৫২৬৬

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - গরীবদের ফযীলত ও নবী (সা.) -এর জীবন-যাপন

৫২৬৬-[৩৬] যায়দ ইবনু আসলাম (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন ’উমার (রাঃ), পান করার জন্য পানি চাইলেন। তখন তাঁর কাছে এমন পানি আনা হলো যাতে মধু মিশ্রিত ছিল। তখন তিনি বললেন : এটা বড়ই সুস্বাদু বটে। তবে আমি আল্লাহ তা’আলাকে এমন এক সম্প্রদায়ের ওপর দোষারোপ করতে শুনেছি যারা নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে। অর্থাৎ আল্লাহ তা’আলা বলেছেন : তোমরা তোমাদের পার্থিব জীবনেই তোমাদের প্রাপ্ত নি’আমাতের স্বাদ উপভোগ করেছ। অতএব আমি আশঙ্কা করছি (অনুরূপভাবে আমাদেরকেও আগে-ভাগে দুনিয়াতে দ্রুতবেগে আমাদের ভালো কাজের প্রতিদান দেয়া হচ্ছে কিনা? এ বলে তিনি আর তা পান করলেন না। (রযীন)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ - (بَابُ فَضْلِ الْفُقَرَاءِ وَمَا كَانَ مِنْ عَيْشِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ)

وَعَن زيدِ بنِ أسلمَ قَالَ: اسْتَسْقَى يَوْمًا عُمَرُ فَجِيءَ بِمَاءٍ قَدْ شيبَ بعسلٍ فَقَالَ: إِنَّه لطيِّبٌ لكني أَسْمَعُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ نَعَى عَلَى قَوْمٍ شَهَوَاتِهِمْ فَقَالَ (أَذْهَبْتُمْ طَيِّبَاتِكُمْ فِي حَيَاتِكُمُ الدُّنْيَا وَاسْتَمْتَعْتُمْ بِهَا) فَأَخَافُ أَنْ تَكُونَ حَسَنَاتُنَا عُجِّلَتْ لَنَا فَلَمْ يشربْه. رَوَاهُ رزين لم اجدہ ، رواہ رزین (لم اجدہ) ۔ (ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : মধুমিশ্রিত পানির ব্যাপারে ‘উমার (রাঃ) বলেন, (الَطَيِّب) ‘উত্তম’ শব্দটি সুন্দর, পবিত্র, সুস্বাদ ইত্যাদি অর্থেও ব্যবহৃত হয়। এ উত্তম বা সুস্বাদু যে অর্থেই ব্যবহৃত হোক না কেন তা প্রকৃতিগতভাবে, শারই দিক থেকে, উপকারিতা এবং গুণগত মানের দিক থেকেও শ্রেষ্ঠত্বের দাবী রাখে।

‘উমার (রাঃ) -এর কথার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এখানে কিছু শব্দ ও বাক্য উহ্য রয়েছে আর তা হলো : (أنَّهٗ لَطَيِّبٌ أَشَتَهِيهِ لَكِنِّي أعْرِ ضُ عَنّهُ، لأَنِّي سَمِعَتُ اللّٰهَ عَزَّ وَجَلَّ...) (আমি জানি এ মধুমিশ্রিত) পানি বা শরবত অবশ্যই সুস্বাদু এবং পবিত্র, কিন্তু আমি তা বর্জন করেছি এজন্য যে, আল্লাহ এমন এক জাতিকে অপছন্দ করেছেন বা দোষারোপ করেছেন যারা তাদের প্রবৃত্তির চাহিদা চরিতার্থ করার জন্যই নানা প্রকার সুখাদ্য ও পানীয়ের স্বাদ উপভোগ করেছে। ফলে আল্লাহ তা'আলা তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে বলেছেন তোমরা দুনিয়ার জীবনেই তোমাদের স্বাদের বস্তুগুলো উপভোগ করেছ, আখিরাতের সঞ্চয় তোমাদের কিছুই নেই। আল্লাহ বলেন : “যে কেউ ইহকাল কামনা করে, আমি সেসব লোককে যা ইচ্ছা সত্বর দিয়ে দেই। অতঃপর তাদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারণ করি। ওরা তাতে নিন্দিত বিতাড়িত অবস্থায় প্রবেশ করবে।” (সূরাহ্ ইসরা ১৮ : ১৮)

‘উমার (রাঃ)-এর মধুমিশ্রিত পানি বা শরবত গ্রহণ না করা ছিল স্বীয় প্রবৃত্তির বিরোধিতার জন্য এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; আল কাশিফ ১০ম খণ্ড, ৩৩২০ পৃ.)