লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৪) সাধারণ ভাবে নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, রুকু, সেজদা এবং বিনয় নম্রতার ফযীলত
৩৯৬. (হাসান সহীহ) আসেম বিন সুফিয়ান ছাক্বাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তারা ’যাতু সালাসিল’ নামক যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তাতে যুদ্ধ হয়নি তখন তারা সে এলাকায় সীমান্ত পাহারার জন্য কিছু দিন অবস্থান করেন। অতঃপর তারা ফিরে আসেন মুআ’বিয়ার কাছে। সে সময় মুআ’বিয়ার (রাঃ) কাছে ছিলেন আবু আইয়্যুব আনসারী (রাঃ) এবং উকবা বিন আমের (রাঃ)। তখন আসেম (রাঃ) বললেন, হে আবু আইয়্যুব! বিগত বছর আমরা যুদ্ধ করতে পারিনি। আমাদেরকে জানানো হয়েছে যে, যে ব্যক্তি চারটি মসজিদে[1] নামায আদায় করবে তার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে। তখন আবু আইয়্যুব (রাঃ) বললেন, ভাতিজা! আমি কি তোমাকে এর চেয়ে সহজ কোন আমলের সংবাদ দিব না? আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’যে ব্যক্তি ওযু করে যেভাবে তাকে আদেশ করা হয়েছে সেভাবে। অতঃপর নামায আদায় করে যেভাবে নির্দেশ হয়েছে সেভাবে। তাহলে সে পূর্বে যে আমলই করে থাকুক না কেন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন।’’ হে উকবা কথাটি কি ঠিক নয়? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন নাসাঈ ১/৯০, ইবনে মাজাহ ১৩৯৬ ও ইবনে হিব্বান ১০৩৯)
ওযুর অধ্যায়ে আমর বিন আব্সা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছের শেষাংশে বলা হয়েছেঃ
فإن هو قام فحمد الله وأثنى عليه ومجده بالذي هو له أهل وفرغ قلبه لله تعالى إلا انصرف من خطيئته كيوم ولدته أمه.
(সহীহ্) ’’অতঃপর সে যদি দন্ডায়মান হয়ে সালাত আদায় করে, আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তণ করে, তিনি যে সকল গুণের অধিকারী তা দ্বারা তাঁর মহাত্ম্য বর্ণনা করে এবং আল্লাহ তা’আলার জন্যে অন্তরকে একনিষ্ঠ করে, তবে সে তার গুনাহ থেকে এমন দিনের ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে যেদিন তার মাতা তাকে ভূমিষ্ট করেছিল।’’[2]
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম মুসলিম ২২৮)
ইতোপূর্বে উছমান (রাঃ)এর হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একথা বলেছেন:
مَا مِنَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ صَلاةٌ مَكْتُوبَةٌ ، فَيُحْسِنُ وُضُوءَهَا ، وَخُشُوعَهَا ، وَرُكُوعَهَا إِلا كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوبِ ، مَا لَمْ تُؤْتَ كَبِيرَةٌ ، وَذَلِكَ الدَّهْرَ كُلَّهُ. رواه مسلم
(সহীহ্) ’’কোন মুসলিম ব্যক্তির নিকট যখন ফরয ছালাতের সময় উপস্থিত হয়, তখন সে সুন্দরভাবে ওযু করে এবং রুকু-সিজদাগুলো বিনয়-নম্রতার সাথে সম্পাদন করে। তাহলে তা পূর্ববর্তী গুনাহ সমূহের জন্য কাফ্ফারা স্বরূপ হয়ে যায়- যতক্ষণ সে কাবীরা গুনাহে লিপ্ত না হয়। আর তা বছরে সব সময়ের জন্য।’’[3]
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম মুসলিম ২২৮)
এছাড়া উবাদা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছও পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেনঃ আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
خَمْسُ صَلَوَاتٍ افْتَرَضَهُنَّ اللَّهُ مَنْ أَحْسَنَ وُضُوءَهُنَّ وَصَلَّاهُنَّ لِوَقْتِهِنَّ وَأَتَمَّ رُكُوعَهُنَّ وَخُشُوعَهُنَّ كَانَ لَهُ عَلَى اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يَغْفِرَ لَهُ.
(সহীহ্ লি গাইরিহী) ’’আল্লাহ তা’আলা পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন, যে ব্যক্তি সময়মত সুন্দররূপে ওযু করবে পরিপূর্ণরূপে রুকূ’-সিজদা ও একাগ্রতাসহ নামায আদায় করবে, তাহলে তার জন্য আল্লাহ তা’আলার অঙ্গিকার রয়েছে যে তিনি তাকে ক্ষমা করে দিবেন।’’ (আবূ দাউদ ৪২৫) [4]
الترغيب في الصلاة مطلقا وفضل الركوع والسجود والخشوع
(حسن صحيح) وَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ سُفْيَانَ الثقفي رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : أَنَّهُمْ غَزَوْا غَزْوَةَ السَّلاسِلِ ، فَفَاتَهُمُ الْغَزْوُ ، فَرَابَطُوا ، ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى مُعَاوِيَةَ وَعَنْدَهُ أَبُو أَيُّوبَ ، وَعُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ ، فَقَالَ عَاصِمٌ : يَا أَبَا أَيُّوبَ ، فَاتَنَا الْغَزْوُ الْعَامَ ، وَقَدْ أُخْبِرْنَا أَنَّهُ مَنْ صَلَّى فِي الْمَسَاجِدِ الأَرْبَعَةِ غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ ، فَقَالَ : يَا ابْنَ أَخِي ، أَدُلُّكَ عَلَى أَيْسَرَ مِنْ ذَلِكَ ، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ( يَقُولُ : مَنْ تَوَضَّأَ كَمَا أُمِرَ ، وَصَلَّى كَمَا أُمِرَ ، غُفِرَ لَهُ مَا قَدَّمَ مِنْ عَمَلٍ ، أَكَذَلِكَ يَا عُقْبَةُ ؟ قَالَ : نَعَمْ . رواه النسائي وابن ماجه وابن حبان في صحيحه