পরিচ্ছেদঃ ২২. পেশাবের পর অযু করা প্রসঙ্গে
৪২। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেশাব করলেন। সে সময় ’উমার (রাঃ) পানি ভর্তি একটি লোটা নিয়ে তাঁর পিছনে দাঁড়ালেন। তিনি বললেন, হে ’উমার! এই লোটা কেন? ’উমার (রাঃ) বলেন, আপনার অযুর পানি। তিনি বললেন, পেশাব করলেই অযু করতে হবে, আমাকে এরূপ নির্দেশ দেয়া হয়নি! আমি এরূপ করলে তা অবশ্যই (অবশ্য পালনীয়) সুন্নাত হয়ে যাবে।[1]
দুর্বল: মিশকাত ৩৬৮।
باب فِي الاِسْتِبْرَاءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ الْمُقْرِئُ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يَحْيَى التَّوْأَمُ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْقُوبَ التَّوْأَمُ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ بَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَامَ عُمَرُ خَلْفَهُ بِكُوزٍ مِنْ مَاءٍ فَقَالَ " مَا هَذَا يَا عُمَرُ". فَقَالَ هَذَا مَاءٌ تَتَوَضَّأُ بِهِ. قَالَ " مَا أُمِرْتُ كُلَّمَا بُلْتُ أَنْ أَتَوَضَّأَ وَلَوْ فَعَلْتُ لَكَانَتْ سُنَّةً".
- ضعيف : المشكاة ٣٦٨
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The Prophet (ﷺ) urinated and Umar was standing behind him with a jug of water. He said: What is this, Umar? He replied: Water for you to perform ablution with. He said: I have not been commanded to perform ablution every time I urinate. If I were to do so, it would become a sunnah.
পরিচ্ছেদঃ ২৭. একজনের মিসওয়াক অন্যজনে ব্যবহার করা প্রসঙ্গে
৫০। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিসওয়াক করছিলেন। তখন তাঁর নিকট এমন দু’ ব্যক্তি ছিল যাদের একজন অপরজনের অপেক্ষা বয়োজ্যেষ্ঠ। এমন সময় তাঁর নিকট মিসওয়াক করার ফাযীলাত সম্পর্কে ওয়াহী নাযিল হলোঃ দু’জনের মধ্যে যে বড় তাকে মিসওয়াক দিন।[1]
সহীহ।
-
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
অন্যের মিসওয়াক ব্যবহার করা জায়িয। তবে এক্ষেত্রে আদব হচ্ছে উপস্থিত লোকদের মধ্যকার যিনি বয়সে বেশি বড় তিনি সর্বপ্রথম তা ব্যবহারের হাক্বদার। তারপর পর্যায়ক্রমে তার চেয়ে বয়সে ছোট ব্যক্তিরা ব্যবহার করবেন। সালাম, পবিত্রতা অর্জন, সুগন্ধি ব্যবহার এবং অনুরূপ অন্যান্য কাজের এটাই সুন্নাতী পদ্ধতি।
باب فِي الرَّجُلِ يَسْتَاكُ بِسِوَاكِ غَيْرِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَنُّ وَعِنْدَهُ رَجُلَانِ أَحَدُهُمَا أَكْبَرُ مِنَ الآخَرِ فَأُوحِيَ إِلَيْهِ فِي فَضْلِ السِّوَاكِ " أَنْ كَبِّرْ " . أَعْطِ السِّوَاكَ أَكْبَرَهُمَا . قَالَ أَحْمَدُ - هُوَ ابْنُ حَزْمٍ - قَالَ لَنَا أَبُو سَعِيدٍ هُوَ ابْنُ الأَعْرَابِيِّ هَذَا مِمَّا تَفَرَّدَ بِهِ أَهْلُ الْمَدِينَةِ
- صحيح
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The Messenger of Allah (ﷺ) was using the tooth-stick, when two men, one older than the other, were with him. A revelation came to him about the merit of using the tooth-stick. He was asked to show proper respect and give it to the elder of the two.
পরিচ্ছেদঃ ২৮. মিসওয়াক ধৌত করা
৫২। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিসওয়াক করে তা ধোয়ার জন্য আমাকে দিতেন। আমি নিজে প্রথমে তা দিয়ে মিসওয়াক করতাম, অতঃপর সেটা ধুয়ে তাঁকে দিতাম।[1]
হাসান।
باب غَسْلِ السِّوَاكِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ الْحَاسِبُ، حَدَّثَنِي كَثِيرٌ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: كَانَ نَبِيُّ اللهِ صلي الله عليه وسلم يَسْتَاكُ، فَيُعْطِينِي السِّوَاكَ لأَغْسِلَهُ، فَأَبْدَأُ بِهِ فَأَسْتَاكُ، ثُمَّ أَغْسِلُهُ، وَأَدْفَعُهُ إِلَيْهِ .
- حسن
'Aishah narrated:
"The Prophet of Allah (ﷺ) would clean his teeth with the Siwak, then he would give me the Siwak in order to wash it. So I would first use it myself, then wash it and return it.
পরিচ্ছেদঃ ২৯. মিসওয়াক করা স্বভাবসুলভ কাজ (ফিতরাত)
৫৩। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দশটি কাজ মানুষের ফিতরাত বা স্বভাবসুলভ (১) গোঁফ কাটা, (২) দাড়ি ছেড়ে দেয়া, (৩) মিসওয়াক করা, (৪) পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করা, (৫) নখ কাটা, (৬) আঙ্গুলের জোড়াসমূহ ধোয়া, (৭) বগলের পশম তুলে ফেলা, (৮) নাভির নিচের পশম চেঁছে ফেলা, (৯) পানি দিয়ে ইস্তিনজা করা। মুস’আব বলেন, দশম কাজটি আমি ভুলে গেছি। সম্ভবতঃ সেটি হলো, কুলি করা।[1]
হাসান : মুসলিম।
باب السِّوَاكِ مِنَ الْفِطْرَةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " عَشْرٌ مِنَ الْفِطْرَةِ: قَصُّ الشَّارِبِ، وَإِعْفَاءُ اللِّحْيَةِ، وَالسِّوَاكُ، وَالاِسْتِنْشَاقُ، بِالْمَاءِ، وَقَصُّ الأَظْفَارِ، وَغَسْلُ الْبَرَاجِمِ، وَنَتْفُ الإِبِطِ، وَحَلْقُ الْعَانَةِ، وَانْتِقَاصُ الْمَاءِ " . يَعْنِي الاِسْتِنْجَاءَ بِالْمَاءِ . قَالَ زَكَرِيَّا قَالَ مُصْعَبٌ وَنَسِيتُ الْعَاشِرَةَ إِلَّا أَنْ تَكُونَ الْمَضْمَضَةَ .
- حسن : م
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Ten are the acts according to fitrah (nature): clipping the moustache, letting the beard grow, using the tooth-stick, cleansing the nose (Al-Istinshaq) with water, cutting the nails, washing the finger joints, plucking the hair under the arm-pits, shaving the pubes, and cleansing one's private parts (after easing or urinating) with water. The narrator said: I have forgotten the tenth, but it may have been rinsing the mouth.
