পরিচ্ছেদঃ যে হাদীস কোন কোন আলিমকে এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, হাদীসটি হয়তো বুসরার হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক
১১১৬. তলক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা প্রতিনিধি দল হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে যাওয়ার জন্য বের হলাম, এসময় এক ব্যক্তি এসে বললো, “হে আল্লাহর রাসূল কোন ব্যক্তির ওযূ করার পর তার পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করার ব্যাপারে আপনার কী বলবেন?” জবাবে তিনি বলেন, “সেটা একটি অঙ্গ অথবা (রাবীর সন্দেহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন) এটা তার একটি অঙ্গ ব্যতীত অন্য কিছু কী?”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে শক্তিশালী বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১৭৬।)
ذِكْرُ خَبَرٍ أَوْهَمَ عَالَمًا مِنَ النَّاسِ أَنَّهُ مُضَادُّ لِخَبَرِ بُسْرَةَ أَوْ مُعَارِضٌ لَهُ
1116 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ الشَّيْبَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ نَصْرٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا ملازم بن عمرو عن عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَدْرٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَرَجْنَا وَفْدًا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا تَقُولُ فِي مَسِّ الرَّجُلِ ذَكَرَهُ بَعْدَمَا يَتَوَضَّأُ؟ فَقَالَ: (هَلْ هُوَ إِلَّا مُضْغَةٌ ـ أو بَضْعَةٌ ـ منه)
الراوي : طَلْق | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1116 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح.
পরিচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শ করার হুকুমের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃতভাবে স্পর্শ করা উভয়টিই সমান
১১১৭. তলক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে ছিলাম, এমন সময় এক বেদুঈন ব্যক্তি এসে বললো, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাদের কোন ব্যক্তি সালাতে থাকে, অতঃপর তার শরীর চুলকায়, ফলে তার হাত পুরুষাঙ্গে লেগে যায়?” জবাবে তিনি বলেন, “সেটা তোমার একটি অঙ্গ অথবা (রাবীর সন্দেহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন) এটা তোমার এক টুকরো মাংস ব্যতীত অন্য কিছু কী?”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে শক্তিশালী বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১৭৬।)
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ حُكْمَ الْمُتَعَمِّدِ وَالنَّاسِي فِي هذا سواء
1117 - أَخْبَرَنَا ابْنُ قُتَيْبَةَ بِعَسْقَلَانَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي السَّرِيِّ أَخْبَرَنَا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَدْرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ طَلْقٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَاهُ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَحَدَنَا يَكُونُ فِي الصَّلَاةِ فَيَحْتَكُّ فَتُصِيب يَدُهُ ذَكَرَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (وَهَلْ هُوَ إِلَّا بَضْعَةٌ مِنْكَ أَوْ مُضْغَةٌ منك)
الراوي : طَلْق | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1117 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح.
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, কাইস বিন তলক থেকে মুলাযিম বিন আমর ব্যতীত অন্য কোন নির্ভরযোগ্য রাবী হাদীসটি বর্ণনা করেননি
১১১৮. তলক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে যে ব্যক্তি সালাতরত অবস্থায় তার লজ্জাস্থান স্পর্শ করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “এতে কোন দোষ নেই। এটা তোমার শরীরের একটি অঙ্গ বিশেষ।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে শক্তিশালী বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১৭৬।)
ذكر الخبر المدحض قول من زعم أن هَذَا مَا رَوَاهُ ثِقَةٌ عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ خَلَا مُلَازِمِ بْنِ عَمْرٍو
1118 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُنْذِرِ النَّيْسَابُورِيُّ بِمَكَّةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ الْفَرَّاءُ حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ الْوَلِيدِ عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ عَنْ أَبِيهِ: أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الرَّجُلِ يَمَسُّ ذَكَرَهُ وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ قَالَ: (لَا بَأْسَ بِهِ إِنَّهُ لَبْعضُ جَسَدِكَ)
الراوي : طَلْق | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1118 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح.
