১৬১১

পরিচ্ছেদঃ ১০৮৪. (আল্লাহর বাণী): এবং স্মরণ করুন, যখন আমি ইবরাহীমের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম সে ঘরের স্থান, তখন বলেছিলাম, আমার সঙ্গে কোন শরীক স্থির করবে না এবং আমার ঘরকে পবিত্র রাখবে- তাদের জন্য যারা তাওয়াফ করে এবং যারা দাঁড়ায়, রুকূ’ করে ও সিজ্‌দা করে এবং হজ্জের ঘোষনা করে দিন মানুষের নিকট, তারা আপনার নিকট আসবে পায়ে হেঁটে সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উটের পিঠে। এরা আসবে দূর-দূরান্তর পথ অতিক্রম করে।... তার রবের নিকট তার জন্য এই-ই উত্তম (২২: ২৬-৩০)।

وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا لاَ يُؤْكَلُ مِنْ جَزَاءِ الصَّيْدِ وَالنَّذْرِ، وَيُؤْكَلُ مِمَّا سِوَى ذَلِكَ. وَقَالَ عَطَاءٌ يَأْكُلُ وَيُطْعِمُ مِنَ الْمُتْعَةِ

কুরবানীর মাংস কী পরিমাণ খাবে এবং কী পরিমাণ সাদকা করবে? ’উবায়দুল্লাহ (রহঃ) ’নাফি (রহঃ) সূত্রে ইব্‌ন ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, শিকারের বদল স্বরূপ এবং মানতের জন্য যে জানোয়ার যবেহ করা হয়, তা খাওয়া যাবে না। এ ছাড়া অন্যান্য সব কুরবানীর মাংস খাওয়া যাবে। ’আতা (রহঃ) বলেন, তামাত্তু’র কুরবানীর মাংস খেতে পারবে এবং (অন্যকেও) খাওয়াতে পারবে।


১৬১১। মূসা’দ্দাদ (রহঃ) ... জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আমাদের কুরবানীর মাংস মিনার তিন দিনের বেশি খেতাম না। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অনুমতি দিলেন এবং বললেনঃ খাও এবং সঞ্চয় করে রাখ। তাই আমরা খেলাম এবং সঞ্চয়ও করলাম। রাবী বলেন, আমি ’আতা (রহঃ)-কে বললাম, জাবির (রাঃ) কি বলেছেন আমরা মদিনায় আসা পর্যন্ত? তিনি বললেন, না।

بَابُ: {وَإِذْ بَوَّأْنَا لإِبْرَاهِيمَ مَكَانَ الْبَيْتِ أَنْ لاَ تُشْرِكْ بِي شَيْئًا وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ وَأَذِّنْ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالاً وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ لِيَشْهَدُوا مَنَافِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الأَنْعَامِ فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْبَائِسَ الْفَقِيرَ ثُمَّ لْيَقْضُوا تَفَثَهُمْ وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ وَلْيَطَّوَّفُوا بِالْبَيْتِ الْعَتِيقِ ذَلِكَ وَمَنْ يُعَظِّمْ حُرُمَاتِ اللَّهِ فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ عِنْدَ رَبِّهِ}

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ يَقُولُ كُنَّا لاَ نَأْكُلُ مِنْ لُحُومِ بُدْنِنَا فَوْقَ ثَلاَثِ مِنًى، فَرَخَّصَ لَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ كُلُوا وَتَزَوَّدُوا ‏"‏‏.‏ فَأَكَلْنَا وَتَزَوَّدْنَا‏.‏ قُلْتُ لِعَطَاءٍ أَقَالَ حَتَّى جِئْنَا الْمَدِينَةَ قَالَ لاَ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا يحيى، عن ابن جريج، حدثنا عطاء، سمع جابر بن عبد الله ـ رضى الله عنهما ـ يقول كنا لا ناكل من لحوم بدننا فوق ثلاث منى، فرخص لنا النبي صلى الله عليه وسلم فقال ‏ "‏ كلوا وتزودوا ‏"‏‏.‏ فاكلنا وتزودنا‏.‏ قلت لعطاء اقال حتى جىنا المدينة قال لا‏.‏


Narrated Ibn Juraij:

`Ata' said, "I heard Jabir bin `Abdullah saying, 'We never ate the meat of the Budn for more than three days of Mina. Later, the Prophet (ﷺ) gave us permission by saying: 'Eat and take (meat) with you. So we ate (some) and took (some) with us.' " I asked `Ata', "Did Jabir say (that they went on eating the meat) till they reached Medina?" `Ata' replied, "No."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২২/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ) (كتاب الحج)