৫২৪

পরিচ্ছেদঃ ৫৪. নারীর যৌনাঙ্গ ও পশ্চাদ্বার এবং পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করা সম্পর্কিত বর্ণনা এবং তার বিধান

৫২৪(১৯). মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আন-নাক্‌কাশ (রহঃ) ... রাজা’ ইবনে মরজ’ আল-হফেজ (রহঃ) বলেন, আমি, আহমাদ ইবনে হাম্বল, আলী ইবনুল মাদীনী ও ইয়াহইয়া ইবনে মুঈন (রহঃ) মসজিদুল খায়ফে (মিনায়) একত্র হলাম। তারা লজ্জাস্থান স্পর্শ করা সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হলেন। ইয়াহইয়া বলেন, তাতে উযু করতে হবে। আলী ইবনুল মাদীনী (রহঃ) কুফার ফকীহগণের উক্তি উল্লেখ করে তাদের অনুসরণ করার কথা বলেন। ইয়াহইয়া ইবনে মুঈন (রহঃ) বলেন, বুসরা বিনতে সাফওয়ান (রাঃ) এর হাদীস থাকতে তা আমরা কিভাবে অনুসরণ করতে পারি? আর আলী ইবনুল মাদীনী (রহঃ) কায়েস ইবনে তালকের হাদীস (দলীল হিসাবে) পেশ করেন এবং ইয়াহইয়া (রহঃ)-কে বলেন, আমরা কিভাবে বুসরা (রাঃ) এর হাদীসের অনুসরণ করতে পারি? কেননা মারওয়ান (রহঃ) এ সম্পর্কে জানার জন্য তার নিকট এক পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। বুসরা (রাঃ) এ সম্পর্কে কোন কিছু না বলে সেই পুলিশকে কায়েস ইবনে তালকের নিকট পাঠিয়ে দেন।

ইয়াহইয়া ইবনে মুঈন বলেন, অধিকাংশ লোক কায়েস ইবনে তালকের হাদীস অনুসরণ করে। কিন্তু তার হাদীস দলীলযোগ্য নয়। আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) বলেন, উভয় বিষয়ে আর যেমন বলেছেন তেমনই। ইয়াহইয়া (রহঃ) মালেক-নাফে-ইবনে উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি লজ্জাস্থান স্পর্শ করার কারণে উযু করেছেন। আলী ইবনুল মাদানী (রহঃ) বলেন, ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলতেন, লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে উযু করতে হবে না। এটা তোমার শরীরের একটি অংশমাত্র।

ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) বলেন, তা কার সূত্রে বর্ণিত? তিনি বলেন, সুফিয়ান-আবু কায়েস-হুযাইল-আবদুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। আর ইবনে মাস’উদ ও ইবনে উমার (রাঃ)-এর মধ্যে মতানৈক্য হলে ইবনে মাসউদ (রাঃ)-কেই অনুসরণ করা উত্তম। আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) তাকে বলেন, হ্যাঁ, কিন্তু আবু কায়েস (রাঃ)-এর হাদীস দলীলযোগ্য নয়। তিনি আরো বলেন, আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন আবু নুআয়ম-মিসআর- উমায়ের ইবনে সাঈদ - ইবনে ইয়াসির (রাঃ) সূত্রে, তিনি বলেন, আমি লজ্জাস্থান ও আমার নাক স্পর্শ করার মধ্যে কেন পার্থক দেখি না’। আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) বলেন, আম্মার (রাঃ) ও ইবনে উমার (রাঃ) উভয়ে একই পর্যায়ভুক্ত কেউ ইচ্ছা করলে এটিও গ্রহণ করতে পারে। আবার কেউ ইচ্ছা করলে ওটিও গ্রহণ করতে পারে।

بَابُ مَا رُوِيَ فِي لَمْسِ الْقُبُلِ وَالدُّبُرِ وَالذَّكَرِ ، وَالْحُكْمُ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ النَّقَّاشُ ، نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَحْيَى الْقَاضِي السَّرَخْسِيُّ ، نَا رَجَاءُ بْنُ مَرْجَاءَ الْحَافِظُ ، قَالَ : اجْتَمَعْنَا فِي مَسْجِدِ الْخَيْفِ أَنَا وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَعَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ ، فَتَنَاظَرُوا فِي مَسِّ الذَّكَرِ ، فَقَالَ يَحْيَى : يُتَوَضَّأُ مِنْهُ . وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ بِقَوْلِ الْكُوفِيِّينَ وَتَقَلَّدَ قَوْلَهُمْ ، وَاحْتَجَّ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ بِحَدِيثِ بُسْرَةَ بِنْتِ صَفْوَانَ ، وَاحْتَجَّ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ بِحَدِيثِ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ ، وَقَالَ لِيَحْيَى : كَيْفَ تَتَقَلَّدُ إِسْنَادَ بُسْرَةَ ، وَمَرْوَانُ أَرْسَلَ شُرَطِيًّا حَتَّى رَدَّ جَوَابَهَا إِلَيْهِ ؟! فَقَالَ يَحْيَى : وَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِي قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ ، وَلَا يُحْتَجُّ بِحَدِيثِهِ . فَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ : كِلَا الْأَمْرَيْنِ عَلَى مَا قُلْتُمَا ، فَقَالَ يَحْيَى : مَالِكٌ ، عَنْ نَافِعٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ : أَنَّهُ تَوَضَّأَ مِنْ مَسِّ الذَّكَرِ . ، فَقَالَ عَلِيٌّ : كَانَ ابْنُ مَسْعُودٍ يَقُولُ : لَا تَتَوَضَّأُ مِنْهُ ، وَإِنَّمَا هُوَ بَضْعَةٌ مِنْ جَسَدِكَ . فَقَالَ يَحْيَى : عَمَّنْ ؟ قَالَ سُفْيَانُ : عَنْ أَبِي قَيْسٍ ، عَنْ هُزَيْلٍ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ، وَإِذَا اجْتَمَعَ ابْنُ مَسْعُودٍ وَابْنُ عُمَرَ وَاخْتَلَفَا ؛ فَابْنُ مَسْعُودٍ أَوْلَى أَنْ يُتَّبَعَ . فَقَالَ لَهُ أَحْمَدُ : نَعَمْ ، وَلَكِنْ أَبُو قَيْسٍ لَا يُحْتَجُّ بِحَدِيثِهِ . فَقَالَ : حَدَّثَنِي أَبُو نُعَيْمٍ ، ثَنَا مِسْعَرٌ ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ سَعِيدٍ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : " مَا أُبَالِي مَسِسْتُهُ أَوْ أَنْفِي " . فَقَالَ أَحْمَدُ : عَمَّارٌ وَابْنُ عُمَرَ اسْتَوَيَا ؛ فَمَنْ شَاءَ أَخَذَ بِهَذَا وَمَنْ شَاءَ أَخَذَ بِهَذَا


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