লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৫৪-[১৬] খব্বাব ইবনুল আরাত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে নিয়ে খুব লম্বা (তিলাওয়াতে) করে সালাত আদায় করলেন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো আজ এমন করে সালাত আদায় করেছেন যে, এরূপ সালাত আপনি আর কক্ষনো পড়েননি। তিনি (সা.) বললেন, হ্যা ঠিকই বলেছ। কেননা এটা ছিল রহমতের আশায় আশান্বিত এবং শাস্তির ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় সালাত। আমি এ সালাতের মধ্যেই আল্লাহর কাছে তিনটি জিনিস চেয়েছি। তিনি দুটি আমাকে দিয়েছেন এবং একটি নিষেধ করেছেন। ১. আমি চেয়েছিলাম যেন আমার উম্মাতকে (ব্যাপক) দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস না করা হয়, তিনি আমাকে এটা দান করেছেন। ২. আমি চেয়েছিলাম যেন সকল মুসলিমদের ওপর অমুসলিমদের চাপিয়ে দেয়া না হয়। ৩. এটাও চেয়েছিলাম, যেন আমার উম্মতের কেউ অপরের ওপর অন্যায় না করে, কিন্তু এটা তিনি আমাকে দান করেনি। (তিরমিযী ও নাসায়ী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ فَضَائِلِ سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ)
عَن خبَّابِ بنِ الأرتِّ قَالَ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ فَأَطَالَهَا. قَالُوا: يَا رَسُولَ الله صلَّيتَ صَلَاةً لَمْ تَكُنْ تُصَلِّيهَا قَالَ: «أَجَلْ إِنَّهَا صَلَاةُ رَغْبَةٍ وَرَهْبَةٍ وَإِنِّي سَأَلْتُ اللَّهَ فِيهَا ثَلَاثًا فَأَعْطَانِي اثْنَتَيْنِ وَمَنَعَنِي وَاحِدَةً سَأَلْتُهُ أَنْ لَا يُهْلِكَ أُمَّتِي بِسَنَةٍ فَأَعْطَانِيهَا وَسَأَلْتُهُ أَنْ لَا يُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ فَأَعْطَانِيهَا وَسَأَلْتُهُ أَنْ لَا يُذِيقَ بَعْضَهُمْ بَأْسَ بَعْضٍ فمنعَنيها» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ اسنادہ صحیح ، رواہ الترمذی (2175 وقال : حسن صحیح) و النسائی (3 / 216 ۔ 217 ح 1639) ۔ (صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (خبَّابِ بنِ الأرتِّ)الأرتِّ শব্দটির (ت) অক্ষরে তাশদীদসহ পঠিত। তিনি আবু আবদুল্লাহ খব্বাব ইবনুল আরাত। প্রথমদিকে ইসলাম গ্রহণকারীদের একজন। ইসলাম গ্রহণের কারণে তাকে অনেক নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। তিনি বদর যুদ্ধে অংশ নেন। পরবর্তীতে কুফায় আগমন করেন এবং সেখানে মারা যান। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৬/৩৩১)
(صَلَاةُ رَغْبَةٍ وَرَهْبَةٍ) “আশা ও ভয়ের সালাত” অর্থাৎ যে সালাতের মাঝে সাওয়াবের আশা ও আল্লাহ তা'আলার প্রতি আগ্রহ রয়েছে এবং আল্লাহ তা'আলার শাস্তির ভয়ও রয়েছে। সালাতের পর রাসূল (সা.)-এর আবেদন ও তা গৃহীত হওয়া না হওয়ার ইতোপূর্বে কয়েকটি হাদীসে অতিক্রান্ত হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)