رَأْسِهِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ مُوْسَى فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ وَقَالَ هَلْ بِأَرْضِيْ مِنْ سَلَامٍ مَنْ أَنْتَ قَالَ أَنَا مُوْسَى قَالَ مُوْسَى بَنِيْ إِسْرَائِيْلَ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَمَا شَأْنُكَ قَالَ جِئْتُ لِتُعَلِّمَنِيْ مِمَّا عُلِّمْتَ رَشَدًا قَالَ أَمَا يَكْفِيْكَ أَنَّ التَّوْرَاةَ بِيَدَيْكَ وَأَنَّ الْوَحْيَ يَأْتِيْكَ يَا مُوْسَى إِنَّ لِيْ عِلْمًا لَا يَنْبَغِيْ لَكَ أَنْ تَعْلَمَهُ وَإِنَّ لَكَ عِلْمًا لَا يَنْبَغِيْ لِيْ أَنْ أَعْلَمَهُ فَأَخَذَ طَائِرٌ بِمِنْقَارِهِ مِنَ الْبَحْرِ وَقَالَ وَاللهِ مَا عِلْمِيْ وَمَا عِلْمُكَ فِيْ جَنْبِ عِلْمِ اللهِ إِلَّا كَمَا أَخَذَ هَذَا الطَّائِرُ بِمِنْقَارِهِ مِنَ الْبَحْرِ (حَتّٰىٓ إِذَا رَكِبَا فِي السَّفِيْنَةِ) وَجَدَا مَعَابِرَ صِغَارًا تَحْمِلُ أَهْلَ هَذَا السَّاحِلِ إِلَى أَهْلِ هَذَا السَّاحِلِ الْآخَرِ عَرَفُوْهُ فَقَالُوْا عَبْدُ اللهِ الصَّالِحُ قَالَ قُلْنَا لِسَعِيْدٍ خَضِرٌ قَالَ نَعَمْ لَا نَحْمِلُهُ بِأَجْرٍ فَخَرَقَهَا وَوَتَدَ فِيْهَا وَتِدًا قَالَ مُوْسَى (أَخَرَقْتَهَا لِتُغْرِقَ أَهْلَهَا لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا إِمْرًا) قَالَ مُجَاهِدٌ مُنْكَرًا (قَالَ أَلَمْ أَقُلْ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيْعَ مَعِيْ صَبْرًا) كَانَتْ الْأُوْلَى نِسْيَانًا وَالْوُسْطَى شَرْطًا وَالثَّالِثَةُ عَمْدًا (قَالَ لَا تُؤَاخِذْنِيْ بِمَا نَسِيْتُ وَلَا تُرْهِقْنِيْ مِنْ أَمْرِيْ عُسْرًا لَقِيَا غُلَامًا فَقَتَلَهُ) قَالَ يَعْلَى قَالَ سَعِيْدٌ وَجَدَ غِلْمَانًا يَلْعَبُوْنَ فَأَخَذَ غُلَامًا كَافِرًا ظَرِيْفًا فَأَضْجَعَهُ ثُمَّ ذَبَحَهُ بِالسِّكِّيْنِ قَالَ (أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةًمبِغَيْرِ نَفْسٍ) لَمْ تَعْمَلْ بِالْحِنْثِ وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَرَأَهَا زَكِيَّةً زَاكِيَةً مُسْلِمَةً كَقَوْلِكَ غُلَامًا زَكِيًّا فَانْطَلَقَا فَوَجَدَا جِدَارًا يُرِيْدُ أَنْ يَنْقَضَّ فَأَقَامَهُ قَالَ سَعِيْدٌ بِيَدِهِ هَكَذَا وَرَفَعَ يَدَهُ فَاسْتَقَامَ قَالَ يَعْلَى حَسِبْتُ أَنَّ سَعِيْدًا قَالَ فَمَسَحَهُ بِيَدِهِ فَاسْتَقَامَ (لَوْ شِئْتَ لَاتَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًا)قَالَ سَعِيْدٌ أَجْرًا نَأْكُلُهُ (وَكَانَ وَرَآءَهُمْ) وَكَانَ أَمَامَهُمْ قَرَأَهَا ابْنُ عَبَّاسٍ أَمَامَهُمْ مَلِكٌ يَزْعُمُوْنَ عَنْ غَيْرِ سَعِيْدٍ أَنَّهُ هُدَدُ بْنُ بُدَدَ وَالْغُلَامُ الْمَقْتُوْلُ اسْمُهُ يَزْعُمُوْنَ جَيْسُوْرٌ (مَلِكٌ يَّأْخُذُ كُلَّ سَفِيْنَةٍ غَصْبًا فَأَرَدْتُ) إِذَا هِيَ مَرَّتْ بِهِ أَنْ يَدَعَهَا لِعَيْبِهَا فَإِذَا جَاوَزُوْا أَصْلَحُوْهَا فَانْتَفَعُوْا بِهَا وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُوْلُ سَدُّوْهَا بِقَارُوْرَةٍ وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُوْلُ بِالْقَارِ كَانَ أَبَوَاهُ مُؤْمِنَيْنِ وَكَانَ كَافِرًا فَخَشِيْنَا أَنْ يُرْهِقَهُمَا طُغْيَانًا وَكُفْرًا أَنْ يَحْمِلَهُمَا حُبُّهُ عَلَى أَنْ يُتَابِعَاهُ عَلَى دِيْنِهِ فَأَرَدْنَا أَنْ يُبَدِّلَهُمَا رَبُّهُمَا خَيْرًا مِنْهُ زَكَاةً وأقْرَبَ رُحْمًا لِقَوْلِهِ (قَالَ أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً) وَأَقْرَبَ رُحْمًا هُمَا بِهِ أَرْحَمُ مِنْهُمَا بِالأَوَّلِ الَّذِيْ قَتَلَ خَضِرٌ وَزَعَمَ غَيْرُ سَعِيْدٍ أَنَّهُمَا أُبْدِلَا جَارِيَةً وَأَمَّا دَاوُدُ بْنُ أَبِيْ عَاصِمٍ فَقَالَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ إِنَّهَا جَارِيَةٌ.

