হাসান (Hasan) হাদিস পাওয়া গেছে 5433 টি

পরিচ্ছেদঃ ২: তওবার বিবরণ

৬/১৯। আবূ আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা বান্দার তওবাহ সে পর্যন্ত কবুল করবেন, যে পর্যন্ত তার প্রাণ কণ্ঠাগত না হয়।”[1]

(2) - باب التوبة

وعَنْ أبي عَبْدِ الرَّحْمن عَبْدِ اللَّهِ بن عُمرَ بن الخطَّاب رضي االله عنهما عن النَّبيِّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّمقال: »إِنَّ االله عزَّ وجَلَّ يقْبَلُ توْبة العبْدِ مَالَم يُغرْغرِ« رواه الترمذي وقال: حديث حسنٌ

(2) Chapter: Repentance


'Abdullah bin 'Umar bin Al-Khattab (May Allah be pleased with them) reported that: The Prophet (ﷺ) said, "Allah accepts a slave's repentance as long as the latter is not on his death bed (that is, before the soul of the dying person reaches the throat)". [At-Tirmidhi, who categorised it as Hadith Hasan]. Commentary: The word Ghargharah means the stage when soul is about to leave the body and reaches the hroat. In other words, the time when one suffers the agony of death. Hadith Hasan means that Hadith the authenticity of which is connected without any technical defect. Their narrators, however, are next to those of Hadith Sahih. In the opinion of Muhaddithin (Hadith scholars), Hadith Hasan is also reliable as Hadith Sahih.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ২: তওবার বিবরণ

৭/২০। যির্র ইবনু হুবাইশ বলেন যে, আমি মোজার উপর মাসাহ করার মাসআলা জিজ্ঞাসা করার জন্য সাফওয়ান ইবনু আস্‌সালের নিকট গেলাম। তিনি বললেন, ’হে যির্র! তোমার আগমনের উদ্দেশ্য কি?’ আমি বললাম, ’জ্ঞান অন্বেষণ।’ তিনি বললেন, ’নিশ্চয় ফিরিশতামণ্ডলী ঐ অন্বেষণের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে বিদ্যার্থীর জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন।’

অতঃপর আমি বললাম, ’পেশাব-পায়খানার পর মোজার উপর মাসাহ করার ব্যাপারে আমার মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একজন সাহাবী, তাই আপনার নিকট জানতে এলাম যে, আপনি এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কিছু আলোচনা করতে শুনেছেন কি না?’ তিনি বললেন, ’হ্যাঁ! যখন আমরা বিদেশ সফরে বের হতাম, তখন তিনি আমাদেরকে (সফরে) তিনদিন ও তিন রাত মোজা না খোলার আদেশ দিতেন (অর্থাৎ আমরা যেন এই সময়সীমা পর্যন্ত মাসাহ করতে থাকি), কিন্তু বড় অপবিত্রতা (সঙ্গম, বীর্যপাত ইত্যাদি) হেতু অপবিত্র হলে (মোজা খুলতে হবে)। কিন্তু পেশাব-পায়খানা ও ঘুম থেকে উঠলে নয়। (এ সবের পর রীতিমত মাসাহ করা জায়েয)।’ আমি বললাম, ’আপনি কি তাঁকে ভালবাসা সম্পর্কে কিছু আলোচনা করতে শুনেছেন?’ তিনি বললেন, ’হ্যাঁ। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সফরে ছিলাম।

আমরা তাঁর সঙ্গে বসেছিলাম, এমন সময় এক বেদুঈন অতি উঁচু গলায় ডাক দিল, ’’হে মুহাম্মাদ!’’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাকে উঁচু আওয়াজে জবাব দিলেন, ’’এখানে এস!’’ আমি তাকে বললাম, ’’আরে তুমি নিজের আওয়াজ নীচু কর! কেননা, তুমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আছ। তাঁর নিকট এ রকম উঁচু গলায় কথা বলা তোমার (বরং সকলের) জন্য নিষিদ্ধ।’’ সে (বেদুঈন) বলল, ’’আল্লাহর কসম! আমি তো আস্তে কথা বলবই না।’’ বেদুঈন বলল, ’’কোন ব্যক্তি কিছু লোককে ভালবাসে; কিন্তু সে তাদের (মর্যাদায়) পৌঁছতে পারেনি? (এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?)।’’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যুত্তরে বললেন, ’’মানুষ কিয়ামতের দিন ঐ লোকদের সঙ্গে থাকবে, যাদেরকে সে ভালবাসবে।’’ পুনরায় তিনি আমাদের সাথে কথাবার্তা বলতে থাকলেন। এমনকি তিনি পশ্চিম দিকের একটি দরজার কথা উল্লেখ করলেন, যার প্রস্থের দূরত্ব ৪০ কিংবা ৭০ বছরের পথ অথবা তিনি বললেন, ওর প্রস্থে একজন আরোহী ৪০ কিম্বা ৭০ বছর চলতে থাকবে। (সুফইয়ান এই হাদীসের একজন বর্ণনাকারী বলেন যে, এই দরজা সিরিয়ার দিকে অবস্থিত।) আল্লাহ তা’আলা এই দরজাটি আসমান-যমীন সৃষ্টি করার দিন সৃষ্টি করেছেন এবং সেই সময় থেকে তা তওবার জন্য খোলা রয়েছে। পশ্চিমদিক থেকে সূর্য না উঠা পর্যন্ত এটা বন্ধ হবে না।’[1]

