১৪৩০

পরিচ্ছেদঃ ৪৫: ঐ মুহূর্তের বর্ণনা যে মুহূর্তে জুমু'আর দিনে দু'আ কবুল করা হয়

১৪৩০. কুতায়বাহ (রহ.) ..... আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার তুর নামক স্থানে আসালাম। সেখানে আমি কা'ব-কে পেলাম, সেখানে আমি এবং তিনি একদিন অবস্থান করলাম। আমি তাকে রসূলুল্লাহ (সা.) হতে হাদীস বর্ণনা করতাম, আর তিনি আমাকে তাওরাত হতে বর্ণনা করতেন। আমি তাঁকে বললাম, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সর্বোৎকৃষ্ট দিন যাতে সূর্য উদিত হয়, তা হলো জুমু'আর দিন। সে দিনে আদম আলায়হিস সালাম-কে তৈরি করা হয়েছে, সে দিনেই তাকে জান্নাত হতে অবতরণ করানো হয়েছে, সে দিনেই তাঁর তাওবাহ্ কবুল করা হয়েছে, সে দিনেই তার মৃত্যু হয়েছে, সেই দিনেই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। ভূপৃষ্ঠে বনী আদম ছাড়া এমন কোন জীব-জন্তু নেই যা জুমু'আর দিন সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার ভয়ে উৎকণ্ঠিত হয়ে না থাকে। সে দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যে কোন মু'মিন সালাতরত থাকা অবস্থায় তা পেয়ে আল্লাহর কাছে যদি সে সময় কোন কিছু চায়, আল্লাহ তাকে নিশ্চয় তা দিবেন। অতঃপর কা'ব বললেন, সে মুহূর্তটা প্রতি বছর একদিনই হয়। আমি বললাম, বরং তা প্রতি জুমু'আর দিনেই হয়। তখন কা'ব তাওরাত হতে পাঠ করলেন, এরপর বললেন, রসূলুল্লাহ (সা.) সত্যই বলেছেন, তা প্রত্যেক জুমু'আর দিনেই হয়। তখন আমি বের হলে বাসরাহ্ ইবনু আবূ বাসরাহ্ আল গিফারী (রাঃ)-এর সাথে আমার দেখা হয়। তিনি বললেন, তুমি কোথা হতে এসেছো? আমি বললাম, তূর' হতে। তিনি বললেন, যদি তোমার সেখানে যাওয়ার পূর্বে তোমার সাথে আমার দেখা হত, তাহলে তুমি সেখানে যেতে না। আমি তাকে বললাম, তুমি এমন কথা কেন বলছো? তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি যে, তিনটি মসজিদ ছাড়া সফর করা যাবে না। মসজিদে হারাম, আমার মসজিদ (মসজিদে নাবাবী) এবং মসজিদে বায়তুল মাক্বদিস।
এরপর আমি আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) -এর সাথে দেখা করে বললাম, যদি আপনি আমাকে দেখতেন যে, আমি ‘তুর' নামক স্থানে গিয়েছি ও কা'ব (রাঃ)-এর সাথে দেখা করেছি আর আমি এবং তিনি একদিন সেখানে অবস্থান করেছি। আমি তাকে রসূলুল্লাহ (সা.) হতে হাদীস বর্ণনা করে শুনাতাম আর তিনি আমাকে তাওরাত হতে বর্ণনা করে শুনাতেন।
তখন আমি তাকে বললাম যে, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সর্বোৎকৃষ্ট দিন যাতে সূর্য উদিত হয় জুমু'আর দিন। সে দিন আদম আলায়হিস সালাম-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, সে দিনেই তাকে জান্নাত হতে বের করে দেয়া হয়েছে, সে দিনেই তার তাওবাহ্ কবূল করা হয়েছে, সে দিনেই তার মৃত্যু হয়েছে এবং সে দিনেই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। ভূ-পৃষ্ঠে বানী আদম ছাড়া এমন কোন জীব-জন্তু নেই, জুমু'আর দিন সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার ভয়ে চিৎকার করতে না থাকে। সে দিনে এমন একটি সময় আছে যে কোন মু'মিন সালাতরত অবস্থায় তা পেয়ে আল্লাহর কাছে যদি সে সময় কোন কিছু চায় আল্লাহ তাঁকে তা নিশ্চয় দিবেন। কা'ব (রাঃ) বলেছেন, সে দিনটি প্রতি বছর একদিনই হয়, তখন ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, কা'ব বা মিথ্যা বলেছেন। আমি বললাম, অতঃপর কা'ব তাওরাত পাঠ করলেন এবং বললেন, রসূলুল্লাহ (সা.) সত্যই বলেছেন। তখন ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, কা'ব সত্যই বলেছেন, আমি সে সময়টি সম্পর্কে অবশ্যই জানি। আমি বললাম, হে আমার ভাই! আপনি আমাকে সে মুহূর্তটি সম্পর্কে বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, তা হলো জুমু'আর দিনের সূর্য অস্ত যাওয়ার আগের শেষ সময়। তখন আমি বললাম, আপনি কি রসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেননি যে, কোন মু'মিন ব্যক্তি সালাতরত অবস্থায় তা পায় অথচ সে সময় তো কোন সালাত নেই। তিনি বললেন, তুমি কি রসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুননি যে, যে ব্যক্তি সালাত আদায় করে এবং বসে বসে পরবর্তী সালাতের অপেক্ষায় থাকে, সে ব্যক্তি সালাতেই থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার কাছে পরবর্তী সালাত উপস্থিত হয়। আমি বললাম, কেন নয়? নিশ্চয়! তিনি বললেন, এ সে রকমই।

