২০৪১

পরিচ্ছেদঃ ১০৩/ মু'মিনদের জন্য ইস্তিগফারের নির্দেশ

২০৪১। ইউসুফ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... মুহাম্মাদ ইবনু কায়স ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, আমি কি তোমাদের আমার এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি ঘটনার কথা বলব না? আমরা বললাম, হ্যাঁ অবশ্যই বলবেন। তিনি বললেন, একরাত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে ছিলেন। তিনি এশার সালাতের পর বিছানায় আসলেন, স্বীয় পাদুকাদ্বয় নিজ পায়ের কাছে রাখলেন এবং পরিধেয় কাপড়ের একাংশ বিছানার উপর বিছালেন। কিছুক্ষণ পরেই যখন তিনি মনে করলেন যে, আমি ঘুমিয়ে পড়েছি, তখন তিনি অতি সন্তর্পণে জুতা পরিধান করলেন, আস্তে আস্তে স্বীয় চাদরখানা উঠিয়ে নিলেন এবং নিঃশব্দে দরজা খুলে বের হয়ে গেলেন। তখন আমিও স্বীয় চাঁদরখানা নিজ মাথায় রাখলাম ওড়না ও কাপড় পরিধান করে তার পিছু পিছু চললাম।

তিনি বাকী নামক কবরস্থানে আসলেন এবং তিনবার স্বীয় হস্তদ্বয় লম্বা করে উত্তলন করলেন। অতঃপর তিনি ফিরে চললে আমিও ফিরে চললাম। তিনি দ্রুত হাটতে লাগলে আমিও দ্রুত হাটতে লাগলাম। তিনি আরও একটু দ্রুতগতিতে চললে আমিও আরও একটু দ্রুত গতিতে চলতে লাগলাম। তিনি দৌড়াতে লাগলে আমিও দ্রুত দৌড়াতে লাগলাম। আমি তার পূর্বে ঘরে প্রবেশ করে গেলাম এবং তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম। অতঃপর তিনি প্রবেশ করলেন এবং বললেন, হে আয়িশা! তোমার কি হল যে, তোমার নিঃশ্বাস এত জোরে জোরে বের হচ্ছে, পেট ফুলে উঠছে? আমি বললাম, ও কিছু নয়। তিনি বললেন, হায় তুমি হয় আমাকে এ ব্যাপারে অবগত করবে না হয় আল্লাহ তা’আলা যিনি সর্ববিষয়ে জ্ঞাত তিনি আমাকে জানিয়ে দিবেন।

আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনার উপর আমার মাতা-পিতা কুরবান হোক। অতঃপর আমি তাঁকে পূর্ণ ঘটনা ব্যক্ত করলাম। তিনি বললেন, আমার সম্মুখে যাকে আমি দেখেছিলাম সেকি তুমিই ছিলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি আমার বক্ষে এমনভাবে আঘাত করলেন যে, তাতে আমি ব্যাথা অনূভব করলাম। অতপর তিনি বললেনঃ তুমি কি মনে কর যে, আল্লাহ এবং তার রাসুল তোমার উপর অন্যায় আচরণ করবে? আমি বললাম, মানুষ যখন কিছু গোপন করে তা আল্লাহ নিশ্চয়ই জানেন। তিনি বললেন- যখন তুমি দেখেছিলে তখন জিবরাঈল (আঃ) আমার কাছে এসেছিলেন। তোমার গায়ে কাপড় ঠিক ছিল না। বিধায় তিনি আমার কাছে আসেন নি বরং তোমা হতে আড়ালে থেকে আমাকে ডাক দিয়েছিলেন। আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম এবং তোমা থেকে তা গোপন রাখলাম।

আমি মনে করেছিলাম যে, তুমি ঘুমিয়ে ছিলে। আমি তোমার নিদ্রা ভঙ্গ করা অপন্দনীয় মনে করলাম। আমি আশংকাও করলাম যে, হয়ত তুমি ভয় পাবে। তিনি আমাকে বাকী নামক কবরস্থানে গিয়ে কবরবাসীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে বললেন। (আয়িশা বলেন,) আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কিরূপ বলব? তিনি বললেন তুমি বলবেঃ

السَّلاَمُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، يَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقْدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ

باب الأَمْرِ بِالاِسْتِغْفَارِ لِلْمُؤْمِنِينَ

أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تُحَدِّثُ قَالَتْ ‏:‏ أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ عَنِّي وَعَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قُلْنَا ‏:‏ بَلَى ‏.‏ قَالَتْ ‏:‏ لَمَّا كَانَتْ لَيْلَتِي الَّتِي هُوَ عِنْدِي تَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم انْقَلَبَ فَوَضَعَ نَعْلَيْهِ عِنْدَ رِجْلَيْهِ، وَبَسَطَ طَرَفَ إِزَارِهِ عَلَى فِرَاشِهِ، فَلَمْ يَلْبَثْ إِلاَّ رَيْثَمَا ظَنَّ أَنِّي قَدْ رَقَدْتُ، ثُمَّ انْتَعَلَ رُوَيْدًا وَأَخَذَ رِدَاءَهُ رُوَيْدًا، ثُمَّ فَتَحَ الْبَابَ رُوَيْدًا وَخَرَجَ رُوَيْدًا وَجَعَلْتُ دِرْعِي فِي رَأْسِي وَاخْتَمَرْتُ وَتَقَنَّعْتُ إِزَارِي، وَانْطَلَقْتُ فِي إِثْرِهِ حَتَّى جَاءَ الْبَقِيعَ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَأَطَالَ، ثُمَّ انْحَرَفَ فَانْحَرَفْتُ، فَأَسْرَعَ فَأَسْرَعْتُ، فَهَرْوَلَ فَهَرْوَلْتُ، فَأَحْضَرَ فَأَحْضَرْتُ وَسَبَقْتُهُ فَدَخَلْتُ، فَلَيْسَ إِلاَّ أَنِ اضْطَجَعْتُ فَدَخَلَ فَقَالَ ‏:‏ ‏"‏ مَا لَكِ يَا عَائِشَةُ حَشْيَا رَابِيَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ ‏:‏ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ لَتُخْبِرِنِّي أَوْ لَيُخْبِرَنِّي اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، فَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ فَأَنْتِ السَّوَادُ الَّذِي رَأَيْتُ أَمَامِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ ‏:‏ نَعَمْ، فَلَهَزَنِي فِي صَدْرِي لَهْزَةً أَوْجَعَتْنِي، ثُمَّ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ أَظَنَنْتِ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ ‏:‏ مَهْمَا يَكْتُمُ النَّاسُ فَقَدْ عَلِمَهُ اللَّهُ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ فَإِنَّ جِبْرِيلَ أَتَانِي حِينَ رَأَيْتِ وَلَمْ يَدْخُلْ عَلَىَّ وَقَدْ وَضَعْتِ ثِيَابَكِ فَنَادَانِي، فَأَخْفَى مِنْكِ فَأَجَبْتُهُ فَأَخْفَيْتُهُ مِنْكِ، فَظَنَنْتُ أَنْ قَدْ رَقَدْتِ وَكَرِهْتُ أَنْ أُوقِظَكِ، وَخَشِيتُ أَنْ تَسْتَوْحِشِي، فَأَمَرَنِي أَنْ آتِيَ الْبَقِيعَ فَأَسْتَغْفِرَ لَهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ ‏:‏ كَيْفَ أَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ قُولِي السَّلاَمُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، يَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقْدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا يوسف بن سعيد، قال حدثنا حجاج، عن ابن جريج، قال اخبرني عبد الله بن ابي مليكة، انه سمع محمد بن قيس بن مخرمة، يقول سمعت عاىشة، تحدث قالت ‏:‏ الا احدثكم عني وعن النبي صلى الله عليه وسلم قلنا ‏:‏ بلى ‏.‏ قالت ‏:‏ لما كانت ليلتي التي هو عندي تعني النبي صلى الله عليه وسلم انقلب فوضع نعليه عند رجليه، وبسط طرف ازاره على فراشه، فلم يلبث الا ريثما ظن اني قد رقدت، ثم انتعل رويدا واخذ رداءه رويدا، ثم فتح الباب رويدا وخرج رويدا وجعلت درعي في راسي واختمرت وتقنعت ازاري، وانطلقت في اثره حتى جاء البقيع، فرفع يديه ثلاث مرات فاطال، ثم انحرف فانحرفت، فاسرع فاسرعت، فهرول فهرولت، فاحضر فاحضرت وسبقته فدخلت، فليس الا ان اضطجعت فدخل فقال ‏:‏ ‏"‏ ما لك يا عاىشة حشيا رابية ‏"‏ ‏.‏ قالت ‏:‏ لا ‏.‏ قال ‏:‏ ‏"‏ لتخبرني او ليخبرني اللطيف الخبير ‏"‏ ‏.‏ قلت ‏:‏ يا رسول الله بابي انت وامي، فاخبرته الخبر ‏.‏ قال ‏:‏ ‏"‏ فانت السواد الذي رايت امامي ‏"‏ ‏.‏ قالت ‏:‏ نعم، فلهزني في صدري لهزة اوجعتني، ثم قال ‏:‏ ‏"‏ اظننت ان يحيف الله عليك ورسوله ‏"‏ ‏.‏ قلت ‏:‏ مهما يكتم الناس فقد علمه الله ‏.‏ قال ‏:‏ ‏"‏ فان جبريل اتاني حين رايت ولم يدخل على وقد وضعت ثيابك فناداني، فاخفى منك فاجبته فاخفيته منك، فظننت ان قد رقدت وكرهت ان اوقظك، وخشيت ان تستوحشي، فامرني ان اتي البقيع فاستغفر لهم ‏"‏ ‏.‏ قلت ‏:‏ كيف اقول يا رسول الله قال ‏:‏ ‏"‏ قولي السلام على اهل الديار من المومنين والمسلمين، يرحم الله المستقدمين منا والمستاخرين، وانا ان شاء الله بكم لاحقون ‏"‏ ‏.‏