ابراهيم بن موسى اخبرنا هشام بن يوسف ان ابن جريج اخبرهم قال اخبرني يعلى بن مسلم وعمرو بن دينار عن سعيد بن جبير يزيد احدهما على صاحبه وغيرهما قد سمعته يحدثه عن سعيد بن جبير قال انا لعند ابن عباس في بيته اذ قال سلوني قلت اي ابا عباس جعلني الله فداءك بالكوفة رجل قاص يقال له نوف يزعم انه ليس بموسى بني اسراىيل اما عمرو فقال لي قال قد كذب عدو الله واما يعلى فقال لي قال ابن عباس حدثني ابي بن كعب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم موسى رسول الله عليه السلام قال ذكر الناس يوما حتى اذا فاضت العيون ورقت القلوب ولى فادركه رجل فقال اي رسول الله هل في الارض احد اعلم منك قال لا فعتب عليه اذ لم يرد العلم الى الله قيل بلى قال اي رب فاين قال بمجمع البحرين قال اي رب اجعل لي علما اعلم ذلك به فقال لي عمرو قال حيث يفارقك الحوت وقال لي يعلى قال خذ نونا ميتا حيث ينفخ فيه الروح فاخذ حوتا فجعله في مكتل فقال لفتاه لا اكلفك الا ان تخبرني بحيث يفارقك الحوت قال ما كلفت كثيرا فذلك قوله جل ذكره (واذ قال موسى) لفتاه يوشع بن نون ليست عن سعيد قال فبينما هو في ظل صخرة في مكان ثريان اذ تضرب الحوت وموسى ناىم فقال فتاه لا اوقظه حتى اذا استيقظ نسي ان يخبره وتضرب الحوت حتى دخل البحر فامسك الله عنه جرية البحر حتى كان اثره في حجر قال لي عمرو هكذا كان اثره في حجر وحلق بين ابهاميه واللتين تليانهما لقد لقينا من سفرنا هذا نصبا قال قد قطع الله عنك النصب ليست هذه عن سعيد اخبره فرجعا فوجدا خضرا قال لي عثمان بن ابي سليمان على طنفسة خضراء على كبد البحر قال سعيد بن جبير مسجى بثوبه قد جعل طرفه تحت رجليه وطرفه تحت راسه فسلم عليه موسى فكشف عن وجهه وقال هل بارضي من سلام من انت قال انا موسى قال موسى بني اسراىيل قال نعم قال فما شانك قال جىت لتعلمني مما علمت رشدا قال اما يكفيك ان التوراة بيديك وان الوحي ياتيك يا موسى ان لي علما لا ينبغي لك ان تعلمه وان لك علما لا ينبغي لي ان اعلمه فاخذ طاىر بمنقاره من البحر وقال والله ما علمي وما علمك في جنب علم الله الا كما اخذ هذا الطاىر بمنقاره من البحر (حتىٓ اذا ركبا في السفينة) وجدا معابر صغارا تحمل اهل هذا الساحل الى اهل هذا الساحل الاخر عرفوه فقالوا عبد الله الصالح قال قلنا لسعيد خضر قال نعم لا نحمله باجر فخرقها ووتد فيها وتدا قال موسى (اخرقتها لتغرق اهلها لقد جىت شيىا امرا) قال مجاهد منكرا (قال الم اقل انك لن تستطيع معي صبرا) كانت الاولى نسيانا والوسطى شرطا والثالثة عمدا (قال لا تواخذني بما نسيت ولا ترهقني من امري عسرا لقيا غلاما فقتله) قال يعلى قال سعيد وجد غلمانا يلعبون فاخذ غلاما كافرا ظريفا فاضجعه ثم ذبحه بالسكين قال (اقتلت نفسا زكيةمبغير نفس) لم تعمل بالحنث وكان ابن عباس قراها زكية زاكية مسلمة كقولك غلاما زكيا فانطلقا فوجدا جدارا يريد ان ينقض فاقامه قال سعيد بيده هكذا ورفع يده فاستقام قال يعلى حسبت ان سعيدا قال فمسحه بيده فاستقام (لو شىت لاتخذت عليه اجرا)قال سعيد اجرا ناكله (وكان ورآءهم) وكان امامهم قراها ابن عباس امامهم ملك يزعمون عن غير سعيد انه هدد بن بدد والغلام المقتول اسمه يزعمون جيسور (ملك ياخذ كل سفينة غصبا فاردت) اذا هي مرت به ان يدعها لعيبها فاذا جاوزوا اصلحوها فانتفعوا بها ومنهم من يقول سدوها بقارورة ومنهم من يقول بالقار كان ابواه مومنين وكان كافرا فخشينا ان يرهقهما طغيانا وكفرا ان يحملهما حبه على ان يتابعاه على دينه فاردنا ان يبدلهما ربهما خيرا منه زكاة واقرب رحما لقوله (قال اقتلت نفسا زكية) واقرب رحما هما به ارحم منهما بالاول الذي قتل خضر وزعم غير سعيد انهما ابدلا جارية واما داود بن ابي عاصم فقال عن غير واحد انها جارية.


Narrated Ibn Juraij:

