১১৯০

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. নামাযে ইমামের পিছনে উম্মুল কিতাব পড়া ওয়াজিব

১১৯০(৯). ইয়াহইয়া ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... নাফে’ ইবনে মাহমূদ ইবনুর রবী’ আল-আনসারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। নাফে’ (রহঃ) বলেন, (একদা) উবাদা (রাঃ) ফজরের নামায পড়তে বিলম্ব করলেন। মুআযযিন আবু নুআইম (রহঃ) নামাযের ইকামত দিলেন। আর আবু নুআইম (রহঃ)-ই সর্বপ্রথম বায়তুল মুকাদ্দাসে আযান দিয়েছিলেন। অতঃপর আবু নুআইম (রহঃ) লোকদের নিয়ে নামায পড়লেন। উবাদা (রাঃ) এলেন এবং আমি তার সাথে ছিলাম। শেষে আমরা আবু নুআইম (রহঃ)-এর পিছনে কাতারে দাঁড়ালাম। আবু নুআইম (রহঃ) সশব্দে কিরাআত পড়লেন। (ইমামের পিছনে) উবাদা (রাঃ) সূরা আল-ফাতিহা পড়লেন। নামাযশেষে আমি উবাদা (রাঃ)-কে বললাম, অবশ্যই আপনি এমন একটি কাজ করেছেন, আমি জানি না এটি কি সুন্নাত, নাকি আপনি ভুল করেছেন? তিনি বলেন, তা কি? তিনি বলেন, আমি আপনাকে সূরা আল-ফাতিহা পড়তে শুনেছি, যখন আবু নুআইম (রহঃ) সশব্দে কিরাআত পাঠ করেছেন। তিনি বলেন, হাঁ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কোন এক ওয়াক্তের নামায পড়ান, যাতে তিনি সশব্দে কিরাআত পাঠ করেন। তার জন্য কিরাআত পাঠ জটিল অনুভূত হলো। নামাযশেষে তিনি আমাদের দিকে ফিরে বলেন, আমি যখন সশব্দে কিরাআত পড়েছি তখন কি তোমরা কিরাআত পড়েছ? আমাদের কেউ বললেন, অবশ্যই আমরা পড়েছি। তিনি বলেন, এরূপ করো না। তাই আমি বলছিলাম, কি ব্যাপার! আমার সাথে কুরআন নিয়ে বিবাদ করা হচ্ছে! আমি যখন সশব্দে কিরাআত পাঠ করি তখন তোমরা কুরআনের কোন অংশ (কিরাআত) পড়বে না, তবে সূরা আল-ফাতিহা পড়বে। এই হাদীসের সমস্ত রাবী নির্ভরযোগ্য।

بَابُ وُجُوبِ قِرَاءَةِ أُمِّ الْكِتَابِ فِي الصَّلَاةِ وَخَلْفَ الْإِمَامِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَاعِدٍ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ التِّنِّيسِيُّ ، ثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ ، قَالَ : أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ وَاقِدٍ ، عَنْ مَكْحُولٍ ، عَنْ نَافِعِ بْنِ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ الْأَنْصَارِيِّ ، قَالَ نَافِعٌ : أَبْطَأَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ عَنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ ، فَأَقَامَ أَبُو نُعَيْمٍ الْمُؤَذِّنُ الصَّلَاةَ ، وَكَانَ أَبُو نُعَيْمٍ أَوَّلَ مَنْ أَذَّنَ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ ، فَصَلَّى بِالنَّاسِ أَبُو نُعَيْمٍ ، وَأَقْبَلَ عُبَادَةُ ، وَأَنَا مَعَهُ حَتَّى صَفَفْنَا خَلْفَ أَبِي نُعَيْمٍ ، وَأَبُو نُعَيْمٍ يَجْهَرُ بِالْقِرَاءَةِ ، فَجَعَلَ عُبَادَةُ يَقْرَأُ بِأُمِّ الْقُرْآنِ ، فَلَمَّا انْصَرَفَ ، قُلْتُ لِعُبَادَةَ : قَدْ صَنَعْتَ شَيْئًا فَلَا أَدْرِي : أَسُنَّةٌ هِيَ أَمْ سَهْوٌ كَانَ مِنْكَ ! قَالَ : وَمَا ذَاكَ ؟ قَالَ : سَمِعْتُكَ تَقْرَأُ بِأُمِّ الْقُرْآنِ ، وَأَبُو نُعَيْمٍ يَجْهَرُ ، قَالَ : أَجَلْ ؛ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بَعْضَ الصَّلَوَاتِ الَّتِي يُجْهَرُ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ ، فَالْتَبَسَتْ عَلَيْهِ الْقِرَاءَةُ ، فَلَمَّا انْصَرَفَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ ، فَقَالَ " هَلْ تَقْرَءُونَ إِذَا جَهَرْتُ بِالْقِرَاءَةِ " ، فَقَالَ بَعْضُنَا : إِنَّا لَنَصْنَعُ ذَلِكَ ، قَالَ : " فَلَا تَفْعَلُوا ، وَأَنَا أَقُولُ : مَا لِي أُنَازَعُ الْقُرْآنَ ؟! فَلَا تَقْرَءُوا بِشَيْءٍ مِنَ الْقُرْآنِ إِذَا جَهَرْتُ إِلَّا بِأُمِّ الْقُرْآنِ " . كُلُّهُمْ ثِقَاتٌ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