(2) - باب التوبة

وعَنْ زِرِّ بْنِ حُبْيشٍ قَال : أَتيْتُ صفْوانَ بْنِ عسَّالٍ رضِي االله عنْهُ أَسْأَلُهُ عن الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ فقال :مَا جَاءَ بِكَ يَا زِرُّ ؟ فقُلْتُ : ابْتغَاءُ الْعِلْمِ ، فقَال: إِنَّ الْملائِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحتِها لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضاء بمَا يَطلُبُ ،فَقلْتُ : إِنَّه قدْ حَكَّ في صدْرِي الْمسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ بَعْدَ الْغَائِطِ والْبوْلِ ، وآُنْتَ امْرَءاً مِنْ أَصْحاب النَّبِيِّ صَلّىااللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم ، فَجئْت أَسْأَلُكَ : هَلْ سمِعْتَهُ يذْآرُ في ذَلِكَ شيْئاً ؟ قال : نعَمْ آانَ يأْمُرنا إذا آُنا سفراً أوْمُسافِرين أَن لا ننْزعَ خفافَنا ثلاثة أَيَّامٍ ولَيَالِيهنَّ إِلاَّ مِنْ جنَابةٍ ، لكِنْ مِنْ غائطٍ وبْولٍ ونْومٍ . فقُلْتُ : هَلسمِعتهُ يذآُر في الْهوى شيْئاً ؟ قال : نعمْ آُنَّا مَع رسول االله صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم في سفرٍ ، فبيْنا نحنُ عِنْدهُإِذ نادَاهُ أَعْرابي بصوْتٍ له جهوريٍّ : يا مُحمَّدُ ، فأَجَابهُ رسولُ االله صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم نحْوا مِنْ صَوْتِه :»هاؤُمْ« فقُلْتُ لهُ : وَيْحَكَ اغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ فإِنَّك عِنْد النَّبيِّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم وقدْ نُهِيت عَنْ هذا ،فقال : واللَّه لا أَغضُضُ : قَالَ الأَعْرابِيُّ : الْمَرْءُ يُحِبُّ الْقَوم ولَمَّا يلْحق بِهِمْ؟ قال النَّبِيُّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم: »الْمرْءُ مع منْ أَحَبَّ يَوْمَ الْقِيامةِ « فما زَالَ يُحدِّثُنَا حتَّى ذآر باباً من الْمَغْرب مَسيرةُ عرْضِه أوْ يسِيرالرَّاآِبُ في عرْضِهِ أَرْبَعِينَ أَوْ سَبْعِينَ عَاماً. قَالَ سُفْيانُ أَحدُ الرُّوَاةِ . قِبل الشَّامِ خلقَهُ اللَّهُ تعالى يوْم خلقالسموات والأَرْضَ مفْتوحاً لِلتَّوبة لا يُغلقُ حتَّى تَطلُعَ الشَّمْسُ مِنْهُ « رواه التِّرْمذي وغيره وقال : حديثحسن صحيح

(2) Chapter: Repentance


Zirr bin Hubaish reported: I went to Safwan bin 'Assal (May Allah be pleased with him) to inquire about wiping with wet hands over light boots while performing Wudu'. He asked me, "What brings you here, Zirr?" I answered: "Search for knowledge". He said, "Angels spread their wings for the seeker of knowledge out of joy for what he seeks". I told him, "I have some doubts in my mind regarding wiping of wet hands over light boots in the course of performing Wudu' after defecation or urinating. Now since you are one of the Companions of the Prophet (ﷺ), I have come to ask you whether you heard any saying of the Prophet (ﷺ) concerning it?". He replied in the affirmative and said, "He (ﷺ) instructed us that during a journey we need not take off our light boots for washing the feet up to three days and nights, except in case of major impurity (after sexual intercourse). In other cases such as sleeping, relieving oneself or urinating, the wiping of wet hands over light boots will suffice." I, then, questioned him, "Did you hear him say anything about love and affection?" He replied, "We accompanied the Messenger of Allah (ﷺ) in a journey when a bedouin called out in a loud voice, 'O Muhammad.' The Messenger of Allah (ﷺ) replied him in the same tone, 'Here I am.' I said to him (the bedouin), 'Woe to you, lower your voice in his presence, because you are not allowed to do so.' He said, 'By Allah! I will not lower my voice,' and then addressing the Prophet (ﷺ) he said, 'What about a person who loves people but has not found himself in their company.' Messenger of Allah (ﷺ) replied, 'On the Day of Resurrection, a person will be in the company of those whom he loves.' The Messenger of Allah then kept on talking to us and in the course of his talk, he mentioned a gateway in the heaven, the width of which could be crossed by a rider in forty or seventy years". Sufyan, one of the narrators of this tradition, said: "This gateway is in the direction of Syria. Allah created it on the day He created the heavens and the earth. It is open for repentance and will not be shut until the sun rises from that direction (i.e., the West) (on Doomsday)". [At-Tirmidhi, who categorised it as Hadith Hasan Grade: Sahih] Commentary: 1. We learn from this Hadith that in ablution, it is permissible to wipe over light boots rather than washing the feet.It is called Mash. The period, in which Mash is intact, in case of travellers it is three days and three nights; while forthe residents, it is one day and one night only. A precondition for it is that light boots should be clean and worn afterfull Wudu'. Ankles should also be covered. In case of breach of ablution, the wiping over the socks is sufficient, andthere is no need for washing the feet. Wudu' is invalidated by sleeping, call of nature and passing of wind. This iscalled Hadath Asghar. In the case of Hadath Akbar, which occurs because of coitus, menses and wet dream, washingof the whole body becomes obligatory. It means that the privilege of wiping over the light boots is also finished inthis case, in the same way as it does after the expiry of period specified for it. 2. One should associate himself with the pious people so that he is counted among them. One also comes to knowmany other points from this Hadith which every intelligent person can understand with a little effort.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ

২৩/৪৮। মু’আয ইবনু আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি ক্রোধ সংবরণ করবে অথচ সে তা বাস্তবায়িত করার ক্ষমতা রাখে। আল্লাহ তা’আলা তাকে কিয়ামতের দিন সমস্ত সৃষ্টির সামনে ডেকে এখতিয়ার দিবেন যে, সে যে কোন হুর নিজের জন্য পছন্দ করে নিক।’’[1]

(3) - باب الصبر

وعن معاذ بن أنس رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ ‏ "‏ من كظم غيظاً ، وهو قادر على أن ينفذه، دعاه الله سبحانه وتعالى على رؤوس الخلائق يوم القيامة حتى يخيره من الحور العين ما شاء‏"‏ ‏(‏‏‏رواه أبو داود، والترمذي وقال‏:‏ حديث حسن‏‏‏)‏‏.‏

(3) Chapter: Patience and Perseverance


Mu'adh bin Anas (May Allah be pleased with him) reported: The Prophet (ﷺ) said, "The one who suppresses anger and has the power to give effect to it, will be called out by Allah, the Exalted, to the forefront of the creatures on the Day of Resurrection and he will be asked to choose any of the virgins (Hur) of his liking". [Abu Dawud and At-Tirmidhi].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ

২৫/৫০। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’মু’মিন পুরুষ ও নারীর জান, সন্তান-সন্ততি ও তার ধনে (বিপদ-আপদ দ্বারা) পরীক্ষা হতে থাকে, পরিশেষে সে আল্লাহ তা’আলার সঙ্গে নিষ্পাপ হয়ে সাক্ষাৎ করবে।’’[1]

(3) - باب الصبر

وعن أبي هريرة رضي الله عنه قال‏:‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏ "‏ ما يزال البلاء بالمؤمن والمؤمنة في نفسه وولده ة وماله حتى يلقى الله تعالى وما عليه خطيئة‏"‏ ‏(‏‏‏رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح‏‏‏)‏ ‏.‏

(3) Chapter: Patience and Perseverance


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported: Messenger of Allah (ﷺ) said, "A Muslim, male or female, continues to remain under trial in respect of his life, property and offspring until he faces Allah, the Exalted, with no sin record". [At- Tirmidhi].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ৫: মুরাক্বাবাহ্ (আল্লাহর ধ্যান)

৮/৬৮। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’মানুষের ইসলামের সৌন্দর্য (অর্থাৎ তার উত্তম মুসলিম হওয়ার একটি চিহ্ন) হল অনর্থক (কথা ও কাজ) বর্জন করা।’’[1] (হাসান হাদীস, তিরমিযী প্রমুখ)

(5) - باب المراقبة

الثامن‏:‏ عن أبي هريرة رضي الله عنه قال‏:‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏ "‏ من حسن إسلام المرء تركه ما لا يعنيه‏"‏ ‏(‏‏‏حديث حسن رواه الترمذي وغيره‏‏‏)‏

(5) Chapter: Watchfulness


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported: Messenger of Allah (ﷺ) said, "It is from the excellence of (a believer's) Islam that he should shun that which is of no concern to him". [At-Tirmidhi].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ৬: আল্লাহভীতি ও সংযমশীলতা

৫/৭৪। আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন যে, আমি বিদায় হজ্জের অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ভাষণ দিতে শুনেছি, ’’তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, তোমাদের পাঁচ ওয়াক্তের (ফরয) নামায পড়, তোমাদের রমযান মাসের রোযা রাখ, তোমাদের মালের যাকাত আদায় কর এবং তোমাদের নেতা ও শাসকগোষ্ঠীর আনুগত্য কর (যদি তাদের আদেশ শরীয়ত বিরোধী না হয়), তাহলে তোমরা তোমাদের প্রভুর জান্নাতে প্রবেশ করবে।’’[1]

(6) - باب التقوى

الخامس‏:‏ عن أبي أمامة صدي بن عجلان الباهلي رضي الله عنه قال‏:‏ سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يخطب في حجة الوداع فقال ‏:‏ اتقوا الله ، وصلوا خمسكم، وصوموا شهركم، وأدوا زكاة أموالكم، وأطيعوا أمراءكم، تدخلوا جنة ربكم‏"‏ ‏(‏‏‏رواه الترمذي، في آخر كتاب الصلاة وقال ‏:‏ حديث حسن صحيح‏‏‏)‏‏.‏

(6) Chapter: Piety


Abu Umamah (May Allah be pleased with him) said: I heard Messenger of Allah (ﷺ) during the sermon of the Farewell Pilgrimage saying, "Be mindful of your duty to Allah; perform your five daily Salat, observe Saum during the month (of Ramadan) , pay the Zakat on your properties and obey your leaders; (if you do so) you will enter the Jannah of your Rubb". [At-Tirmidhi].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা

৬/৮০। উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ’’যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথাযোগ্য ভরসা রাখ, তবে তিনি তোমাদেরকে সেই মত রুযী দান করবেন যেমন পাখীদেরকে দান করে থাকেন। তারা সকালে ক্ষুধার্ত হয়ে (বাসা থেকে) বের হয় এবং সন্ধ্যায় উদর পূর্ণ করে (বাসায়) ফিরে।’’[1]

(7) - باب اليقين والتوكل

السادس‏:‏ عن عمر رضي الله عنه قال‏:‏ سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏:‏ ‏ "‏لو أنكم تتوكلون على الله حق توكله لرزقكم كما يرزق الطير ، تغدو خماصاً وتروح بطاناً‏"‏ ‏(‏‏‏رواه الترمذي ، وقال حديث حسن ‏‏‏)‏‏.‏

