৮৭০

পরিচ্ছেদঃ যখন কোন ব্যক্তি একনিষ্ঠ আমল ও বিশুদ্ধ নিয়তসহ আল্লাহর কাছে দু‘আ করবে, তার দু‘আ কবূল করা হবে, যদিও তার কাঙ্খিত জিনিসটি অলৌকিক কিছু হয়

৮৭০. সুহাইব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের পূর্ববর্তী যামানায় এক বাদশাহ ছিল, তার একজন যাদুকর ছিল। যখন সে যাদুকর বার্ধক্যে পৌছল, তখন সে বাদশাহকে বলল, আমি তো বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছি, সুতরাং একজন যুবককে আপনি আমার কাছে প্রেরণ করুন, তাকে আমি যাদুবিদ্যা শিক্ষা দিব। অতঃপর যাদুবিদ্যা শিক্ষা দেয়ার জন্য বাদশাহ তার কাছে এক যুবককে প্রেরণ করল। বালকের যাত্রা পথে ছিল এক ধর্মযাজক। যুবক তাঁর কাছে বসল এবং তাঁর কথা শুনল এবং তাঁর কথা যুবকের খুব পছন্দ হলো। অতঃপর সে যখন যাদুকরের কাছে (দেরিতে) যেত তখন সে তাকে মারধর করত। আর সে যখন যাদুকরের কাছ থেকে ফিরে ধর্মযাজকের কাছে বসে এবং তাঁর কথা শুনে ফলে বাড়িতে (দেরিতে) আসলে, পরিবারের লোকজন (দেরিতে আসার কারণে) মারধর করতো। অতঃপর সে এই ব্যাপারে ধর্মযাজকের কাছে অভিযোগ করল। তখন ধর্মযাজক বলল, “তোমার যদি যাদুকরের (মার খাওয়ার) ব্যাপারে ভয় হয় তবে বলবে, আমার পরিবারের লোকেরা আমাকে আটকে রেখেছিল। আর যদি তুমি তোমার পরিবারের (মার খাওয়ার) ব্যাপারে আশঙ্কাবোধ কর, তবে বলবে, যাদুকর আমাকে আটকে রেখেছিল।

এমনিভাবে দিন চলছিল। একদিন সে একটি বিশাল (হিংস্র) প্রাণীর সম্মুখীন হলো, যা লোকেদের পথ আটকিয়ে রেখেছিল। অতঃপর সে (মনে মনে) বলল, “আজকে আমি জানতে পারব, যাদুকর উত্তম না ধর্মযাজক উত্তম। অতঃপর একটি পাথর হাতে নিয়ে তারপর বলল, “হে আল্লাহ! যদি যাদুকরের চাইতে ধর্মযাজকের ব্যাপারটি আপনার কাছে বেশি পছন্দনীয় হয়, তবে এই হিংস্র প্রাণীটিকে মেরে ফেলুন, যেন লোকজন চলাচল করতে পারে।” অতঃপর সে সেটার প্রতি পাথর ছুড়ে মারল এবং সেটাকে মেরে ফেলল। ফলে লোকজন আবার যাতায়াত শুরু করল। এরপর সে ধর্মযাজকের কাছে এসে তাকে ব্যাপারটি জানালো। ধর্মযাজক বলল, “আমার বৎস! আজ তুমি আমার থেকেও শ্রেষ্ঠ (হয়ে ‍গিয়েছো)! আর নিশ্চয়ই অচিরেই তুমি পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। যদি ‍তুমি পরীক্ষার মুখোমুখি হও, তবে তুমি আমার সন্ধান দিবে না।

