পরিচ্ছেদঃ ৫/১৮৮. ইস্তিখারার সালাত
১/১৩৮৩। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইসতিখারার নিয়ম শিক্ষা দিতেন, যেমন (গুরুত্ব সহকারে) তিনি আমাদের কুরআনের সূরাহ শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোন কাজ করার ইচ্ছা করে, তখন সে যেন দু রাকআত নফল সালাত (নামায/নামাজ) পড়ে, অতঃপর বলেনঃ
হে আল্লাহ্! আমি তোমার ইলম অনুযায়ী তোমার নিকট কল্যাণের দিকে পরিচালিত করার প্রার্থনা করি এবং তোমার শক্তি থেকে শক্তি চাই, আমি তোমার মহান অনুগ্রহ প্রত্যাশা করি। কেননা তুমি ক্ষমতা রাখো এবং আমি ক্ষমতা রাখি না। তুমিই জানো, আমি জানি না, তুমি অদৃশ্য বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। হে আল্লাহ্! যদি তুমি জানো, আমার এ কাজ (উদ্দেশ্য উল্লেখ করতে হবে) আমার দ্বীন-দুনিয়া এবং পরিণাম হিসেবে কল্যাণকর (অথবা বর্তমান ও ভবিষ্যতে আমার জন্য মংগলময়) মনে করো তবে আমাকে সে কাজের ক্ষমতা দাও এবং তা আমার জন্য সহজ করো এবং এতে আমায় বকরত দান করো। আর তুমি যদি মনে করো যে, (প্রথম বারের মত বলবে) আমার ধর্ম, আমার জীবন ও পরিণাম হিসেবে এটা অকল্যাণকর, তবে আমার থেকে তা দূরে রাখো এবং তা থেকে আমাকেও দূরে রাখো, আর আমার জন্য যা কল্যাণকর, সে কাজে আমাকে সন্তুষ্ট রাখো।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الِاسْتِخَارَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْمَوَالِ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ، يُحَدِّثُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُعَلِّمُنَا الاِسْتِخَارَةَ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ يَقُولُ " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الْفَرِيضَةِ ثُمَّ لْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ هَذَا الأَمْرَ - فَيُسَمِّيهِ مَا كَانَ مِنْ شَىْءٍ - خَيْرًا لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ خَيْرًا لِي فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي وَبَارِكْ لِي فِيهِ وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ - يَقُولُ مِثْلَ مَا قَالَ فِي الْمَرَّةِ الأُولَى - وَإِنْ كَانَ شَرًّا لِي فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُمَا كَانَ ثُمَّ رَضِّنِي بِهِ " .
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৬৮২, সহীহ আবী দাউদ, ১৩৭৬-১৩৭৯।
It was narrated that Jabir bin ‘Abdullah said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) used to teach us Istikharah, just as he used to teach us a Surah of the Qur’an. He said: ‘If anyone of you is deliberating about a decision he has to make, then let him pray two Rak’ah of non- obligatory prayer, then say: Allahumma inni astakhiruka bi ‘ilmika wa astaqdiruka bi qudratika wa as’aluka min fadlikal-‘azim, fa innaka taqdiru wa la aqdir, wa ta’lamu wa la a’lam, wa Anta ‘allamul-ghuyub. Allahumma in kunta ta’lamu hadhal-amra (then the matter should be mentioned by name) ma kan min shay’in khairan li fi dini wa ma’ashi wa ‘aqibati amri, aw khairanli fi ‘ajili amri wa ajilihi, faqdurhu li wa yassirhu li wa barik li fihi. Wa in kunta ta’lamu [O Allah, I seek Your guidance (in making a choice) by virtue of Your knowledge, and I seek ability by virtue of Your power, and I ask You of Your great bounty. You have power, I have none. And You know, I know not. You are the Knower of hidden things. O Allah, if in Your knowledge, this matter (then it should be mentioned by name) is good for me in my religion, my livelihood and my affairs, or both in this world and in the Hereafter then ordain it for me, make it easy for me, and bless it for me. And if in Your knowledge]. Then saying similar to what he said the first time, except: Wa in kana sharran li fasrifhu ‘anni wasrifni ‘anhu waqdur li al-khair haithuma kana thumma raddini bihi (If it is bad for me then turn it away from me and turn me away from it, and ordain for me the good wherever it may be and make me pleased with it).’”