(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah


'Umar (May Allah be pleased with him) said: I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying: "If you all depend on Allah with due reliance, He would certainly give you provision as He gives it to birds who go forth hungry in the morning and return with full belly at dusk". [At-Tirmidhi].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা

৯/৮৩। উম্মু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহ থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বাড়ি থেকে বের হতেন, তখন (এই দো’আ) বলতেন---যার অর্থ, আল্লাহর নাম নিয়ে (বের হলাম), আমি আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আমি ভ্রষ্ট হই বা আমাকে ভ্রষ্ট করা হয়, আমার পদস্খলন হয় বা পদস্খলন করানো হয়, আমি অত্যাচারী হই অথবা অত্যাচারিত হই অথবা আমি মূর্খামি করি অথবা আমার প্রতি মূর্খামি করা হয়---এসব থেকে। [1]

(7) - باب اليقين والتوكل

عَن أمِّ سَلَمَةَ رَضِي الله عَنها : أَنَّ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا خَرَجَ مِنْ بَيتِهِ، قَالَ: «بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلتُ عَلَى اللهِ، اَللهم إِنِّي أعُوذُ بِكَ أنْ أضِلَّ أَوْ أُضَلَّ، أَوْ أَزِلَّ أَوْ أُزَلَّ، أَوْ أظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ، أَوْ أجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيَّ»حديثٌ صحيح، رواه أبو داود والترمذي وغيرهما بأسانيد صحيحةٍ . قَالَ الترمذي: «حديث حسن صحيح»وهذا لفظ أبي داود

(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah


Umm Salamah (May Allah be pleased with her) reported: Whenever the Prophet (ﷺ) stepped out of his house, he would say, "Bismillah, tawakkaltu 'alallah. Allahumma inni a'udhu bika an adilla aw udalla, aw azilla aw uzalla, aw azlima aw uzlama, aw ajhala aw yujhala 'alayya". "[I go forth. (I begin with the Name of Allah, I trust in Allah; O Allah! I seek refuge in You from leaving or being led astray, or against slipping or being caused to slip; or doing injustice or being done injustice; or doing wrong or having wrong done to me)]". [Abu Dawud and At-Tirmidhi reported it. According to At-Tirmidhi, this Hadith is classified as Hasan Sahih. Its wording is from Abu Dawud].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা

১০/৮৪। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’যে ব্যক্তি সবীয় গৃহ থেকে বের হওয়ার সময় বলে, ’বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, অলা হাওলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’ (অর্থাৎ আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া পাপ থেকে ফিরা এবং পুণ্য করা সম্ভব নয়।) তাকে বলা হয়, ’তোমাকে সঠিক পথ দেওয়া হল, তোমাকে যথেষ্টতা দান করা হল এবং তোমাকে বাঁচিয়ে নেওয়া হল।’ আর শয়তান তার নিকট থেকে দূরে সরে যায়।’’ (আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ প্রমুখ)

তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আবূ দাউদ এই শব্দগুলি বাড়তি বর্ণনা করেছেন, ’’ফলে শয়তান অন্য শয়তানকে বলে যে, ’ঐ ব্যক্তির উপর তোমার কিরূপে কর্তৃত্ব চলবে, যাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করা হয়েছে, যাকে যথেষ্টতা দান করা হয়েছে এবং যাকে (সকল অমঙ্গল) থেকে বাঁচানো হয়েছে?’[1]

(7) - باب اليقين والتوكل

عن أنس رضي الله عنه قال‏:‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏"‏من قال-يعني إذا خرج من بيته-‏:‏ بسم الله توكلت على الله، ولا حول ولا قوة إلا بالله ، يقال له‏:‏ هديت وكفيت ووقيت، وتنحى عنه الشيطان‏"‏‏.‏ رواه أبو داود والترمذي، والنسائي وغيرهم‏.‏ وقال الترمذي‏:‏ حديث حسن، زاد أبو داود‏:‏ ‏"‏فيقول ‏:‏-يعني الشيطان-لشيطان آخر‏:‏ كيف لك برجل قد هدي وكفي ووقيّ ‏؟‏

(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah


Umm Salamah (May Allah be pleased with her) reported: Whenever the Prophet (ﷺ) stepped out of his house, he would say, "Bismillah, tawakkaltu 'alallah. Allahumma inni a'udhu bika an adilla aw udalla, aw azilla aw uzalla, aw azlima aw uzlama, aw ajhala aw yujhala 'alayya". "[I go forth. (I begin with the Name of Allah, I trust in Allah; O Allah! I seek refuge in You from leaving or being led astray, or against slipping or being caused to slip; or doing injustice or being done injustice; or doing wrong or having wrong done to me)]". [Abu Dawud and At-Tirmidhi reported it. According to At-Tirmidhi, this Hadith is classified as Hasan Grade: Sahih. Its wording is from Abu Dawud].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ১১: মুজাহাদাহ বা দ্বীনের জন্য এবং আত্মা, শয়তান ও দ্বীনের শত্রুদের বিরুদ্ধে নিরলস চেষ্টা, টানা পরিশ্রম ও আজীবন সংগ্রাম করার গুরুত্ব

১৪/১১০। আবূ সাফওয়ান আব্দুল্লাহ ইবনু বুসর আসলামী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’সর্বোত্তম মানুষ সেই ব্যক্তি যার বয়স দীর্ঘ হয় এবং আমল সুন্দর হয়।’’[1]