পরিচ্ছেদঃ ৩০. রাত্রী জাগরণকারীর মিসওয়াক করা
৫৬। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য অযুর পানি ও মিসওয়াক রেখে দেয়া হতো। তিনি রাতে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে ইস্তিনজা করতেন, এরপর মিসওয়াক করতেন।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب السِّوَاكِ لِمَنْ قَامَ مِنَ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ يُوضَعُ لَهُ وَضُوءُهُ وَسِوَاكُهُ، فَإِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ تَخَلَّى، ثُمَّ اسْتَاكَ .
- صحيح : م
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
Ablution water and tooth-stick were placed by the side of the Prophet (ﷺ). When he got up during the night (for prayer), he relieved himself, then he used the tooth-stick.
পরিচ্ছেদঃ ৩০. রাত্রী জাগরণকারীর মিসওয়াক করা
৫৭। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে বা দিনে যখনই ঘুম থেকে জাগতেন, অযুর পূর্বে মিসওয়াক করতেন।[1]
হাসান: (ولا نهار) কথাটি বাদে।
-
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর মিসওয়াক করা মুস্তাহাব।
باب السِّوَاكِ لِمَنْ قَامَ مِنَ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أُمِّ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ لَا يَرْقُدُ مِنْ لَيْلٍ وَلَا نَهَارٍ فَيَسْتَيْقِظُ إِلَّا تَسَوَّكَ قَبْلَ أَنْ يَتَوَضَّأَ .
- حسن ، دون قوله : (ولا نهار)
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The Prophet (ﷺ) did not get up after sleeping by night or by day without using the tooth-stick before performing ablution.
পরিচ্ছেদঃ ৩৯. স্ত্রীলোকের ব্যবহারের অবশিষ্ট পানি দিয়ে (পুরুষের) অযু করা
৭৭। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয়ে জুনুবী অবস্থায় একই পাত্র থেকে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
-
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১। জুনুবী ব্যক্তি (প্রকৃতপক্ষে) অপবিত্র নন।
২। নারীর ব্যবহৃত পানির অতিরিক্তাংশ পুরুষের ব্যবহৃত অতিরিক্তাংশের মতই।
৩। এক পাত্র থেকে দু’ ব্যক্তির গোসল করা জায়িয।
باب الْوُضُوءِ بِفَضْلِ وَضُوءِ الْمَرْأَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللهِ، صلي الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ وَنَحْنُ جُنُبَانِ .
- صحيح : ق
Narrated Aishah :
I and the Messenger of Allaah ( sal Allaahu alayhi wa sallam ) took a bath from one vessel while we were sexually defiled.
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. অযুর জন্য যতটুকু পানি যথেষ্ট
৯২। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ’সা’ পানি দিয়ে গোসল করতেন এবং এক ’মুদ্’ পানি দিয়ে অযু করতেন।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ আবান কাতাদাহ সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি সাফিয়্যা (রাঃ) থেকে শুনেছি।[1]
সহীহ।
باب مَا يُجْزِئُ مِنَ الْمَاءِ فِي الْوُضُوءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ وَيَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ أَبَانُ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ سَمِعْتُ صَفِيَّةَ .
- صحيح
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The Prophet (ﷺ) used to wash himself with a sa' (of water) and perform ablution with a mudd (of water).
Abu Dawud said: This tradition has also been narrated by Aban on the authority of Qatadah. In this version he said: "I herd safiyyah."
পরিচ্ছেদঃ ৪৭. তামার পাত্রে অযু করা
৯৯। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]
সহীহ।
باب الْوُضُوءِ فِي آنِيَةِ الصُّفْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، أَنَّ إِسْحَاقَ بْنَ مَنْصُورٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم نَحْوَهُ
This tradition has also been narrated on the authority of ‘A’ishah through a different chain.
পরিচ্ছেদঃ ৬৯. চুমো দিলে অযু করা প্রসঙ্গে
১৭৮। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চুমো দিয়েছেন, কিন্তু এ জন্য অযু করেননি। [1]
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ফিরয়াবী এবং অন্যরাও হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেন, এটি মুরসাল হাদীস। কারণ ইব্রাহীম আত-তাইমী ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে কিছুই শোনেননি। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেন, ইব্রাহীম আত-তাইমী চল্লিশ বছরে পদার্পণের আগেই মৃত্যু বরণ করেন। তার কুনিয়াত ছিল আবূ আসমা।
-
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ স্বামী স্ত্রীকে চুমু দিলে উযু ভঙ্গ হয় না (যদি মযী বা বীর্য নির্গত না হয়)।
باب الْوُضُوءِ مِنَ الْقُبْلَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي رَوْقٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَبَّلَهَا وَلَمْ يَتَوَضَّأْ .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا رَوَاهُ الْفِرْيَابِيُّ وَغَيْرُهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ مُرْسَلٌ إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عَائِشَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ وَلَمْ يَبْلُغْ أَرْبَعِينَ سَنَةً وَكَانَ يُكْنَى أَبَا أَسْمَاءَ .
- صحيح
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The Prophet (ﷺ) kissed me and did not perform ablution.
Abu Dawud said: This tradition is Mursal (i.e. where the link of the Companions is missing and the Successor reports from the Prophet directly). Ibrahim at-Taimi did not hear anything from 'Aishah.
Abu Dawud said: Al-Firyabi and other narrated this tradition in a like manner.
পরিচ্ছেদঃ ৬৯. চুমো দিলে অযু করা প্রসঙ্গে
১৭৯। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন এক স্ত্রীকে চুমো দিলেন, অতঃপর সালাত আদায়ের জন্য বের হলেন, কিন্তু অযু করলেন না। ’উরওয়াহ বলেনঃ আমি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বললাম, ’সেই স্ত্রী আপনি নন কি? ফলে তিনি হেসে দিলেন।[1]
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, সুলাইমান আল-আ’মাশ সূত্রে যায়িদাহ এবং ’আবদুল হামীদ আল-হিম্মানী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب الْوُضُوءِ مِنَ الْقُبْلَةِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَبَّلَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلَاةِ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ . قَالَ عُرْوَةُ فَقُلْتُ لَهَا مَنْ هِيَ إِلَّا أَنْتِ فَضَحِكَتْ .
- صحيح
قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَكَذَا رَوَاهُ زَائِدَةُ وَعَبْدُ الْحَمِيدِ الْحِمَّانِيُّ عَنْ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشِ
'Aishah reported:
The Prophet (ﷺ) kissed one of his wives and went out for saying prayer. He did not perform ablution. 'Urwah said: I said to her: Who is she except you! Thereupon she laughed. Abu Dawud said: The same version has been reported through a different chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ৬৯. চুমো দিলে অযু করা প্রসঙ্গে
১৮০। ’উরওয়াহ আল-মুযানী ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ’মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ’ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সালাতের জন্যই অযু করবে।’ ইয়াহ্ইয়াহ্ ঐ ব্যক্তিকে আরো বলেন, তুমি আমার সূত্রে বর্ণনা কর যে, (আ’মাশের সূত্রে বর্ণিত) উপরোক্ত হাদীসদ্বয় দূর্বল।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, সাওরী বলেছেন, হাবীব আমাদের কাছে কেবল ’উরওয়াহ আল-মুযানীর সূত্রেই হাদীস বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ তিনি তাদের কাছে ’উরওয়াহ ইবনুয যুবাইরের সূত্রে কোন হাদীস বর্ণনা করেননি। আবূ দাউদ আরো বলেন, অবশ্য হামযাহ আয-যাইয়্যাত, হাবীব এবং ’উরওয়াহ ইবনু যুবাইরের থেকে ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে একটি সহীহ হাদীস বর্ণনা করেছেন।[1]
মাসআলাহঃ স্ত্রীকে স্পর্শ করলে উযু ভঙ্গ হয় কি না?