Ya`la bin Muslim and `Amr bin Dinar and some others narrated the narration of Sa`id bin Jubair. Narrated Sa`id: While we were at the house of Ibn `Abbas, Ibn `Abbas said, "Ask me (any question)" I said, "O Abu `Abbas! May Allah let me be sacrificed for you ! There is a man at Kufa who is a storyteller called Nauf; who claims that he (Al-Khadir's companion) is not Moses of Bani Israel." As for `Amr, he said to me, "Ibn `Abbas said, "(Nauf) the enemy of Allah told a lie." But Ya`la said to me, "Ibn `Abbas said, Ubai bin Ka`b said, Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Once Moses, Allah's Messenger (ﷺ), preached to the people till their eyes shed tears and their hearts became tender, whereupon he finished his sermon. Then a man came to Moses and asked, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Is there anyone on the earth who is more learned than you?' Moses replied, 'No.' So Allah admonished him (Moses), for he did not ascribe all knowledge to Allah. It was said, (on behalf of Allah), 'Yes, (there is a slave of ours who knows more than you ).' Moses said, 'O my Lord! Where is he?' Allah said, 'At the junction of the two seas.' Moses said, 'O my Lord ! Tell I me of a sign whereby I will recognize the place.' " `Amr said to me, Allah said, "That place will be where the fish will leave you." Ya`la said to me, "Allah said (to Moses), 'Take a dead fish (and your goal will be) the place where it will become alive.' " So Moses took a fish and put it in a basket and said to his boy-servant "I don't want to trouble you, except that you should inform me as soon as this fish leaves you." He said (to Moses)." You have not demanded too much." And that is as mentioned by Allah: 'And (remember) when Moses said to his attendant .... ' (18.60) Yusha` bin Noon. (Sa`id did not state that). The Prophet (ﷺ) said, "While the attendant was in the shade of the rock at a wet place, the fish slipped out (alive) while Moses was sleeping. His attend an said (to himself), "I will not wake him, but when he woke up, he forgot to tell him The fish slipped out and entered the sea. Allah stopped the flow of the sea. where the fish was, so that its trace looked as if it was made on a rock. `Amr forming a hole with his two thumbs an index fingers, said to me, "Like this, as in its trace was made on a rock." Moses said "We have suffered much fatigue on this journey of ours." (This was not narrated by Sa`id). Then they returned back and found Al-Khadir. `Uthman bin Abi Sulaiman said to me, (they found him) on a green carpet in the middle of the sea. Al-Khadir was covered with his garment with one end under his feet and the other end under his head. When Moses greeted, he uncovered his face and said astonishingly, 'Is there such a greeting in my land? Who are you?' Moses said, 'I am Moses.' Al- Khadir said, 'Are you the Moses of Bani Israel?' Moses said, 'Yes.' Al-Khadir said, "What do you want?' Moses said, ' I came to you so that you may teach me of the truth which you were taught.' Al- Khadir said, 'Is it not sufficient for you that the Torah is in your hands and the Divine Inspiration comes to you, O Moses? Verily, I have a knowledge that you ought not learn, and you have a knowledge which I ought