পরিচ্ছেদঃ ৬৮: হারাম বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন এবং সন্দিহান বস্তু পরিহার করার গুরুত্ব
৯/৬০১। ’আতিয়্যাহ্ ইবনু ’উরওয়াহ্ আস-সা’দী সাহাবী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ঐ পর্যন্ত বান্দাহ্ মুত্তাক্বীদের মর্যাদায় পৌঁছতে পারে না, সে যতক্ষণ পর্যন্ত নির্দোষ হয়ে বাঁচার জন্য কোনো কোনো নির্দোষ বিষয়াদিও (নিষ্প্রয়োজনীয় বিষয়াদি) পরিত্যাগ না করে। (তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন)[1]
بَابُ الْوَرَعِ وَتَرْكِ الشُّبُهَاتِ - (68)
وَعَنْ عَطِيَّةَ بْنِ عُرْوَةَ السَّعْدِيِّ الصَّحَابِيِّ رضي الله عنه قَالَ . قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم« لَا يَبْلُغُ العَبْدُ أَنْ يَّكُوْنَ مِنَ الْمُتَّقِيْنَ حَتّىٰ يَدَعَ مَالَا بَأْسَ بِهِ حَذْراً مِمَّا بِهِ بَأْسٌ ».رواهُ الترمذي وقال: حديثٌ حسن.
(68) Chapter: Leading an Abstemious Life and refraining from the Doubtful
'Atiyyah bin 'Urwah As-Sa'di (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "No one will attain complete righteousness until he abandons (certain) unobjectionable (but doubtful) things so as to remain on his guard against something objectionable."
[At-Tirmidhi].
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
২৪৫৪. আবূ বকর ইবন আবুন নাযর (রহঃ) ..... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জনৈক সাহাবী আতিয়্যা সা’দী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত মুত্তাকীদের স্তরে পৌছাতে পারবে না যতক্ষণ না সে ক্ষতিজনক কাজে লিপ্ত হওয়ার ভয়ে ক্ষতিজনক কাজকেও পরিত্যাগ না করে। যঈফ, ইবনু মাজাহ ৪২১৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৪৫১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-গারীব। এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
بَابٌ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ الثَّقَفِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَقِيلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ، وَعَطِيَّةُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ السَّعْدِيِّ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَبْلُغُ الْعَبْدُ أَنْ يَكُونَ مِنَ الْمُتَّقِينَ حَتَّى يَدَعَ مَا لاَ بَأْسَ بِهِ حَذَرًا لِمَا بِهِ الْبَأْسُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Rabi'ah bin Yazid and 'Atiyyah bin Qais narrated from 'Atiyyah As-Sa'di - and he was one of the Companions of the Prophet (ﷺ) - that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"The servant shall not reach the state of being among the Muttaqin until he leaves what there is no harm in out of caution for its harm."
পরিচ্ছেদঃ ১৯. (বৈধ অক্ষতিকর বিষয় ছেড়ে দেওয়ার ফযীলত)
২৪৫১। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী আতিয়া আস-সাদী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন বান্দা ক্ষতিকর কাজে জড়িয়ে পড়ার ভয়ে বৈধ অক্ষতিকর বিষয় না ছেড়ে দেয়া পর্যন্ত মুত্তাকীদের পর্যায়ে উন্নীত হতে পারবে না।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (৪২১৫)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই আমরা এ হাদীস প্রসঙ্গে জেনেছি।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ الثَّقَفِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَقِيلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ، وَعَطِيَّةُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ السَّعْدِيِّ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَبْلُغُ الْعَبْدُ أَنْ يَكُونَ مِنَ الْمُتَّقِينَ حَتَّى يَدَعَ مَا لاَ بَأْسَ بِهِ حَذَرًا لِمَا بِهِ الْبَأْسُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Rabi'ah bin Yazid and 'Atiyyah bin Qais narrated from 'Atiyyah As-Sa'di - and he was one of the Companions of the Prophet (ﷺ) - that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"The servant shall not reach the state of being among the Muttaqin until he leaves what there is no harm in out of caution for its harm."
পরিচ্ছেদঃ ২০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাগ ও অহংকার
৫১১৩-[১০] ’আতিয়্যাহ্ ইবনু ’উরওয়াহ্ আস্ সা’দী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে এবং শয়তানকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। আগুন পানি দ্বারা নেভানো যায়। যখন তোমাদের মধ্যে কারো রাগ আসে, তবে সে যেন উযূ করে। (আবূ দাঊদ)[1]
আলবানী (রহিমাহুল্লাহ) প্রথমে আল কালিমুত্ব ত্বইয়িব ২২৭ নং হাদীসে সহীহ বলেছিলেন। পরবর্তীতে ৫৮২৯ নং হাদীসে য‘ঈফাতে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, আমি তার কোন শাহিদ হাদীস পাইনি। فليغسل এর পরিবর্তে فَلْيَتَوَضَّأْ শব্দ পেয়েছি। তবে তার সানাদ মাজহূল, য‘ঈফ। দেখুন- তারাজু‘আতে আলবানী ১/২১ পৃঃ, হাঃ ১৪।
وَعَن
عَطِيَّة بن عُرْوَة السعديّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْغَضَبَ مِنَ الشَّيْطَانِ وَإِنَّ الشَّيْطَانَ خُلِقَ مِنَ النَّارِ وَإِنَّمَا يُطْفَأُ النَّارُ بِالْمَاءِ فَإِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَتَوَضَّأْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
ব্যাখ্যাঃ (إِنَّ الْغَضَبَ مِنَ الشَّيْطَانِ) অর্থাৎ- রাগ হলো শয়তানের কুমন্ত্রণা এবং কুপ্রভাব। তাই শয়তানের কুপ্রভাবেই মানুষ রাগান্বিত হয়। সুতরাং রাগের অবস্থায় উযূ করলে রাগ দূর হয়ে যায়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৭৭৬)
(وَإِنَّ الشَّيْطَانَ خُلِقَ مِنَ النَّارِ) উক্ত হাদীসাংশ থেকে প্রমাণিত হয় যে, শয়তান মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাদের) অন্তর্ভুক্ত ছিল না। কারণ মালায়িকাহ্ হলো নূরের বা আলো থেকে তৈরি আর শয়তান হলো আগুন থেকে তৈরি।
(فَإِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَتَوَضَّأْ) এখানে রাগের সময় উযূ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কারণ রাগ আসে শয়তান থেকে আর শয়তানকে তৈরি করা হয়েছে আগুন থেকে। যেহেতু পানি আগুনকে নিভিয়ে দিতে পারে, তাই উযূর মাধ্যমে রাগকেও দমন করা যেতে পারে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)