১৪২০

পরিচ্ছেদঃ ৬৩. সফরকালে দুই ওয়াক্তের নামায একত্রে পড়া

১৪২০(১). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর মুক্তদাস কুরাইব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সফরকালীন নামায সম্পর্কে অবহিত করব না? আমরা বললাম, হাঁ। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাত্রাবিরতি স্থানে থাকতেই সূর্য ঢলে পড়লে তিনি উক্ত স্থান ত্যাগের পূর্বে যুহর ও আসরের নামায একত্রে পড়তেন। আর তিনি বিরতিস্থানে থাকতে সূর্য ঢলে না পড়লে সফর অব্যাহত রাখতেন এবং আসরের কাছাকাছি সময়ে যাত্রাবিরতি করে যুহর ও আসর নামায একত্রে পড়তেন। একইভাবে তিনি যাত্রাবিরতিস্থানে থাকতেই মাগরিবের নামাযের ওয়াক্ত হলে মাগরিব ও এশা একত্রে পড়তেন। তাঁর অবস্থানস্থল ত্যাগের সময় মাগরিবের ওয়াক্ত না হলে তিনি সফর অব্যাহত রাখতেন এবং এশার নামাযের ওয়াক্ত হলে যাত্রাবিরতি করে মাগরিব ও এশা একত্রে পড়তেন।

আশ-শায়েখ (রহঃ) বলেন, এই হাদীস হাজ্জাজ (রহঃ) ইবনে জুরাইজ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমার নিকট হুসাইন (রহঃ) কুরাইব-ইবনে আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন। এই হাদীস উসমান ইবনে উমার (রহঃ) ইবনে জুরাইজ (রহঃ)-হুসাইন (রহঃ)-ইকরিমা-ইবনে আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন। এই হাদীস মাজীদ (রহঃ) ইবনে জুরাইজ-হিশাম ইবনে উরওরা-হুসাইন-কুরাইব-ইবনে আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন। এরা সবাই নির্ভরযোগ্য রাবী। সম্ভবত এই হাদীস ইবনে জুরাইজ (রহঃ) প্রথম হিশাম ইবনে উরওয়া (রহঃ)-হুসাইন (রহঃ) সূত্রে শ্রবণ করেন। যেরূপ আবদুল মজীদ (রহঃ) তার থেকে বর্ণনা করেন, তারপর ইবনে জুরাইজ (রহঃ) হাসান (রহঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং তিনি তার থেকে এই হাদীস শ্রবণ করেন, যেরূপ আবদুর রাযযাক (রহঃ) এবং হাজ্জাজ (রহঃ) ইবনে জুরাইজ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, হুসাইন (রহঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। হতে পারে হুসাইন (রহঃ) এই হাদীস ইকরিমা (রহঃ) এবং কুরাইব (রহঃ) থেকে ইবনে আব্বাস (রাঃ) সূত্রে শ্রবণ করেছেন। তিনি কখনো এই হাদীস তাদের উভয়ের সূত্রে বর্ণনা করতেন। আবদুর রাযযাক (রহঃ) তার থেকে বর্ণনা করার অনুরূপ। কখনো তিনি কেবল কুরাইব (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন হাজ্জাজ (রহঃ) ও ইবনে আবু দাউদ (রহঃ)-এর বর্ণনার অনুরূপ, কখনো কেবল ইকরিমা (রহঃ) থেকে ইবনে আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণনার অনুরূপ। কখনও তিনি কেবল ইকরিমা (রহঃ) থেকে ইবনে আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন উসমান ইবনে উমার (রহঃ)-র বর্ণনার অনুরূপ। এই সমস্ত বর্ণনা সহীহ। আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞাত।

بَابُ الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي السَّفَرِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ يَحْيَى الْجُرْجَانِيُّ ، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، حَدَّثَنِي حُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عِكْرِمَةَ وَعَنْ كُرَيْبٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ : أَلَا أُخْبِرُكُمْ عَنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي السَّفَرِ ؟ قُلْنَا : بَلَى. قَالَ : كَانَ إِذَا زَاغَتْ لَهُ الشَّمْسُ فِي مَنْزِلِهِ جَمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ يَرْكَبَ وَإِذَا لَمْ تَزِغْ لَهُ فِي مَنْزِلِهِ سَارَ حَتَّى إِذَا حَانَتِ الْعَصْرُ نَزَلَ فَجَمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ ، وَإِذَا حَانَتْ لَهُ الْمَغْرِبُ فِي مَنْزِلِهِ جَمَعَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ الْعِشَاءِ وَإِذَا لَمْ تَحِنْ فِي مَنْزِلِهِ رَكِبَ حَتَّى إِذَا حَانَتِ الْعِشَاءُ نَزَلَ فَجَمَعَ بَيْنَهُمَا قَالَ الشَّيْخُ أَبُو الْحَسَنِ : رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ حَجَّاجٌ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ : أَخْبَرَنِي حُسَيْنٌ عَنْ كُرَيْبٍ وَحْدَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَرَوَاهُ عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ حُسَيْنٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَرَوَاهُ عَبْدُ الْمَجِيدِ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ حُسَيْنٍ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَكُلُّهُمْ ثِقَاتٌ فَاحْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ ابْنُ جُرَيْجٍ سَمِعَهُ أَوَّلًا مِنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ حُسَيْنٍ كَقَوْلِ عَبْدِ الْمَجِيدِ عَنْهُ ثُمَّ لَقِيَ ابْنُ جُرَيْجٍ حُسَيْنًا فَسَمِعَهُ مِنْهُ كَقَوْلِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ وَحَجَّاجٍ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، حَدَّثَنِي حُسَيْنٌ وَاحْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ حُسَيْنٌ سَمِعَهُ مِنْ عِكْرِمَةَ وَمِنْ كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فَكَانَ يُحَدِّثُ بِهِ مَرَّةً عَنْهُمَا جَمِيعًا كَرِوَايَةِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ عَنْهُ وَمَرَّةً عَنْ كُرَيْبٍ وَحْدَهُ كَقَوْلِ حَجَّاجٍ وَابْنِ أَبِي رَوَّادٍ وَمَرَّةً عَنْ عِكْرِمَةَ وَحْدَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ كَقَوْلِ عُثْمَانَ بْنِ عُمَرَ وَتَصِحُّ الْأَقَاوِيلُ كُلُّهَا وَاللَّهُ أَعْلَمُ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