লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৬) জামাআতে নামায আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং ঐ ব্যক্তির বর্ণনা যে জামাআতে নামায পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে কিন্তু গিয়ে দেখলো, লোকেরা নামায পড়ে ফেলেছে
৪০৮. (সহীহ লি গাইরিহী) আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’স্বপ্নযোগে আজ রাতে আমার প্রভুর পক্ষ থেকে একজন আমার কাছে এসেছিলেন।’’
অপর বর্ণনায়ঃ
’’আমি স্বপ্নে আমার পালনকর্তাকে সর্বোত্তম আকৃতিতে দেখেছি। তিনি আমাকে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমি বললাম: লাববাইকা ওয়া সাআ’দাইকা হে আমার প্রভু! (আমি আপনার সামনে হাজির এবং আপনার সৌভাগ্য নিতে প্রস্ত্তত।) তিনি বললেনঃ তুমি কি জানো যে নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ কোন বিষয় নিয়ে পরস্পর বির্তক করছে? আমি বললামঃ আমি জানি না। তখন তিনি আমার দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে স্বীয় হাত রাখলেন এমনকি আমি তার ঠান্ডা অনুভব করলাম আমার দুই স্তনের মধ্যবর্তী স্থানে অথবা বলেছেন- বুকের মধ্যে। অতঃপর আমি আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানের যা কিছু আছে তা জানতে পারলাম অথবা তিনি বলেছেন পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যখানে যা আছে তা আমি জানতে পারলাম।[1]
তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! আপনি কি জানেন নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতগণ কি বিষয় নিয়ে পরস্পর বির্তক করছে? আমি বললাম হ্যাঁ। তা হচ্ছে মর্যাদা উন্নীত করণ, পাপ মোচন, জামাআতে নামায আদায় করার জন্য পা উঠিয়ে মসজিদে যাওয়া, কঠিন ঠান্ডার সময় পরিপূর্ণরূপে ওযু করা, নামায আদায় করার পর পরবর্তী নামাযের জন্য অপেক্ষায় বসে থাকা। যে ব্যক্তি এগুলোর প্রতি যত্নবান হবে সে কল্যাণের সাথে জীবন-যাপন করবে এবং কল্যাণের মাঝে তার মৃত্যু হবে। আর সে তার পাপ থেকে এমনভাবে মুক্ত হবে যেমন তার মাতা তাকে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ট করেছিল।
তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমি বললাম: ’লাববাইকা ওয়া সা’দাইকা’। আল্লাহ বললেনঃ তুমি নামায আদায় করলে এ দু’আটি পাঠ করবেঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ وَإِذَا أَرَدْتَ بِعِبَادِكَ فِتْنَةً فَاقْبِضْنِي إِلَيْكَ غَيْرَ مَفْتُونٍ.
হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি নেক কাজ করা, অন্যায় কাজ পরিত্যাগ করা এবং মিসকীনদের ভালবাসার তাওফীক। আপনি যদি বান্দাদের ফেতনায় ফেলতে চান তাহলে কোন ধরণের ফেতনা ছাড়াই আমাকে আপনার নিকট উঠিয়ে নিন।’’ নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’মর্যাদার ব্যাখ্যা হচ্ছে যেমন: সালাম প্রচার করা, ক্ষুধার্তকে খাদ্য খাওয়ানো, রাতে মানুষ যখন নিদ্রায় থাকে তখন নফল নামায আদায় করা।’’
(ইমাম তিরমিযী ৩২৩৩ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেনঃ হাদীছটি হাসান গারীব)
الترغيب في صلاة الجماعة وما جاء فيمن خرج يريد الجماعة فوجد الناس قد صلوا
(صحيح لغيره) وَعَنْ ابن عباس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَتَانِى اللَّيْلَةَ رَبِّى (وفي رواية) رأيت ربي فِى أَحْسَنِ صُورَةٍ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ قلت لبيك رب وسعديك قال هَلْ تَدْرِى فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأُ الأَعْلَى قُلْتُ لاَ أعلم فَوَضَعَ يَدَهُ بَيْنَ كَتِفَىَّ حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَهَا بَيْنَ ثَدْيَىَّ أَوْ قَالَ فِى نَحْرِى فَعَلِمْتُ مَا فِى السَّمَوَاتِ وَمَا فِى الأَرْضِ أو قَالَ ما بين المشرق والمغرب قَالَ يَا مُحَمَّدُ أتَدْرِى فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأُ الأَعْلَى قُلْتُ نَعَمْ قَالَ فِى الدرجات وَالْكَفَّارَات ونقل الأَقْدَامِ إِلَى الْجَمَاعَاتِ وَإِسْبَاغُ الْوُضُوءِ فِى فِي السَّبَراتِ وانتظار الصلاة ومن حافظ عليهن عَاشَ بِخَيْرٍ وَمَاتَ بِخَيْرٍ وَكَانَ مِنْ ذنوبه كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ قَالَ يَا مُحَمَّدُ قُلْتُ: لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ فَقَالَ إِذَا صَلَّيْتَ قُلِ اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ وَإِذَا أَرَدْتَ بِعِبَادِكَ فِتْنَةً فَاقْبِضْنِى إِلَيْكَ غَيْرَ مَفْتُونٍ قَالَ وَالدَّرَجَاتُ إِفْشَاءُ السَّلاَمِ وَإِطْعَامُ الطَّعَامِ وَالصَّلاَةُ بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ. رواه الترمذي وقال حديث حسن