পরিচ্ছেদঃ ৭. কর্মচারীদের উপঢৌকন গ্রহন হারাম
৪৫৯১। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আদী ইবনু আমির আল-কিন্দী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, আমরা তোমাদের মধ্যে যাকে কোন কাজে (তহশীলদার) নিযুক্ত করি, আর সে একটি সূঁচ পরিমান বা তার চাইতেও স্বল্প মাল আমাদের নিকট গোপন করে, তাই আত্নসাত বলে গণ্য হবে এবং তা নিয়েই কিয়ামতের দিন সে উপস্থিত হবে। রাবী বলেন, তখন একজন কৃষ্ণকায় আনসারী (সাহাবী) তাঁর দিকে অগ্রসর হলেন আমি যেন তাকে দেখতে পাচ্ছি। তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার দায়িত্বভার আপনি বুঝে নিন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার কি হয়েছে? তিনি আরয করলেন, আমি আপনাকে এরূপ এরূপ (কঠিন কথা) বলতে শুনেছি। তখন তিনি বললেনঃ আমি এখনও বলছি, তোমাদের মধ্যকার যাকেই আমি কর্মচারী নিযুক্ত করি আর সে যেন অল্প বিস্তর যা-ই উসূল করে তা এনে হাযির করে, তারপর তাকে যাই দেয়া হয় তাই গ্রহণ করে এবং যা থেকে বারণ করা হয় তা থেকে বিরত থাকে (তার জন্য এটাই উত্তম)।
باب تَحْرِيمِ هَدَايَا الْعُمَّالِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي، خَالِدٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ عَمِيرَةَ الْكِنْدِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنِ اسْتَعْمَلْنَاهُ مِنْكُمْ عَلَى عَمَلٍ فَكَتَمَنَا مِخْيَطًا فَمَا فَوْقَهُ كَانَ غُلُولاً يَأْتِي بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . قَالَ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ أَسْوَدُ مِنَ الأَنْصَارِ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اقْبَلْ عَنِّي عَمَلَكَ قَالَ " وَمَا لَكَ " . قَالَ سَمِعْتُكَ تَقُولُ كَذَا وَكَذَا . قَالَ " وَأَنَا أَقُولُهُ الآنَ مَنِ اسْتَعْمَلْنَاهُ مِنْكُمْ عَلَى عَمَلٍ فَلْيَجِئْ بِقَلِيلِهِ وَكَثِيرِهِ فَمَا أُوتِيَ مِنْهُ أَخَذَ وَمَا نُهِيَ عَنْهُ انْتَهَى " .
It has been reported on the authority of 'Adi b. 'Amira al-Kindi who said:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: Whosoever from you is appointed by us to a position of authority and he conceals from us a needle or something smaller than that, it would be misappropriation (of public funds) and will (have to) produce it on the Day of Judgment. The narrator says: A dark-complexioned man from the Ansar stood up - I can visualise him still - and said: Messenger of Allah, take back from me your assignment. He said: What has happened to you? The man said: I have heard you say so and so. He said: I say that (even) now: Whosoever from you is appointed by us to a position of authority, he should bring everything, big or small, and whatever he is given therefrom he should take, and he should restrain himself from taking that which is forbidden.
পরিচ্ছেদঃ ৭. কর্মচারীদের উপঢৌকন গ্রহন হারাম
৪৫৯৩। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম হানযালী (রহঃ) ... আদী ইবনু আমীর আল-কিন্দী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অনুরূপ বলতে শুনেছি।
باب تَحْرِيمِ هَدَايَا الْعُمَّالِ
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، بْنُ أَبِي خَالِدٍ أَخْبَرَنَا قَيْسُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَدِيَّ بْنَ عَمِيرَةَ الْكِنْدِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ .
Adi b. 'Amira al-Kindi heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying (as) was narrated in the (above-mentioned) hadith.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৬. দানপ্রাপ্ত যোদ্ধাদের নাম রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।
২৯৫১. মাহমূদ ইবন খালিদ (রহঃ) ..... আদী কিনদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। একদা উমার ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) এ মর্মে একটা লিখিত নির্দেশ জারী করেন যে, যে ব্যক্তি জানতে চায় যে, গনীমতের মাল কোথায় খরচ করতে হবে, সে যেন যেনে রাখে, (তা ঐ সব স্থানে ব্যয় করতে হবে), যে স্থানে উমার ইবন খাওাব (রাঃ) ব্যয় করতে হুকুম দিয়েছিলেন। কেননা মুসলিমরা তার নির্দেশকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হুকুম অনুযায়ী ইনসাফের দৃষ্টিতে দেখেছেন। আল্লাহ তা’আলা হক বা সত্যকে উমার (রাঃ)-এর যবান ও হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছিলেন। বস্তুত তিনি দানের খাত নির্ধারত করেন, জিযিয়ার বিনিময়ে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের শান্তি ও নিরাপওার যিম্মাদারী গ্রহন করেন। এতে তিনি খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) নির্ধারিত করেন নি এবং একে গনীমতের মালের মধ্যেও শামিল করেন নি।
باب فِي تَدْوِينِ الْعَطَاءِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنِي فِيمَا، حَدَّثَهُ ابْنٌ لِعَدِيِّ بْنِ عَدِيٍّ الْكِنْدِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، كَتَبَ إِنَّ مَنْ سَأَلَ عَنْ مَوَاضِعِ الْفَىْءِ، فَهُوَ مَا حَكَمَ فِيهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله عنه فَرَآهُ الْمُؤْمِنُونَ عَدْلاً مُوَافِقًا لِقَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " جَعَلَ اللَّهُ الْحَقَّ عَلَى لِسَانِ عُمَرَ وَقَلْبِهِ " . فَرَضَ الأَعْطِيَةَ وَعَقَدَ لأَهْلِ الأَدْيَانِ ذِمَّةً بِمَا فُرِضَ عَلَيْهِمْ مِنَ الْجِزْيَةِ لَمْ يَضْرِبْ فِيهَا بِخُمُسٍ وَلاَ مَغْنَمٍ .
Narrated Umar ibn al-Khattab:
A son of Adi ibn Adi al-Kindi said that Umar ibn AbdulAziz wrote (to his governors): If anyone asks about the places where spoils (fay') should be spent, that should be done in accordance with the decision made by Umar ibn al-Khattab (Allah be pleased with him). The believers considered him to be just, according to the saying of the Prophet (ﷺ): Allah has placed truth upon Umar's tongue and heart. He fixed stipends for Muslims, and provided protection for the people of other religions by levying jizyah (poll-tax) on them, deducting no fifth from it, nor taking it as booty.
পরিচ্ছেদঃ ৯/১১. কুমারী ও বিধবা মেয়ের মত গ্রহণ প্রসঙ্গে।
২/১৮৭২। আদী আল কিনদী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিধবা মহিলা তার ব্যাপারে সুস্পষ্ট মত প্রকাশ করবে। আর কুমারী মেয়ের নীরবতা তার সম্মতির লক্ষণ।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب اسْتِئْمَارِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ عَدِيٍّ الْكِنْدِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الثَّيِّبُ تُعْرِبُ عَنْ نَفْسِهَا وَالْبِكْرُ رِضَاهَا صَمْتُهَا
It was narrated from Adi bin Adi Al-Kindi that:
his father said: “The Messenger of Allah said: 'A previously-married woman can speak for herself, and the consent of a virgin is her silence.' ”
পরিচ্ছেদঃ ২২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ভালো কাজের আদেশ
