৫৪১

পরিচ্ছেদঃ ৫৭: অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

১৫/৫৪১। আবূ বিশর ক্বাবীসাহ ইবনে মুখারেক রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একবার এক অর্থদন্ডের দায়িত্ব আমার ঘাড়ে থাকলে আমি সে ব্যাপারে সাহায্য নিতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম। তিনি বললেন, ’’সাদকার মাল আসা পর্যন্ত তুমি অবস্থান কর। এলে তোমাকে তা দেওয়ার আদেশ করব।’’ অতঃপর তিনি বললেন, ’’হে ক্বাবীসাহ! তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য চাওয়া বৈধ নয়;
(১) যে ব্যক্তি অর্থদন্ডে পড়বে (কারো দিয়াত বা জরিমানা দেওয়ার যামিন হবে), তার জন্য চাওয়া হালাল। অতঃপর তা পরিশোধ হয়ে গেলে সে চাওয়া বন্ধ করবে।
(২) যে ব্যক্তি দুর্যোগগ্রস্ত হবে এবং তার মাল ধ্বংস হয়ে যাবে, তার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত চাওয়া বৈধ, যতক্ষণ তার সচ্ছল অবস্থা ফিরে না এসেছে।
(৩) যে ব্যক্তি অভাবী হয়ে পড়বে এবং তার গোত্রের তিনজন জ্ঞানী লোক এ কথার সাক্ষ্য দেবে যে, অমুক অভাবী, তখন তার জন্য চাওয়া বৈধ। আর এ ছাড়া হে ক্বাবীসাহ অন্য লোকের জন্য চেয়ে (মেগে) খাওয়া হারাম। সে মাল খেলে হারাম খাওয়া হবে।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الْقَنَاعَةِ وَالْعَفَافِ وَالْاِقْتِصَادِفِي الْمَعِيْشَةِ إِنْفَاقِ وَذَمِّ السُّؤَالِ مِنْ غَيْرِ ضَرُوْرَةٍ - (57)

وَعَن أَبي بِشْرٍ قَبيصَةَ بنِ المُخَارِقِ رضي الله عنه، قَالَ: تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أسْأَلُهُ فِيهَا، فَقَالَ: أقِمْ حَتَّى تَأتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأمُرَ لَكَ بِهَا ثُمَّ قَالَ: يَا قَبيصةُ، إنَّ المَسْأَلَةَ لاَ تَحِلُّ إِلاَّ لأَحَدِ ثلاثَةٍ: رَجُلٌ تَحَمَّلَ حَمَالَةً، فَحَلَّتْ لَهُ المَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَها، ثُمَّ يُمْسِكُ، وَرَجُلٌ أصَابَتْهُ جَائِحَةٌ اجْتَاحَتْ مَالَهُ، فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَاماً مِنْ عَيش - أَوْ قَالَ: سِدَاداً مِنْ عَيْشٍ - وَرَجُلٌ أصَابَتْهُ فَاقَةٌ، حَتَّى يَقُولَ ثَلاَثَةٌ مِنْ ذَوِي الحِجَى مِنْ قَوْمِه: لَقَدْ أصَابَتْ فُلاناً فَاقَةٌ. فَحلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَاماً مِن عَيش، أَوْ قَالَ: سِدَاداً مِن عَيشٍ، فَمَا سِوَاهُنَّ مِنَ المسألَةِ يَا قَبِيصَةُ سُحْتٌ، يَأكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتاً . رواه مسلم

وعن ابي بشر قبيصة بن المخارق رضي الله عنه، قال: تحملت حمالة فاتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اساله فيها، فقال: اقم حتى تاتينا الصدقة فنامر لك بها ثم قال: يا قبيصة، ان المسالة لا تحل الا لاحد ثلاثة: رجل تحمل حمالة، فحلت له المسالة حتى يصيبها، ثم يمسك، ورجل اصابته جاىحة اجتاحت ماله، فحلت له المسالة حتى يصيب قواما من عيش - او قال: سدادا من عيش - ورجل اصابته فاقة، حتى يقول ثلاثة من ذوي الحجى من قومه: لقد اصابت فلانا فاقة. فحلت له المسالة حتى يصيب قواما من عيش، او قال: سدادا من عيش، فما سواهن من المسالة يا قبيصة سحت، ياكلها صاحبها سحتا . رواه مسلم

(57) Chapter: Contentment and Self-esteem and avoidance of unnecessary begging of People


Qabisah bin Al-Mukhariq (May Allah be pleased with him) reported:
I stood as surety for a debt and came to Messenger of Allah (ﷺ) to seek his help in discharging it. Messenger of Allah (ﷺ) said, "Wait till we receive charity and I shall give you out of it." He (ﷺ) added, "O Qabisah, begging is not lawful except for three people. One who has incurred debt (for assuming guarantee), for him begging is permissible till the guarantee is discharged and he should then refrain; a person whose property has been destroyed by a calamity is allowed to beg till he attains self-sufficiency; a person who meets with dire necessity (due to hunger) provided that three men of understanding from his people affirm the genuineness (of his poverty), for him begging is lawful till he attains means of his subsistence. Other than these, O Qabisah, anything received through begging is unlawful, its recipient devours it unlawfully."

[Muslim].

Commentary: This Hadith explicitly tells us about the three types of men who are allowed to beg of others. A detailed description has already been mentioned above.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)