* উযু নষ্ট হওয়ার পক্ষে দলীলসমূহঃ
এ মতের পক্ষে গিয়েছেন তারা, যাদের ধারণা কুরআনুল কারীমে او لامستم النساء فلم تجد ماء فتيمموا আয়াতে বর্ণিত লাম্স তথা স্পর্শ করার অর্থ হচ্ছে সহবাস ছাড়া অন্য কিছু। যেমন, হাত দ্বারা স্পর্শ করা ও ঠেলা দেয়া। এ মতের পক্ষের দলীলসমূহ নিম্নরূপঃ
(ক) ‘আব্দুর রাহমান ইবনু আবূ লায়লাহ থেকে মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসা ছিলেন। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোনো ব্যক্তি যদি তার জন্য বৈধ নয় এমন কোনো মহিলার সাথে এমন সব কাজ করে, যা তার নিজের স্ত্রীর সাথে করে থাকে। অর্থাৎ সহবাস ছাড়া কোনো কাজই সে বাকী রাখল না, তাহলে তার হুকুম কি? জবাবে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ উত্তমরূপে উযু করবে অতঃপর উঠে সালাত আদায় করবে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা اقم الصلاة طرفي النهار وزلفا من الليل আয়াতটি নাযিল করলেন। এরপর মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) বললেন, এ হুকুম কি তার জন্য খাস না কি সমস্ত মুসলিমের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না, বরং সকল মুসলিমের জন্য প্রযোজ্য। (দারাকুতনী, বায়হাক্বী, হাকিম, তিনি এতে নিরব থেকেছেন। ইমাম তিরমিযীও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তাফসীর অধ্যায়ে সূরাহ ১১, অনুঃ ৫ তিনি বলেন, এ হাদীসের সানাদ মুত্তাসিল নয়। কারণ ‘আব্দুর রাহমান ইবনু আবূ লায়লাহ হাদীসটি মু‘আয ইবনু জাবাল থেকে শুনেননি)।
হাদীসটিতে বহু উদ্দেশ্যের সম্ভাবনা রয়েছে। তা হলোঃ হতে পারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বরকতের জন্য এবং গুনাহ মোচনের জন্য উযু করার হুকুম দিয়েছেন উযু ভঙ্গ হওয়ার কারণে নয়। সেজন্যই তিনি তাকে বলেছেন ‘তুমি উত্তমরূপে উযু করে নিবে। কেননা হাদীসে আছে কোনো পাপ করার পর উযু করে দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করলে পা দূরিভূত হয়। অথবা লোকটির মযী নির্গত হয়েছিল, সেজন্য উযুর নির্দেশ দিয়েছেন। অথবা লোকটি সালাতের শর্ত জানতে চেয়েছিল। হাদীসে তো এ কথার প্রমাণ নেই যে, লোকটি প্রথমে উযু অবস্থায় ছিলো, তারপর স্বীয় নারীকে স্পর্শ করার কারণে তার উযু ভঙ্গ হয়ে গেছে। সুতরাং যখন কোনো হাদীস বিভিন্ন অর্থের সম্ভাবনা রাখে সেই হাদীস নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের দলীল হতে পারে না।
(খ) আবূ ‘উবাইদাহ বর্ণনা করেন, ইবনু মাসঊদ বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তি হাত দ্বারা স্বীয় স্ত্রীকে স্পর্শ করলে এবং চুম্বন করলে উযু করতে হবে। তিনি او لامستم النساء আয়াতের ব্যাখ্যায় বলতেন, এর অর্থ হচ্ছে হাত দ্বারা ঠেলা বা স্পর্শ করা, (ত্বাবারানী ‘কাবীর, আবূ উবাইদ (রহঃ) পিতা থেকে শ্রবণ করেননি, মাজমাউয যাওয়ায়িদ)। ইবনু মাসঊদ সূত্রে ‘মাসমাউয যাওয়ায়িদ’ গ্রন্থে আরো রয়েছেঃ ইবনু মাসঊদ বলেনঃ মুলামাসা হলো পুরুষ কর্তৃক স্বীয় স্ত্রীর কামোদ্দীপনার সাথে স্পর্শ করা। এতে উযু ওয়াজিব হবে।’’ এর সনদে হাম্মাদ ইবনু সুলায়মান রয়েছে। তার দ্বারা দলীল গ্রহণে মতভেদ রয়েছে। তবে ইবনুমাঊদ থেকে এ বিষয়ে সহীহ আসার রয়েছে।
(গ) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাতের যিনা হচ্ছে স্পর্শ করা। (বায়হাক্বী)
(ঘ) মাঈয এর কিস্সাঃ সম্ভবতঃ তুমি চুম্বন করেছো অথবা স্পর্শ করেছো। (নায়লুল আওত্বার)
(ঙ) ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেনঃ লামস হচ্ছে সহবাস ব্যতীত অন্য কিছু। তাই কেউ স্ত্রীকে স্পর্শ করলে তাকে উযু করতে হবে- (বায়হাক্বী)। কিন্তু আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছেঃ তার নিকট যখন ‘চুমু দিলে উযু করতে হয়’ ইবনু উমারের এ বক্তব্য পৌঁছে তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযা অবস্থায় নিজ স্ত্রীকে চুম্বন করতেন। কিন্তু এরপর উযু করতেন না। (দারাকুতনী, হাসান)।
এছাড়া বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরাতে’ ইবনু মাসঊদ, ইবনু উমার ও উমার (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ আসার বর্ণিত আছে। অর্থাৎ তাঁদের মতে, আয়াতে লামস দ্বারা সহবাস উদ্দেশ্য নয়। অতঃপর ইমাম বায়হাক্বী উল্লেখ করেন যে, ইবনু আব্বাস (রাঃ) তাদের বিপরীত মত দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ এর দ্বারা সহবাস উদ্দেশ্য। সুতরাং স্ত্রীকে স্পর্শ করলে উযু জরুরী নয়। ইবনু আব্দুল বার উমার বর্ণিত আসারকে দুর্বল বলেছেন। তিনি বলেন, এটা তাদের ভুল। আসারটি ইবনু ‘উমার সূত্রে সঠিক, উমার সূত্রে নয়। (দেখুন, নাসবুর রায়াহ)
* উযু নষ্ট না হওয়ার পক্ষে বর্ণিত দলীলসমূহঃ
এ মতের পক্ষে গিয়েছেন তারা, যাদের ধারণা কুরআনুল কারীমের। او لامستم النساء فلم تجد ماء فتيمموا আয়াতে বর্ণিত লামস তথা স্পর্শ করার অর্থ হচ্ছে সহবাস। এ মতটিই বেশি মজবুত ও সঠিক। এর পক্ষে বর্ণিত দলীলসমূহ নিম্নরূপঃ
(ক) ‘উরওয়াহ থেকে আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো তাঁর কোনো স্ত্রীকে চুম্বন করতেন, অতঃপর সালাত আদায় করতেন কিন্তু উযু করতেন না।’’ উরওয়াহ বিন যুবায়র বলেন, সেই স্ত্রী আপনি ছাড়া আর কেই বা হবেন, এ কথা শুনে আয়িশাহ (রাঃ) হেসে দিলেন। (সহীহ ইবনু মাজাহ ৪১২, সুনান আবূ দাঊদ ১৭৯, সহীহ তিরমিযী, সহীহ সুনান নাসায়ী, আহমাদ, মিশকাত ৩২৩, আলবানী একে সহীহ বলেছেন। আহমাদ শাকির বলেন, এর সানাদ সহীহ। এর কোনো দোষ নেই)