Muhammad bin Qais bin Makhramah said:
"Aishah said: 'Shall I not tell you about me and about the Prophet?' We said: 'Yes.' She said: 'When it was my night when he was with me' - meaning the Prophet -'He came back (from 'Isha' prayer), put his sandals by his feet and spread the edge of his Izar on his bed. He stayed until he thought that I had gone to sleep. Then he put his sandals on slowly, picked up his cloak slowly, then opened the door slowly and went out slowly. I covered my head, put on my vie and tightened my waist wrapper, then I followed his steps until he came to Al-Baqi'. He raised his hands three times, and stood there for a long time, then he left and I left. He hastened and I also hastened; he ran and I also ran. He came (to the house) and I also came, but I got there first and entered, and as I lay down he came in. He said: "Tell me, or the Subtle, the All-Aware will tell me.' I said: 'O Messenger of Allah, may my father and mother be ransomed for you,' and I told him (the whole story). He said: 'So you were the black shape that I saw in front of me?' I said, 'Yes.' He gave me a nudge on the chest which I felt, then he said: 'Did you think that Allah and His Messenger would deal unjustly with you?' I said: 'Whatever the people conceal, Allah knows it.' He said: Jibril came to me when I saw you, but he did not enter upon me because you where not fully dressed. He called me but he concealed that from you, and I answered him, but I concealed that from you too. I thought that you had gone to sleep and I did not want to wake you up, and I was afraid that you would be frightened. He told me to go to Al-Baqi' and pray for forgiveness for them.' I said: 'What should I say, O Messenger of Allah?' He said: 'Say" Peace be upon the inhabitants of this place among the believers and Muslims. May Allah have mercy upon those who have gone on ahead of us and those who come later on, and we will join you, if Allah wills."'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২১/ জানাজা (كتاب الجنائز)