পরিচ্ছেদঃ তলক বিন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যে সময়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে প্রতিনিধি হিসেবে এসেছিলেন
১১১৯. তলক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে মদীনার মসজিদে নববীর নির্মাণ কাজ করেছি। তিনি বলেন, “তোমরা ইয়ামামার এই ব্যক্তিকে মাটির কাছে যেতে দাও, কেননা সে তোমাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি সুন্দরভাবে মাটি মিশ্রিত করতে পারে।”[1]
আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আমাদের উল্লেখিত তলক বিন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসটি মানসুখ। কেননা তলক বিন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর মদীনায় আগমন হয়েছিল হিজরী প্রথম বছরে, যখন মুসলিমরা মদীনায় মসজিদে নববী নির্মাণ করছিলেন। অপরদিকে আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে ওযূ করা আবশ্যক মর্মে হাদীস বর্ণনা করেছেন, যা আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি। আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সপ্তম হিজরীতে ইসলাম গ্রহণ করেন। কাজেই এটা প্রমাণ করে যে, আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসটি তালক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসের অন্তত সাত বছর পরের।”
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে শক্তিশালী বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকাতুল হিসান: ১১১৯।)
ذِكْرُ الْوَقْتِ الَّذِي وَفَدَ طَلْقُ بْنُ عَلِيٍّ على رسول الله صلى الله عليه وسلم
1119 - أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ قَالَ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ بْنُ مُسَرْهَدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنَا جَدِّي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَدْرٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: بَنَيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَسْجِدَ الْمَدِينَةِ فَكَانَ يَقُولُ: (قَدِّمُوا الْيَمَامِي مِنَ الطِّينِ فَإِنَّهُ مِنْ أَحْسَنِكُمْ لَهُ مَسًّا.
الراوي : طَلْق | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1119 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: خَبَرُ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ خَبَرٌ مَنْسُوخٌ لِأَنَّ طَلْقَ بْنَ عَلِيٍّ كَانَ قُدُومُهُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلَ سَنَةٍ مِنْ سِنِيِّ الْهِجْرَةِ حَيْثُ كَانَ الْمُسْلِمُونَ يَبْنُونَ مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ وَقَدْ رَوَى أَبُو هُرَيْرَةَ إِيجَابَ الْوُضُوءِ مِنْ مَسِّ الذَّكَرِ عَلَى حَسَبِ مَا ذَكَرْنَاهُ قَبْلُ وَأَبُو هُرَيْرَةَ أَسْلَمَ سَنَةَ سَبْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ خَبَرَ أَبِي هُرَيْرَةَ كَانَ بَعْدَ خَبَرِ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ بسبع سنين.
পরিচ্ছেদঃ তলক বিন আলী রাদিআল্লাহু আনহু মদীনায় আগমন করার পর আবার স্বদেশে ফিরে যান মর্মে সুস্পষ্ট হাদীস
১১২০. তলক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা বানু হানীফ গোত্রের পাঁচজন এবং এবং বানু যুবাইআহ বিন রাবী‘আহ গোত্রের একজন প্রতিনিধি হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাছে যাওয়ার জন্য বের হই, আমরা আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাছে পৌঁছে তাঁর হাতে বাই‘আত গ্রহণ করি এবং সালাত আদায় করি। আমরা তাঁকে জানাই যে, আমাদের এলাকায় আমাদের একটি গীর্জা রয়েছে। আমরা তাঁর কাছে তাঁর পবিত্রতা অর্জনের পর অবশিষ্ট পানি হাদিয়া চাইলে তিনি পানি আনতে বলেন, অতঃপর তা দিয়ে তিনি ওযূ করেন, কুলি করেন এবং অবশিষ্ট পানি আমাদের জন্য একটি পাত্রে ঢেলে দেন। তারপর তিনি বলেন, “তোমরা এই পানি নিয়ে যাও। যখন তোমরা তোমাদের দেশে যাবে, তখন তোমরা তোমদের গীর্জা ভেঙ্গে ফেলবে, তারপর তোমরা সেই জায়গায় এই পানি ছিটিয়ে দিবে এবং সেখানে একটি মাসজিদ তৈরি করবে।” আমরা বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, “আমাদের দেশ তো অনেক দূরে, এই পানি তো শুকিয়ে যাবে।” জবাবে তিনি বলেন, “তোমরা এই পানির সাথে অন্য পানির সহযোগিতা নিবে। কেননা এতে এই পানির পবিত্রতা বরং আরো বৃদ্ধিই পাবে।” অতঃপর আমরা বের হলাম এবং আমাদের মাঝে কে এই পানির পাত্র বহন করবে তা নিয়ে আমরা নিজেরা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হলাম। