পরিচ্ছেদঃ ৩. শিংগা লাগান সম্পর্কে।
৩৮১৮. মুহাম্মদ ইবন ওযীর দিমাশকী (রহঃ) .... সালমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিচারিকা ছিলেন। তিনি বলেনঃ যখন কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট মাথা ব্যাথার কথা বলতো, তখন তিনি তাকে বলতেনঃ তুমি শিংগা লাগাও। আর যখন কেউ পায়ে ব্যথার কথা বলতো, তখন তিনি তাকে বলতেনঃ তোমার দু’পায়ে মেহেদীর রং লাগাও।
باب فِي الْحِجَامَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَزِيرِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ حَسَّانَ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْمَوَالِي، حَدَّثَنَا فَائِدٌ، مَوْلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ مَوْلاَهُ، عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ جَدَّتِهِ، سَلْمَى خَادِمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ مَا كَانَ أَحَدٌ يَشْتَكِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَعًا فِي رَأْسِهِ إِلاَّ قَالَ " احْتَجِمْ " . وَلاَ وَجَعًا فِي رِجْلَيْهِ إِلاَّ قَالَ " اخْضِبْهُمَا " .
Narrated Salmah:
the maid-servant of the Messenger of Allah (ﷺ), said: No one complained to the Messenger of Allah (ﷺ) of a headache but he told him to get himself cupped, or of a pain in his legs but he told him to dye them with henna.
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৪০-[২৭] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খাদীমাহ্ (সেবিকা) সালমা (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কেউ মাথা ব্যথার অভিযোগ নিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলে তিনি তাকে শিঙ্গা লাগাতে নির্দেশ দিতেন। আর কেউ পায়ের কষ্টের অভিযোগ নিয়ে এলে তাকে তাতে মেহেদী লাগানোর পরামর্শ দিতেন। (আবূ দাঊদ)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
وَعَنْ سَلْمَى خَادِمَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: مَا كَانَ أَحَدٌ يَشْتَكِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَعًا فِي رَأْسِهِ إِلَّا قَالَ: «احْتَجِمْ» وَلَا وَجَعًا فِي رِجْلَيْهِ إِلَّا قَالَ: «اخْتَضِبْهُمَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ (وَجَعًا فِي رَأْسِه) ‘‘তার মাথা ব্যথার’’ মাথা ব্যথা হয় সাধারণত উচ্চ রক্তচাপের কারণে আর (وَجَعًا فِي رِجْلَيْهِ) দুই পা ব্যথার কারণ হলো উত্তাপ বা গরম হয়ে যাওয়ার কারণ।
احْتَجِمْ ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর ‘তারীখে’ উল্লেখ করেছেন যে, মেহেদী দ্বারা প্রলেপ দাও।
মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ হাদীসে সাধারণভাবে নারী-পুরুষ সকলকে মেহেদী লাগানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে পুরুষের উচিত হলো শুধু পায়ের মাঝে লাগানো সীমাবদ্ধ রাখা। আঙ্গুলগুলোতে লাগাবে না যাতে মহিলাদের সাথে সাদৃশ্য হয়ে যায়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৫৪)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৪১-[২৮] উক্ত রাবী [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খাদীমাহ্ সালমা(রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শরীরে যখনই কোন আঘাত লাগত অথবা জখম হত, তখন তিনি আমাকে ঐ স্থানে মেহেদী লাগাতে নির্দেশ দিতেন। (তিরমিযী)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
وعنها قَالَت: مَا كَانَ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُرْحَةٌ وَلَا نَكْبَةٌ إِلَّا أَمَرَنِي أَنْ أَضَعَ عَلَيْهَا الْحِنَّاء. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যাঃ ‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ (قُرْحَةٌ) ‘‘করহাতুন’’ বলা হয়, তরবারি বা চাকুর আঘাতে যে জখমের সৃষ্টি হয় তাকে। যেমন মহান আল্লাহ বলেন, إِنْ يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِثْلُه ‘‘যদি তোমাদের কোন (তরবারি) আঘাত লেগে থাকে’’- (সূরাহ্ আ-লি ‘ইমরান ৩ : ১৪০)।
আর (نَكْبَةٌ) ‘‘নুকবাহ্’’ বলা হয়, পাথর অথবা কাটা ইত্যাদির আঘাতে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় তাকে।
(أَنْ أَضَعَ عَلَيْهَا الْحِنَّاء) ‘‘আমি যেন তার উপর মেহেদী লাগিয় দেই’’ কারণ মেহেদী লাগালে তার শীতলতার কারণে জখমের উত্তাপ হালকা হয়ে যায় এবং রক্তের যন্ত্রণা কমে যায়।
(তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৫৪; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)