(11) - باب المجاهدة

‏ عن أبي صفوان عبد الله بن بسر الأسلمي، رضي الله عنه، قال‏:‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم‏:‏ ‏"‏ خير الناس من طال عمره وحسن عمله‏"‏ ‏(‏‏‏رواه الترمذي، وقال‏:‏ حديث حسن‏.‏ ‏"‏بسر‏"‏‏:‏ بضم الياء وبالسين المهملة‏‏‏)‏‏.‏

(11) Chapter: The Struggle (in the Cause of Allah)


'Abdullah bin Busr Al-Aslami (May Allah be pleased with him) said: Messenger of Allah (ﷺ) said, "The best of people is one whose life is long and his conduct is good". [At- Tirmidhi].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ১৬: সুন্নাহ পালনের গুরুত্ব ও তার কিছু আদব প্রসঙ্গে

২/১৬১। আবূ নাজীহ আল-ইরবাদ ইবনু সারিয়াহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এমন মর্মস্পর্শী বক্তৃতা শুনালেন যে, তাতে অন্তর ভীত হল এবং চোখ দিয়ে অশ্রু বয়ে গেল। সুতরাং আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! এ যেন বিদায়ী ভাষণ মনে হচ্ছে। তাই আপনি আমাদেরকে অন্তিম উপদেশ দিন।’ তিনি বললেন, ’’আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতি এবং (রাষ্ট্রনেতার) কথা শোনার ও তার আনুগত্য করার উপদেশ দিচ্ছি; যদিও তোমাদের উপর কোন নিগ্রো (আফ্রিকার কৃষ্ণকায় অধিবাসী) রাষ্ট্রনেতা হয়। (স্মরণ রাখ) তোমাদের মধ্যে যে আমার পর জীবিত থাকবে, সে অনেক মতভেদ বা অনৈক্য দেখবে। সুতরাং তোমরা আমার সুন্নত ও সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদ্বীনের রীতিকে আঁকড়ে ধরবে এবং তা দাঁত দিয়ে মজবূত করে ধরে থাকবে। আর তোমরা দ্বীনে নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদ’আত) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, প্রত্যেক বিদ’আতই ভ্রষ্টতা।’’[1]

(16) - باب الأمر بالمحافظة على السنة وآدابهـا

عن أبي نجيح العرباض بن سارية رضي الله عنه قال‏:‏ ‏"‏وعظنا رسول الله صلى الله عليه وسلم موعظة بليغة وجلت منها القلوب وذرفت منها العيون، فقلنا‏:‏ يا رسول الله كأنها موعظة مودع فأوصنا‏.‏ قال‏:‏ ‏"‏أوصيكم بتقوى الله ، والسمع والطاعة وإن تأمر عليكم عبد حبشي، وإنه من يعش منكم فسيرى اختلافاً كثيراً‏.‏ فعليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين، عضوا عليها بالنواجذ، وإياكم ومحدثات الأمور فإن كل بدعة ضلالة‏"‏ ‏(‏‏‏رواه أبو داود، والترمذي وقال ‏:‏ حديث حسن صحيح‏‏‏)‏‏.‏

(16) Chapter: Observing the Sunnah and the manners of its obedience


'Irbad bin Sariyah (May Allah be pleased with him) reported: One day Messenger of Allah (ﷺ) delivered us a very eloquent Khutbah on account of which eyes shed tears and hearts were full of tears. A man said: "O Prophet of Allah, this is as if it were a parting advice. So advise us". He (ﷺ) said, "I admonish you to fear Allah, to listen and obey even if an Abyssinian slave is appointed as your leader. Because whosoever among you shall live after me, will see much discord. So hold fast to my Sunnah and the examples of the Rightly- Guided Caliphs who will come after me. Adhere to them and hold to it fast. Beware of new things (in Deen) because every Bid'ah is a misguidance". [Abu Dawud and At- Tirmidhi].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ১৮: বিদ‘আত এবং (দ্বীনে) নতুন নতুন কাজ আবিষ্কার করা নিষেধ

৩/১৭৫। ইরবাদ্ব ইবনু সারিয়ার যে (১৬১নং) হাদীসটি ’সুন্নাহ পালনের গুরুত্ব’ পরিচ্ছেদে অতিবাহিত হয়েছে তা এখানেও উল্লেখ্য।

[১৬১. আবূ নাজীহ আল-ইরবাদ ইবনু সারিয়াহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এমন মর্মস্পর্শী বক্তৃতা শুনালেন যে, তাতে অন্তর ভীত হল এবং চোখ দিয়ে অশ্রু বয়ে গেল। সুতরাং আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! এ যেন বিদায়ী ভাষণ মনে হচ্ছে। তাই আপনি আমাদেরকে অন্তিম উপদেশ দিন।’ তিনি বললেন, ’’আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতি এবং (রাষ্ট্রনেতার) কথা শোনার ও তার আনুগত্য করার উপদেশ দিচ্ছি; যদিও তোমাদের উপর কোন নিগ্রো (আফ্রিকার কৃষ্ণকায় অধিবাসী) রাষ্ট্রনেতা হয়। (স্মরণ রাখ) তোমাদের মধ্যে যে আমার পর জীবিত থাকবে, সে অনেক মতভেদ বা অনৈক্য দেখবে। সুতরাং তোমরা আমার সুন্নত ও সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদ্বীনের রীতিকে আঁকড়ে ধরবে এবং তা দাঁত দিয়ে মজবূত করে ধরে থাকবে। আর তোমরা দ্বীনে নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদ’আত) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, প্রত্যেক বিদ’আতই ভ্রষ্টতা।’’]


