লাকীত ইবনু আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে টি

পরিচ্ছেদঃ ২৩৩: হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

১০/১২৮৮। লাক্বীত ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, ’আমার পিতা এত বেশী বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন যে, তিনি না হজ্জ করতে সক্ষম, না উমরা করতে সক্ষম, আর না সফর করতে পারবেন।’ তিনি বললেন, “তুমি তোমার পিতার পক্ষ হতে হজ্জ ও উমরা সম্পাদন কর।” (আবূ দাউদ, তিরমিযী-হাসান সহীহ) [1]

(233) بَابُ وُجُوْبِ الْحَجِّ وَفَضْلِهِ

وَعَنْ لَقِيطِ بنِ عَامِرٍ رضي الله عنه: أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ، لاَ يَسْتَطِيعُ الحَجَّ، وَلاَ العُمْرَةَ، وَلاَ الظَّعَنَ ؟ قَالَ: «حُجَّ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

(233) Chapter: The Obligation of Hajj (Pilgrimage) and its Excellence


Laqit bin 'Amir (May Allah be pleased with him) reported: I came to the Prophet (ﷺ) and said: "My father is a very old man and does not have strength to perform Hajj (pilgrimage) or 'Umrah or to undertake the journey." The Prophet (ﷺ) said, "Perform Hajj and 'Umrah on behalf of your father." [Abu Dawud and At- Tirmidhi]. Commentary: This Hadith also stresses permission of Hajj through representative where a person is not capable of doing it. But it is essential that the representative agent must have already performed Hajj.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ লাকীত ইবনু আমের (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. ফারা'-এর ব্যাখ্যা

৪২৩৪. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... আবু রাযীন লাকীত ইবন আমির উকায়লী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জাহিলী যুগে রজব মাসে পশু যবেহ করতাম এবং আমরা খেতাম এবং যে আমাদের নিকট আসতো তাকে খাওয়াতাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এতে কোন ক্ষতি নেই। ওকী ইবন উদুস বলেন, আমি তা পরিত্যাগ করব না।

تَفْسِيرُ الْفَرَعِ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ عَنْ وَكِيعِ بْنِ عُدُسٍ عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ لَقِيطِ بْنِ عَامِرٍ الْعُقَيْلِيِّ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَذْبَحُ ذَبَائِحَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فِي رَجَبٍ فَنَأْكُلُ وَنُطْعِمُ مَنْ جَاءَنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا بَأْسَ بِهِ قَالَ وَكِيعُ بْنُ عُدُسٍ فَلَا أَدَعُهُ


It was narrated that Abu Razin Laqit bin 'Amir Al-Uqaili said: "I said: 'O Messenger of Allah, we used to offer sacrifices during the Jahiliyyah in Rajab, and eat of (their meat) and offer some to those who came to us.' The Messenger of Allah said: 'There is nothing wrong with that."' (One of the narrators) Waki bin 'Udus said: "I will not leave it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ লাকীত ইবনু আমের (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮. 'ফারাআ' বা 'আতীরা'

২০০৩. আবু রাযীন লাকীত ইবন আমির উকাইলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা (জাহিলী যুগে) রজব মাসে পশু যবাহ করতাম। এখন আপনি আমাদেরকে কী আদেশ করেন? তিনি বললেনঃ “এতে কোন ক্ষতি নেই।”[1] (বর্ণনাকারী) ওকী’ বলেনঃ আমি কখনোই তা পরিত্যাগ করবো না।

بَاب فِي الْفَرَعِ وَالْعَتِيرَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ عَنْ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ لَقِيطِ بْنِ عَامِرٍ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَذْبَحُ فِي رَجَبٍ فَمَا تَرَى قَالَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ قَالَ وَكِيعٌ لَا أَدَعُهُ أَبَدًا


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ লাকীত ইবনু আমের (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ভালোবাসা এবং আল্লাহ তা‘আলার জন্য বান্দার প্রতি ভালোবাসা