ذِكْرُ السَّاعَةِ الَّتِي يُسْتَجَابُ فِيهَا الدُّعَاءُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا بَكْرٌ يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ، ‏‏‏‏‏‏عَنِ ابْنِ الْهَادِ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ أَتَيْتُ الطُّورَ فَوَجَدْتُ ثَمَّ كَعْبًا، ‏‏‏‏‏‏فَمَكَثْتُ أَنَا وَهُوَ يَوْمًا أُحَدِّثُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُحَدِّثُنِي عَنِ التَّوْرَاةِ، ‏‏‏‏‏‏فَقُلْتُ لَهُ:‏‏‏‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:‏‏‏‏ خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ فِيهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ، ‏‏‏‏‏‏فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُهْبِطَ،‏‏‏‏ وَفِيهِ تِيبَ عَلَيْهِ،‏‏‏‏ وَفِيهِ قُبِضَ،‏‏‏‏ وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ، ‏‏‏‏‏‏مَا عَلَى الْأَرْضِ مِنْ دَابَّةٍ إِلَّا وَهِيَ تُصْبِحُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مُصِيخَةً حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ شَفَقًا مِنَ السَّاعَةِ إِلَّا ابْنَ آدَمَ، ‏‏‏‏‏‏وَفِيهِ سَاعَةٌ لَا يُصَادِفُهَا مُؤْمِنٌ وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ يَسْأَلُ اللَّهَ فِيهَا شَيْئًا إِلَّا أَعْطَاهُ إِيَّاهُ ،‏‏‏‏ فَقَالَ كَعْبٌ:‏‏‏‏ ذَلِكَ يَوْمٌ فِي كُلِّ سَنَةٍ،‏‏‏‏ فَقُلْتُ:‏‏‏‏ بَلْ هِيَ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ، ‏‏‏‏‏‏فَقَرَأَ كَعْبٌ التَّوْرَاةَ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ قَالَ:‏‏‏‏ صَدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ. تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الصلاة ۲۰۷ (۱۰۴۶) مختصراً، سنن الترمذی/الصلاة ۲۳۷ (الجمعة ۲) (۴۹۱) مختصراً، موطا امام مالک/الجمعة ۷ (۱۶)، (تحفة الأشراف: ۱۵۰۰۰)، مسند احمد ۲/۴۷۶، ۵۰۴، ۵/۴۵۱، ۴۵۳، وقولہ: ’’فیہ ساعة لایصادفھا۔۔۔ الخ عند الشیخین والترمذی من طریق الأعرج عنہ، أنظر رقم:۱۴۳۲ (صحیح) صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1431 - صحيح


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