অতঃপর বালকটি (আল্লাহর হুকুমে) অন্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে আরোগ্য দান করতে লাগল এবং অন্যান্য সমুদয় রোগ-ব্যাধির নিরাময় করতে লাগল। বাদশাহর পারিষদবর্গের এক অন্ধ লোক যে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সে সংবাদটি শুনতে পেল অতঃপর সে বহু হাদিয়া-তুহফা নিয়ে বালকের নিকট আসলো এবং তাকে বলল, “এখানে যেসব মাল রয়েছে, আমি তোমাকে সব দিয়ে দিব, যদি তুমি আমাকে আরোগ্য দান করতে পার।” এ কথা শুনে বালক বলল, “আমি তো কাউকে আরোগ্য দান করতে পারি না। আরোগ্য তো দেন আল্লাহ তা’আলা। তুমি যদি আল্লাহর উপর ঈমান আনো তবে আমি আল্লাহর কাছে দুআ করব, আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করবেন।” তারপর সে আল্লাহর উপর ঈমান আনলো। আল্লাহ তা’আলা তাকে নিরাময় দান করলেন। এরপর সে অন্যান্য দিনের ন্যায় বাদশাহর কাছে বসার জন্য হেঁটে আসলো। বাদশাহ তাকে বললো, “হে ‍ওমুক, কে তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে?” সে জবাবে বলল, “আমার পালনকর্তা।” এ কথা শুনে বাদশাহ তাকে বললো, “আমি ছাড়া তোমার অন্য কোন পালনকর্তাও আছে কি?” সে জবাবে বলল, “আমার ও আপনার প্রতিপালক একজন।” অতঃপর বাদশাহ্ তাকে অব্যাহতভাবে শাস্তি দিতে লাগল, অবশেষে সে ঐ বালকের সন্ধান দিল।

তারপর বালককে নিয়ে আসা হলো। বাদশাহ তাকে বলল, “হে আমার বৎস! তোমার যাদু এ পর্যায়ে পৌছে গেছে যে, তুমি অন্ধ ও কুষ্ঠ রোগীকেও নিরাময় করতে পার এবং এই এই করতে পারো!” বালক বলল, “আমি কাউকে নিরাময় করতে পারি না। নিরাময় করেন আল্লাহ।” ফলে বাদশাহ তাকে পাকড়াও করে অব্যাহতভাবে শাস্তি দিতে লাগল, অবশেষে সে ধর্মযাজকের সন্ধান দিল। এরপর ধর্মযাজককে ধরে আনা হলো এবং তাকে বলা হলো, “তুমি তোমার দ্বীন থেকে ফিরে এসো।” কিন্তু তিনি দ্বীন থেকে ফিরে আসতে অস্বীকৃতি জানালো। অতঃপর বাদশা করাত আনতে বললো অতঃপর করাত তাঁর মাথার মধ্যভাগে রেখে ফেঁড়ে ফেললো ফলে তাঁর দেহ দুই টুকরো হয়ে পড়ে গেলো!

তারপর বালককে আনা হলো এবং তাকে বলা হলো, “তুমি তোমার দ্বীন থেকে ফিরে এসো।” কিন্তু তিনি দ্বীন থেকে ফিরে আসতে অস্বীকৃতি জানালো। অতঃপর বাদশাহ তাকে তার কিছু সহচরের হাতে তাকে অর্পণ করে বলল, “তোমরা তাকে অমুক পাহাড়ে নিয়ে যাও এবং তাকে নিয়ে পাহাড়ে আরোহণ করো। অতঃপর যখন তোমরা তার চুড়ায় পৌঁছবে, তখন যদি সে তার ধর্ম থেকে ফিরে আসে, তবে ভাল। নতুবা তাকে সেখান থেকে ছুড়ে মারবে।” তারপর তারা তাকে নিয়ে গেল এবং তাকে নিয়ে পাহাড়ে আরোহণ করল। এসময় সে (বালক) দুআ করল, “হে আল্লাহ! আপনার যেভাবে ইচ্ছা, আপনি তাদের ব্যাপারে আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান!” অতঃপর তাদেরকে সহ পাহাড় প্রকম্পিত হলো। ফলে তারা পড়ে গেলো। আর সে (বালক) হেঁটে হেঁটে বাদশাহর কাছে আসলো। বাদশাহ্ তাকে বললো, “তোমার সাথীরা কী করেছে (তাদের খবর কী)?” সে বলল, “তাদের ব্যাপারে আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট হয়েছেন।”

