লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - অধ্যায় [রাসূলুল্লাহ (সা.) কোন প্রকার আর্থিক ওয়াসিয়্যাত করেননি- মর্মে আলোচনা]
৫৯৭৬-[8] আবূ বকর সিদ্দিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমরা (নবী-রাসূলগণ) আমাদের পরিত্যক্ত ধন-সম্পদে কাউকেও ওয়ারিস রেখে যাই না; বরং যা কিছু রেখে যাই, তা (মুসলিমদের জন্য) সাদাকা্ (বা ওয়াকফ)। (বুখারী ও মুসলিম)
الفصل الاول (بَاب)
وَعَنْ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا نُورَثُ مَا تَرَكْنَاهُ صَدَقَةٌ» . مُتَّفق عَلَيْهِ متفق علیہ ، رواہ البخاری (6726) و مسلم (52 / 1759)، (4580) ۔ (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: একটি বর্ণনায় এসেছে যে, আবূ বাকর (রাঃ)- এ হাদীস ঐ সময় বর্ণনা করেছিলেন, যখন ফাতিমাহ্ (রাঃ) -এর পক্ষ থেকে মীরাসের দাবির সম্মুখীন হয়েছিলেন। তিনি ফাতিমাহ্ (রাঃ)-কে বলেন, আমি রাসূল (সা.) -এর খলীফাহ্, আমি রাসূল (সা.) -এর পরিত্যক্ত সম্পদ ঐ খাতসমূহে ব্যয় করব যেখানে রাসূল (সা.) ব্যয় করতেন এবং এ ভিত্তিতেই আমি তোমার সহানুভূতি জ্ঞাপন সেভাবে করব যেভাবে রাসূল (সা.) সহানুভূতি করতেন। আলোচ্য হাদীসে স্বয়ং রাসূল (সা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমাদের নবীদের উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না। এটাও বর্ণিত আছে যে, আবূ বাকর (রাঃ) প্রথম এ কথা শুধুমাত্র ফাতিমাহ্ (রাঃ) -কে বলেননি; বরং রাসূল (সা.) -এর পবিত্র স্ত্রীগণকেও বলেছিলেন, যারা মীরাস তথা উত্তরাধিকারের দাবি করেছিলেন। আর আবূ বাকর (রাঃ) এ ফায়সালা করেছিলেন যে, রাসূল (সা.) -এর আর্থিক উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। এ ফায়সালা তিনি একক সিদ্ধান্তে দেননি। বরং সকল বড় বড় সাহাবায়ে কিরামদের পরামর্শে দিয়েছিলেন যে, রাসূল (সা.)-এর উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। কেননা আমরা নিজ কানে রাসূল (সা.) থেকে এ রকমই শুনেছি, তখন আবূ বাকর সিদ্দিক (রাঃ) এ ফায়সালা দিয়েছিলেন। (মাযাহিরে হাক্ শারহে মিশকাত ৭ম খণ্ড, ২২৩-২২৪ পৃষ্ঠা)