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সবাইকে এক দিন এক রাত সময়ব্যাপী তা বহন করার জন্য পালা বন্টন করে দিলেন।
এভাবে আমরা বের হলাম এমনকি আমরা আমাদের দেশে পৌঁছলাম এবং তিনি আমাদের যে আদেশ করেছিলেন, তা প্রতিপালন করলাম। আমাদের এই সম্প্রদায়ের জন্য তই গোত্রের একজন পাদ্রী ছিল। আমরা সালাতের আযান দিলাম, তখন পাদ্রী বললো, “এটি হক আহবান”, তারপর সে পালিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তাকে আর দেখা য়ায়নি ।“[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই হাদীসে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে যে, তলক বিন আলী এই আগমনের পর, যেই আগমনের সময় আমরা উল্লেখ করলাম, তিনি তাঁর দেশে ফিরে যান, তারপর তিনি আবার মদীনায় এসেছেন, এটা জানা যায় না। কাজেই যে ব্যক্তি দাবী করবে যে, তিনি এরপর আবার মদীনায় এসেছিলেন, তবে তার জন্য আবশ্যক হলো এই মর্মে সুস্পষ্ট হাদীস নিয়ে আসা। আর এমন হাদীস নিয়ে আসার কোন উপায় নেই।”
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ২৫৮২।)
ذِكْرُ الْخَبَرِ الْمُصَرِّحِ بِرُجُوعِ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ إِلَى بَلَدِهِ بَعْدَ قَدْمتِهِ تِلْكَ
1120 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ قَالَ: حَدَّثَنَا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَدْرٍ الْحَنَفِيُّ عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَرَجْنَا سِتَّةً وَفْدًا إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم خمسة من نبي حَنِيفَةَ وَرَجُلٌ مِنْ بَنِي ضُبَيْعَةَ بْنِ رَبِيعَةَ حَتَّى قَدِمْنَا عَلَى نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَايَعْنَاهُ وَصَلَّيْنَا مَعَهُ وَأَخْبَرْنَاهُ أَنَّ بأرضنا بيعة لنا واستوهبناه من فضل طهوره فَدَعَا بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ مِنْهُ وَتَمَضْمَضَ وصبَّ لَنَا فِي إِدَاوَةٍ ثُمَّ قَالَ: (اذْهَبُوا بِهَذَا الْمَاءِ فَإِذَا قَدِمْتُمْ بَلَدَكُمْ فَاكْسِرُوا بِيعَتَكُمْ ثُمَّ انْضَحُوا مَكَانَهَا مِنْ هَذَا الْمَاءِ وَاتَّخِذُوا مَكَانَهَا مَسْجِدًا) فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ الْبَلَدُ بَعِيدٌ وَالْمَاءُ يَنْشَفُ قَالَ:
(فأمِدُّوه مِنَ الْمَاءِ فَإِنَّهُ لَا يَزِيدُهُ إِلَّا طِيبًا) فَخَرَجْنَا فَتَشَاحَحْنَا عَلَى حَمْلِ الْإِدَاوَةِ أَيُّنَا يَحْمِلُهَا فَجَعَلَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَوْبًا لِكُلِّ رَجُلٍ مِنَّا يَوْمًا وَلَيْلَةً فَخَرَجْنَا بِهَا حَتَّى قَدِمْنَا بَلَدَنَا فَعَمِلْنَا الَّذِي أَمَرَنَا ورَاهِبُ ذَلِكَ الْقَوْمِ رَجُلٌ من طيىء فَنَادَيْنَا بِالصَّلَاةِ فَقَالَ الرَّاهِبُ: دَعْوَةُ حَقٍّ ثُمَّ هرب فلم يُرَ بعد.
الراوي : طَلْق | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1120 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: فِي هَذَا الْخَبَرِ بَيَانٌ وَاضِحٌ أَنَّ طَلْقَ بْنَ عَلِيٍّ رَجَعَ إِلَى بَلَدِهِ بَعْدَ الْقِدْمَةِ الَّتِي ذَكَرْنَا وَقْتَهَا ثُمَّ لَا يُعْلَمُ لَهُ رُجُوعٌ إِلَى الْمَدِينَةِ بَعْدَ ذَلِكَ فَمَنِ ادَّعَى رُجُوعَهُ بَعْدَ ذَلِكَ فَعَلَيْهِ أَنْ يَأْتِيَ بِسُنَّةٍ مُصَرِّحَةٍ وَلَا سَبِيلَ لَهُ إِلَى ذَلِكَ.