অতঃপর আবারো বাদশাহ্ তাকে তার কতিপয় সহচরের হাতে সমর্পণ করে বলল, “তোমরা তাকে নিয়ে যাও এবং তাকে নৌকায় উঠিয়ে গভীর সমুদ্রের মাঝে নিয়ে যাবে। অতঃপর সে যদি তার দ্বীন হতে ফিরে আসে, তবে ভাল, নতুবা তোমরা তাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে।” অতঃপর তারা তাকে নিয়ে গেল। তখন সে বলল, “হে আল্লাহ! আপনার যেভাবে ইচ্ছা, আপনি তাদের ব্যাপারে আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান!” অতঃপর নৌকাটি তাদেরসহ উল্টে গেল। আর যুবক হেঁটে হেঁটে বাদশাহর কাছে চলে এলো। এ দেখে বাদশাহ্ তাকে বললো, “তোমার সাথীরা কী করেছে (তাদের খবর কী)?” সে বলল, “তাদের ব্যাপারে আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট হয়েছেন।” অতঃপর সে বাদশাহকে বলল, আপনি আমাকে হত্যা করতে পারবেন না যে পর্যন্ত না আপনি আমার নির্দেশিত পদ্ধতি অবলম্বন করবেন।” বাদশাহ বলল, “সেটা কী?” বালক বলল, “একটি ময়দানে আপনি লোকেদেরকে জমায়েত করবেন। অতঃপর একটি কাঠের শুলীতে আমাকে উঠিয়ে আপনার তূণীর হতে একটি তীর নিয়ে সেটাকে ধনুকের মাঝে রাখবেন। এরপর بِاسْمِ اللَّهِ رَبِّ الْغُلاَمِ " [আল্লাহর নামে (তীর নিক্ষেপ করছি), যিনি বালকের প্রভু] বলে আমার দিকে তীর নিক্ষেপ করবেন। এভাবে আপনি যখন এমন করবেন, তখন আপনি আমাকে হত্যা করতে পারবেন।

তারপর বাদশাহ লোকেদেরকে এক মাঠে জমায়েত করল এবং তাকে একটি কাঠের শূলীতে চড়ালো। অতঃপর তার তূণীর হতে একটি তীর নিয়ে সেটাকে ধনুকের মাঝে রেখে بِاسْمِ اللَّهِ رَبِّ الْغُلاَمِ  " [আল্লাহর নামে (তীর নিক্ষেপ করছি), যিনি বালকের প্রভু] বলে তার দিকে তা নিক্ষেপ করল। তীর তার চিবুকে বিদ্ধ হলো। অতঃপর সে (বালক) তীরবিদ্ধ হওয়ার স্থানে নিজের হাত রাখল তারপর সে মারা গেল। এ দৃশ্য দেখে লোকজন آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ  آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ  (আমরা এ বালকের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আনলাম। আমরা এ বালকের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আনলাম।) তিনবার বললো। অতঃপর বাদশার সভাসদবর্গ বাদশাহর কাছে আসলো এবং তাকে বলা হলো, আপনি লক্ষ্য করেছেন কি? আপনি যা আশঙ্কা করছিলেন, আল্লাহর শপথ! সে আশঙ্কাই বাস্তবে ঘটেছে; মানুষ ঈমান আনয়ন করেছে।”

অতঃপর বাদশাহ রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গর্ত খননের নির্দেশ দিল। অতঃপর গর্ত খনন করা হলো এবং আগুন প্রজ্জ্বলিত করলো অতঃপর বললো, “যে ব্যক্তি তার দ্বীন থেকে ফিরে না আসবে, তোমরা তাকে আগুনে নিক্ষেপ করবে। অতঃপর তারা তাই করল। পরিশেষে একজন মহিলা তার শিশু সহ আসলেন অতঃপর তিনি আগুনে পতিত হবার ব্যাপারে ইতস্তত করেন। তখন তার বাচ্চা তাকে (মাকে) বলে, “মা! আপনি ধৈর্যধারণ করুন, কেননা নিশ্চয়ই আপনি হক্বের উপর রয়েছেন!”[1]

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْمَرْءَ إِذَا دَعَا اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا بِنِيَّةٍ صَحِيحَةٍ وَعَمَلٍ مُخْلِصٍ قَدْ يُسْتَجَابُ لَهُ دُعَاؤُهُ وَإِنْ كَانَ الشَّيْءُ الْمَسْؤُولُ معجزة