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ২৩: ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ করার গুরুত্ব

১১/১৯৯। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’অত্যাচারী বাদশাহর নিকট হক কথা বলা সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ।’’[1]

(23) - باب الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، عَنِ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «أفْضَلُ الجِهَادِ كَلِمَةُ عَدْلٍ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائرٍ». رواه أَبُو داود والترمذي، وَقالَ: حديث حسن

(23) Chapter: Enjoining Good and forbidding Evil


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah bepleased with him) reported: The Prophet (ﷺ) said, "The best type of Jihad (striving in the way of Allah) is speaking a true word in the presence of a tyrant ruler." [Abu Dawud and At-Tirmidhi].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

১৩/২৩৯। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার বিশ্বাসঘাতকতা করবে না, তাকে মিথ্যা বলবে না (বা মিথ্যাবাদী ভাববে না), তার সাহায্য না করে তাকে অসহায় ছেড়ে দেবে না। এক মুসলিমের মর্যাদা, মাল ও খুন অপর মুসলিমের জন্য হারাম। তাকওয়া তথা আল্লাহ-সচেতনতা এখানে (অন্তরে) রয়েছে। কোনো মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ মনে করাটাই একটি মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য যথেষ্ট।’’ তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم: «المُسْلِمُ أخُو المُسْلِمُ، لاَ يَخُونُهُ، وَلاَ يَكْذِبُهُ، وَلاَ يَخْذُلُهُ، كُلُّ المُسْلِمِ عَلَى المُسْلِم حَرَامٌ عِرْضُهُ وَمَالهُ وَدَمُهُ، التَّقْوى هاهُنَا، بحَسْب امْرىءٍ مِنَ الشَّرِّ أنْ يَحْقِرَ أخَاهُ المُسْلِم». رواه الترمذي، وَقالَ: حديث حسن

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Abu Hurairah (May Allah bepleased with him) reported: Messenger of Allah (ﷺ) said, "A Muslim is a brother to a Muslim. He should neither deceive him nor lie to him, nor leave him without assistance. Everything belonging to a Muslim is inviolable for a Muslim; his honour, his blood and property. Piety is here (and he pointed out to his chest thrice). It is enough for a Muslim to commit evil by despising his Muslim brother." [At- Tirmidhi]. Commentary: This Hadith deals with the subject discussed in the preceding one. In fact, it elucidates the points raised there. Now, the heart is one thing which no one can check out; Allah Alone knows about it. The case of those who openly lead a sinful and impious life is of course quite different. To show hatred and disgust against such people is warranted by Faith.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব

১১/২৭৫। আবূ শুরাইহ্ খুওয়াইলিদ ইবনু ’আমর খুযা’য়ী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’হে আল্লাহ! আমি লোকদেরকে দুই শ্রেণীর দুর্বল মানুষের অধিকার সম্বন্ধে পাপাচারিতার ভীতিপ্রদর্শন করছি; এতীম ও নারী।’’ (নাসায়ী, উত্তম সূত্রে) [1]

بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)

وَعَنْ أَبِي شُرَيحٍ خُوَيْلِدِ بنِ عَمرٍو الخُزَاعِيِّ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم: «اَللهم إنِّي أُحَرِّجُ حَقَّ الضَّعِيفَينِ : اليَتِيم وَالمَرْأةِ».حديث حسن رواه النسائي بإسناد جيد

(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons


Abu Shuraih Khuwailid bin 'Amr Al-Khuza'i (May Allah be pleased with him) reported: The Prophet (ﷺ) said, "O Allah, I declare inviolable the rights of two weak ones: the orphans and women". [An- Nasa'i]. Commentary: The poor are generally treated callously in human society. Women and orphans are regular victims of this cruelty. They are deprived of their share in property to which they are entitled under the Islamic law. In some cases their properties are usurped and they are maltreated at the hands of usurpers. The Prophet (PBUH) has threatened them with serious consequences to prevent the Muslims from committing such injustice. The attitude of Muslims and the teachings of Islam in this matter are two different things. How can Islam be blamed for the attitude of Muslims? It is time Muslims should understand that Islam is getting a bad name because of their bad conduct. As a result of this they are committing a double crime. On the one hand, they are guilty of usurping others of their legitimate rights and perpetrating cruelties, and on the other, disgracing their religion. In other words, rather thanpreaching Islam they are creating obstacles in the way of people joining the fold of Islam. May Allah grant us guidance to follow the right path. Amin!


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ শুরাইহ্ খুওয়াইলিদ ইবনু আমর খুযায়ী (রা.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব

১৩/২৭৭। আবূ দারদা উআইমির রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ’’আমার জন্য তোমরা দুর্বলদেরকে খুঁজে আনো, কেননা তোমাদের দুর্বলদের কারণেই তোমাদেরকে সাহায্য করা হয় এবং রুযী দেওয়া হয়।’’ (আবূ দাউদ, উত্তম সূত্রে) [1]

بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)

وَعَنْ أَبِي الدَّردَاءِ عُوَيمِرٍ رضي الله عنه، قَالَ : سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «ابْغُونِي الضُّعَفَاءَ، فَإنَّمَا تُنْصَرُونَ وتُرْزَقُونَ، بِضُعَفَائِكُمْ». رواه أَبُو داود بإسناد جيد

(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons


Abud-Darda (May Allah be pleased with him) reported: Messenger of Allah (ﷺ) said, "Seek among your weak ones, for you are given provision and help only because of the weak amongst you." [Abu Dawud]. Commentary: This Hadith mentions the reason for the acceptance of the invocations of the weak and poor. Since their hearts are free from the worldly vices and are gifted with greater sincerity and fear of Allah, their prayers are more acceptable to Him. This point has been mentioned more explicitly in Nasa'i which says: "Almighty Allah helps the Ummah because of the prayers, worship and devotion of its weak people". (Aun-ul-Ma`bud, Vol. No. 2, chapter Al-Jihad). The words which occur in most of the manuscripts of Riyad-us-Saliheen are (Abghow fi ad-duafa') and the translation quoted here follows these words. But in the manuscripts of Abu Dawud, the word (fi) does not figure in the text. In one manuscript, however, we find the words (Abghow fi ad-duafa') which means "For me search Muslims who are weak so that I find reason to support you with their prayers".


