৬৮৪

পরিচ্ছেদঃ যে মুসলিম ব্যক্তিকে নশ্বর পৃথিবীর সহায়-সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং তাকে যে দরিদ্রতা দেওয়া হয়েছে, তাতে সে ধৈর্য ধারণ করে, মহান আল্লাহ তার জন্য কল্যাণ লিপিবদ্ধ করেন

৬৮৪. আবু যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “হে আবু যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, তুমি কি মনে করো যে, সম্পদের প্রাচুর্যতা হলো ঐশ্বর্য?” আমি বললাম, “জ্বী, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!” তিনি বলেন, “তুমি কি মনে করো যে, সম্পদের স্বল্পতা হলো দরিদ্রতা?” আমি বললাম, “জ্বী, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!” তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই প্রকৃত ঐশ্বর্য হলো অন্তরের ঐশ্বর্য। আর প্রকৃত দরিদ্রতা হলো অন্তরের দরিদ্রতা।”

তারপর তিনি আমাকে কুরাইশের এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, “তুমি কি ঐ ব্যক্তিকে চিনো?” আমি বললাম, ““জ্বী, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!” তিনি বলেন, “তুমি তাকে কেমন মনে করো, তুমি তাকে কেমন বিবেচনা করো?” আমি বললাম, “তিনি যদি (কারো কাছে কিছু) চান, তবে তাকে তা দেওয়া হবে। তিনি (কারো বাড়িতে) উপস্থিত হলে, তাকে বাড়িতে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়।” তারপর তিনি আমাকে আহলে সুফ্ফার এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেন, “তুমি কি তাকে চিনো?” আমি বললাম, “না, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল্লাহর কসম! আমি তাকে চিনি  না।”
অতঃপর তিনি আমার কাছে তার বর্ণনা দিতেই থাকলেন, অবশেষে আমি তাকে চিনতে পারলাম। ফলে আমি তাকে বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি তাকে চিনতে পেরেছি।” তিনি বললেন, “তুমি তাকে কেমন মনে করো, তুমি তাকে কেমন বিবেচনা করো?” আমি বললাম, “তিনি তো আহলে সুফ্ফার একজন দরিদ্র ব্যক্তি।” তিনি বলেন, “দুনিয়া ভরপুর অপর ব্যক্তির চেয়ে এই ব্যক্তি উত্তম।” আমি বললাম, “অপর ব্যক্তিকে যা দেওয়া হয়েছে, এই ব্যক্তিকেও কি তার কিয়দাংশ প্রদান করা হয়নি?” অতঃপর তিনি বলেন, “যদি তাকে কল্যান কিছু প্রদান করা হয়, তবে তিনি তার যোগ্য, আর যদি তা তাকে না দেওয়া হয়, তবে তাকে সাওয়াব দেওয়া হয়।”[1]

ذِكْرُ كِتْبَةِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا الْحَسَنَةَ لِلْمُسْلِمِ الْفَقِيرِ الصَّابِرِ عَلَى مَا أُوتِيَ مِنْ فَقْرِهِ بِمَا مُنِعَ مِنْ حُطَامِ هَذِهِ الزَّائِلَةِ

684 - أَخْبَرَنَا ابْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (يَا أَبَا ذَرٍّ أَتَرَى كَثْرَةَ الْمَالِ هُوَ الْغِنَى)؟ قُلْتُ: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: (فَتَرَى قِلَّةَ الْمَالِ هُوَ الْفَقْرُ)؟ قُلْتُ: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: (إِنَّمَا الْغِنَى غِنَى الْقَلْبِ وَالْفَقْرُ فَقْرُ الْقَلْبِ) ثُمَّ سَأَلَنِي عَنْ رَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ فقَالَ: (هَلْ تَعْرِفُ فُلَانًا)؟ قُلْتُ: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: (فَكَيْفَ تَرَاهُ وَتَرَاهُ؟ ) قُلْتُ: إِذَا سَأَلَ أُعطي وَإِذَا حَضَرَ أُدخل ثُمَّ سَأَلَنِي عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الصُّفَّة فقَالَ: (هَلْ تَعْرِفُ فُلَانًا؟ ) قُلْتُ: لَا وَاللَّهِ مَا أَعْرِفُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: فَمَا زَالَ يُحَلِّيهِ وَيَنْعَتُهُ حَتَّى عَرَفْتُهُ فَقُلْتُ: قَدْ عَرَفْتُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: (فَكَيْفَ تَرَاهُ أَوْ تَرَاهُ؟ ) قُلْتُ: رَجُلٌ مِسْكِينٌ مِنْ أَهْلِ الصُّفَّة فقَالَ: (هُوَ خَيْرٌ مِنْ طِلَاعِ الْأَرْضِ مِنَ الْآخَرِ) قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلَا يُعطى مِنْ بَعْضِ مَا يُعطى الْآخَرُ؟ فقَالَ: (إِذَا أُعطي خَيْرًا فَهُوَ أَهْلُهُ وَإِنْ صُرِفَ عنه فقد أُعطِيَ حسنة) الراوي : أَبُو ذَرٍّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 684 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.