(খ) ইবরাহীম আত-তায়মী থেকে আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চুম্বন দিয়েছেন, কিন্তু এ জন্য উযু করেননি। (হাদীস সহীহ, সুনান আবূ দাঊদ ১৭৮, নাসায়ী ১৭০, ইমাম আবূ দাঊদ বলেন, এটি মুরসাল বর্ণনা। ইবরাহীম তায়মী আয়িশাহ থেকে শুনেননি। ইমাম নাসায়ী বলেন, এই অনুচ্ছেদে এর চেয়ে উত্তম হাদীস আর নেই, যদিও তা মুরসাল। এ হাদীসটিকে মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেছেন দারাকুতনী সুফয়ান সওরী সূত্রে আবূ রাওমাহ থেকে, তিনি ইবরাহীম আততায়মী থেকে তার পিতা থেকে আয়িশাহ সূত্রে। আয়িশাহ সূত্রে এ হাদীসের সানাদ সহীহ মুত্তাসিল। আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন)
(গ) আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি এক রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিছানায় না পেয়ে (অন্ধকারে) হাতড়াতে লাগলাম। হঠাৎ আমার হাতখানি তার পায়ের তালুতে গিয়ে লাগলো। তখন তিনি সিজদারত অবস্থায় ছিলেন এবং পা দু’টি খাড়া ছিলো। তিনি বলছিলেনঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আ‘উযুবিকা বিরিজাকা মিন সাখতিকা...। (সহীহ মুসলিম, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, নাসায়ী, ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি সহীহ। শায়খ আলবানীও হাদীসটিকে সহীহ আখ্যায়িত করেছেন)।
কারো মতে, উক্ত স্পর্শ সংঘটিত হয়েছে কাপড়ের আবরণের সাথে। তাই উযু ভঙ্গ হয়নি। আল্লামা যায়লাঈ বলেনঃ এটি বহু দূরের ব্যাখ্যা। হাদীসের শব্দই ব্যাখ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে দেয়- (নাসবুর রায়াহ)। আল্লামা শাওকানী বলেনঃ আয়িশাহর হাদীসের জবাবে ইবনু হাজার ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে বলেছেন যে, ‘‘এখানে স্পর্শ করার বিষয়টি পর্দার সাথেও হতে পারে অথবা এটি তার জন্য খাস ছিলো।’’ এটি একান্তই কৃত্রিমতা এবং যাহিরের বিপরীত কথা। এর কোনই দলীল নেই। (নায়লুল আওত্বার)
(ঘ) আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহর সামনে ঘুমিয়ে থাকতাম। আমার পা দু’টো ক্বিবলার দিকে থাকত। যখন তিনি সিজদা দিতেন তখন হাত দিয়ে আমাকে ঠেলা দিতেন। ফলে আমি পা টেনে নিতাম। আবার তিনি যখন দাঁড়িয়ে যেতেন তখন আমি পা দু’টো আবার ছড়িয়ে দিতাম। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তখন ঘরে বাতি থাকতো না। (সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিম, সুনানু নাসায়ী, আলবানী একে সহীহ বলেছেন)
(ঙ) আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করতেন আর আমি তার সামনে জানাযার মতো আড়াআড়িভাবে থাকতাম। অতঃপর যখন তিনি বিতর সালাত আদায়ের ইচ্ছা করতেন তখন আমাকে স্বীয় পা দ্বারা স্পর্শ করতেন। (সুনানু নাসায়ী, অনুঃ কামোদ্দীপনা ছাড়া পুরুষ যদি কোনো মহিলাকে স্পর্শ করে তবে উযু করার প্রয়োজন নেই। হাফিয আত-তালখীস গ্রন্থে বলেনঃ এর সানাদ সহীহ। আলবানী একে সহীহ বলেছেন সহীহ নাসায়ী হা/ ১৬৬, সহীহ আবূ দাঊদ হা/ ৭০৭। হাদীসটি আরো বর্ণিত আছে সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিম গ্রন্থে)
‘আলিমগণ এ হাদীস দ্বারা এভাবে দলীল গ্রহণ করেন যে, আয়াতে যে লামস্ শব্দ এসেছে, এর অর্থ হচ্ছে সহবাস। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে সর্বদাই তাকে এভাবে স্পর্শ করতেন। যদি এতে উযু নষ্ট হতো তাহলে তিনি সালাত আদায় অব্যাহত রাখতেন না)।
(চ) আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, এক রাতে আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে না পেয়ে মনে মনে ভাবলাম, তিনি হয় তো তাঁর দাসী মারিয়ার কাছে গিয়েছেন। তখন আমি ঘুম থেকে উঠে প্রাচীর তালাশ করতে লাগলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাতরত অবস্থায় পেলাম। তখন হঠাৎ করে আমি আমার হাতখানা তাঁর চুলের ভেতর ঢুকিয়ে দিলাম, পরিক্ষা করে দেখার জন্য যে, আসলে তিনি গোসল করেছেন কি না? অতঃপর সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আয়িশাহ! তোমাকে শয়তান পেয়ে বসেছে। (ত্বাবারানী সাগীর)
(ছ) উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওম পালনরত (রোযা) অবস্তায় তাকে চুম্বন করতেন। এরপর রোযা ছাড়তেন না এবং নতুনভাবে উযুও করতেন না। (ত্বাবারী)
(জ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, চুম্বন করলে উযু ওয়াজিব হয় না। (দারাকুতনী, তিনি একে সহীহ আখ্যায়িত করেছেন)
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে কিছু দুর্বল হাদীসও রয়েছে। যেমন, ইবনু ‘আদীর কামিল গ্রন্থে আবূ উমামাহ থেকে, ত্বাবারানী আওসাত্বে আবূ হুরাইরাহ থেকে এবং ইবনু হিব্বানের যু‘আফা গ্রন্থে ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে এ বিষয়ে মারফূ হাদীস বর্ণিত আছে। তবে আবূ উমামাহর সনদে রুকন ইবনু আব্দুল্লাহ দুর্বল। ইবনু উমারের সনদে গালিব ইবনু আব্দুল্লাহ দুর্বল।
এছাড়া এ মতের পক্ষে আরো উল্লেখযোগ্য সহীহ হাদীস হচ্ছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর স্ত্রীর একই পাত্র থেকে উযু করা, অনুরূপভাবে সাহাবায়ি কিরামের ঐরূপ উযু করা সম্পর্কিত হাদীস, এতে তো অবশ্যই একজনের হাত অন্যজনের হাতের সাথে স্পর্শ হয়ে থাকে, যদি নারীর স্পর্শ উযু ভঙ্গের কারণ হতো তাহলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের এভাবে উযু করার সুযোগ দিতেন না। এমনিভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ই‘তিকাফরত অবস্থায় স্বীয় স্ত্রী কর্তক চুল আচড়ানো সম্পর্কিত হাদীস, ইত্যাদি। মূলতঃ এ সম্পর্কে আরো বহু শাহিদ হাদীস ও আসার রয়েছে। আলোচনা দীর্ঘ হওয়ার আশংকায় সেগুলো উল্লেখ করা হলো না।