৫০২৫-[২৩] আবূ রযীন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ হে আবূ রযীন! আমি কি তোমাকে ঐ দীনী কাজের শেকড় সম্পর্কে বলে দেব, যা দ্বারা তুমি দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ করতে পারবে? তুমি আল্লাহকে জিকরকারীদের বৈঠকে অবশ্যই বসবে। আর যখন একা থাক, তখন যতটা সম্ভব আল্লাহর যিকরে নিজের রসনাকে নাড়াতে থাক। একমাত্র আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালোবাসবে এবং আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ঘৃণা করবে। হে আবূ রযীন! তুমি কি জানো, যখন কোন ব্যক্তি তার কোন মুসলিম ভাইয়ের সাথে দেখা-সাক্ষাতের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হয়, তখন সত্তর হাজার মালাক (ফেরেশতা) তার জন্য দু’আ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং বলে, হে রব্! এ ব্যক্তি একমাত্র তোমারই সন্তুষ্টির জন্য সাক্ষাৎ করল, তুমি তাকে তোমার রহমত ও কল্যাণ দ্বারা পরিপূর্ণ করে দাও। সুতরাং তোমার পক্ষ যদি সম্ভব হয় তোমার কোন মুসলিম ভাইয়ের সাক্ষাতে যাওয়া, তবে এরূপ করবে। অর্থাৎ- মুসলিম ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করবে।[1]

وَعَن أبي
رَزِينٍ أَنَّهُ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى مِلَاكِ هَذَا الْأَمْرِ الَّذِي تُصِيبُ بِهِ خَيْرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ؟ عَلَيْكَ بِمَجَالِسِ أَهْلِ الذِّكْرِ وَإِذَا خَلَوْتَ فَحَرِّكْ لِسَانَكَ مَا اسْتَطَعْتَ بِذِكْرِ اللَّهِ وَأَحِبَّ فِي اللَّهِ وَأَبْغِضْ فِي اللَّهِ يَا أَبَا رَزِينٍ هَلْ شَعَرْتَ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا خَرَجَ مَنْ بَيْتِهِ زَائِرًا أَخَاهُ شَيَّعَهُ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ كُلُّهُمْ يُصَلُّونَ عَلَيْهِ وَيَقُولُونَ: رَبَّنَا إِنَّهُ وَصَلَ فِيكَ فَصِلْهُ؟ فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تُعْمِلَ جَسَدَكَ فِي ذَلِك فافعل

ব্যাখ্যাঃ (عَلَيْكَ بِمَجَالِسِ أَهْلِ الذِّكْرِ) অর্থাৎ যে সকল লোক আল্লাহকে স্মরণকারী তাদেরকে আঁকড়ে থাক। কেননা তারা জান্নাতের বাগান। যেমনি ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) আনাস (রাঃ) হতে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণনা করেছেন, إِذَا مَرَرْتُمْ بِرِيَاضِ الْجَنَّةِ فَارْتَعُوا قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ! وَمَا رِيَاضُ الْجَنَّةِ؟ قَالَ: الذِّكْرُ

হাদীসটির অর্থ হলো, ‘‘যখন তোমরা দেখবে কোন জামা‘আত আল্লাহর জিকর-আযকার করছে তখন তোমরাও জিকর-আযকারে লিপ্ত হবে। যাতে তোমরা তাদের মতো হতে পার। কারণ তারা জান্নাতের বাগানে রয়েছে।’’ আবূ হুরায়রা  হতে মারফূ‘ভাবে অন্য আরেকটি হাদীসে এসেছে-

ِإِذَا مَرَرْتُمْ بِرِيَاضِ الْجَنَّةِ فَارْتَعُوا قُلْتُ: وَمَا رِيَاضُ الْجَنَّةِ؟ قَالَ: "الْمَسَاجِدُ" قُلْتُ: وَمَا الرَّتْعُ يَا رَسُولَ اللهِ: سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ

অর্থ : যখন তোমরা কোন জান্নাতের বাগান দিয়ে অতিক্রম করবে তখন তোমরা তাতে অংশগ্রহণ করবে। আমি বললাম, জান্নাতের বাগান কি? তিনি বললেন, মসজিদসমূহ। আমি বললামঃ তাহলে الرْتَعُوا (রত্‘উ) কি? তিনি বললেনঃ সুবহা-নাল্ল-হ, আল হামদুলিল্লা-হ, লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ আল্ল-হু আকবার। (তিরমিযী ৩৫০৯)

হাদীসের ভাষ্যকার বলেনঃ হাদীসটি স্থান ও যিকরের জন্য মুতলাক বা অনির্দিষ্ট। তবে অনির্দিষ্টকে নির্দিষ্টের উপর প্রয়োগ করেছেন। এটা মীরাক উল্লেখ করেছেন।

