লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ওযূর পর আল্লাহর একত্ববাদ ও তাঁর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রিসালতের সাক্ষ্য দেয়, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়
১০৪৭. উকবা বিন আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমরা একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে ছিলাম, এসময় আমরা নিজেরাই নিজেদের সেবক ছিলাম; আমরা পালাক্রমে আমাদের উট চড়াতাম। আমিও কিছু উট চরাচ্ছিলাম। আমি সন্ধায় উটগুলো চড়িয়ে নিয়ে আসি। অতঃপর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাই এমন অবস্থায় যে, তিনি লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষন দিচ্ছিলেন। আমি তাঁকে বলতে শুনি যে, তিনি বলছেন, “তোমাদের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তি উত্তমভাবে ওযূ করে, অতঃপর দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করে এমনভাবে যে, সে তাতে তার অন্তর ও চেহারাকে মনোনিবেশ করে, তবে তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়।”
উকবা বিন আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি বললাম, কী চমৎকার কথা!” তখন এক ব্যক্তি বললেন, “এর আগের কথা আরো বেশি চমৎকার!” অতঃপর আমি তার দিকে তাকালাম দেখি তিনি উমার বিন খাত্তাব। আমি বললাম, “হে আবূ হাফস, সেগুলি কী?” তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তুমি আসার আগে এক্ষুনি বলেছেন, “তোমাদের মাঝে যে ব্যক্তি উত্তমভাবে ওযূ করে, তার ওযূ শেষ করে বলে, أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বূদ নেই, তিনি এক, তার কোন শরীক নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।) তবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হবে, সে ইচ্ছামত যে কোন দরজা দিয়ে করবে!”[1]
মু‘আবিয়া বিন আবূ সালিহ বলেছেন, “আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন রাবীআহ বিন ইয়াযিদ থেকে, তিনি উকবাহ বিন আমির থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।”
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এখানে যে আবূ উসমান রাবী রয়েছে, তিনি হারীয বিন উসমান আর রাহাবী হতে পারেন। আর আমরা শেষ সানাদটির উপর নির্ভর করেছি, কেননা হারীয বিন উসমান হাদীসের ক্ষেত্রে মোটেও গ্রহণযোগ্য রাবী নন।”
ذِكْرُ إِيجَابِ دُخُولِ الْجَنَّةِ لِمَنْ شَهِدَ لِلَّهِ بِالْوَحْدَانِيَّةِ وَلِنَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالرِّسَالَةِ بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنْ وَضُوئِهِ
1047 - أَخْبَرَنَا ابْنُ قُتَيْبَةَ بِعَسْقَلَانَ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ صَالِحٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُدَّامَ أَنْفُسِنَا نَتَنَاوَبُ الرِّعْيَةَ - رِعْيَةَ إِبِلِنَا - فَكُنْتُ عَلَى رِعْيَةِ الْإِبِلِ فَرُحْتُهَا بِعَشِيٍّ فَأَدْرَكْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ النَّاسَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: (مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فيُحسن الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُومُ فَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ يُقْبِلُ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ فَقَدْ أَوْجَبَ) قَالَ: فَقُلْتُ: مَا أَجْوَدَ هَذِهِ!! فَقَالَ رَجُلٌ: الَّذِي قَبْلَهَا أَجْوَدُ فنظرتُ فَإِذَا هُوَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قُلْتُ: مَا هُوَ يَا أَبَا حَفْصٍ؟ قَالَ: إِنَّهُ قَالَ آنِفًا قَبْلَ أَنْ تَجِيءَ: (مَا مِنْ أحدٍ يَتَوَضَّأُ فيُحسن الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ حِينَ يَفْرُغُ مِنْ وَضُوئِهِ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا فُتحت أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةِ لَهُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شاء) الراوي : عُقْبَة بْن عَامِرٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1047 | خلاصة حكم المحدث: صحيح. قَالَ مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ وحدَّثنيه رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: أَبُو عُثْمَانَ هَذَا يُشْبِهُ أَنْ يَكُونَ حَرِيزَ بْنَ عُثْمَانَ الرَّحَبِيَّ وإنما اعتمادنا على الْإِسْنَادِ الْأَخِيرِ لِأَنَّ حَرِيزَ بْنَ عُثْمَانَ لَيْسَ بشيء في الحديث.