* এ বিষয়ে কয়েকজন বিজ্ঞ ‘আলিমের ফাতাওয়াহঃ
* ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহঃ) বলেনঃ স্ত্রীকে স্পর্শ করলে উযু নষ্ট হয় কি না এ বিষয়ে ফক্বীহগণের তিনটি অভিমত রয়েছেঃ একঃ উযু নষ্ট হবে না। এটি ইমাম আবূ হানিফা ও অন্যদের অভিতম। দুইঃ কামোদ্দীপনার সাথে স্পর্শ করলে উযু নষ্ট হবে। স্বাভাবিক স্পর্শে নষ্ট হবে না। এটি ইমাম মালিক এবং মদীনাহবাসীর অভিমত। উল্লেখ্য, ইমাম আবূ হানিফা ও ইমাম আবূ ইউসূফ বলেছেনঃ তবে উত্তেজনা বেশি হলে ভিন্ন কথা, যদিও তাতে মযী নির্গত না হয়। ইমাম মালিক থেকেও এ কথা এসেছে। তিনঃ স্পর্শ করলেই উযু ভঙ্গ হবে। এটি ইমাম শাফিঈ ও অন্যদের অভিমত।
এ বিষয়ে সহীহ কথা হচ্ছে দু’ উক্তির একটি। হয় তো প্রথমটি, যা সাধারণভাবেই উযু ভঙ্গ না হওয়ার কথা বলছে। অথবা দ্বিতীয়টি। যা কামোদ্দীপনার সাথে স্পর্শকে উযু ভঙ্গের কারণ বলছে। কিন্তু তৃতীয় মতটি অতি দুর্বল। যাতে কোনো উত্তেজনা ছাড়া কেবল স্পর্শ করলেই উযু ওয়াজিব হওয়ার কথা বলছে। কোনো সাহাবী থেকেই এ মতটি জানা যায় না। এমন কি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কেউ এরূপ কথা বর্ণনা করেননি যে, তিনি কেবল স্পর্শ করার কারণে উযুর নির্দেশ দিয়েছেন। বরং হাদীসে আছেঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই‘তিকাফের অবস্থায় স্বীয় স্ত্রীর হাতে মাথা আচরিয়েছেন, সালাতরত অবস্থায় আয়িশাহকে হাত দিয়ে স্পর্শ করেছেন যেন আয়িশাহ পা গুটিয়ে নেন ইত্যাদি। যা উক্ত মততে দুর্বল প্রমাণ করে।
ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহঃ) বলেনঃ মধ্যমপন্থা হচ্ছে সেই মত যারা উভয় হাদীসগুলোকে একত্রিত করে এ মত দিয়েছেন যেঃ নারীকে স্পর্শ করলে উযু ভঙ্গ হবে না। কিন্তু কামোদ্দীপনার সাথে স্পর্শ করলে উযু ভঙ্গ হবে। (মাজমু‘আহ ফাতাওয়াহ লি ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ থেকে সংক্ষেপিত)
* শায়খ সালিহ আল-উসাইমিন (রহঃ) বলেনঃ বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে, স্ত্রীকে স্পর্শ করলে কখনই উযু ভঙ্গ হবে না। এ কথার দলীল হচ্ছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত, তিনি স্ত্রীকে চুম্বন করে সালাত আদায় করতে বের হয়েছেন কিন্তু উযু করেননি। কেননা আসল হচেছ দলীল না থাকলে উযু ভঙ্গ না হওয়া। কেননা শারঈ দলীলের ভিত্তিতে তার উযু প্রমাণিত হয়েছে। আর যা শারঈ দলীলের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়, তা শারঈ দলীল ছাড়া নষ্ট হবে না। যদি বলা হয়, আল্লাহ তো বলেছেনঃ ‘‘অথবা তোমরা যদি স্ত্রীকে স্পর্শ করো।’ উত্তরে বলা হবেঃ আয়াতে স্ত্রীদের স্পর্শ করার অর্থ হচ্ছে তাদের সাথে সহবাসে লিপ্ত হওয়া। যেমনটি ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাই আমরা বললো, স্ত্রীকে স্পর্শ করা কখনই উযু ভঙ্গের কারণ নয়। চাই স্পর্শ উত্তেজনার সাথে হোক বা উত্তেজনার সাথে না হোক। তবে স্পর্শ করার কারণে যদি কোনো কিছু নির্গত হয় তবে তার বিধান ভিন্ন। যদি বীর্য বের হয়, তবে গোসল করা ফারয আর যদি মযী নির্গত হয় তবে অন্ডকোষসহ লিঙ্গ ধৌত করে উযু করা আবশ্যক। (দেখুন, ফাতাওয়াহ আরকানুল ইসলাম)
সারকথাঃ স্বাভাবিক অবস্থায় নারী স্পর্শ করা উযু ভঙ্গের কারণ নয়। অনুরূপভাবে উত্তেজনা প্রবল না হলে নারীকে স্পর্শ করার কারণে উযু ওয়াজিব নয়। কিন্তু প্রবল উত্তেজনার সাথে নারীকে স্পর্শ করলে (মযী নির্গত না হলেও) উযু ভঙ্গ হবে। নারী স্পর্শের যে কোনো অবস্থায় বীর্যপাত হলে গোসল করা ওয়াজিব। আর মযী নির্গত হলে উযু করা ওয়াজিব হবে। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত।
باب الْوُضُوءِ مِنَ الْقُبْلَةِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ - قَالَ يَحْيَى احْكِ عَنِّي أَنَّهُمَا شِبْهُ لَا شَىْءَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرُوِيَ عَنِ الثَّوْرِيِّ قَالَ مَا حَدَّثَنَا حَبِيبٌ إِلَّا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ يَعْنِي لَمْ يُحَدِّثْهُمْ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ بِشَىْءٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَدْ رَوَى حَمْزَةُ الزَّيَّاتُ عَنْ حَبِيبٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ حَدِيثًا صَحِيحًا
This tradition has been reported through another chain of narrators on the authority of 'Aishah.
Abu Dawud said:
Yahya b. Sa'id al-Qattan said to a person: Narrate these two tradition from me, that is to say, one tradition on the authority of al-A'mash from Habib (about kissing); another through the same chain about a woman who has prolonged flow of bloos and she is asked to perform ablution for every prayer.
Yahya said: Narrate from me that both these traditions are weak in respect of their chains.
Abu Dawud said: Al-Thawri is reported to have said: Habib narrated this tradition to us only on the authority of 'Urwat al-Muzani, that is, he did not narrated any tradition on the authority of 'Urwah b. al-Zubair.
Abu Dawud said: Hamzah al-Zayyat reported a sound tradition on the authority of Habib, from 'Urwah b. al-Zubair from 'Aishah.
