লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১০৭. হায়িযগ্রস্ত স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করা
১০৮৭. ছাবিত হতে বর্ণিত, তিনি আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, যখন ইয়াহুদীদের কোনো নারীর হায়েয হতো, তখন তারা তার সাথে একত্রে বসে খানাপিনা করতো এবং তাকে ঘর থেকে বের করে দিতো আর সেও তাদের সাথে একইঘরে থাকতো না।
এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেন: (“এবং তারা তোমাকে (স্ত্রীলোকদের) ঋতুকাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে; তুমি বলো: ওটা হচ্ছে কষ্টদায়ক অবস্থা...।” (সুরা বাকার: ২২২)) তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের (হায়িযগ্রস্ত মহিলাদের) সাথে একত্রে বসে খানাপিনা করতে এবং তাকে তাদের সাথে একইঘরে থাকতে নির্দেশ দিলেন। আর সহবাস ব্যতীত আর সকল কিছু করতে তাদেরকে আদেশ করলেন। তখন এক ইয়াহুদী বললো, এ লোকটি তো উদ্দেশ্যই হলো প্রতিটি কাজেই আমাদের বিরোধিতা করা।
তারপর আব্বাদ ইবনু বিশর ও উসাইদ ইবনু হুযাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে এ খবর দিয়ে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাদের হায়িযকালীন সময়ে আমরা কি তাদের সাথে মিলিত হবো না? (একথা শুনে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেহারা ভীষণ বিবর্ণ হয়ে গেলো। এমনকি আমরা ধারণা করলাম, তিনি তাদের দু’জনের উপর রাগান্বিত হয়েছেন। তারা উঠে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন। আর তখনই দুধ হাদিয়া এসে গেলো। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের দু’জনের অনসন্ধানে লোক পাঠালেন এবং সে তাদেরকে ফিরিয়ে আনল এবং তিনি তাদেরকে (দুধ) পান করালেন। তখন আমরা বুঝতে পারলাম যে, তিনি তাদের দু’জনের উপর রাগান্বিত হননি।[1]
بَاب مُبَاشَرَةِ الْحَائِضِ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ الْيَهُودَ كَانُوا إِذَا حَاضَتْ الْمَرْأَةُ فِيهِمْ لَمْ يُؤَاكِلُوهَا وَلَمْ يُشَارِبُوهَا وَأَخْرَجُوهَا مِنْ الْبَيْتِ وَلَمْ تَكُنْ مَعَهُمْ فِي الْبُيُوتِ فَسُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى وَيَسْأَلُونَكَ عَنْ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُؤَاكِلُوهُنَّ وَأَنْ يُشَارِبُوهُنَّ وَأَنْ يَكُنَّ مَعَهُمْ فِي الْبُيُوتِ وَأَنْ يَفْعَلُوا كُلَّ شَيْءٍ مَا خَلَا النِّكَاحَ فَقَالَتْ الْيَهُودُ مَا يُرِيدُ هَذَا أَنْ يَدَعَ شَيْئًا مِنْ أَمْرِنَا إِلَّا خَالَفَنَا فِيهِ فَجَاءَ عَبَّادُ بْنُ بِشْرٍ وَأُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَاهُ بِذَلِكَ وَقَالَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلَا نَنْكِحُهُنَّ فِي الْمَحِيضِ فَتَمَعَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَمَعُّرًا شَدِيدًا حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ وَجَدَ عَلَيْهِمَا فَقَامَا فَخَرَجَا فَاسْتَقْبَلَتْهُمَا هَدِيَّةُ لَبَنٍ فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آثَارِهِمَا فَرَدَّهُمَا فَسَقَاهُمَا فَعَلِمْنَا أَنَّهُ لَمْ يَغْضَبْ عَلَيْهِمَا