২৫৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৫১/১৪. পুরুষের স্ত্রীর জন্য এবং স্ত্রীর পুরুষের জন্য হিবা করা।

قَالَ إِبْرَاهِيْمُ جَائِزَةٌ وَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيْزِ لَا يَرْجِعَانِ وَاسْتَأْذَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نِسَاءَهُ فِيْ أَنْ يُمَرَّضَ فِيْ بَيْتِ عَائِشَةَ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْعَائِدُ فِيْ هِبَتِهِ كَالْكَلْبِ يَعُوْدُ فِيْ قَيْئِهِ

وَقَالَ الزُّهْرِيُّ فِيْمَنْ قَالَ لِامْرَأَتِهِ هَبِيْ لِيْ بَعْضَ صَدَاقِكِ أَوْ كُلَّهُ ثُمَّ لَمْ يَمْكُثْ إِلَّا يَسِيْرًا حَتَّى طَلَّقَهَا فَرَجَعَتْ فِيْهِ قَالَ يَرُدُّ إِلَيْهَا إِنْ كَانَ خَلَبَهَا وَإِنْ كَانَتْ أَعْطَتْهُ عَنْ طِيْبِ نَفْسٍ لَيْسَ فِيْ شَيْءٍ مِنْ أَمْرِهِ خَدِيْعَةٌ جَازَ

قَالَ اللهُ تَعَالَى )فَإِنْ طِبْنَ لَكُمْ عَنْ شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوْهُ(  (النساء : ৪)

ইবরাহীম (রহ.) বলেছেন, এরূপ দান বৈধ। আর ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহ.) বলেছেন, এ ধরনের দান করে তারা ফিরিয়ে নিতে পারবে না। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর স্ত্রীগণের নিকট ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরে সেবা-শুশ্রুষা গ্রহণের অনুমতি চেয়েছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে আপন দান ফেরত নেয়, সে ঐ কুকুরের মত, যে বমি করে পুনরায় খায়।

ইমাম যুহরী (রহ.) বলেন, কোন লোক যদি তার স্ত্রীকে বলে, আমাকে তোমার মাহরের কিছু অংশ বা সবটুকু দান করে দাও। অথচ সে দান করার কিছু পরেই তাকে তালাক দিয়ে বসে, আর স্ত্রীও তার দান ফেরত দাবী করে তাহলে তাকে তা ফেরত দিতে হবে; যদি প্রতারণার নীয়তে এ রকম করে থাকে। আর যদি সে খুশী মনে দান করে থাকে, আর স্বামীর আচরণেও প্রতারণা না থাকে তাহলে বৈধ।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘পরে যদি তারা তার কিছু অংশ দান করে দেয় তবে আনন্দ ও তৃপ্তি সহকারে তা ভোগ কর।’’ (সূরা আলে ‘ইমরান ৪)


২৫৮৮. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ভারী হয়ে পড়লেন এবং তাঁর কষ্ট বেড়ে গেল। তখন তিনি তাঁর স্ত্রীগণের নিকট আমার ঘরে শুশ্রুষা পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। তারা তাঁকে সম্মতি দিলেন। অতঃপর একদা দু’ ব্যক্তির উপর ভর করে বের হলেন, তখন তার উভয় পা মাটি স্পর্শ করছিল। তিনি ‘আব্বাস (রাঃ) ও আরেক ব্যক্তির মাঝে ভর দিয়ে চলছিলেন। উবায়দুল্লাহ (রহ.) বলেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) যা বললেন, তা আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট আরয করলাম, তিনি তখন আমাকে বললেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) যার নাম উল্লেখ করলেন না, তিনি কে, তা জান কি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তিনি হলেন ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)। (১৯৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪১৭)

بَابُ هِبَةِ الرَّجُلِ لِامْرَأَتِهِ وَالْمَرْأَةِ لِزَوْجِهَا

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ مُوْسَى أَخْبَرَنَا هِشَامٌ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا لَمَّا ثَقُلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاشْتَدَّ وَجَعُهُ اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِيْ بَيْتِيْ فَأَذِنَّ لَهُ فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ تَخُطُّ رِجْلَاهُ الأَرْضَ وَكَانَ بَيْنَ الْعَبَّاسِ وَبَيْنَ رَجُلٍ آخَرَ فَقَالَ عُبَيْدُ اللهِ فَذَكَرْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ مَا قَالَتْ عَائِشَةُ فَقَالَ لِيْ وَهَلْ تَدْرِيْ مَنْ الرَّجُلُ الَّذِيْ لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ قُلْتُ لَا قَالَ هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِيْ طَالِبٍ

حدثنا ابراهيم بن موسى اخبرنا هشام عن معمر عن الزهري قال اخبرني عبيد الله بن عبد الله قالت عاىشة رضي الله عنها لما ثقل النبي صلى الله عليه وسلم فاشتد وجعه استاذن ازواجه ان يمرض في بيتي فاذن له فخرج بين رجلين تخط رجلاه الارض وكان بين العباس وبين رجل اخر فقال عبيد الله فذكرت لابن عباس ما قالت عاىشة فقال لي وهل تدري من الرجل الذي لم تسم عاىشة قلت لا قال هو علي بن ابي طالب


Narrated Az-Zuhri:

Ubaidullah bin `Abdullah told me that `Aisha had said, "When the Prophet (ﷺ) became sick and his condition became serious, he requested his wives to allow him to be treated in my house, and they allowed him. He came out leaning on two men while his feet were dragging on the ground. He was walking between Al-`Abbas and another man." 'Ubaidullah said, "When I informed Ibn `Abbas of what `Aisha had said, he asked me whether I knew who was the second man whom `Aisha had not named. I replied in the negative. He said, 'He was `Ali bin Abi Talib."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৫১/ হিবা ও এর ফযীলত (كتاب الهبة وفضلها والتحريض عليها)