not learn.' At that time a bird took with its beak (some water) from the sea: Al-Khadir then said, 'By Allah, my knowledge and your knowledge besides Allah's Knowledge is like what this bird has taken with its beak from the sea.' Until, when they went on board the boat (18.71). They found a small boat which used to carry the people from this sea-side to the other sea-side. The crew recognized Al-Khadir and said, 'The pious slave of Allah.' (We said to Sa`id "Was that Khadir?" He said, "Yes.") The boat men said, 'We will not get him on board with fare.' Al-Khadir scuttled the boat and then plugged the hole with a piece of wood. Moses said, 'Have you scuttled it in order to drown these people surely, you have done a dreadful thing. (18.71) (Mujahid said. "Moses said so protestingly.") Al-Khadir said, didn't I say that you can have no patience with me?' (18.72) The first inquiry of Moses was done because of forgetfulness, the second caused him to be bound with a stipulation, and the third was done intentionally. Moses said, 'Call me not to account for what I forgot and be not hard upon me for my affair (with you).' (18.73) (Then) they found a boy and Al-Khadir killed him. Ya`la- said: Sa`id said 'They found boys playing and Al-Khadir got hold of a handsome infidel boy laid him down and then slew him with knife. Moses said, 'Have you killed a innocent soul who has killed nobody' (18.74) Then they proceeded and found a wall which was on the point of falling down, and Al-Khadir set it up straight. Sa`id moved his hand thus and said 'Al-Khadir raised his hand and the wall became straight. Ya`la said, 'I think Sa`id said, 'Al-Khadir touched the wall with his hand and it became straight (Moses said to Al-Khadir), 'If you had wished, you could have taken wages for it.' Sa`id said, 'Wages that we might had eaten.' And there was a king in furor (ahead) of them" (18.79) And there was in front of them. Ibn `Abbas recited: 'In front of them (was) a king.' It is said on the authority of somebody other than Sa`id that the king was Hudad bin Budad. They say that the boy was called Haisur. 'A king who seized every ship by force. (18.79) So I wished that if that boat passed by him, he would leave it because of its defect and when they have passed they would repair it and get benefit from it. Some people said that they closed that hole with a bottle, and some said with tar. 'His parents were believers, and he (the boy) was a non-believer and we (Khadir) feared lest he would oppress them by obstinate rebellion and disbelief.' (18.80) (i.e. that their love for him would urge them to follow him in his religion, 'so we (Khadir) desired that their Lord should change him for them for one better in righteousness and near to mercy' (18:81). This was in reply to Moses' saying: Have you killed an innocent soul.'? (18.74). 'Near to mercy" means they will be more merciful to him than they were to the former whom Khadir had killed. Other than Sa`id, said that they were compensated with a girl. Dawud bin Abi `Asim said on the authority of more than one that this next child was a girl.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৫/ কুরআন মাজীদের তাফসীর (كتاب التفسير)