870 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ صُهَيْبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (كَانَ مَلِكٌ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ لَهُ سَاحِرٌ فَلَمَّا كَبِرَ قَالَ لِلْمَلِكِ: إِنِّي قَدْ كَبِرْتُ فَابْعَثْ إِلَيَّ غُلَامًا أُعَلِّمُهُ السِّحْرَ فَبَعَثَ لَهُ غُلَامًا يُعَلِّمُهُ فَكَانَ فِي طَرِيقِهِ إِذَا سَلَكَ رَاهِبٌ فَقَعَدَ إِلَيْهِ وَسَمِعَ كَلَامَهُ وَأَعْجَبَهُ فَكَانَ إِذَا أَتَى السَّاحِرَ ضَرَبَهُ وَإِذَا رَجَعَ مِنْ عِنْدِ السَّاحِرِ قَعَدَ إِلَى الرَّاهِبِ وَسَمِعَ كَلَامَهُ فَإِذَا أَتَى أَهْلَهُ ضَرَبُوهُ فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى الرَّاهِبِ فَقَالَ لَهُ: إِذَا خَشِيتَ السَّاحِرَ فَقُلْ: حَبَسَنِي أَهْلِي وَإِذَا خَشِيتَ أَهْلَكَ فَقُلْ: حَبَسَنِي السَّاحِرُ فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ أَتَى عَلَى دَابَّةٍ عَظِيمَةٍ قَدْ حَبَسْتِ النَّاسَ فَقَالَ: الْيَوْمَ أَعْلَمُ: الرَّاهِبُ أَفْضَلُ أَمِ السَّاحِرُ؟ فَأَخَذَ حَجَرًا ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ أَمْرُ الرَّاهِبِ أَحَبَّ إِلَيْكَ مِنْ أَمْرِ السَّاحِرِ فَاقْتُلْ هَذِهِ الدَّابَّةَ حَتَّى يَمْضِيَ النَّاسُ فَرَمَاهَا فَقَتَلَهَا وَمَضَى النَّاسُ فَأَتَى الرَّاهِبَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ لَهُ الرَّاهِبُ: أَيْ بُنَيَّ أَنْتَ الْيَوْمَ أَفْضَلُ مِنِّي وَإِنَّكَ سَتُبْتَلَى فَإِنِ ابْتُلِيتَ فَلَا تَدُلَّ عَلَيَّ فَكَانَ الْغُلَامُ يُبرئ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ وَيُدَاوِي سَائِرَ الْأَدْوَاءِ فَسَمِعَ جَلِيسٌ لِلْمَلِكِ - كَانَ قَدْ عَمِيَ - فَأَتَى الْغُلَامَ بِهَدَايَا كَثِيرَةٍ فَقَالَ: مَا هَاهُنَا لَكَ أَجْمَعُ إِنْ أَنْتَ شَفَيْتَنِي قَالَ: إِنِّي لَا أَشْفِي أَحَدًا إِنَّمَا يَشْفِي اللَّهُ فإن آمَنْتَ بِاللَّهِ دَعَوْتُ اللَّهَ فَشَفَاكَ فَآمَنَ بِاللَّهِ فَشَفَاهُ اللَّهُ فَأَتَى الْمَلِكَ يَمْشِي يَجْلِسُ إِلَيْهِ كَمَا كَانَ يَجْلِسُ فَقَالَ الْمَلِكُ: فُلَانُ! مَنْ رَدَّ عَلَيْكَ بَصَرَكَ؟ قَالَ: رَبِّي قَالَ: وَلَكَ رَبٌّ غَيْرِي؟ قَالَ: رَبِّي وَرَبُّكَ وَاحِدٌ فَلَمْ يَزَلْ يُعَذِّبْهُ حَتَّى دَلَّ عَلَى الْغُلَامِ فَجِيءَ بِالْغُلَامِ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ: أَيْ بُنَيَّ قَدْ بَلَغَ مِنْ سِحْرِكَ مَا تُبرئ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ وَتَفْعَلُ وَتَفْعَلُ؟ قَالَ: إِنِّي لَا أَشْفِي أَحَدًا إِنَّمَا يَشْفِي اللَّهُ فَأَخَذَهُ فَلَمْ يَزَلْ يُعَذِّبْهُ حَتَّى دَلَّ عَلَى الرَّاهِبِ فَجِيءَ بِالرَّاهِبِ فَقِيلَ لَهُ: ارْجِعْ عَنْ دِينِكَ فَأَبِي فَدَعَا بِالْمِنْشَارِ فَوَضَعَ الْمِنْشَارَ فِي مَفْرِقِ رَأْسِهِ فشُقَّ بِهِ حَتَّى وَقَعَ شِقَّاهُ ثُمَّ جِيءَ بِجَلِيسِ الْمَلِكِ فَقِيلَ: ارْجِعْ عَنْ دِينِكَ فَأَبِي فَوَضَعَ الْمِنْشَارَ فِي مَفْرِقِ رَأْسِهِ فشَقَّهُ بِهِ حَتَّى وَقَعَ شِقَّاهُ ثُمَّ جِيءَ بِالْغُلَامِ فَقِيلَ لَهُ: ارْجِعْ عَنْ دِينِكَ فَأَبِي فَدَفَعَهُ إِلَى نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ: اذْهَبُوا بِهِ إِلَى جَبَلِ كَذَا وَكَذَا فَاصْعَدُوا بِهِ الْجَبَلَ فَإِذَا بَلَغْتُمْ ذُرْوَتَهُ فَإِنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ وَإِلَّا فَاطْرَحُوهُ فَذَهَبُوا بِهِ فَصَعِدُوا بِهِ الْجَبَلَ فَقَالَ: اللَّهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ فَرَجَفَ بِهِمُ الْجَبَلُ فَسَقَطُوا وَجَاءَ يَمْشِي إِلَى الْمَلِكِ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ: مَا فَعَلَ أَصْحَابُكَ؟ قَالَ: كَفَانِيهِمُ اللَّهُ فَدَفَعَهُ إِلَى قَوْمٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ: اذْهَبُوا بِهِ فَاحْمِلُوهُ فِي قُرْقُورٍ فَوَسِّطوا بِهِ الْبَحْرَ فَلَجِّجُوا بِهِ فَإِنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ وَإِلَّا فَاقْذِفُوهُ فَذَهَبُوا بِهِ فَقَالَ: اللَّهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ فَانْكَفَأَتْ بِهِمُ السَّفِينَةُ وَجَاءَ يَمْشِي إِلَى الْمَلِكِ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ: مَا فَعَلَ أَصْحَابُكَ؟ قَالَ: كَفَانِيهِمُ اللَّهُ فَقَالَ لِلْمَلِكِ: وَإِنَّكَ لَسْتَ بِقَاتِلِي حَتَّى تَفْعَلَ مَا آمُرُكَ بِهِ قَالَ: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: تَجْمَعُ النَّاسَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ وَتَصْلُبُنِي عَلَى جِذْعٍ ثُمَّ خُذْ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِكَ ثُمَّ ضَعِ السَّهْمَ فِي كَبِدِ الْقَوْسِ ثُمَّ قُلْ: بِسْمِ اللَّهِ رَبِّ الْغُلَامِ ثُمَّ ارْمِنِي فَإِنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ قَتَلْتَنِي فَجَمَعَ النَّاسَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ ثُمَّ صَلَبَهُ عَلَى جِذْعٍ ثُمَّ أَخَذَ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِهِ ثُمَّ وَضَعَ السَّهْمَ فِي كَبِدِ قَوْسِهِ ثُمَّ قَالَ: بِسْمِ اللَّهِ رَبِّ الْغُلَامِ ثُمَّ رَمَاهُ فَوَقَعَ السَّهْمُ فِي صُدْغِهِ فَوَضَعَ يَدَهُ فِي مَوْضِعِ السَّهْمِ فَمَاتَ فَقَالَ النَّاسُ: آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلَامِ آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلَامِ ثَلَاثًا فأُتي الْمَلِكُ فَقِيلَ لَهُ: أَرَأَيْتَ مَا كُنْتَ تَحْذَرُ قَدْ وَاللَّهِ نَزَلَ بِكَ حَذَرُكَ قَدْ آمَنَ النَّاسُ فَأَمَرَ بِالْأُخْدُودِ بِأَفْوَاهِ السِّكَكِ فخُدَّتْ وَأَضْرَمَ النِّيرَانَ وَقَالَ: مَنْ لَمْ يَرْجِعْ عَنْ دِينِهِ فَأَحْمُوهُ فَفَعَلُوا حَتَّى جَاءَتِ امْرَأَةٌ وَمَعَهَا صَبِيٌّ لَهَا فَتَقَاعَسَتْ أَنْ تَقَعَ فِيهَا فَقَالَ لَهَا الْغُلَامُ: يَا أُمَّه اصبري فإنك على الحق) الراوي : صُهَيْب |المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 870 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.