লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি কোন এক অবস্থায় একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দিবে, তার জন্য আল্লাহ জাহান্নাম হারাম করে দিবেন
২২৩. মাহমূদ বিন রাবী‘ আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘ইতবান বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একজন বাদরী, আনসারী সাহাবী ছিলেন। তিনি একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে বললেন: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমার দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে গেছে আর আমি আমার কওমের ইমামতি করি। যখন বৃষ্টি হয়, তখন আমার ও তাদের মাঝের উপত্যকা প্লাবিত হয়ে যায় ফলে আমি তাদের মাসজিদে এসে ইমামতি করতে পারি না। কাজেই হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমার আশা যে, আপনি আমার বাড়িতে আসবেন এবং সেখানে সালাত আদায় করবেন, যাতে সেই জায়গা আমি সালাতের জন্য নির্ধারণ করে নিতে পারি।” রাবী বলেন, তখন তিনি বলেন: “অচিরেই আমি তা করবো।” ‘ইতবান বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, পরদিন সকালে যখন সূর্য উর্দ্ধ আকাশে সমুন্নত হয়, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমার বাড়িতে আসেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি চান। আমি তাঁকে অনুমতি দেই। তারপর তিনি আর বসেন নি, এমনকি তিনি বাড়িতে প্রবেশ করেন। অতঃপর তিনি বলেন: “আপনি আপনার বাড়ির কোথায় সালাত আদায় করা পছন্দ করেন?” আমি বাড়িতে একটি জায়গার প্রতি ইঙ্গিত করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে দাঁড়ান এবং ‘আল্লাহু আকবার’ বলেন। আমরাও তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে যাই। অতঃপর তিনি দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করে সালাম ফিরান। আমরা তাঁর জন্য খাযীরা[1] নামক খাবার প্রস্তুত করেছিলাম, সেই খাবার গ্রহণ করার জন্য অবস্থান করতে তাঁকে অনুরোধ করি। এসময় আমাদের পরিবারের অনেক সদস্য তাঁর পাশে জমায়েত হয়ে যায় এবং তাদের মধ্যে একজন বলেন: “মালিক বিন দুখশুন কোথায়?” তখন তাদের মধ্যে আরেকজন বললেন: “সে একজন মুনাফিক, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালবাসে না।” এটি শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বলেন: “তার ব্যাপারে তুমি এমন কথা বলো না। তুমি দেখনি যে, সে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সে বলেছে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বুদ নেই)?” তখন সাহাবীগণ বললেন: “আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। আমরা এটাই দেখতে পাই যে, মুনাফিকদের প্রতিই সে ঝোঁকপ্রবণ এবং ওদের জন্যই সে কল্যাণ কামনা করে।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “মহান আল্লাহ জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিয়েছেন ঐ ব্যক্তির জন্য যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বুদ নেই)।[2]
ইবনু শিহাব যুহরী রহিমাহুল্লাহ বলেন: “আমি পরবর্তীতে মাহমূদ বিন রাবী‘ আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর এই হাদীস সম্পর্কে বানু সালীম গোত্রের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হুসাইন বিন মুহাম্মাদ আনসারী রহিমাহুল্লাহকে জিজ্ঞেস করলে, তিনি তা সত্যায়ন করেন।”
ذِكْرُ تَحْرِيمِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا عَلَى النَّارِ مَنْ وَحَّدَهُ مُخْلِصًا فِي بَعْضِ الْأَحْوَالِ دُونَ الْبَعْضِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ مَحْمُودَ بْنَ الرَّبِيعِ الْأَنْصَارِيَّ أَخْبَرَهُ: أَنَّ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ -: وَهُوَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مِنَ الْأَنْصَارِ - أتى رسول الله صلى الله عليه وسلم فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَنْكَرْتُ بَصَرِي وَأَنَا أُصَلِّي لِقَوْمِي وَإِذَا كَانَ الْأَمْطَارُ سَالَ الْوَادِي الَّذِي بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ وَلَمْ أَسْتَطِعْ أَنْ آتِيَ مَسْجِدَهُمْ فَأُصَلِّيَ لَهُمْ وَدِدْتُ أَنَّكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تَأْتِي فَتُصَلِّي فِي بَيْتِي أَتَّخِذُهُ مُصَلًّى قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (سَأَفْعَلُ) قَالَ عِتْبَانُ: فَغَدَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ حِينَ ارْتَفَعَ النَّهَارُ فَاسْتَأْذَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأذِنْتُ لَهُ فَلَمْ يَجْلِسْ حَتَّى دَخَلَ الْبَيْتَ ثُمَّ قَالَ: (أَيْنَ تُحِبُّ أَنْ أُصَلِّيَ مِنْ بَيْتِكَ؟ ) قَالَ: فَأَشَرْتُ إِلَى نَاحِيَةٍ مِنَ الْبَيْتِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَبَّرَ وَقُمْنَا وَرَاءَهُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ قَالَ: وَحَبَسْنَاهُ عَلَى خَزِيرَةٍ صَنَعْنَاهَا لَهُ قَالَ: فَثَابَ رِجَالٌ مِنْ أَهْلِ الدَّارِ حَوْلَهُ حَتَّى اجْتَمَعَ فِي الْبَيْتِ رِجَالٌ ذَوُو عَدَدٍ قَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ: أَيْنَ مَالِكُ بْنُ الدُّخْشُنِ؟ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: ذَاكَ مُنَافِقٌ وَلَا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (لَا تَقُلْ لَهُ ذَلِكَ أَلَا تَرَاهُ قَدْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يُرِيدُ بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ؟ ) قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ إِنَّمَا نَرَى وَجْهَهُ وَنَصِيحَتَهُ لِلْمُنَافِقِينَ! قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا حرَّم عَلَى النَّارِ مَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ) قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: ثُمَّ سَأَلْتُ الْحُصَيْنَ بْنَ مُحَمَّدٍ الْأَنْصَارِيَّ - وَهُوَ أَحَدُ بَنِي سَالِمٍ وَهُوَ مِنْ سَرَاتِهِمْ - عَنْ حَدِيثِ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ فصدَّقه بِذَلِكَ. الراوي : مَحْمُود بْن الرَّبِيعِ الْأَنْصَارِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 223 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.