১৬৮

পরিচ্ছেদঃ ব্যাপক অর্থবোধক কিছু শাখা-প্রশাখাসহ ঈমানের বিবরণ

১৬৮. ইয়াহইয়া বিন ইয়ামার রহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি ও হুমাইদ বিন আব্দুর রহমান আল হিমইয়ারী হজ্জ অথবা উমরার উদ্দেশ্যে বের হলাম। আমরা বললাম যে, হতে পারে আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কোন সাহাবীর সাক্ষাত পাবো, (যদি সাক্ষাত পাই) তাহলে আমরা তাঁকে ভাগ্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবো। অতঃপর আমরা আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমার সাক্ষাত পেয়ে গেলাম। আমার মনে পড়ে যে, আমার সঙ্গী আমাকে কথা বলার দায়িত্ব দেন। ফলে আমরা তাঁকে বললাম: ’হে আবু আব্দুর রহমান (এটি আব্দুল্লাহ বিন উমারের উপনাম), আমাদের মাঝে একদল লোকের আবির্ভাব হয়েছে, যার কুরআন পাঠ করে, ইলমও অর্জন করে- তারা বলে যে, ’ভাগ্য বলতে কিছু নেই। নিশ্চয়ই সবকিছু তাৎক্ষণিকভাবেই ঘটে।’ তখন আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমার বলেন: ’যদি তুমি তাদের সাক্ষাত পাও, তবে তাদেরকে জানিয়ে দিয়ো যে, আমি তাদের থেকে সম্পূর্ণরুপে মুক্ত, আর তারাও আমার থেকে মুক্ত। আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা শপথ করে বলেন: ’যদি তাদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করে আর ভাগ্যের প্রতি ঈমান আনয়ন না করে, তবে তাদের সে দান কখনই গ্রহন করা হবে না।’ তারপর তিনি বলেন:

’আমাকে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন যে, ’একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝে বসে ছিলেন। এমন সময় অত্যন্ত কালো দাড়ি ও ধবধবে সাদা পোশাক বিশিষ্ট্য একজন ব্যক্তি আসলেন। তিনি তাঁর হাঁটু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাঁটুর সাথে লাগালেন। অতঃপর বললেন: ’হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইসলাম কী?’ জবাবে তিনি বললেন: “এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই, সালাত প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত প্রদান করা, রমযানের সিয়াম পালন করা এবং বায়তুল্লাহর হজ্জ করা।’ তিনি বললেন: ’আপনি ঠিকই বলেছেন।’ ফলে আমরা অবাক হলাম যে, তিনি নিজেই প্রশ্ন করছেন আবার নিজেই উত্তর সত্যায়িত করছেন। তিনি বললেন: ’আমাকে বলুন, ঈমান কী?’ জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’ঈমান হলো তুমি আল্লাহ, তাঁর ফেরেস্তা, তাঁর কিতাব, তাঁর রাসূলগণ, মৃত্যুর পর পুনরুত্থান, ভাগ্যের ভাল-মন্দ, তিক্ততা-মিষ্টতা প্রভৃতির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।’ তিনি বললেন: ’আপনি ঠিকই বলেছেন।’ ফলে আমরা অবাক হলাম যে, তিনি নিজেই প্রশ্ন করছেন আবার নিজেই উত্তর সত্যায়িত করছেন। তিনি বললেন: ’আমাকে বলুন, ইহসান কী?’ জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:  ’ইহসান হলো তুমি এমনভাবে ইবাদত করবে যে, যেন তুমি তাঁকে দেখতে পাচ্ছো। যদি তুমি তাকে দেখতে না পাও তবে (মনে করবে যে) নিশ্চয়ই তিনি তোমাকে দেখতে পাচ্ছেন।’ তিনি আবারো বললেন: ’আমাকে বলুন, কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে?’ তিনি বলেন: ’এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি জিজ্ঞেসকারীর চেয়ে বেশি অবগত নন। তিনি বললেন: ’তাহলে তার আলামত কী।’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: কিয়ামতের আলামত হলো তুমি দাসীকে দেখবে তার মুনীবকে প্রসব করতে, দেখবে বিবস্ত্র, নগ্নপদ, ছাগলের রাখালদের প্রাসাদ নিয়ে গর্ব করতে। তারপর লোকটি চলে যায়। উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: ’এর তিনদিন পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে আমার সাক্ষাত হলে তিনি আমাকে বলেন: ’হে উমার, তুমি কি জানো সেই লোকটি কে ছিল?’ আমি বললাম: ’জ্বী, না।’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’উনি জিবরীল আলাইহিস সালাম, তিনি এসেছিলেন,আপনাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দেওয়ার জন্য।’[1]

ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنْ وَصْفِ الْإِسْلَامِ وَالْإِيمَانِ بِذِكْرِ جَوَامِعِ شُعَبِهِمَا

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ الضَّرِيرُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا كَهْمَسُ بْنُ الْحَسَنِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ قَالَ خَرَجْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حَاجَّيْنِ أَوْ مُعْتَمِرَيْنِ وَقُلْنَا لَعَلَّنَا لَقِينَا رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فنسأله عن القدر فلقينا بن عُمَرَ فَظَنَنْتُ أَنَّهُ يَكِلُ الْكَلَامَ إِلَيَّ فَقُلْنَا: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَدْ ظَهَرَ عِنْدَنَا أناس يقرؤون الْقُرْآنَ يَتَقَفَّرُونَ الْعِلْمَ تَقَفُّرًا يَزْعُمُونَ أَنْ لَا قَدَرَ وَأَنَّ الْأَمْرَ أُنُفٌ قَالَ: فَإِنْ لَقِيتَهُمْ فَأَعْلِمْهُمْ أَنِّي مِنْهُمْ بَرِيءٌ وَهُمْ مِنِّي بُرَآءُ والذي يحلف به بن عُمَرَ لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا ثُمَّ لَمْ يُؤْمِنْ بِالْقَدَرِ لَمْ يُقْبَلْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضي الله تعالى عَنْهُ قَالَ: بَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ جَالِسًا إِذْ جَاءَ شَدِيدُ سَوَادِ اللِّحْيَةِ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ فَوَضَعَ رُكْبَتَهُ عَلَى رُكْبَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ مَا الْإِسْلَامُ قَالَ: "شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَصَوْمُ رَمَضَانَ وَحَجُّ الْبَيْتِ" قَالَ: صَدَقْتَ فَعَجِبْنَا مِنْ سُؤَالِهِ إِيَّاهُ وَتَصْدِيقِهِ إِيَّاهُ قَالَ: فَأَخْبِرْنِي مَا الْإِيمَانُ؟ قَالَ: "أَنْ تؤمن بالله وملائكته وكتبه ورسله وَالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ حُلْوِهِ وَمُرِّهِ" قَالَ: صَدَقْتَ قَالَ: فَعَجِبْنَا مِنْ سُؤَالِهِ إياه وَتَصْدِيقِهِ إِيَّاهُ قَالَ: فَأَخْبِرْنِي مَا الْإِحْسَانُ؟ قَالَ: "أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ" قَالَ فَأَخْبِرْنِي مَتَى السَّاعَةُ قَالَ: "مَا الْمَسْؤُولُ بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ" قَالَ: فَمَا أَمَارَتُهَا؟ قَالَ: "أَنْ تَلِدَ الْأَمَةُ رَبَّتَهَا وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ رِعَاءَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ" قَالَ: فَتَوَلَّى وَذَهَبَ فَقَالَ عُمَرُ فَلَقِيَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ثَالِثَةٍ فَقَالَ: "يَا عُمَرُ أَتَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ؟ " قُلْتُ: لَا قَالَ: "ذَاكَ جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يعلمكم دينكم". الراوي : يَحْيَى بْن يَعْمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 168 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.