পরিচ্ছেদঃ ৮৮. নাপাক অবস্থায় পানাহার প্রসঙ্গে
২২২। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাপাক অবস্থায় ঘুমানোর ইচ্ছা করলে সালাতের অযুর ন্যায় অযু করে নিতেন।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب الْجُنُبِ يَأْكُلُ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ وَهُوَ جُنُبٌ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ .
- صحيح : م
‘A’ishah reported:
when the prophet (ﷺ) intended to sleep while he was sexually defiled, he would perform ablution as he did for prayer.
পরিচ্ছেদঃ ৮৯. যে বলে, নাপাক ব্যক্তি অযু করবে
২২৪। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাপাক অবস্থায় খাওয়ার অথবা ঘুমাবার ইচ্ছা করলে অযু করে নিতেন।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب مَنْ قَالَ يَتَوَضَّأُ الْجُنُبُ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْكُلَ أَوْ يَنَامَ تَوَضَّأَ . تَعْنِي وَهُوَ جُنُبٌ .
- صحيح : م
‘A’ishah reported :
When the Prophet (May peace be upon him) wanted to eat or sleep, he would perform ablution. She meant that (the prophet did so) when he was sexually defiled.
পরিচ্ছেদঃ ৯০. অপবিত্র ব্যক্তির বিলম্বে গোসল করা
২২৮। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ কোনরূপ পানি স্পর্শ না করেই নাপাক অবস্থায় ঘুমাতেন। [1]
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াযীদ ইবনু হারুন বলতেন, এ হাদীসটি (অর্থাৎ আবূ ইসহাক্বের হাদীস) অনুমান নির্ভর।
-
এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১। জানাবাতের গোসল যথাশিঘ্র করা ওয়াজিব নয়।
২। বিতর সালাত প্রথম ও শেষ রাতে উভয় সময়েই আদায় করা জায়িয। তবে কেউ শেষ রাতে ক্বিয়াম করলে তার জন্য শেষ রাতে আদায় করাই অতি উত্তম।
৩। কুকুর ও ছবি না রাখা।
৪। বিলম্বে জানাবাতের গোসল করা ভালো কাজের প্রতিবন্ধক।
৫। জুনুবী ব্যক্তির গোসল না করে উযু করে ঘুমানো জায়িয।
باب فِي الْجُنُبِ يُؤَخِّرُ الْغُسْلَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَنَامُ وَهُوَ جُنُبٌ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَمُسّٰ مَاءً
- صحيح
قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْوَاسِطِيُّ قَالَ سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ يَقُولُ هَذَا الْحَدِيثُ وَهَمٌ . يَعْنِي حَدِيثَ أَبِي إِسْحَاقَ
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The Messenger of Allah (ﷺ) would sleep while he was sexually defiled without touching water.
Abu Dawud said: Hasan b. 'Ali al-Wasiti said that the heard Yazid b. Harun say: This tradition is based on a misunderstanding, i.e. the tradition reported by Abu Ishaq.
পরিচ্ছেদঃ ৯৫. কোন ব্যক্তির রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হলে
২৩৬। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল, যে ঘুম থেকে জেগে (বীর্যপাতে দরুণ কাপড়) ভিজা দেখতে পায় অথচ স্বপ্নদোষের কথা তার স্মরণ হচ্ছে না। তিনি বললেন, তাকে গোসল করতে হবে। এটাও জিজ্ঞাসা করা হল যে, এক ব্যক্তির তার স্বপ্নদোষ হয়েছে বলে মনে পড়ছে, অথচ কাপড়ে কোন ভিজা দেখতে পেল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে গোসল করতে হবে না। উম্মু সুলাইম (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! নারীরাও (পুরুষের) অনুরূপ কিছু দেখতে পেলে তাদেরও কি গোসল করতে হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, নারীরা তো পুরুষের মতই।[1]
হাসান : তবে উম্মু সুলাইম (রাঃ)-এর এ কথাটি বাদেঃ ’নারীরাও (পুরুষের) অনুরূপ কিছু দেখতে পেলে...।’
باب فِي الرَّجُلِ يَجِدُ الْبِلَّةَ فِي مَنَامِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ خَالِدٍ الْخَيَّاطُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ الْعُمَرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ يَجِدُ الْبَلَلَ وَلَا يَذْكُرُ احْتِلَامًا قَالَ " يَغْتَسِلُ " . وَعَنِ الرَّجُلِ يَرَى أَنَّهُ قَدِ احْتَلَمَ وَلَا يَجِدُ الْبَلَلَ قَالَ " لَا غُسْلَ عَلَيْهِ " . فَقَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ الْمَرْأَةُ تَرَى ذَلِكَ أَعَلَيْهَا غُسْلٌ قَالَ " نَعَمْ إِنَّمَا النِّسَاءُ شَقَائِقُ الرِّجَالِ " .
- حسن : ألا قوله أم سليم : (المرأة ترى...) إلخ
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The Prophet (ﷺ) was asked about a person who found moisture (on his body or clothes) but did not remember the sexual dream. He replied: He should take a bath. He was asked about a person who remembered that he had a sexual dream but did not find moisture. He replied: Bath is not necessary for him. Umm Salamah then asked: Is washing necessary for a woman if she sees that (in her dream)? He replied: Yes. Woman are counterpart of men.
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. পুরুষের ন্যায় নারীদের স্বপ্নদোষ হলে
২৩৭। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আনাস ইবনু মালিকের মা উম্মু সুলাইম আল-আনসারিয়্যাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ সত্যের ক্ষেত্রে লজ্জা করেন না! আচ্ছা, পুরুষের ন্যায় নারীরাও যদি ঘুমে ঐরূপ কিছু দেখে, তাহলে তাকে গোসল করতে হবে কিনা? ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, পানি দেখতে পেলে তাকেও গোসল করতে হবে। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি উম্মু সুলাইম (রাঃ)-কে বললাম, তোমার জন্য দুঃখ হচ্ছে! পুরুষের ন্যায় নারীদের আবার স্বপ্নদোষ হয় নাকি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিকে এসে বললেন, হে ’আয়িশাহ্! তোমার ডান হাত ধুলিমলিন হোক। যদি এরূপই না হবে, তাহলে সন্তান মায়ের আকৃতির হয় কি করে?[1]
সহীহ : মুসলিম।
-
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১। মহিলাদের স্বপ্নদোষ হলে এবং বীর্য নির্গত হওয়ার আলামত পেলে তাদের জন্য গোসল করা ওয়াজিব।
২। পুরুষের ন্যায় নারীদেরও স্বপ্নদোষ হয়।
৩। কোনো বিষয়ে শারঈ হুকুম জানা না থাকলে তা জিজ্ঞেস করা বৈধ। লজ্জা যেন এতে প্রতিবন্ধক না হয়।
باب فِي الْمَرْأَةِ تَرَى مَا يَرَى الرَّجُلُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ قَالَ عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أُمَّ سُلَيْمٍ الأَنْصَارِيَّةَ، - وَهِيَ أُمُّ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ - قَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ أَرَأَيْتَ الْمَرْأَةَ إِذَا رَأَتْ فِي النَّوْمِ مَا يَرَى الرَّجُلُ أَتَغْتَسِلُ أَمْ لَا قَالَتْ عَائِشَةُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم " نَعَمْ فَلْتَغْتَسِلْ إِذَا وَجَدَتِ الْمَاءَ " . قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَقْبَلْتُ عَلَيْهَا فَقُلْتُ أُفٍّ لَكِ وَهَلْ تَرَى ذَلِكَ الْمَرْأَةُ فَأَقْبَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " تَرِبَتْ يَمِينُكِ يَا عَائِشَةُ وَمِنْ أَيْنَ يَكُونُ الشَّبَهُ " .
- صحيح : م
‘A’ishah reported on the authority of Umm Sulaim al-Ansariyah, who was the mother of Anas b. Malik, said:
Messenger of Allah. Allah is not ashamed of truth what do you think, if a woman sees what a man sees in dream, should she take a bath or not? The prophet (ﷺ) replied: Yes, she should take a bath if she finds the liquid (vaginal secretion) ‘A’ishah said : Then I came upon her and said her : Woe to you! Does a woman see that (sexual dream)? In the meantime, the Messenger of Allah (ﷺ) came upon me and said: May your right hand be covered with dust! How can there be the resemblance (i.e., between the child and the mother)?
পরিচ্ছেদঃ ৯৭. যে পরিমাণ পানি দিয়ে গোসল করা যায়
২৩৮। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ফারাক পরিমান পানি সংকুলান হয় এমন একটি পাত্র থেকে পানি নিয়ে জানাবাতের গোসল করতেন।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَتْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ فِيهِ قَدْرُ الْفَرَقِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى ابْنُ عُيَيْنَةَ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يَقُولُ الْفَرَقُ سِتَّةَ عَشَرَ رِطْلاً . وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ صَاعُ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ خَمْسَةُ أَرْطَالٍ وَثُلُثٌ . قَالَ فَمَنْ قَالَ ثَمَانِيَةُ أَرْطَالٍ قَالَ لَيْسَ ذَلِكَ بِمَحْفُوظٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ يَقُولُ مَنْ أَعْطَى فِي صَدَقَةِ الْفِطْرِ بِرَطْلِنَا هَذَا خَمْسَةَ أَرْطَالٍ وَثُلُثًا فَقَدْ أَوْفَى . قِيلَ الصَّيْحَانِيُّ ثَقِيلٌ قَالَ الصَّيْحَانِيُّ أَطْيَبُ . قَالَ لَا أَدْرِي .
- صحيح
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, যুহরী থেকে মা’মার এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছেঃ ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’জনে একই পাত্র হতে পানি নিয়ে গোসল করতাম। ঐ পাত্রে এক ফারাক পানি ধরত। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, ’এক ফারাক হলো, ষোল রতল।’ আমি তাকে এটাও বলতে শুনেছি, ’ইবনু আবূ যি’ব এর মতেঃ এক সা’ হচ্ছে পাঁচ রতল এবং এক রতলের এক তৃতীয়াংশ।’ আর যিনি আট রতল বলেছেন তা সুরক্ষিত (মাহফূয) নয়। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইমাম আহমাদকে আমি বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আমাদের রতলের পাঁচ রতল এবং এক তৃতীয়াংশ দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করল, সে পূর্ণ ফিতরা দিল। লোকজন বলল, সায়হানী (মদীনার এক প্রকার খেজুর) তো (ওজনে) ভারী হয়। তিনি বললেন, সায়হানী কি উৎকৃষ্ট? তিনি বললেন, আমার তা জানা নেই।
সহীহ।
-
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
অপচয়রোধ ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিমিত পানি ব্যবহারের সুন্নাত অনুসরণার্থে গোসলের সময় প্রয়োজনের বেশি পানি ব্যবহার করা অনুচিত।
-
গোসল সংক্রান্ত আলোচনাঃ
(ক) গোসলের পরিচিত ও প্রকারঃ গোসলের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে ধৌত করা। ইসলামী পরিভাষায় ‘পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে (উযু করে) সমস্ত শরীর ধৌত করাকে গোসল বলা হয়। গোসল দু’ প্রকারঃ ১. ফরয, ২. মুস্তাহাব। ফরয গোসল ঐ গোসলকে বলা হয়, যা করা অপরিহার্য। আর মুস্তাহাব গোসল বলা হয় ঐ গোসলকে যা করা অপরিহার্য নয়, কিন্তু করলে নেকী আছে।
(খ) ফরয গোসলের পদ্ধতিঃ প্রথমে দু’ হাত কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে অপবিত্রতা পরিষ্কার করবে। তারপর ‘বিসমিল্লাহ’ বলে সালাতের উযুর ন্যায় উযু করবে। এরপর প্রথমে মাথায় পানি ঢেলে চুলের গোড়া খিলাল করে পানি পৌঁছাবে। অতঃপর সারা শরীরে পানি ঢেলে গোসল সম্পন্ন করবে। (সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
(গ) যেসব কারণে গোসল করা ফরযঃ (১) সহবাস করলে, এতে বীর্যপাত হোক বা না হোক পুরুষের লিঙ্গ স্ত্রীলিঙ্গের সাথে একত্র হলেই গোসল করা ফরয (২) স্বপ্নদোষে বীর্যপাত হলে (৩) উত্তেজনা বশতঃ বীর্য বের হলে (৪) মহিলাদের হায়িয ও নিফাসের রক্ত শ্রাব বন্ধ হলে। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)
(ঘ) এক নজরে সুন্নাত ও মুস্তাহাব গোসলসমূহঃ
(১) ইসলাম গ্রহণের সময় গোসল করা। (তিরমিযী, নাসায়ী)
(২) জুমু‘আহার সালাতের পূর্বে গোসল করা। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম)
(৩) মৃত ব্যক্তিকে গোসল দান কারীর গোসল করা। (ইবনু মাজাহ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ)
(৪) হজ অথবা উমরাহর ইহরাম বাঁধার পূর্বে গোসল করা। (দারাকুতনী, হাকিম)
(৫) ‘আরাফার দিন গোসল করা। (সহীহ সনদে বায়হাক্বী, ইরওয়া ১/১৭৭)
(৬) ঈদুল ফিত্বর ও ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করা। (সহীহ সনদে, বায়হাক্বী, ইরওয়া ১/১৭৭)
(৭) মক্কাহয় প্রবেশের পূর্বে গোসল করা। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম)
(৮) সিঙ্গা লাগালে গোসল করা। (আবূ দাঊদ)
(৯) একবার স্ত্রী সহবাসের পর পুনরায় সহবাস করতে চাইলে গোসল করা। (আবূ দাঊদ, ২১৯)
(১০) বেঁহুশ ব্যক্তির সুস্থ হওয়ার পর গোসল করা। (সহীহুল বুখারী, ই‘লাউস সুনান, আদ-দুররুল মুখতার)
(ঙ) কতিপয় মাসআলাহঃ
(১) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে পর্দার মধ্যে গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন। (আবূ দাঊদ, নাসায়ী)
(২) লোকচক্ষুর অগোচরে নির্জন জায়গায় উলঙ্গ হয়ে গোসল করা যাবে। যেমন, নাবী মূসা ও আইয়ূব (আঃ) উলঙ্গ হয়ে গোসল করতেন- (সহীহুল বুখারী, নাসায়ী)। তবে এরূপ অবস্থায়ও পর্দা করা উত্তম।
(৩) প্রাচীর বেষ্টিত জায়গায় বা গোসল খানায় উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়িয।
(৪) গোসলের সময় কোনো অঙ্গ আগে ও পিছে ধোয়ার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা নেই। তবে পছন্দনীয় মতে, প্রথমে উযুর অঙ্গগুলো ধোয়া, তারপর দেহের উপরের অংশ থেকে নীচের দিকে ধোয়া উচিত। (আইনী তুহফা)
(৫) গোসলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি অপচয় না করা অনুচিত।
(৬) উযু সহ গোসল করার পর উযু নষ্ট না হলে পুনরায় উযু করার প্রয়োজন নেই। (তিরমিযী, নাসায়ী, আবূ দাঊদ)
(৭) গোসলের সময় মহিলাদের চুলের খোপা বা বেনী খোলা জরূরী নয়। বরং চুলের গোড়ায় তিনবার তিনকোষে পানি পৌঁছিয়ে সারা শরীরে পানি ঢালবে। (সহীহ মুসলিম, মিশকাত)
উল্লেখ্য গোসল সংক্রান্ত বিভিন্ন মাসআলাহ ‘হাদীস থেকে শিক্ষা’ শিরোনামে যথাস্থানে বর্ণনা করা হবে।
باب فِي مِقْدَارِ الْمَاءِ الَّذِي يُجْزِئُ فِي الْغُسْلِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ مِنْ إِنَاءٍ - هُوَ الْفَرَقُ - مِنَ الْجَنَابَةِ .
