পরিচ্ছেদঃ ৫৬: উপবাস, রুক্ষ ও নীরস জীবন যাপন করা, পানাহার ও পোশাক ইত্যাদি মনোরঞ্জনমূলক বস্তুতে অল্পে তুষ্ট হওয়া এবং প্রবৃত্তির দাসত্ব বর্জন করার মাহাত্ম্য
১৩/৫০৮। মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ’আমার এ অবস্থা ছিল যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মিম্বর এবং আয়েশা রাদিয়াল্লাহুআনহার কক্ষের মধ্যস্থলে (ক্ষুধার জ্বালায়) বেহুশ হয়ে পড়ে থাকতাম। অতঃপর আগন্তুক আসত এবং আমাকে পাগল মনে করে সে তার পা আমার গর্দানের উপর রাখত, অথচ আমার মধ্যে কোন পাগলামি ছিল না। কেবলমাত্র ক্ষুধা ছিল। (যার তীব্রতায় আমি চৈতন্য হারিয়ে ফেলতাম!)’ (বুখারী) [1]
بَابُ فَضْلِ الْجُوْعِ وَخُشُوْنَةِ الْعَيْشِ وَالْاِقْتِصَارِ عَلَى الْقَلِيْلِ مِنَ الْمَأْكُوْلِ وَالْمَشْرُوْبِ وَالْمَلْبُوْسِ وَغَيْرِهَا مِنْ حُظُوْظِ النَّفْسِ وَتَرْكِ الشَّهَوَاتِ - (56)
وَعَن مُحَمَّدِ بنِ سِيرِينَ، عَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: لَقَدْ رَأيْتُنِي وَإنِّي لأَخِرُّ فِيمَا بَيْنَ مِنْبَرِ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى حُجْرَةِ عائِشَةَ رضي الله عنها مَغْشِيّاً عَلَيَّ، فَيَجِيءُ الجَائِي، فَيَضَعُ رِجْلَهُ عَلَى عُنُقِي، وَيَرَى أنِّي مَجْنُونٌ وَمَا بِي مِنْ جُنُونٍ، مَا بِي إِلاَّ الْجُوعُ . رواه البخاري
(56) Chapter: Excellence of Simple Living and being Content with Little
Muhammad bin Sirin (May Allah be pleased with him) reported:
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said: "I would fall in swoon between the pulpit of (the mosque of) Messenger of Allah (ﷺ) and the chamber of 'Aishah (May Allah be pleased with her) and every passer-by would put his foot on my neck thinking I was insane. I was not insane but I was awfully hungry."
[Al- Bukhari].
Commentary: The Hadith throws light on the poverty of the Companions as well as their self-respect, patience and contentment which prevented them from begging people.
পরিচ্ছেদঃ ৭: হলুদ রং এবং মেটে রং (হায়যের নয়)
৩৬৮. ’আমর ইবনু যুরারাহ্ (রহ.) ..... মুহাম্মাদ [ইবনু সিরীন] (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মু ’আতিয়্যাহ্ (রাঃ) বলেছেন, আমরা হলুদ রং এবং মেটে রংয়ের রক্তকে হায়যের কোন জিনিস বলে মনে করতাম না।
باب الصفرة والكدرة
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، قال: أَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قال: قالت أُمُّ عَطِيَّةَ: كُنَّا لَا نَعُدُّ الصُّفْرَةَ وَالْكُدْرَةَ شَيْئًا .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/الحیض ۲۵ (۳۲۶)، سنن ابی داود/الطھارة ۱۹۹ (۳۰۸)، سنن ابن ماجہ/فیہ ۱۲۷ (۶۴۷)، (تحفة الأشراف ۱۸۰۹۶) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 368 - صحيح
7. Yellowish And Brownish Discharge
It was narrated that Muhammad said: Umm 'Atiyah said: 'We used not to regard yellowish and brownish discharge as anything important.'
পরিচ্ছেদঃ ২২: যে দু' রাক'আতের পরে ভুলে সালাম ফিরিয়ে ফেলল এবং কথা বলে ফেলল সে কি করবে?
