১৫১৩

পরিচ্ছেদঃ ২৫৩: আল্লাহর প্রিয় বন্ধুদের কারামত (অলৌকিক কর্মকাণ্ড) এবং তাঁদের মাহাত্ম্য

৩/১৫১৩। জাবের ইবনু সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, কুফাবাসীরা উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে সায়াদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলল, ’সে ভালভাবে নামায পড়তে জানে না।’ কাজেই তিনি তাঁকে ডেকে পাঠালেন এবং (যখন তিনি উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে হাযির হলেন, তখন) তিনি তাঁকে বললেন, ’হে ইসহাকের পিতা! ওরা বলছে যে, তুমি উত্তম-ভাবে নামায আদায় কর না।’ জবাবে তিনি বললেন, ’যাই হোক, আল্লাহর কসম! আমি তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামাযের মত নামায পড়াই, তা থেকে (একটুও) কম করি না।

যোহর ও আসরের দুই নামাযের প্রথম দু’ রাকআতে দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করি এবং দ্বিতীয় দু-রাকআতকে সংক্ষিপ্ত করি।’ উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু (এ কথা শুনে বললেন,) ’ইসহাকের পিতা! তোমার সম্পর্কে ঐ ধারণাই ছিল।’ পরে তিনি তাঁর সঙ্গে একজন বা কয়েকজন লোক কূফা নগরীতে প্রেরণ করলেন। যাতে করে কূফা নগরীর প্রতিটি মসজিদে গিয়ে সায়াদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সুতরাং প্রত্যেক মসজিদেই তাঁর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে লাগল এবং সকলেই তাঁর প্রশংসা করল। শেষ পর্যন্ত যখন তারা বনু আব্সার মসজিদে উপনীত হল।

তখন সেখানে আবূ সা’দাহ উসামাহ ইবনে ক্বাতাদাহ নামক এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলতে লাগল, ’যখন আপনারা আমাদেরকে জিজ্ঞাসাই করলেন, তখন (প্রকাশ করে দিচ্ছি শুনুন,) সায়াদ সেনা বাহিনীর সঙ্গে (জিহাদে) যান না, নায্যভাবে (কোন জিনিস) বণ্টন করেন না এবং ইনসাফের সাথে বিচার করেন না।’ সায়াদ তখন (জবাবে) বলে উঠলেন, ’আল্লাহর কসম! আমি অবশ্যই তিনটি বদ্দুআ করব: হে আল্লাহ! যদি তোমার বান্দা মিথ্যাবাদী হয়, রিয়া (লোক প্রদর্শন হেতু) ও খ্যাতির জন্য এভাবে দণ্ডায়মান হয়ে থাকে, তাহলে তুমি ওর আয়ু দীর্ঘ করে দাও এবং ওর দরিদ্রতা বাড়িয়ে দাও এবং ওকে ফিতনার কবলে ফেল।’ (বাস্তবিক তার অবস্থা ঐরূপই হয়েছিল।) সুতরাং যখন তাকে (কুশল) জিজ্ঞাসা করা হত, তখন উত্তরে বলত, ’অত্যন্ত বৃদ্ধ হয়ে পড়েছি এবং ফিতনায় পতিত হয়েছি; সা’দের বদ্দুআ আমাকে লেগে গেছে।’

জাবের ইবনে সামুরাহ থেকে বর্ণনাকারী আব্দুল মালেক ইবন উমাইর বলেন, ’আমি পরে তাকে দেখেছি যে, সে অত্যন্ত বার্ধক্যের কারণে তার চোখের ভ্রূগুলি চোখের উপরে লটকে পড়েছে আর রাস্তায় রাস্তায় দাসীদেরকে উত্যক্ত করত ও আঙ্গুল বা চোখ দ্বারা তাদেরকে ইশারা করত।’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(253) بَابُ كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ وَفَضْلِهِمْ

وَعَنْ جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: شَكَا أَهْلُ الكُوفَةِ سَعْداً يَعنِي: ابنَ أَبي وَقَّاصٍ رضي الله عنه، إِلَى عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رضي الله عنه فَعَزَلَهُ، وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ عَمَّاراً، فَشَكَوا حَتَّى ذَكَرُوا أَنَّهُ لاَ يُحْسِنُ يُصَلِّي، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ، فَقَالَ: يَا أَبَا إسْحَاقَ، إنَّ هَؤُلاَءِ يَزْعُمُونَ أَنَّكَ لاَ تُحْسِنُ تُصَلِّي، فَقَالَ: أَمَّا أَنَا وَاللهِ فَإنِّي كُنْتُ أُصَلِّي بِهِمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، لاَ أَخْرِمُ عَنْها، أُصَلِّي صَلاَتَي العِشَاءِ فَأَرْكُدُ فِي الأُولَيَيْنِ، وَأُخِفُّ فِي الأُخْرَيَيْنِ . قَالَ: ذَلِكَ الظَّنُّ بِكَ يَا أَبَا إِسْحَاقَ، وَأَرْسَلَ مَعَهُ رَجُلاً - أَوْ رِجَالاً - إِلَى الكُوفَةِ يَسْأَلُ عَنْهُ أَهْلَ الكُوفَةِ، فَلَمْ يَدَعْ مَسْجِداً إِلاَّ سَأَلَ عَنْهُ، وَيُثْنُونَ مَعْرُوفاً، حَتَّى دَخَلَ مَسْجِداً لِبَنِي عَبْسٍ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ، يُقَالُ لَهُ أُسَامَةُ بْنُ قَتَادَةَ، يُكَنَّى أَبَا سَعْدَةَ، فَقَالَ: أَمَا إِذْ نَشَدْتَنَا فَإِنَّ سَعْداً كَانَ لاَ يَسِيرُ بِالسَّرِيَّةِ وَلاَ يَقْسِمُ بِالسَّوِيَّةِ، وَلاَ يَعْدِلُ فِي القَضِيَّةِ . قَالَ سَعْدٌ: أَمَا وَاللهِ لأَدْعُوَنَّ بِثَلاَثٍ: اَللهم إِنْ كَانَ عَبْدُكَ هَذَا كَاذِباً، قَامَ رِيَاءً، وَسُمْعَةً، فَأَطِلْ عُمُرَهُ، وَأَطِلْ فَقْرَهُ، وَعَرِّضْهُ لِلْفِتَنِ . وَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ إِذَا سُئِلَ يَقُوْلُ: شَيْخٌ كَبيرٌ مَفْتُونٌ، أَصَابَتْنِي دَعْوَةُ سَعدٍ رضي الله عنه . قَالَ عَبدُ المَلِكِ بنُ عُمَيْرٍ الرَّاوِي عَن جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ: فَأَنَا رَأَيْتُهُ بَعْدُ قَدْ سَقَطَ حَاجِبَاهُ عَلَى عَيْنَيْهِ مِنَ الكِبَرِ، وَإِنَّهُ لَيَتَعَرَّضُ لِلْجَوارِي فِي الطُّرُقِ فَيَغْمِزُهُنَّ . متفق عَلَيْهِ

