২৪১৭

পরিচ্ছেদঃ ১৬১৮. স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে এবং স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে দান করা।

قَالَ إِبْرَاهِيمُ جَائِزَةٌ وَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ لَا يَرْجِعَانِ وَاسْتَأْذَنَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءَهُ فِي أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِ عَائِشَةَ وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَائِدُ فِي هِبَتِهِ كَالْكَلْبِ يَعُودُ فِي قَيْئِهِ وَقَالَ الزُّهْرِيُّ فِيمَنْ قَالَ لِامْرَأَتِهِ هَبِي لِي بَعْضَ صَدَاقِكِ أَوْ كُلَّهُ ثُمَّ لَمْ يَمْكُثْ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى طَلَّقَهَا فَرَجَعَتْ فِيهِ قَالَ يَرُدُّ إِلَيْهَا إِنْ كَانَ خَلَبَهَا وَإِنْ كَانَتْ أَعْطَتْهُ عَنْ طِيبِ نَفْسٍ لَيْسَ فِي شَيْءٍ مِنْ أَمْرِهِ خَدِيعَةٌ جَازَ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فَإِنْ طِبْنَ لَكُمْ عَنْ شَيْءٍ مِنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ

ইবরাহীম (রহঃ) বলেছেন, এরূপ দান বৈধ। আর উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) বলেছেন, (এ ধরনের দান পরে) তারা প্রত্যাহার করতে পারবে না। নবী (সাঃ) তার স্ত্রীগণের কাছে আয়শা (রাঃ) এর ঘরে সেবা শুশ্রূষা গ্রহণের অনুমতি চেয়েছিলেন। নবী (সাঃ) বলেছেন, যে আপন দান ফিরত নেয় সে ঐ কুকুরের ন্যায়, যে বমি করে পুনরায় খায়। ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে বলে, আমাকে তোমার মাহরের কিছু অংশ বা সবটুকু দান করে দাও। অথচ সে দান করার কিছু (দিন বা সময়) পরেই তাকে তালাক দিয়ে বসে, আর স্ত্রীও তার দান ফেরত দাবি করে তাহলে তাকে তা ফেরত দিতে হবে; যদি প্রতারণার উদ্দেশ্যে এরূপ করে থাকে। আর যদি সে খুশি মনে দান করে থাকে, আর স্বামীর আচরণেও প্রতারনা না থাকে তাহলে বৈধ। আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেনঃ পরে যদি তারা তার কিছু অংশ দান করে দেয় তবে স্বাচ্ছন্দে ও তৃপ্তিভরে তা আহার কর। (৪ঃ ৪)


২৪১৭। ইবরাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুস্থ হয়ে পড়লেন এবং তাঁর কষ্ট বেড়ে গেল! তখন তিনি তাঁর স্ত্রীগণের কাছে আমার ঘরে সেবা-শুশ্রূষা লাভের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। তারা তাকে সম্মতি দিলেন। তারপর একদিন দু’ ব্যাক্তির উপর ভর করে বের হলেন, তখন তার উভয় কদম মুবারক মাটি স্পর্শ করছিল। তিনি আব্বাস (রাঃ) ও আরেক ব্যাক্তির মাঝে ভর দিয়ে চলছিলেন। উবায়দুল্লাহ্ (রহঃ) বলেন, আয়িশা (রাঃ) যা বললেন, তা আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর কাছে আরয করলাম, তিনি তখন আমাকে বললেন, জানো, আয়িশা (রাঃ) যার নাম উল্লেখ করলেন না, তিনি কে? আমি বললাম, না; (জানি না)। তিনি বললেন, তিনি হলেন আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)।

باب هِبَةِ الرَّجُلِ لاِمْرَأَتِهِ وَالْمَرْأَةِ لِزَوْجِهَا

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَتْ عَائِشَةُ ـ رضى الله عنها ـ لَمَّا ثَقُلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاشْتَدَّ وَجَعُهُ اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِي، فَأَذِنَّ لَهُ، فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ، تَخُطُّ رِجْلاَهُ الأَرْضَ، وَكَانَ بَيْنَ الْعَبَّاسِ، وَبَيْنَ رَجُلٍ آخَرَ‏.‏ فَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَذَكَرْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ مَا قَالَتْ عَائِشَةُ، فَقَالَ لِي وَهَلْ تَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ قُلْتُ لاَ‏.‏ قَالَ هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ‏.‏

حدثنا ابراهيم بن موسى، اخبرنا هشام، عن معمر، عن الزهري، قال اخبرني عبيد الله بن عبد الله، قالت عاىشة ـ رضى الله عنها ـ لما ثقل النبي صلى الله عليه وسلم فاشتد وجعه استاذن ازواجه ان يمرض في بيتي، فاذن له، فخرج بين رجلين، تخط رجلاه الارض، وكان بين العباس، وبين رجل اخر‏.‏ فقال عبيد الله فذكرت لابن عباس ما قالت عاىشة، فقال لي وهل تدري من الرجل الذي لم تسم عاىشة قلت لا‏.‏ قال هو علي بن ابي طالب‏.‏


Narrated Az-Zuhri:

Ubaidullah bin `Abdullah told me that `Aisha had said, "When the Prophet (ﷺ) became sick and his condition became serious, he requested his wives to allow him to be treated in my house, and they allowed him. He came out leaning on two men while his feet were dragging on the ground. He was walking between Al-`Abbas and another man." 'Ubaidullah said, "When I informed Ibn `Abbas of what `Aisha had said, he asked me whether I knew who was the second man whom `Aisha had not named. I replied in the negative. He said, 'He was `Ali bin Abi Talib."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৩/ হিবা (উপহার) প্রদান (كتاب الهبة وفضلها والتحريض عليها)