৯০৪

পরিচ্ছেদঃ ২১: ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’ পাঠ করা

৯০৪. ’আলী ইবনু হুজর (রহ.) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন তিনি আমাদের মাঝে ছিলেন অর্থাৎ নবী (সা.)। হঠাৎ ওয়াহীর অবস্থা (রাঃ) পেল। তারপর তিনি (সা.) পবিত্র হাসি দিতে দিতে মাথা উঠালেন। আমরা তাকে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কেন হাসলেন? তিনি (সা.) বললেন, এখন আমার ওপর একটি সূরাহ (কাওসার) অবতীর্ণ হলো-
“বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম। ১. ইন্না- আ’ত্বয়না- কাল কাওসার, ২. ফাসল্লি লিরব্বিকা ওয়ানহার, ৩. ইন্না শা-নিআকা হুওয়াল আবতার।” (পরম করুণাময় অসীম দয়াময় আল্লাহর নামে। ১. [হে নবী] আমি তোমাকে অশেষ কল্যাণ দান করেছি [যার মধ্যে হাওযে কাওসারও অন্তর্ভুক্ত] ২. অতএব তোমার প্রতিপালককে স্মরণ করার জন্যে তুমি সালাত আদায় কর এবং [তারই উদ্দেশ্যে] তুমি কুরবানী কর ৩. [তোমার নাম-চিহ্ন কোনদিন মুছবে না বরং] তোমার নিন্দাকারীরাই নাম-চিহ্নহীন-নিমূল [অসহায়]।)
তারপর তিনি বলেন, তোমরা জান কি ’কাওসার’ কি? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রসূল (সা.) -ই ভালো জানেন। তিনি বললেন, এটা একটি নহর। আমার রব! আমাকে তা জান্নাতে দান করবেন বলে ওয়াদা করেছেন। তার পেয়ালাসমূহ তারকার সংখ্যা অপেক্ষা বেশী আমার উম্মত তার কাছে আমার নিকট আসবে। তারপর তাদের মধ্য হতে কাউকে হটিয়ে দেয়া হবে। তখন আমি বলব, হে আল্লাহ! সে তো আমার উম্মাতের অন্তর্ভুক্ত। তখন তিনি আমাকে বলবেন, নিশ্চয় আপনি জানেন না, সে আপনার পরে (শারী’আতের পরিপন্থী) কি নতুন বিষয় আবিষ্কার করেছিল।

قراءة بسم الله الرحمن الرحيم

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قال:‏‏‏‏ بَيْنَمَا ذَاتَ يَوْمٍ بَيْنَ أَظْهُرِنَا يُرِيدُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ أَغْفَى إِغْفَاءَةً، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مُتَبَسِّمًا فَقُلْنَا لَهُ:‏‏‏‏ مَا أَضْحَكَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ؟ قَالَ:‏‏‏‏ نَزَلَتْ عَلَيَّ آنِفًا سُورَةٌ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، ‏‏‏‏‏‏إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ ‏‏‏‏ 1 ‏‏‏‏ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ ‏‏‏‏ 2 ‏‏‏‏ إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الأَبْتَرُ ‏‏‏‏ 3 ‏‏‏‏ سورة الكوثر آية 1-3، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ قَالَ:‏‏‏‏ هَلْ تَدْرُونَ مَا الْكَوْثَرُ قُلْنَا:‏‏‏‏ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ:‏‏‏‏ فَإِنَّهُ نَهْرٌ وَعَدَنِيهِ رَبِّي فِي الْجَنَّةِ آنِيَتُهُ أَكْثَرُ مِنْ عَدَدِ الْكَوَاكِبِ تَرِدُهُ عَلَيَّ أُمَّتِي فَيُخْتَلَجُ الْعَبْدُ مِنْهُمْ فَأَقُولُ يَا رَبِّ:‏‏‏‏ إِنَّهُ مِنْ أُمَّتِي فَيَقُولُ لِي إِنَّكَ لَا تَدْرِي مَا أَحْدَثَ بَعْدَكَ . تخریج دارالدعوہ: صحیح مسلم/الصلاة ۱۴ (۴۰۰)، الفضائل ۹ (۲۳۰۴) مختصراً، سنن ابی داود/الصلاة ۱۲۴ (۷۸۴) مختصراً، والسنة ۲۶ (۴۷۴۷) مختصراً، (تحفة الأشراف: ۱۵۷۵)، مسند احمد ۳/۱۰۲، ۲۸۱ (صحیح) صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 905 - صحيح

21. Reciting: "In The Name Of Allah, The Most Gracious, The Most Merciful"


It was narrated that Anas in Malik said: One day when he-the Prophet (ﷺ)- was still among us, he took a nap, then he raised his head, smiling. We said to him: 'Why are you smiling, O Messenger of Allah?' He said: 'Just now this Surah was revealed to me: In the Name of Allah, the Most Gracious, the Most Merciful. Verily, We have granted you (O Muahmmad) Al-Kawthar. Therefore turn in prayer to your Lord and sacrifice (to Him only). For he who hates you, he will be cut off.' Then he said: 'Do you know what Al-Kawthar is?' We said: 'Allah and His Messenger know best.' He said: 'It is a river that my Lord has promised me in Paradise. Its vessels are more than the number of the stars. My Ummah will come to me, then a man among them will be pulled away and I will say: O Lord, he is one of my Ummah and He will say to me: 'You do not know what he did after you were gone.