وعن جابر بن سمرة رضي الله عنهما، قال: شكا اهل الكوفة سعدا يعني: ابن ابي وقاص رضي الله عنه، الى عمر بن الخطاب رضي الله عنه فعزله، واستعمل عليهم عمارا، فشكوا حتى ذكروا انه لا يحسن يصلي، فارسل اليه، فقال: يا ابا اسحاق، ان هولاء يزعمون انك لا تحسن تصلي، فقال: اما انا والله فاني كنت اصلي بهم صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم، لا اخرم عنها، اصلي صلاتي العشاء فاركد في الاوليين، واخف في الاخريين . قال: ذلك الظن بك يا ابا اسحاق، وارسل معه رجلا - او رجالا - الى الكوفة يسال عنه اهل الكوفة، فلم يدع مسجدا الا سال عنه، ويثنون معروفا، حتى دخل مسجدا لبني عبس، فقام رجل منهم، يقال له اسامة بن قتادة، يكنى ابا سعدة، فقال: اما اذ نشدتنا فان سعدا كان لا يسير بالسرية ولا يقسم بالسوية، ولا يعدل في القضية . قال سعد: اما والله لادعون بثلاث: اللهم ان كان عبدك هذا كاذبا، قام رياء، وسمعة، فاطل عمره، واطل فقره، وعرضه للفتن . وكان بعد ذلك اذا سىل يقول: شيخ كبير مفتون، اصابتني دعوة سعد رضي الله عنه . قال عبد الملك بن عمير الراوي عن جابر بن سمرة: فانا رايته بعد قد سقط حاجباه على عينيه من الكبر، وانه ليتعرض للجواري في الطرق فيغمزهن . متفق عليه

(253) Chapter: Superiority of Auliya' and their Marvels


Jabir bin Samurah (May Allah be pleased with them) said:
The inhabitants of Kufah complained to 'Umar (May Allah be pleased with him) against Sa'd bin Abu Waqqas (May Allah be pleased with him) and 'Umar (May Allah be pleased with him) appointed 'Ammar (May Allah be pleased with him) as Governor of Kufah in his place. Their complaint was that he did not even conduct As-Salat (the prayers) properly. 'Umar (May Allah be pleased with him) sent for Sa'd and said to him: "O Abu Ishaq, the people claim that you do not offer the Salat properly." Sa'd replied: "By Allah! I observe Salat according to the Salat of the Messenger of Allah (ﷺ), and I make no decrease in it. I prolong Qiyam (standing) in the first two Rak'ah in Maghrib and 'Isha' prayers and shorten in the last ones." 'Umar (May Allah be pleased with him) said: "This is what I thought of you, O Abu Ishaq!" Then he sent with him a man (or some men) to Kufah to investigate the matter about him (from the people of Kufah). The inquiry was conducted in every mosque and all the people in these mosques praised him; but in the mosque of the Banu 'Abs, a man, with the name of Usamah bin Qatadah and surname Abu Sa'dah, stood up and said, "Sa'd bin Abu Waqqas did not participate in Jihad and he did not distribute the spoils equitably and did not judge justly." On this Sa'd said: "I shall make three supplications in respect of him: O Allah! If this slave of Yours is a liar and seeker of notoriety, please prolong his life and lengthen his period of adversity and afflict him with trials." (And so did it happen.) Thereafter, when the man was asked about his condition he would say, "I am an old man afflicted with trials and overtaken by the curses of Sa'd."

'Abdul-Malik bin 'Umair (a subnarrator) said: I saw this man with eyebrows hung over his eyes as a result of his old age and he walked aimlessly, following young girls and winking at them.

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith brings out the following four points:
1. The distinction of Sa`d bin Abu Waqqas (May Allah be pleased with him) and the fact that his prayers were granted by Allah.

2. The principle that if inquiry is conducted against anybody, one should inquire the opinion of the righteous and worthy people about the person against whom complaint is made.

3. Government officials can be dismissed in the interest of public good, as `Umar (May Allah be pleased with him) dismissed Sa`d bin Abu Waqqas although the complaints made against him were false, but `Umar thought it wise to dismiss him so that no one amongst his subject would show hatred towards him.

4. This Hadith also proves the correctness of marvels. The acceptance of the prayer of Sa`d bin Abu Waqqas is an instance of it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৬/ (প্রার্থনামূলক) দো‘আসমূহ (كتاب الدعوات)