৯১৬

পরিচ্ছেদঃ যে সময়ে আমরা দু‘আ কবূল হওয়ার আশার কথা বলছি, সেটা মহান আল্লাহর নিয়মে প্রতি রাতেই হয়ে থাকে

৯১৬. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেছেন, “যখন রাতের শেষ এক তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে, তখন মহান আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন, অতঃপর বলেন, “কে আমার কাছে দু‘আ করবে, তবে আমি তার দু‘আ কবুল করব, কে আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দিব, কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তবে আমি তাকে ক্ষমা করে দিব।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আল্লাহর গুণাবলীর ধরণ বর্ণনা করা যাবেনা এবং মাখলূকের সিফাতের সাথে তুলনা করা যাবেনা। সুতরাং মাখলূকাত যেমন ঠোট, জবান, আলজিহবা, দাঁত প্রভৃতি অঙ্গের মাধ্যমে কথা বলেন, মহান আল্লাহ তা‘আলা এরকম অঙ্গ ছাড়াই কথা বলেন। তিনি এরকম অঙ্গের সাহায্যে কথা বলা, এরকম হওয়া থেকে সুমহান। তাঁর কথাকে আমাদের কথার সাথে তুলনা করা জায়েয নেই। কেননা মাখলূকাতের কথা অঙ্গ ছাড়া হয় না। আল্লাহ তা‘আলা অঙ্গ ছাড়াই যেভাবে ইচ্ছা কথা বলেন। অনুরুপভাবে তিনি অঙ্গ, নড়াচড়া করা এবং স্থানান্তর ছাড়াই অবতরণ করেন। শ্রবণ করা, দর্শন করার ব্যাপারটিও অনুরুপ। সুতরাং যেভাবে এটা বলা জায়েয নেই যে, তিনি আমাদের মতো চোখের কোন, সাদা অংশ ও চোখের তারার মাধ্যমে দেখেন, বরং তিনি অঙ্গ ছাড়াই যেভাবে ইচ্ছা দেখেন। তিনি কান, কানের ছিদ্র, কানের প্যাঁচ, কানের নরম হাড্ডি  অঙ্গ ছাড়াই যেভাবে ইচ্ছা কথা শুনেন। অনুরুপভাবে তিনি কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সাহায্য ছাড়াই যেভাবে ইচ্ছা অবতরণ করেন, এক্ষেত্রে তাঁর অবতরণকে মাখলূকাতের অবতরণের সাথে তুলনা করা যাবেনা, যেভাবে মাখলূকাতের অবতরণের ধরন বর্ণনা করা যায়, সেভাবে মাখলূকাতের সিফাতের সাথে তাঁর সিফাতকে সাদৃশ্য দেওয়া থেকে তিনি সুমহান ও পুতঃপবিত্র।”

ذكر البيان بأن رجاء المرء استجابة الدُّعَاءِ فِي الْوَقْتِ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ إِنَّمَا هُوَ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ سُنَّتِهِ

916 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ الطَّائِيُّ بِمَنْبَجَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْأَغَرِّ وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (يَنْزِلُ رَبُّنَا جَلَّ وَعَلَا كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الْآخِرُ فَيَقُولُ: مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ؟ مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ؟ من يستغفرني أغفر له) الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 916 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: صِفَاتُ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا لَا تُكيَّف وَلَا تُقَاسُ إِلَى صِفَاتِ الْمَخْلُوقِينَ فَكَمَا أَنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا متكلِّم مِنْ غَيْرِ آلَةٍ بَأَسْنَانٍ وَلَهَوَاتٍ وَلِسَانٍ وَشَفَةٍ كَالْمَخْلُوقِينَ جَلَّ رَبُّنَا وَتَعَالَى عَنْ مِثْلِ هَذَا وَأَشْبَاهِهِ وَلَمْ يَجُزْ أَنْ يُقَاسَ كَلَامُهُ إِلَى كَلَامِنَا لِأَنَّ كَلَامَ الْمَخْلُوقِينَ لَا يُوجَدُ إِلَّا بِآلَاتٍ وَاللَّهُ جَلَّ وَعَلَا يَتَكَلَّمُ كَمَا شَاءَ بِلَا آلَةٍ كَذَلِكَ يَنْزِلُ بِلَا آلَةٍ وَلَا تَحَرُّكٍ وَلَا انْتِقَالٍ مِنْ مَكَانٍ إِلَى مَكَانٍ وَكَذَلِكَ السَّمْعُ وَالْبَصَرُ فَكَمَا لَمْ يَجُزْ أَنْ يُقَالَ: اللَّهُ يُبصر كَبَصَرِنَا بِالْأَشْفَارِ وَالْحَدَقِ وَالْبَيَاضِ بَلْ يُبْصِرُ كَيْفَ يَشَاءُ بِلَا آلَةٍ وَيَسْمَعُ مِنْ غَيْرِ أُذُنَيْنِ وَسِمَاخَيْنِ وَالْتِوَاءٍ وَغَضَارِيفَ فِيهَا بَلْ يَسْمَعُ كَيْفَ يَشَاءُ بِلَا آلَةٍ وَكَذَلِكَ يَنْزِلُ كَيْفَ يَشَاءُ بِلَا آلَةٍ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُقَاسَ نُزُولُهُ إِلَى نُزُولِ الْمَخْلُوقِينَ كَمَا يُكَيَّفُ نُزُولُهُمْ جَلَّ رَبُّنَا وَتَقَدَّسَ مِنْ أَنْ تُشَبَّهَ صِفَاتُهُ بِشَيْءٍ مِنْ صِفَاتِ المخلوقين.