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ৩৪: স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

৪/২৮১। ’আমর ইবনু আহ্ওয়াস জুশামী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বিদায় হজ্জে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, তিনি সর্বপ্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও স্তুতি বর্ণনা করলেন এবং উপদেশ দান ও নসীহত করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, ’’শোনো! তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার কর। কেননা, তারা তোমাদের নিকট কয়েদী। তোমরা তাদের নিকটে এ (শয্যা-সঙ্গিনী হওয়া, নিজের পবিত্রতা রক্ষা করা এবং তোমাদের মালের রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি) ছাড়া অন্য কোনও জিনিসের অধিকার রাখ না। হ্যাঁ, সে যদি কোন প্রকাশ্য অশ্লীলতার কাজ করে (তাহলে তোমরা তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার রাখ)।

সুতরাং তারা যদি এমন কাজ করে, তবে তাদেরকে বিছানায় আলাদা ছেড়ে দাও এবং তাদেরকে মার। কিন্তু সে মার যেন যন্ত্রণাদায়ক না হয়। অতঃপর তারা যদি তোমাদের অনুগত হয়ে যায়, তবে তাদের জন্য অন্য কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। মনে রেখ, তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার রয়েছে, অনুরূপ তোমাদের উপর তোমাদের স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে। তোমাদের অধিকার হল, তারা যেন তোমাদের বিছানায় ঐ সব লোককে আসতে না দেয়, যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর এবং তারা যেন ঐ সব লোককে তোমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করার অনুমতি না দেয়, যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর। আর শোনো! তোমাদের উপর তাদের অধিকার এই যে, তাদেরকে ভালোরূপে খেতে-পরতে দেবে।’’ (তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [1]


* কয়েদী অর্থাৎ বন্দিনী। স্বামীর হুকুম পালনের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীকে বন্দিনীর সাথে তুলনা করেছেন।
* যন্ত্রণাদায়ক না হয়ঃ অর্থাৎ তাতে কেটে-ফুটে না যায় এবং কঠিন ব্যথা না হয়।
* অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো নাঃ অর্থাৎ এমন পথ অনুসন্ধান করো না, যাতে তাদেরকে নাজেহাল করে কষ্ট দাও। (অথবা তালাক ইত্যাদি দেওয়ার কথা ভেবো না।)

بَابُ الوَصِيَّةِ بِالنِّسَاءِ - (34)

وعن عَمْرو بنِ الأَحْوَصِ الجُشميِّ رضي اللَّه عنه أَنَّهُ سمِعَ النبي صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم في حَجِّةِالْوَداع يقُولُ بعد أَنْ حَمِدَ اللَّه تعالى ، وَأَثنَى علَيْهِ وذآَّر ووعظَ ، ثُمَّ قال: » أَلا واسْتَوْصوا بِالنِّساءِ خَيْراً ،فَإِنَّمَا هُنَّ عَوانٍ عَنْدَآُمْ لَيْس تمْلكُونَ مِنْهُنَّ شَيْئاً غيْرَ ذلِكَ إِلاَّ أَنْ يأْتِينَ بِفَاحشةٍ مُبيِّنةٍ ، فإِنْ فَعلْنَ فَاهْجُروهُنَّفي المضَاجعِ ، واضْربُوهنَّ ضَرْباً غيْر مُبرِّحٍ ، فإِنْ أَطعنَكُمْ فَلا تبْغُوا عَلَيْهِنَّ سبيلا ، أَلا إِنَّ لَكُمْ عَلَى نِسائِكُمْحَقا ، ولِنِسائِكُمْ عَلَيْكُمْ حقا، فَحَقُّكُمْ عَلَيْهنَّ أَن لا يُوطِئْنَ فُرُشكمْ منْ تَكْرهونَ ، وَلا يأْذَنَّ في بُيُوتكمْ لِمنتكْرهونَ ، أَلا وحقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَن تُحْسنُوا إِليْهنَّ في آِسْوتِهِنَّ وَطعامهنَّ«.رواه الترمذى وقال : حديث حسن صحيحٌ .قوله صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم » عوانٍ « أَيْ : أَسِيرَاتٌ ، جمْعُ عانِيةٍ ، بِالْعَيْنِ المُهْمَلَةِ ، وهى الأَسِيرَةُ ،والْعانِي : الأَسِيرُ . شَبَّهَ رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم المرْأَةَ في دُخُولَهَا تحْتَ حُكْم الزَّوْجِ بالأَسيرِ»والضرْبُ المُبرِّحُ « : هُوَ الشَّاقُّ الشديدُ ، وقوله صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : » فَلا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلاً « أَيْ :لا تَطلُبوا طرِيقاً تحْتجُّونَ بِهِ عَلَيْهِنَّ وَتُؤذونهنَّ بِه،ِ واللَّه أعلم .