৫১৪৭-[১১] ’আদী ইবনু ’আদী আল কিন্দী (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মুক্ত গোলাম আমাদের নিকট বর্ণনা করেন যে, আমার দাদাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা’আলা কোন জাতিকে তাদের বিশেষ কোন লোকের পাপের কারণে শাস্তি প্রদান করবেন না, যতক্ষণ না ঐ জাতির অধিকাংশ লোক ঐ পাপের কথা জানতে পারবে যে, তাদের মধ্যে খারাপ কাজ করা হচ্ছে এবং তারা সেটা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিরোধ না করে। যখন তারা এরূপ করে, তখন আল্লাহ তা’আলা ঐ জাতির সকলকে ব্যাপকভাবে শাস্তি প্রদান করেন। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ এর সনদে ‘‘মাওলা’’র অজ্ঞতা থাকার কারণে য‘ঈফ। দেখুন- হিদায়াতুর্ রুওয়াত ৪/৪৮৮। য‘ঈফুল জামি‘ ১৬৭৫, আহমাদ ১৭৭২০, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১৩৭৮৮।
وَعَنْ عَدِيِّ
بْنِ عَدِيٍّ الْكِنْدِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا مَوْلًى لَنَا أَنَّهُ سَمِعَ جَدِّي رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَا يُعَذِّبُ الْعَامَّةَ بِعَمَلِ الْخَاصَّةِ حَتَّى يَرَوُا الْمُنْكَرَ بَيْنَ ظَهْرَانِيهِمْ وَهُمْ قَادِرُونَ عَلَى أَنْ يُنْكِرُوهُ فَلَا يُنْكِرُوا فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ عَذَّبَ اللَّهُ العامَّةَ والخاصَّةَ» . رَوَاهُ فِي «شرح السّنة»
পরিচ্ছেদঃ ১৮. দানপ্রাপ্ত্য ব্যক্তিদের তালিকা করা
২৯৬১। আদী আল-কিনদী (রহঃ)-এর এক পুত্রের সূত্রে বর্ণিত। ’উমার ইবনু আব্দুল আযীয (রহঃ) কর্মচারীদের প্রতি লিখেন, কেউ ফাই এর খাত সম্পর্কে জানতে চাইলে তাকে ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর নির্দেশিত নীতি অনুসরণ করতে বলবে। কেননা মু’মিনগণ তার অনুসৃত নীতিকে সঠিক এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পেয়েছে। মহান আল্লাহ ’উমার (রাঃ)-এর মুখ ও অন্তর দ্বারা সত্যের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। তিনি উপঢৌকন প্রবর্তন ও নির্ধারণ করেছেন। জিযিয়া প্রদানের বিনিময়ে অন্যান্য ধর্মাবলম্বিদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বিধান করেছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ জিযিয়াতে এক-পঞ্চামাংশ নেই বা এটা গানীমাতের মতো নয়।[1]
بَابٌ فِي تَدْوِينِ الْعَطَاءِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنِي فِيمَا حَدَّثَهُ ابْنٌ لِعَدِيِّ بْنِ عَدِيٍّ الْكِنْدِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، كَتَبَ إِنَّ مَنْ سَأَلَ عَنْ مَوَاضِعِ الْفَيْءِ، فَهُوَ مَا حَكَمَ فِيهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَرَآهُ الْمُؤْمِنُونَ عَدْلًا مُوَافِقًا لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: جَعَلَ اللَّهُ الْحَقَّ عَلَى لِسَانِ عُمَرَ وَقَلْبِهِ فَرَضَ الْأَعْطِيَةَ لِلْمُسْلِمِينَ، وَعَقَدَ لِأَهْلِ الْأَدْيَانِ ذِمَّةً بِمَا فَرَضَ عَلَيْهِمْ مِنَ الجِزْيَةِ، لَمْ يَضْرِبْ فِيهَا بِخُمُسٍ وَلَا مَغْنَمٍ
ضعيف الإسناد
Narrated Umar ibn al-Khattab:
A son of Adi ibn Adi al-Kindi said that Umar ibn AbdulAziz wrote (to his governors): If anyone asks about the places where spoils (fay') should be spent, that should be done in accordance with the decision made by Umar ibn al-Khattab (Allah be pleased with him). The believers considered him to be just, according to the saying of the Prophet (ﷺ): Allah has placed truth upon Umar's tongue and heart. He fixed stipends for Muslims, and provided protection for the people of other religions by levying jizyah (poll-tax) on them, deducting no fifth from it, nor taking it as booty.