- صحيح : ق
'Aishah said:
The Messenger of Allah (May peace be upon him) used to take bath with from a vessel (which contained seven to eight seers, i.e., fifteen to sixteen pounds) because of sexual intercourse.
Abu Dawud said: The version narrated by Mu’ammar on the authority of al-Zuhri has: She (‘A’ishah) said: I and the Messenger of Allah (May peace be upon him) took a bath from a vessel which was equal to al-faraq in measurement (i.e., containing water about seven or eight seers).
Abu Dawud said: Ibn ‘Uyainah also narrated like the version of Malik.
Abu Dawud said; I heard Ahmad b. Hanbal say: Al-Faraq contains sixteen rotls (of water). I also heard him say: The sa’of of Ibn Abi Dhi’b contained 5 rotls (of water). The view that a sa’ contains eight rotls (of water) is not safe.
Abu Dawud said: I heard Ahmad (b. Hanbal) say: Whoever gave 5 1/3 rotls (measuring) with our rotl alms of fitr (sadaqat al-fitr), he gave in full, Thereupon he was questioned: Are the dates called al-saihani heavier (can one sa’ of them be given as alms of fitr)? He replied: The dates called al-saihani are good. But I do not know (whether water is heavier or the dates).
পরিচ্ছেদঃ ৯৮. জানাবাতের গোসল করার নিয়ম
২৪০। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাবাতের গোসল করার সময় ’হিলাব’ তথা উটের দুধ দোহনের পাত্রের ন্যায় একটি পাত্র আনাতেন। অতঃপর উভয় হাতে পানি নিয়ে প্রথমে মাথার ডান দিকে ঢালতেন, তারপর বামদিকে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর উভয় হাতে পানি নিয়ে মাথার তালুতে ঢালতেন।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
باب الْغُسْلِ مِنَ الْجَنَابَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ دَعَا بِشَىْءٍ نَحْوِ الْحِلَابِ فَأَخَذَ بِكَفِّهِ فَبَدَأَ بِشِقِّ رَأْسِهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ الأَيْسَرِ ثُمَّ أَخَذَ بِكَفَّيْهِ فَقَالَ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ .
- صحيح : ق
'Aishah reported :
when the Messenger of Allah (May peace be upon him) wanted to wash himself because of sexual defilement, he called for a vessel like HILAB (a vessel used for milking the camel). He then took a handful of water and began to pour it on the right side of his head and then on the left side. He then took water in both his hands together and poured it on his head.
পরিচ্ছেদঃ ৯৮. জানাবাতের গোসল করার নিয়ম
২৪২। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জানাবাতের গোসল করতেন-সুলাইমানের বর্ণনা মতে- তখন প্রথমে ডান হাত দিয়ে বাম হাতে পানি ঢালতেন। আর মুসাদ্দাদের বর্ণনা মতে- তিনি উভয় হাত ধৌত করে ডান হাতে পাত্রের পানি ঢালতেন। অতঃপর উভয় বর্ণনাকারী এ বিষয়ে একমত হন যে, এরপর তিনি লজ্জাস্থান ধৌত করতেন। মুসাদ্দাদ বলেন, (ডান হাতের পর) তিনি বাম হাতের উপর পানি ঢালতেন। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) কখনো কখনো লজ্জাস্থানের কথা ইঙ্গিতে বর্ণনা করেছেন। তারপর তিনি সালাতের অযুর ন্যায় অযু করতেন। তারপর উভয় হাত পাত্রে ঢুকিয়ে (পানি নিয়ে) চুল খিলাল করতেন। যখন তিনি দেখতেন যে, সারা শরীরে পানি পৌঁছেছে অথবা শরীর পরিষ্কার হয়েছে, তখন তিনবার মাথায় পানি ঢালতেন। সবশেষে অবশিষ্ট থাকলে তা নিজের গায়ে ঢেলে দিতেন।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
باب الْغُسْلِ مِنَ الْجَنَابَةِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ الْوَاشِحِيُّ، وَمُسَدَّدٌ، قَالَا حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ - قَالَ سُلَيْمَانُ يَبْدَأُ فَيُفْرِغُ مِنْ يَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ . وَقَالَ مُسَدَّدٌ غَسَلَ يَدَيْهِ يَصُبُّ الإِنَاءَ عَلَى يَدِهِ الْيُمْنَى ثُمَّ اتَّفَقَا فَيَغْسِلُ فَرْجَهُ . - قَالَ مُسَدَّدٌ - يُفْرِغُ عَلَى شِمَالِهِ وَرُبَّمَا كَنَتْ عَنِ الْفَرْجِ ثُمَّ يَتَوَضَّأُ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ ثُمَّ يُدْخِلُ يَدَيْهِ فِي الإِنَاءِ فَيُخَلِّلُ شَعْرَهُ حَتَّى إِذَا رَأَى أَنَّهُ قَدْ أَصَابَ الْبَشَرَةَ أَوْ أَنْقَى الْبَشَرَةَ أَفْرَغَ عَلَى رَأْسِهِ ثَلَاثًا فَإِذَا فَضَلَ فَضْلَةٌ صَبَّهَا عَلَيْهِ .
- صحيح : ق
'Aishah reported :
When the Messenger of Allah (May peace be upon him) would take a bath because of sexual defilement, according to the version of Sulaiman, in the beginning he would pour water with his right hand (upon his left hand); and according to the version of Musaddad, he would wash both (hands) pouring water from the vessel upon his right hand. According to the agreed version, he then would wash the private part. He would then perform ablution as he did for prayer, then put his hands in the vessel and made the water go through his hair. When he knew that water had reached the entire surface of the body and cleaned it well, he would pour water upon his head three times. If some water was left, he would pour it also upon himself.