(34) Chapter: Recommendations with regard to Women


'Amr bin Al-Ahwas Al-Jushami (May Allah be pleased with him) reported that he had heard the Prophet (ﷺ) saying on his Farewell Pilgrimage, after praising and glorifying Allah and admonishing people, "Treat women kindly, they are like captives in your hands; you do not owe anything else from them. In case they are guilty of open indecency, then do not share their beds and beat them lightly but if they return to obedience, do not have recourse to anything else against them. You have rights over your wives and they have their rights over you. Your right is that they shall not permit anyone you dislike to enter your home, and their right is that you should treat them well in the matter of food and clothing". [At- Tirmidhi]. Commentary: 1. Here again we find justification for beating one's wife in case of her persistence in default, but it is to be done in the manner prescribed in the Hadith quoted above. 2. It is the responsibility of the wife that during the absence of her husband, besides the guarding of her own chastity, and property of her husband, she should not let in anyone who is not liked by her husband, however closely related that person be to her. 3. It is the responsibility of the husband to provide, according to his means, good food and clothes to his wife.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ৩৪: স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

৫/২৮২। মুআবিয়াহ ইবনু হাইদাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো স্ত্রীর অধিকার স্বামীর উপর কতটুকু?’ তিনি বললেন, ’’তুমি খেলে তাকে খাওয়াবে এবং তুমি পরলে তাকে পরাবে। (তার) চেহারায় মারবে না, তাকে ’কুৎসিত হ’ বলবে না এবং তার থেকে পৃথক থাকলে বাড়ীর ভিতরেই থাকবে।’’ (অর্থাৎ অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করার জন্য বিছানা পৃথক করতে পারা যাবে, কিন্তু রুম পৃথক করা যাবে না।) (আবূ দাউদ, হাসান সূত্রে) [1]


* ’কুৎসিত হ’ বলবে নাঃ অর্থাৎ ’আল্লাহ তোমাকে কুৎসিত করুক’ বলে অভিশাপ দেবে না।

بَابُ الوَصِيَّةِ بِالنِّسَاءِ - (34)

وَعَن مُعَاوِيَةَ بنِ حَيدَةَ رضي الله عنه، قَالَ : قُلْتُ : يَا رَسُولَ الله، مَا حَقُّ زَوجَةِ أَحَدِنَا عَلَيهِ ؟ قَالَ: «أنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طعِمْتَ، وَتَكْسُوهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ، وَلاَ تَضْرِبِ الوَجْهَ، وَلا تُقَبِّحْ، وَلا تَهْجُرْ إلاَّ في البَيْتِ».حديثٌ حسنٌ رواه أَبُو داود وَقالَ : معنى «لا تُقَبِّحْ»أي : لا تقل : قبحكِ الله .

(34) Chapter: Recommendations with regard to Women


Mu'awiyah bin Haidah (May Allah be pleased with him) reported: I asked Messenger of Allah (ﷺ): "What right can any wife demand of her husband?" He replied, "You should give her food when you eat, clothe her when you clothe yourself, not strike her on the face, and do not revile her or separate from her except in the house". [Abu Dawud]. Commentary: If it comes to temporarily severing relation with a disobedient wife to set her right, it should be done within the house and the best course for it is that one suspends the practice of sleeping with her. Some people say that this suspension should be to the extent of sleeping with her only and one should not stop speaking to her because that will increase the rift between the two. But in case of special circumstances, one can separate from her by leaving his home, as was done by the Prophet (PBUH) by shifting to upper room of his house.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ৩৫: স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার

৫/২৯০। আবূ আলী ত্বাল্‌ক ইবনু আলী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’যখন কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তার প্রয়োজনে আহ্বান করবে, তখন সে যেন (তৎক্ষণাৎ) তার নিকট যায়। যদিও সে উনানের কাছে (রুটি ইত্যাদি পাকানোর কাজে ব্যস্ত) থাকে।’’ (তিরমিযী হাসান সূত্রে) [1]

بَابُ حَقِّ الزَّوْجِ عَلَى الْمَرْأَةِ - (35)

وَعَنْ أَبِي عَلِيِّ طَلْقِ بنِ عَلِيِّ رضي الله عنه : أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «إِذَا دَعَا الرَّجُلُ زَوْجَتهُ لحَاجَتِهِ فَلْتَأتِهِ وَإنْ كَانَتْ عَلَى التَّنُور». رواه الترمذي والنسائي، وَقالَ الترمذي: حديث حسن صحيح

(35) Chapter: Husband's rights concerning his Wife


Abu 'Ali Talq bin 'Ali (May Allah be pleased with him) reported: Messenger of Allah (ﷺ) said, "When a man calls his wife to satisfy his desire, she must go to him even if she is occupied with the oven". [At-Tirmidhi and An-Nasa'i].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)

পরিচ্ছেদঃ ৩৫: স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার

৬/২৯১। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদাহ করার আদেশ করতাম, তাহলে নারীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদাহ করে।’’ (তিরমিযী হাসান সূত্রে) [1]

بَابُ حَقِّ الزَّوْجِ عَلَى الْمَرْأَةِ - (35)

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «لَوْ كُنْتُ آمِراً أحَداً أنْ يَسْجُدَ لأحَدٍ لأمَرْتُ المَرأةَ أنْ تَسْجُدَ لزَوجِهَا». رواه الترمذي، وَقالَ: حديث حسن صحيح

(35) Chapter: Husband's rights concerning his Wife


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported: The Prophet (ﷺ) said, "If I were to order anyone to prostrate himself before another, I would have ordered a woman to prostrate herself before her husband". [At-Tirmidhi]


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫৪৩৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 · · · 269 270 271 272 পরের পাতা »