সঠিক কথা হলো উল্লেখিত, ‘মসজিদ’ ও ‘জিকর’ শব্দটা তিনি উল্লেখ করেছেন দৃষ্টান্ত দেয়ার জন্য। উত্তম মসজিদ হলো যাতে উত্তম মাজলিস হয়। সম্ভাবনা আছে যে, তিনি মসজিদকে নির্দিষ্ট করেছেন তা উত্তম হওয়ার কারণে। হাদীসে আযকার বলতে যাবতীয় সৎকাজ উদ্দেশ্য। তা কুরআনে বর্ণিত যাবতীয় সৎকাজ উদ্দেশ্য। তা কুরআনে বর্ণিত যাবতীয় ভালো কাজকে শামিল করে। বিশেষ করে যেসব মসজিদ উত্তম যাতে ‘আলিম-‘উলামা সহীহ ‘আক্বীদাহ্, সঠিক শারী‘আত, আর্থিক ও দৈহিক ‘ইবাদাত শিক্ষা দেয় এবং যা হালাল হারাম ও সৎকাজে উৎসাহিত করে এবং অসৎ কাজে নিরুৎসাহিত করে সেই মাজলিস উত্তম। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

(وَإِذَا خَلَوْتَ فَحَرِّكْ لِسَانَكَ مَا اسْتَطَعْتَ بِذِكْرِ اللهِ) এর সারকথা হলো : তুমি আল্লাহর জিকর থেকে গাফিল থাকবে না, চাই তুমি জনতার মাঝে থাক বা একাকী থাক।

বাযযার সহীহ সনদে ইবনু ‘আব্বাস  থেকে মারফূ‘ সূত্রে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন, তা হলো-

قَالَ: قَالَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالٰى: يَا ابْنَ آدَمَ إِذَا ذَكَرْتَنِي خَالِيًا ذَكَرْتُكَ خَالِيًا، وَإِذَا ذَكَرْتَنِي فِي مَلَأٍ ذَكَرْتُكَ فِي مَلَأٍ خَيْرٍ مِنَ الَّذِىْ ذَكَرْتَنِي فِيهِمْ

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেনঃ হে আদম সন্তান! যখন তুমি আমাকে নির্জনে স্মরণ করবে তখন আমিও তোমাকে নির্জনে স্মরণ করব। আর যখন তুমি আমাকে স্মরণ করবে কোন মাজলিসে তখন আমি তোমাকে তোমার চেয়ে উত্তম মাজলিসে স্মরণ করব। (কাশফুল আসতার ৪/৬, হাদ/৩০৬৫)

অন্য একটি হাদীসে কুদসীতে মহান আল্লাহ বলেনঃ

أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي وَأَنَا مَعَهٗ إِذَا ذَكَرَنِي فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِه ذَكَرْتُهٗ فِي نَفْسِي وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلَإٍ ذَكَرْتُهٗ فِي مَلَإٍ خَيْرٍ

‘‘আমার বান্দা আমার সম্পর্কে যেরূপ ধারণা করে আমি তেমন আর আমি তার সাথে থাকি যখন সে আমাকে স্মরণ করে, যদি সে আমাকে মনে মনে স্মরণ করে তবে আমিও মনে মনে তাকে স্মরণ করি, যদি সে আমাদের কোন মাজলিসে আমাকে স্মরণ করে তবে আমি তাকে তার চেয়ে উত্তম মাজলিসে স্মরণ করি’’- (বুখারী ৭৪০৫, মুসলিম ৪/২০৬৭)। মনে মনে জিকর করাই হলো উত্তম। এটাকে গোপন জিকর বলা হয়। হাদীসটিতে জিহ্বা নাড়ানোর কথা দ্বারা মন ও ঠোট এক সাথে নাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ লাকীত ইবনু আমের (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

(১১৪৮) লাক্বীত ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, আমার পিতা এত বেশী বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন যে, তিনি না হজ্জ করতে সক্ষম, না উমরা করতে সক্ষম, আর না সফর করতে পারবেন। তিনি বললেন, তুমি তোমার পিতার পক্ষ হতে হজ্জ ও উমরা সম্পাদন কর।

وَعَنْ لَقِيطِ بنِ عَامِرٍ أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ ﷺ فَقَالَ : إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لاَ يَسْتَطِيعُ الحَجَّ وَلاَ العُمْرَةَ وَلاَ الظَّعَنَ ؟ قَالَ حُجَّ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ رواه أَبُو داود والترمذي وقال حَدِيْثٌ حَسَنٌ صَحِيْحٌ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ লাকীত ইবনু আমের (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে