৪৬৪

পরিচ্ছেদঃ বিতরে দু’আ কুনূত পাঠ করা।

৪৬৪. কুতায়বা (রহঃ) ..... হাসান ইবনু আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ বিতরে পাঠের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কিছু কালেমা শিখিয়েছেনঃ

اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ

অর্থঃ ’’হে আল্লাহ! যাদের আপনি হিদায়াত করে তাদের সাথে আমাকেও হিদায়াত করুন, যাদের আপনি অকল্যাণ থেকে দূরে রেখেছেন তাদের সাথে আমাকেও অকল্যাণ থেকে দূরে রাখুন, যাদের আপনি আপনার অভিভাবকত্বে রেখেছেন তাদের সাথে আমাকেও আপনার অভিভাবকত্বে রাখুন। আপনি যা দিয়েছেন তাতে আপনি বরকত দিন। আপনি আমার তাকদিরে যা রেখেছেন এর অসুবিধা থেকে আমাকে রক্ষা করুন, আপনই তো ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীত তো ফয়সালা দিতে পারে না কেউ। আপনি যার বন্ধু তাকে তো লাঞ্ছিত করতে পারবে না কেউ। হে আমার রব! আপনি তো বরকতময় এবং সুমহান।’’ - ইরওয়া ৪২৯, মিশকাত ১২৭৩, তা’লীক আলা ইবনু খুজাইমাহ ১০৯৫, সহিহ আবু দাউদ ১২৮১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান। আবূল হাওরা আস্-সা’দী (রহঃ)-এর সূত্র ছাড়া আর কোনভাবে আমরা এই হাদীসটি সম্পর্কে জানি না। আবূ হাওরা আস-সা’দী এর নাম হল রাবীআ ইবনু শায়বান। দু’আ কুনুতের বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এর চেয়ে উত্তম কিছু বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। বিতরে কুনূত পাঠ সম্পর্কে আলিমদের মতবিরোধ রয়েছে। ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সারা বছরেই কুনুত পাঠের কথা বলেন। তিনি রুকূ-এর পূর্বে কুনুত পাঠের অভিমত পছন্দ করেছেন। কতক আলিমের অভিমতও এই। সুফঈয়ান সাওরী ইবনু মুবারক, ইসহাক ও কূফাবাসী আলিমগণও এই মত ব্যক্ত করেছেন। আলী ইবনু আবী তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, তিনি রমযান মাসের শেষ অর্ধাংশ ব্যতীত দু’আ কুনূত পাঠ করতেন না, আর তিনি রুকূ-এর পর তা পাঠ করতেন। কতক আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন। ইমাম শাফিঈ ও আহমদ (রহঃ) এরও এই অভিমত।

باب مَا جَاءَ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ، قَالَ قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ رضى الله عَنْهُمَا عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي الْوِتْرِ ‏ "‏ اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ وَاسْمُهُ رَبِيعَةُ بْنُ شَيْبَانَ ‏.‏ وَلاَ نَعْرِفُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْ هَذَا ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ فَرَأَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ الْقُنُوتَ فِي الْوِتْرِ فِي السَّنَةِ كُلِّهَا وَاخْتَارَ الْقُنُوتَ قَبْلَ الرُّكُوعِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَإِسْحَاقُ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ كَانَ لاَ يَقْنُتُ إِلاَّ فِي النِّصْفِ الآخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَكَانَ يَقْنُتُ بَعْدَ الرُّكُوعِ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا ابو الاحوص، عن ابي اسحاق، عن بريد بن ابي مريم، عن ابي الحوراء السعدي، قال قال الحسن بن علي رضى الله عنهما علمني رسول الله صلى الله عليه وسلم كلمات اقولهن في الوتر ‏ "‏ اللهم اهدني فيمن هديت وعافني فيمن عافيت وتولني فيمن توليت وبارك لي فيما اعطيت وقني شر ما قضيت فانك تقضي ولا يقضى عليك وانه لا يذل من واليت تباركت ربنا وتعاليت ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن علي ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن لا نعرفه الا من هذا الوجه من حديث ابي الحوراء السعدي واسمه ربيعة بن شيبان ‏.‏ ولا نعرف عن النبي صلى الله عليه وسلم في القنوت في الوتر شيىا احسن من هذا ‏.‏ واختلف اهل العلم في القنوت في الوتر فراى عبد الله بن مسعود القنوت في الوتر في السنة كلها واختار القنوت قبل الركوع ‏.‏ وهو قول بعض اهل العلم وبه يقول سفيان الثوري وابن المبارك واسحاق واهل الكوفة ‏.‏ وقد روي عن علي بن ابي طالب انه كان لا يقنت الا في النصف الاخر من رمضان وكان يقنت بعد الركوع ‏.‏ وقد ذهب بعض اهل العلم الى هذا وبه يقول الشافعي واحمد ‏.‏


Al-Hasan bin Ali [may Allah be pleased with him] said:
"Allah's Messenger taught me some phrases to say during Al-Witr (Allahummahdini fiman hadait, wa a'fini fiman afait, wa tawallani fiman tawallait, wa barik Li fima atait, wa qini sharra ma qadait, fa Innaka taqdi wa la yuqda Alaik, wa innahu la yadhillu man walait, tabarakta Rabbana wa ta'alait.) 'O Allah guide me among those You have guided, pardon me among those You have pardoned, befriend me among those You have befriended, bless me in what You have granted, and save me from the evil that You decreed. Indeed You decree, and none can pass decree, and none can pass decree upon You, indeed he is not humiliated whom You have befriended, blessed are You our Lord and Exalted.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাসান ইবনু আলী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩/ বিতর (أَبْوَابُ الْوِتْرِ)