লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৮: বৃষ্টি বন্ধের দু'আর সময় ইমামের হাত উঠানো
১৫২৮. মাহমূদ ইবনু খালিদ (রহ.) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) -এর যুগে একবার দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। এমতাবস্থায় রসূলুল্লাহ (সা.) জুমু'আর দিন মিম্বারের উপর খুৎবা দিচ্ছিলেন। এক গ্রাম্য লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রসূল (সা.)! (ঘাস বিচালির সংকট হেতু) গবাদি পশুগুলো অকর্মণ্য হয়ে যাচ্ছে, আর পরিবারবর্গ অনাহারে কষ্ট পাচ্ছে। অতএব আপনি আমাদের জন্যে আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। তখন রসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর দু' হাত উঠালেন। ঐ সময় আমরা আকাশে মেঘের কোন টুকরাও দেখছিলাম না। ঐ সত্তার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ, তিনি দু' হাত নামাতেও পারলেন না, ইত্যবসরে মেঘমালা পাহাড়ের ন্যায় বিস্তৃত হয়ে গেল। তিনি মিম্বার থেকে না নামতেই, আমি দেখলাম, বৃষ্টি তাঁর দাড়ি বেয়ে ফোটায় ফোঁটায় গড়িয়ে পড়ছে। সে দিন, পরবর্তী দিন এবং তার পরের দিন থেকে পরবর্তী জুমুআহ পর্যন্ত আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষিত হলো। রাবী বলেন, তখন উক্ত গ্রাম্য ব্যক্তি অথবা অন্য এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রসূল! (বৃষ্টির আধিক্য হেতু) ঘর-বাড়ি তো ধীরে ধীরে বিধ্বস্ত হয়ে যাচ্ছে এবং গবাদি পশুগুলো ডুবে যাচ্ছে। অতএব, আপনি আমাদের জন্যে আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। তখন রসূলুল্লাহ (সা.) তার দু' হাত উঠালেন এবং বললেন, “আল্ল-হুম্মা হাওয়া-লানা ওয়ালা- ‘আলায়না-” (হে আল্লাহ! তুমি আমাদের আশেপাশে বৃষ্টি বর্ষণ কর, আমাদের ওপরে নয়)। তিনি তাঁর হাত দ্বারা মেঘমালার কোন খণ্ডের দিকে ইশারা করতে তা এমনিভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল যাতে মদীনার আকাশ একটি বড় গর্তের মতো দেখাচ্ছিল (অর্থাৎ মদীনার আকাশের চতুষ্পর্শ্বের মেঘমালা এমনিভাবে বিস্তৃত হলো যে, মদীনাহ বরাবর আকাশ একটি গোলাকার গর্তের ন্যায় মেঘমুক্ত হলো) এবং মাঠে ময়দানে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। আর মদীনার আশ-পাশ থেকে যারাই আসছিল, তারাই বৃষ্টির আধিক্যের সংবাদ দিচ্ছিল।
باب رَفْعِ الإِمَامِ يَدَيْهِ عِنْدَ مَسْأَلَةِ إِمْسَاكِ الْمَطَرِ
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، قال: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قال: أَنْبَأَنَا أَبُو عَمْرٍو الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قال: أَصَابَ النَّاسُ سَنَةٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَامَ أَعْرَابِيٌّ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَكَ الْمَالُ وَجَاعَ الْعِيَالُ فَادْعُ اللَّهَ لَنَا، فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ وَمَا نَرَى فِي السَّمَاءِ قَزَعَةً، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، مَا وَضَعَهَا حَتَّى ثَارَ سَحَابٌ أَمْثَالُ الْجِبَالِ، ثُمَّ لَمْ يَنْزِلْ عَنْ مِنْبَرِهِ حَتَّى رَأَيْتُ الْمَطَرَ يَتَحَادَرُ عَلَى لِحْيَتِهِ، فَمُطِرْنَا يَوْمَنَا ذَلِكَ وَمِنَ الْغَدِ وَالَّذِي يَلِيهِ حَتَّى الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى، فَقَامَ ذَلِكَ الْأَعْرَابِيُّ أَوْ قَالَ غَيْرُهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَهَدَّمَ الْبِنَاءُ وَغَرِقَ الْمَالُ فَادْعُ اللَّهَ لَنَا، فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا ، فَمَا يُشِيرُ بِيَدِهِ إِلَى نَاحِيَةٍ مِنَ السَّحَابِ إِلَّا انْفَرَجَتْ، حَتَّى صَارَتِ الْمَدِينَةُ مِثْلَ الْجَوْبَةِ وَسَالَ الْوَادِي، وَلَمْ يَجِئْ أَحَدٌ مِنْ نَاحِيَةٍ إِلَّا أَخْبَرَ بِالْجَوْدِ . تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/الجمعة ۳۵ (۹۳۳)، الإستسقاء ۱۱ (۱۰۱۸)، ۲۴ (۱۰۳۲)، صحیح مسلم/الإستسقاء ۲ (۸۹۷)، (تحفة الأشراف: ۱۷۴)، مسند احمد ۳/۲۵۶ (صحیح) صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1529 - صحيح
Imam raising his hands when asking for rain to stop
It was narrated that Anas bin Malik said: There was a drought during the time of the Messenger of Allah (ﷺ). While the Messenger of Allah (ﷺ) was giving the Khutbah on the minbar one Friday, a Bedouin stood up and said: 'O Messenger of Allah wealth has been destroyed and our children are hungry; pray to Allah for us.' The Messenger of Allah (ﷺ) raised his hands, and we could not see even a wisp of a cloud in the sky, but by the One in Whose hand is my soul, he did not lower (his hands) before clouds like mountains appeared, and he did not come down from his minbar before we saw the rain dripping from his beard. It rained that day and the next day, and the day after, until the following Friday. Then that Bedouin - or he said, Someone else - stood up and said: 'O Messenger of Allah, buildings have been destroyed and wealth has drowned; pray to Allah (SWT) for us. The Messenger of Allah (ﷺ) raised his hands and said: 'O Allah, around us and not on us.' He did not point in any direction but the clouds dispersed, until Al-Madinah became like a hole. And the valleys ran with water and no one came from any direction but he told us of the heavy rains.