পরিচ্ছেদঃ ৩৯. স্ত্রীলোকের ব্যবহারের অতিরিক্ত পানি সম্পর্কে
৭৮. আবদুল্লাহ্ .... উম্মু সুবাইয়্যা (খাওলা বিনতে কায়স) আল-জুহানীয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, একই পাত্র হতে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করার সময় আমার হাত ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইছে ওয়া সাল্লামের হাত পরস্পর লেগে যেত। (ইবনু মাজাহ)।
باب الْوُضُوءِ بِفَضْلِ وَضُوءِ الْمَرْأَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ خَرَّبُوذَ، عَنْ أُمِّ صُبَيَّةَ الْجُهَنِيَّةِ، قَالَتِ اخْتَلَفَتْ يَدِي وَيَدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْوُضُوءِ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ .
حكم : حسن صحيح (الألباني
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
My hands and the hands of the Messenger of Allah (ﷺ) alternated into one vessel while we performed ablution.
Grade : Hasan Sahih (Al-Albani)
পরিচ্ছেদঃ ধনসম্পদ লাভ করা।
২৩৭৭. কুতায়বা (রহঃ) .... হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর স্ত্রী খাওলা বিনত কায়স রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ এই ধন-দৌলত হল শ্যামল মনোরম ও মিষ্টি। যে ব্যক্তি এর হকসহ তা লাভ করে তার জন্য একে বরকতময় করে দেওয়া হয়। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের এই সম্পদ যে ব্যক্তি তার মনের খায়েশ অনুসারে ব্যবহার করে কিয়ামতের দিন জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই সে লাভ করবে না। সহীহ, সহিহাহ ১৫৯২, মিশকাত, তাহকিক ছানী ৪০১৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩৭৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। রাবী আবুল ওয়ালীদ (রহঃ) এর নাম হল উবায়দ সানূতা।
باب مَا جَاءَ فِي أَخْذِ الْمَالِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ، قَالَ سَمِعْتُ خَوْلَةَ بِنْتَ قَيْسٍ، وَكَانَتْ، تَحْتَ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ تَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ مَنْ أَصَابَهُ بِحَقِّهِ بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَرُبَّ مُتَخَوِّضٍ فِيمَا شَاءَتْ بِهِ نَفْسُهُ مِنْ مَالِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ لَيْسَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلاَّ النَّارُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو الْوَلِيدِ اسْمُهُ عُبَيْدُ سَنُوطَى
Khawlah bint Qais, who was the wife of Hamzah bin 'Abdul-Muttalib narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Indeed this wealth is green and sweet. Whoever gets what he deserves of it then he shall be blessed in it. And many a person who deals with what he wants for himself, from the wealth of Allah and His Messenger, gets nothing on the Day of Judgment but the Fire."
পরিচ্ছেদঃ ৪১. নিজের সম্পদ গ্রহণ করা
২৩৭৪। হামযা ইবনু আবদুল মুত্তালিবের স্ত্রী খাওলা বিনতু কাইস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ এ পার্থিব ধন-সম্পদ হলো সবুজ-শ্যামল, মনোরম ও মধুময়। যে লোক সঠিক পন্থায় তার প্রয়োজন মুতাবিক তা গ্রহণ করে তার জন্য তাতে বারকাত দেয়া হয়। এমন অনেক লোক আছে, যারা আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেয়া এই সম্পদ নিজেদের খুশি মুতাবিক ভোগ-ব্যবহার করে। কিয়ামত দিবসে তাদের জন্য জাহান্নাম ব্যতীত আর কিছুই নেই।
সহীহ, সহীহাহ (১৫৯২), মিশকাত, তাহকীক ছানী (৪০১৭)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূল ওয়ালীদের নাম উবাইদ সানুতা।
باب مَا جَاءَ فِي أَخْذِ الْمَالِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ، قَالَ سَمِعْتُ خَوْلَةَ بِنْتَ قَيْسٍ، وَكَانَتْ، تَحْتَ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ تَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ مَنْ أَصَابَهُ بِحَقِّهِ بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَرُبَّ مُتَخَوِّضٍ فِيمَا شَاءَتْ بِهِ نَفْسُهُ مِنْ مَالِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ لَيْسَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلاَّ النَّارُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو الْوَلِيدِ اسْمُهُ عُبَيْدُ سَنُوطَى.
