লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ঈদুল আযহার দিন খাওয়ার বিবরণ
৫২২) বারা’ বিন আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল আযহার নামায আদায় করে আমাদের জন্য খুতবা দিলেন। তিনি খুতবায় বললেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের নামাযের ন্যায় নামায পড়ল এবং আমাদের কুরবানীর ন্যায় কুরবানী করল সে অবশ্যই আমাদের তরীকা অবলম্বন করল। আর যে ব্যক্তি নামাযের পূর্বে কুরবানী করল তার কুরবানী নামাযের পূর্বে হওয়ার কারণে কুরবাণী হিসেবে গণ্য হবেনা। (বরং; সাধারণ যবেহ হিসেবে গণ্য হবে)। এ কথা শুনে বারা’ বিন আযিব (রাঃ)এর খালু আবু বুরদা (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি নামাযের পূর্বে আমার ছাগল যবেহ করে নিয়েছি। আমার ধারণা ছিল আজকের দিন শুধু পানাহারের দিন। তাই আমি চাইলাম আমার ঘরে সর্বপ্রথম আমার ছাগলই যবেহ করা হোক। সুতরাং ছাগল যবেহ করেছি এবং নামাযে আসার আগে খেয়েও নিয়েছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেনঃ তোমার ছাগল গোশত খাওয়ার ছাগল হিসেবেই পরিণত হয়েছে (কুরবানী হয়নি)। আবু বুরদাহ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কাছে এমন একটি ভেড়ার বাচ্চা আছে যা আমার নিকট দু’টি ছাগলের চেয়েও অধিক প্রিয়। এটি কি আমার পক্ষ হতে কুরবানী হিসেবে যথেষ্ট হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তোমার পরে আর কারো জন্য জায়েয হবেনা।
টিকাঃ উক্ত হাদীছে ইজতেহাদের প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়নি। বরং সাহাবী নিজের মতকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্বান্ত নিয়েছেন। ফলে তা সঠিকও হয়নি এবং স্বীকৃতিও পায়নি। চিন্তার বিষয় হচ্ছে, পরবর্তী যুগে কেউ নীতি বহির্ভূত নিয়মে গবেষণা করলে কী না হতে পারে! সঠিক প্রমাণ হাতে না থাকার ফলে বিশ্বস্ত ও মুসলিম জাতির নিকট নির্ভরযোগ্য ইমামগণ যে সমস্ত ইজতেহাদ করেছেন, তারাও ভুলের উর্ধ্বে ছিলেন না। সুপ্রসিদ্ধ চারজন ইমামের উক্তিতে এ কথার প্রমাণ মিলে। তাদের প্রত্যেকেই অত্যন্ত সহজ ভাষায় বলেছেন যে, হাদীছ উপস্থিত হয়ে গেলে তাদের বক্তব্য পরিহার করতে হবে এবং হাদীছ অনুযায়ী আমল করতে হবে। তারা সবাইকে সুস্পষ্ট ও সহজ ভাষায় এই নির্দেশই দিয়েছেন।
باب الأَكْلِ يَوْمَ النَّحْرِ
৫২২ـ وَعَنْهُ قَالَ: خَطَبَنَا النَّبِيُّ يَوْمَ الاضْحَى بَعْدَ الصَّلاةِ، فَقَالَ: ্مَنْ صَلَّى صَلاتَنَا وَنَسَكَ نُسُكَنَا فَقَدْ أَصَابَ النُّسُكَ، وَمَنْ نَسَكَ قَبْلَ الصَّلاةِ فَإِنَّهُ قَبْلَ الصَّلاةِ وَلا نُسُكَ لَهُ. فَقَالَ أَبُو بُرْدَةَ، خَالُ الْبَرَاءِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنِّي نَسَكْتُ شَاتِي قَبْلَ الصَّلاةِ، وَعَرَفْتُ أَنَّ الْيَوْمَ يَوْمُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ، وَأَحْبَبْتُ أَنْ تَكُونَ شَاتِي أَوَّلَ مَا يُذْبَحُ فِي بَيْتِي، فَذَبَحْتُ شَاتِي وَتَغَدَّيْتُ قَبْلَ أَنْ آتِيَ الصَّلاةَ، قَالَ شَاتُكَ شَاةُ لَحْمٍ. قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنَّ عِنْدَنَا عَنَاقًا لَنَا جَذَعَةً هِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ شَاتَيْنِ، أَفَتَجْزِي عَنِّي؟ قَالَ نَعَمْ، وَلَنْ تَجْزِيَ عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ. (بخارى:৯৫৫)
Eating on the day of Nahr (10th of Dhul-Hijjah)
Narrated Al-Bara' bin `Azib:
The Prophet (ﷺ) delivered the Khutba after offering the prayer on the Day of Nahr and said, "Whoever offers the prayer like us and slaughters like us then his Nusuk (sacrifice) will be accepted by Allah. And whoever slaughters his sacrifice before the `Id prayer then he has not done the sacrifice." Abi Burda bin Niyar, the uncle of Al-Bara' said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have slaughtered my sheep before the `Id prayer and I thought today as a day of eating and drinking (not alcoholic drinks), and I liked that my sheep should be the first to be slaughtered in my house. So slaughtered my sheep and took my food before coming for the prayer." The Prophet (ﷺ) said, "The sheep which you have slaughtered is just mutton (not a Nusuk)." He (Abu Burda) said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have a young she-goat which is dearer to me than two sheep. Will that be sufficient as a Nusuk on my behalf? "The Prophet (p.b.u.h) said, "Yes, it will be sufficient for you but it will not be sufficient (as a Nusuk) for anyone else after you."