পরিচ্ছেদঃ ১২০. খাদিম ও বাহন রাখা
৫৩৭১. মুহাম্মাদ ইবন কুদামা (রহঃ) ... সামুরা ইবন সাহম (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমি আবূ হাশিম ইবন উৎবা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম, তখন তিনি প্লেগে আক্রান্ত ছিলেন। মু’আবিয়া (রাঃ) তাঁকে দেখতে আসলেন। তখন আবু হাশিম কাঁদতে লাগলেন। মু’আবিয়া (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ তুমি কাঁদছাে কেন? তোমার কি কোন ব্যথার যন্ত্রণা, না তুমি দুনিয়ার জন্য কাঁদছাে? পার্থিব আনন্দের দিন তো তোমার কেটে গেছে। তিনি বললেনঃ এর কোনটাই নয়। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে একটি উপদেশ দান করেছিলেন, আমি যদি তা পালন করতাম! তিনি বলেছিলেন, যখন তুমি গনীমতের মাল লোকদের মাঝে বন্টন হতে দেখবে, তখন তা হতে তোমার জন্য একটি খাদিম এবং আল্লাহর রাস্তায় যাওয়ার একটি বাহনই যথেষ্ট মনে করবে। কিন্তু আমি মাল পেয়ে তা জমা করেছি।
اتِّخَاذُ الْخَادِمِ وَالْمَرْكَبِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ عَنْ جَرِيرٍ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ سَهْمٍ رَجُلٌ مِنْ قَوْمِهِ قَالَ نَزَلْتُ عَلَى أَبِي هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ وَهُوَ طَعِينٌ فَأَتَاهُ مُعَاوِيَةُ يَعُودُهُ فَبَكَى أَبُو هَاشِمٍ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ مَا يُبْكِيكَ أَوَجَعٌ يُشْئِزُكَ أَمْ عَلَى الدُّنْيَا فَقَدْ ذَهَبَ صَفْوُهَا قَالَ كُلٌّ لَا وَلَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهِدَ إِلَيَّ عَهْدًا وَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ تَبِعْتُهُ قَالَ إِنَّهُ لَعَلَّكَ تُدْرِكُ أَمْوَالًا تُقْسَمُ بَيْنَ أَقْوَامٍ وَإِنَّمَا يَكْفِيكَ مِنْ ذَلِكَ خَادِمٌ وَمَرْكَبٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَدْرَكْتُ فَجَمَعْتُ
It was narrated that Samurah bin Sahm said:
"I came to Abu Hashim bin 'Utbah when he was suffering the plague, and Mu'awiyah came to visit him. Abu Hashim wept. Mu'awiyah said to him: 'Why are you weeping? Is it because of some pain that is hurting you, or is it for this world, the best of which has gone?' He said: 'Neither, but the Messenger of Allah [SAW] gave me some advice, which I wish that I had followed. He said: "Perhaps you will live to see wealth that will be distributed among the people when all that would suffice you of that would be a servant and a mount to ride in the cause of Allah." I lived to see that, and I accumulated (wealth).'
পরিচ্ছেদঃ ৩১/১. দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি
৪/৪১০৩। সামুরা ইবন সাহম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হাশেম ইবনে উতবার (রাঃ) কাছে গেলাম। তিনি বর্শার আঘাতে আহত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। মুআবিয়া (রাঃ) ও তাকে দেখতে এলেন। আবূ হাশেম (রাঃ) কেঁদে দিলে তিনি বলেন, হে মামা! কিসে আপনাকে কাঁদাচ্ছে। আঘাতের যন্ত্রণা, নাকি পার্থিব কিছু? পার্থিব কিছু হলে তার উৎকৃষ্ট অংশ তো অতিবাহিত হয়েছে। তিনি বলেন, এর কোনটিই নয়। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন। হায়! আমি যদি তা অনুসরণ করতাম। তিনি বলেছিলেনঃ ’’হয়তো তুমি পর্যাপ্ত সম্পদের অধিকারী হবে যা তুমি জনগণের মধ্যে বিতরণ করবে। তখন তোমার জন্য একটি খাদেম এবং আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য একটি সওয়ারীই যথেষ্ট’’। আমি সেই প্রাচুর্য লাভ করেছি কিন্তু তা (বিতরণ না করে) পুঞ্জীভূত করে রেখেছি।
بَاب الزُّهْدِ فِي الدُّنْيَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ سَهْمٍ، - رَجُلٌ مِنْ قَوْمِهِ - قَالَ نَزَلْتُ عَلَى أَبِي هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ وَهُوَ طَعِينٌ فَأَتَاهُ مُعَاوِيَةُ يَعُودُهُ فَبَكَى أَبُو هَاشِمٍ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ مَا يُبْكِيكَ أَىْ خَالِ أَوَجَعٌ يُشْئِزُكَ أَمْ عَلَى الدُّنْيَا فَقَدْ ذَهَبَ صَفْوُهَا قَالَ عَلَى كُلٍّ لاَ وَلَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَهِدَ إِلَىَّ عَهْدًا وَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ تَبِعْتُهُ قَالَ " إِنَّكَ لَعَلَّكَ تُدْرِكُ أَمْوَالاً تُقْسَمُ بَيْنَ أَقْوَامٍ وَإِنَّمَا يَكْفِيكَ مِنْ ذَلِكَ خَادِمٌ وَمَرْكَبٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ " . فَأَدْرَكْتُ فَجَمَعْتُ .
