লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ আমরা যে ঐশ্বর্যের কথা বর্ণনা করলাম, তার বিবরণ
৬৭৯. আব্দুর রহমান বিন আবান তার বাবার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, “যাইদ বিন সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মারওয়ানের কাছ থেকে মধ্যাহ্নের সময় বের হয়ে আসলেন। তিনি বলেন, আমি (মনে মনে) বললাম, “নিশ্চয়ই কোন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্যই এই সময় মারওয়ান তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন।” আমি তাঁকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “তিনি আমাদের এমন কিছু বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছেন, যা আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শ্রবণ করেছি। আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে উজ্জ্বল করুন, যিনি আমাদের থেকে কোন হাদীস শ্রবণ করে অতঃপর তা অন্যের কাছে পৌঁছে দেয়। কোন কোন সময় ফিকহ বহনকারী ব্যক্তি এমন ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়, যিনি তার চেয়েও বেশি সমঝদার। অনেক ফিকহ বহনকারী ব্যক্তি নিজে ফকীহ নন। তিনটি কাজ যাতে মুসলিম ব্যক্তির হৃদয় প্রতারিত হয়না।
(১) আমল আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠভাবে পালন করা, (২) মুসলিম শাসকদের কল্যান কামনা করা ও (৩) মুসলিম জামা‘আতকে আকড়ে ধরে থাকা। কেননা মুসলিমদের দু‘আ তাদেরকে (গোমরাহী ও শত্রুর অনিষ্ট থেকে) পরিবেষ্টন করে রাখে। আর যার নিয়ত হবে দুনিয়া (উপার্জন করা), আল্লাহ তা‘আলা তার বিষয়াদিকে বিচ্ছিন্ন-বিশৃঙ্খল করে দিবেন, তার দু‘চোখের সামনে অভাব রেখে দিবেন। আর তার কাছে দুনিয়ার ততটুকুই আসবে, যতটুকু আল্লাহ তার জন্য লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। পক্ষান্তরে যার নিয়ত হবে আখেরাত, আল্লাহ তার বিষয়াবলীকে সুসংহত করে দিবেন, তার অন্তরে আল্লাহ ঐশ্বর্য রেখে দিবেন আর দুনিয়া তার কাছে নত হয়ে আগমন করবে।”[1]
ذِكْرُ وَصْفِ الْغِنَى الَّذِي وَصَفْنَاهُ قَبْلُ
679 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عُمَرَ بْنِ سُلَيْمَانَ قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبَانَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَرَجَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ مِنْ عِنْدِ مَرْوَانَ نِصْفَ النَّهَارِ قَالَ: قُلْتُ: مَا بَعَثَ إِلَيْهِ هَذِهِ السَّاعَةَ إِلَّا لِشَيْءٍ سَأَلَهُ عَنْهُ فَسَأَلْتُهُ فقَالَ: سَأَلَنَا عَنْ أَشْيَاءَ سَمِعْنَاهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عليه وسلم يقول: (نَضَّرَ الله امرءاً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا فبلَّغه غَيْرَهُ فرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ ورُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لَيْسَ بِفَقِيهٍ ثَلَاثٌ لَا يُغَلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ مُسْلِمٍ: إِخْلَاصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ وَمُنَاصَحَةُ وُلَاةِ الْأَمْرِ وَلُزُومُ الْجَمَاعَةِ فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ وَمَنْ كَانَتِ الدُّنْيَا نِيَّتَهُ فرَّق اللَّهُ عَلَيْهِ أَمْرَهُ وَجَعَلَ فَقْرَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ وَلَمْ يَأْتِهِ مِنَ الدُّنْيَا إِلَّا مَا كُتِبَ لَهُ وَمَنْ كَانَتِ الْآخِرَةُ نِيَّتَهُ جَمَعَ اللَّهُ لَهُ أَمْرَهُ وَجَعَلَ غِنَاهُ فِي قَلْبِهِ وَأَتَتْهُ الدنيا وهي راغمة) الراوي : زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 679 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح.