১৯৩০

পরিচ্ছেদঃ ৫৭. (হজ্জ ও উমরার সফরে) শত্রু দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলে

১৯৩০. নাফি’ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’উবায়দুল্লাহ ইবনু ’আবদুল্লাহ ও সালিম ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাহি.) উভয়ই তাঁকে সংবাদ দিয়েছেন, যে বছর হাজ্জাজ বাহিনী ইবনুয যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে হত্যা করার পূর্বে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, সে সময়ে তাঁরা উভয়ে কয়েকদিন পর্যন্ত ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সাথে (বুঝানোর জন্য) কথাবার্তা বললেন। তাঁরা বললেন, এ বছর হজ্জ না করলে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। আমরা আশষ্কা করছি, আপনার ও বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঙ্গে উমরাহ করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলাম। কিন্তু বায়তুল্লাহর পথে কাফির কুরায়শরা আমাদের বাঁধা হয়ে দাঁড়াল। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরবানীর পশু যবেহ করে মাথা মুড়িয়ে নিয়েছিলেন। এরপর প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। এখন আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি আমার নিজের জন্য ’উমরা ওয়াজিব করে নিয়েছি। যদি আমার এবং বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা না আসে তাহলে আমি তাওয়াফ করে নিব। কিন্তু যদি আমার ও আয়তুল্লাহর মাঝে বাধা সৃষ্টি করা হয় তাহলে আমি তখনই সেরূপ করব যেরূপ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করেছিলেন, আর আমিও তাঁর সঙ্গে ছিলাম।

তারপর তিনি যুল-হুলাইফা থেকে ’উমরার ইহরাম বেঁধে কিছুক্ষণ চললেন, এরপরে বললেন: “হজ্জ এবং ’উমরার ব্যাপার তো একই। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, নিশ্চয়ই আমি আমার ’উমরার সাথে হজ্জও নিজের জন্য ওয়াজিব করে নিলাম।” নাফি’ঈ বলেন: ফলে তিনি উভয়টি (হজ্জ ও ’উমরা)-এর জন্য একটিই তাওয়াফ ও একটিই সাঈ করেন। এরপর তিনি (হজ্জ ও ’উমরা কোনটি থেকেই) হালাল হননি। অবশেষে কুরবানী দিন এলে তিনি কুরবানী করলেন (এবং হালাল হলেন)। তিনি আরও বলতেন, যে ব্যক্তি উমরাহ ও হাজ্জকে একত্রিত করেছে এবং উভয়ের জন্যে একত্রে ইহরাম বেঁধেছে, সে হালাল হবে না। এরপর কুরবানী দিন (হজ্জ ও ’উমরা) সে উভয়টি থেকে হালাল হবে।[1]

بَاب فِي الْمُحْصَرِ بِعَدُوٍّ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ وَسَالِمًا كَلَّمَا ابْنَ عُمَرَ لَيَالِيَ نَزَلَ الْحَجَّاجُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ فَقَالَا لَا يَضُرُّكَ أَنْ لَا تَحُجَّ الْعَامَ نَخَافُ أَنْ يُحَالَ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْبَيْتِ فَقَالَ قَدْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُعْتَمِرِينَ فَحَالَ كُفَّارُ قُرَيْشٍ دُونَ الْبَيْتِ فَنَحَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَدْيَهُ وَحَلَقَ رَأْسَهُ ثُمَّ رَجَعَ فَأُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ عُمْرَةً فَإِنْ خُلِّيَ بَيْنِي وَبَيْنَ الْبَيْتِ طُفْتُ وَإِنْ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ فَعَلْتُ كَمَا كَانَ فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا مَعَهُ فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ مِنْذِي الْحُلَيْفَةِ ثُمَّ سَارَ فَقَالَ إِنَّمَا شَأْنُهُمَا وَاحِدٌ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ حَجًّا مَعَ عُمْرَتِي قَالَ نَافِعٌ فَطَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا وَسَعَى لَهُمَا سَعْيًا وَاحِدًا ثُمَّ لَمْ يَحِلَّ حَتَّى جَاءَ يَوْمَ النَّحْرِ فَأَهْدَى وَكَانَ يَقُولُ مَنْ جَمَعَ الْعُمْرَةَ وَالْحَجَّ فَأَهَلَّ بِهِمَا جَمِيعًا فَلَا يَحِلَّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا يَوْمَ النَّحْرِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