It was narrated from Abu Wa’il that a man from his people – Samurah bin Sahm – said:
“We stopped with Abu Hashim bin ‘Utbah, who had been stabbed, and Mu’awiyah came to visit him. Abu Hashim wept and Mu’awiyah said to him: ‘Why are you weeping, O maternal uncle? Is there some pain bothering you, or is it because of this world, the best of which has already passed?’ He said: ‘It is not for any of these reasons. But the Messenger of Allah (ﷺ) gave me some advice and I wish that I had followed it. He (ﷺ) said: “There may come a time when you will see wealth divided among the people, and all you will need of that is a servant and a mount to ride in the cause of Allah.” That time came, but I accumulated wealth.’”
পরিচ্ছেদঃ দারিদ্রতা, দুনিয়ার ব্যাপারে অনাগ্রহী হওয়া ও অল্পে তুষ্টি প্রসঙ্গে হাদীস
৬৬৭. সামুরা বিন সাহম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি আবু হাশিম বিন উতবাহ বিন রাবি‘আহ কাছে গেলাম, এসময় তিনি প্লেগ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও তাঁকে দেখতে এসেছিলেন। এসময় আবু হাশিম কেঁদে ফেলেন। তখন মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, “মামা, আপনি কাঁদছেন কেন?” আপনি কি রোগ পীড়ার জন্য কাঁদছেন নাকি দুনিয়ার জন্য কাঁদছেন? দুনিয়ার শেষ্ঠ সময় তো চলেই গিয়েছে!” আবু হাশিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “এর কোনটার জন্যই আমি কাঁদছি না। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার কাছ থেকে একটি অঙ্গিকার নিয়েছিলেন, হায় যদি আমি তাঁর কথা মেনে চলতাম! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছিলেন, “একটা সময় আসতে পারে, যখন মানুষের মাঝে সম্পদ বন্টন করা হবে, এসবের মাঝে তোমার জন্য একটা খাদেম ও আল্লাহর রাস্তায় একটি বাহনই যথেষ্ট।” সে সময়টা এসেছিল, কিন্তু আমি সম্পদ জমা করেছি।”[1]
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে য‘ঈফ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে হাসান লিগাইরিহী বলেছেন। (আল মিশকাত: ৫১৮৫।)
بَابُ الْفَقْرِ وَالزُّهْدِ وَالْقَنَاعَةِ
667 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ سَهْمٍ قَالَ: نَزَلْتُ عَلَى أَبِي هَاشِمِ بن عتبة بن ربيعة هو مَطْعُونٌ فَأَتَاهُ مُعَاوِيَةُ يَعُودُهُ فَبَكَى أَبُو هَاشِمٍ فقَالَ مُعَاوِيَةُ: مَا يُبْكِيكَ أَيْ خَالِ؟ أَوَجَعٌ أَمْ عَلَى الدُّنْيَا؟ فَقَدْ ذَهَبَ صَفْوُهَا فقَالَ: عَلَى كُلٍّ لَا وَلَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهِدَ إِلَيَّ عَهْدًا وَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ تَبِعْتُهُ قَالَ: (إِنَّكَ لَعَلَّكَ أَنْ تُدْرِكَ أَمْوَالًا تُقَسَّم بَيْنَ أَقْوَامٍ وَإِنَّمَا يَكْفِيكَ مِنْ ذَلِكَ خَادِمٌ وَمَرْكَبٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ) فأدركت وجمعت.
الراوي : أَبُو هَاشِمِ بن عتبة بن ربيعة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 667 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.