১২২৪. হুমায়দ ইবনু মাস’আদাহ (রহ.) ..... মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলেছেন, নবী (সা.) আমাদের সাথে নিয়ে অপরাহ্নে (যুহর ও ’আসর) দু’ সালাতের এক সালাত আদায় করলেন। রাবী বলেন, আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেছেন যে, তবে কোন্ সালাত তা আমি ভুলে গিয়েছি। এরপর তিনি বলেন, নবী (সা.) আমাদেরসহ দু’রাকআত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন। অতঃপর মসজিদের প্রস্থে রাখা একটি কাঠ খণ্ডের দিকে অগ্রসর হয়ে তাতে এমনভাবে ঠেস দিলেন যেন তিনি রাগান্বিত, আর সব কাজে আগে থাকা সাহাবীগণ মসজিদের দরজা দিয়ে বের হয়ে গেলেন এবং বলতে লাগলেন, সালাত কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে? তাঁদের মধ্যে আবু বাকর এবং ’উমার (রাঃ)-ও ছিলেন। তারা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সঙ্গে কথা বলতে সংকোচবোধ করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আরও একজন সাহাবী ছিলেন যার হাত কিছুটা লম্বা ছিল। (রাবী বলেন) তাঁকে যুলইয়াদায়ন! (দু’ হাত বিশিষ্ট) বলা হত। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি ভুলে গেছেন, না সালাত সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে? রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি ভুলেও যাইনি এবং সালাত সংক্ষিপ্তও হয়নি। রাবী বলেন, এরপর নবী (সা.) সমবেত সাহাবীগণকে জিজ্ঞেস করলেন, যুলইয়াদায়ন যা বলেছে তা কি ঠিক? সাহাবীগণ বললেন, হ্যা। অতঃপর তিনি মুসল্লাতে ফিরে আসলেন এবং যা ছুটে গিয়েছিল তা আদায় করে সালাম ফিরালেন এবং তাকবীর বলে পূর্বের মতো বা তার চেয়েও লম্বা সিজদা করলেন। তারপর মাথা উঠিয়ে তাকবীর বললেন আবার তাকবীর বলে পূর্বের মতো বা তার চেয়েও দীর্ঘ আরও একটা সিজদা করলেন। পরে মাথা উঠিয়ে তাকবীর বললেন।
مَا يَفْعَلُ مَنْ سَلَّمَ مِنْ رَكْعَتَيْنِ نَاسِيًا وَتَكَلَّمَ
أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ وَهُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ: قَالَأَبُو هُرَيْرَةَ: صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِحْدَى صَلَاتَيِ الْعَشِيِّ، قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: وَلَكِنِّي نَسِيتُ، قَالَ: فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ فَانْطَلَقَ إِلَى خَشَبَةٍ مَعْرُوضَةٍ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالَ: بِيَدِهِ عَلَيْهَا كَأَنَّهُ غَضْبَانُ وَخَرَجَتِ السَّرَعَانُ مِنْ أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ، فَقَالُوا: قُصِرَتِ الصَّلَاةُ وَفِي الْقَوْمِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَهَابَاهُ أَنْ يُكَلِّمَاهُ وَفِي الْقَوْمِ رَجُلٌ فِي يَدَيْهِ طُولٌ، قَالَ: كَانَ يُسَمَّى ذَا الْيَدَيْنِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَسِيتَ أَمْ قُصِرَتِ الصَّلَاةُ، قَالَ: لَمْ أَنْسَ وَلَمْ تُقْصَرِ الصَّلَاةُ ، قَالَ: وَقَالَ: أَكَمَا قَالَ ذُو الْيَدَيْنِ ، قَالُوا: نَعَمْ، فَجَاءَ فَصَلَّى الَّذِي كَانَ تَرَكَهُ، ثُمَّ سَلَّمَ، ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ، ثُمَّ كَبَّرَ، ثُمَّ سَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ كَبَّرَ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/الصلاة ۸۸ (۴۸۲)، والحدیث عند: صحیح البخاری/ سنن ابی داود/الصلاة ۱۹۵ (۱۰۱۱)، (تحفة الأشراف: ۱۴۴۶۹)، ویأتي عند المؤلف برقم: ۱۲۳۶، سنن ابن ماجہ/الإقامة ۱۳۴ (۱۲۱۴)، مسند احمد ۲/۴۳۵، سنن الدارمی/الصلاة ۱۷۵ (۱۵۳۷) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1225 - صحيح