Khawlah bint Qais, who was the wife of Hamzah bin 'Abdul-Muttalib narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Indeed this wealth is green and sweet. Whoever gets what he deserves of it then he shall be blessed in it. And many a person who deals with what he wants for himself, from the wealth of Allah and His Messenger, gets nothing on the Day of Judgment but the Fire."
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৪০১৭-[৩৩] খাওলাহ্ বিনতু কায়স (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ অবশ্যই এ (যুদ্ধলব্ধ) মাল দুনিয়াতে মোহনীয় ও আকর্ষণীয়। তবে যে ব্যক্তি তা ন্যায়সঙ্গতভাবে অর্জন করে তাতে তার বরকত হয়। আবার এমন অনেক লোকও আছে, যে আল্লাহ ও তাঁর রসূল-এর সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার করে না তথা খিয়ানাত করে, তার জন্য কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন ছাড়া আর কিছুই নেই। (তিরমিযী)[1]
وَعَن خولةَ بنتِ قيسٍ: قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ هَذِهِ الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ فَمَنْ أَصَابَهُ بِحَقِّهِ بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَرُبَّ متخوض فَمَا شَاءَتْ بِهِ نَفْسُهُ مِنْ مَالِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ لَيْسَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَّا النَّارُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: দুনিয়ার মাল-ধনকে সুমিষ্ট, শ্যামল, চাক-চিক্যময় বস্তুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। সবুজ-শ্যামল বস্তু মানুষের কাছে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় হয় ঠিক তদ্রূপ দুনিয়ার মাল-সম্পদও লোভনীয় বস্তু। মিষ্টি যেমন মানুষের কাছে লোভনীয় সুস্বাদু, দুনিয়ার সম্পদও তাই। ‘আরবেরা নি‘আমাতসমূহকে সবুজ বস্তু বলে থাকে। অথবা এটা দ্রুত হাত থেকে চলে যাওয়ার কারণে একে خَضِرَةٌ ‘সবুজ’ বলা হয়েছে। কষ্টক্লেশে সৎ পথে তা উপার্জন করলে আল্লাহ তাতে বরকত দান করেন। পক্ষান্তরে অন্যায়ভাবে উপার্জন করলে (যেমন গনীমাতের সম্পদ যথেচ্ছা গ্রহণ) ও তা ব্যয় করলে বা তসরূপ করলে কিয়ামতের দিন তার পরিণতি হবে জাহান্নামের আগুন। (মিরকাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৩৭৪)
ইমাম গাযালী (রহঃ) বলেনঃ দুনিয়ার সম্পদ হলো ঐ স্বর্গের ন্যায় যার মুখে রয়েছে বিষাক্ত জৈব-লালা এবং উপকারী প্রতিষেধক লালা। একজন সচেতন ব্যক্তি তার অনিষ্টতা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে এবং তাকে এড়িয়ে চলবে, আর ওটাতে যে উপকারী প্রতিষেধক রয়েছে তা কিভাবে সংগ্রহ করা যায় সেটা জানবে। পক্ষান্তরে একজন নির্বোধ ব্যক্তি তার ক্ষতির মুখোমুখিই হবে শুধু।
পরিচ্ছেদঃ ১৬. মহিলাদের উযু-গোসলের অবশিষ্ট পানি পুরুষের ব্যবহার করা
১৩৯(৯). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... খাওলা বিনতে কায়েস (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই পাত্রের পানি দিয়ে একত্রে উযু করতেন।
بَابُ اسْتِعْمَالِ الرَّجُلِ فَضْلَ وَضُوءِ الْمَرْأَةِ
نَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ ، نَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ أَنْبَأَنَا خَارِجَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ، نَا سَالِمٌ أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَتْنِي مَوْلَاتِي خَوْلَةُ بِنْتُ قَيْسٍ أَنَّهَا كَانَتْ تَخْتَلِفُ يَدُهَا وَيَدُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي إِنَاءٍ وَاحِدٍ ؛ تَتَوَضَّأُ هِيَ وَالنَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