৪২৫

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. নাপাক ব্যাক্তি ও ঋতুবতী মহিলার কুরআন পড়া নিষেধ

৪২৫(১৪). মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ ... ইকরিমা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাঃ) তার স্ত্রীর পাশে কাত হয়ে শোয়া ছিলেন। তিনি উঠে দাসীর ঘরে গিয়ে তার সাথে সংগমে লিপ্ত হলেন। এদিকে তার স্ত্রী ভয় পেয়ে ঘুম থেকে জাগ্রহ হয়ে তাকে বিছানায় না পেয়ে বাইরে বের হলেন এবং তাকে তার দাসীর সাথে সহবাসে লিপ্ত দেখলেন। তিনি নিজের ঘরে ফিরে এসে একটি ছুরি নিয়ে বের হলেন। এদিকে তিনি সংগম শেষ করে যেতে দাঁড়িয়েছেন। তিনি তার স্ত্রীর সাক্ষাত পেয়ে তার হাতে ছুরি দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করেন, কি হয়েছে? স্ত্রী বলেন, কি হয়েছে জানতে চান, আমি আপনাকে যেখানে দেখেছিলাম যদি এখন আপনাকে সেখানেই পেতাম তবে অবশ্যই এই ছুরি দিয়ে আপনার দুই কাঁধের মাঝখানে আঘাত হানতাম।

তিনি বলেন, আমাকে তুমি কোথায় দেখেছিলে? স্ত্রী বলেন, আমি আপনাকে আপনার দাসীর সাথে সংগমে রত দেখেছি। তিনি বলেন, তুমি আমাকে দেখোনি। অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাউকে নাপাক অবস্থায় কুরআন পড়তে নিষেধ করেছেন। স্ত্রী বলেন, তাহলে আপনি কুরআন পড়ুন। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল আমাদের নিকট এসে তাঁর কিতাব (কুরআন) পাঠ করেন প্রভাতের ন্যায় উজ্জ্বল। তিনি গোমরাহীর পর হেদায়াতের বাণী নিয়ে এলেন এবং আমাদের হৃদয় একথা বিশ্বাস করেছে যে, তিনি যা বলেছেন তা বাস্তব সত্য। তিনি বিছানায় পিঠ না লাগিয়ে রাত কাটান। যখন মুশরিকদের উপর তার বিছানা কষ্টকর হয়।

এরপর তিনি (স্ত্রী) বলেন, আমি আল্লাহর উপর ঈমান আনলাম এবং চোখে দেখা বস্তুকে অবিশ্বাস করলাম। তারপর তিনি সকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে তাকে এ খবর শুনান এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাতে হাসলেন, এমনকি তাঁর মাড়ির দাঁত দৃষ্টিগোচর হলো।

بَابٌ فِي النَّهْيِ لِلْجُنُبِ وَالْحَائِضِ عَنْ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ ، وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ دُبَيْسِ بْنِ أَحْمَدَ الْحَدَّادُ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَاسِطِيُّ ، قَالَا : نَا أَبُو نُعَيْمٍ ، نَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَهْرَامَ ، عَنْ عِكْرِمَةَ ، قَالَ : كَانَ ابْنُ رَوَاحَةَ مُضْطَجِعًا إِلَى جَنْبِ امْرَأَتِهِ ، فَقَامَ إِلَى جَارِيَةٍ لَهُ فِي نَاحِيَةِ الْحُجْرَةِ فَوَقَعَ عَلَيْهَا ، وَفَزِعَتِ امْرَأَتُهُ ، فَلَمْ تَجِدْهُ فِي مَضْجَعِهِ ، فَقَامَتْ وَخَرَجَتْ ، فَرَأَتْهُ عَلَى جَارِيَتِهِ ، فَرَجَعَتْ إِلَى الْبَيْتِ ، فَأَخَذَتِ الشَّفْرَةَ ثُمَّ خَرَجَتْ ، وَفَرَغَ فَقَامَ ، فَلَقِيَهَا تَحْمِلُ الشَّفْرَةَ ، فَقَالَ مَهْيَمْ ؟ فَقَالَتْ : مَهْيَمْ ، لَوْ أَدْرَكْتُكَ حَيْثُ رَأَيْتُكَ لَوَجَأْتُ بَيْنَ كَتِفَيْكَ بِهَذِهِ الشَّفْرَةِ ، قَالَ : وَأَيْنَ رَأَيْتِنِي قَالَتْ : رَأَيْتُكَ عَلَى الْجَارِيَةِ ، فَقَالَ : مَا رَأَيْتِنِي ، وَقَالَ : قَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنْ يَقْرَأَ أَحَدُنَا الْقُرْآنَ وَهُوَ جُنُبٌ ، قَالَتْ : فَاقْرَأْ ، فَقَالَ : أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ يَتْلُو كِتَابَهُ كَمَا لَاحَ مَشْهُورٌ مِنَ الْفَجْرِ سَاطِعُ أَتَى بِالْهُدَى بَعْدَ الْعَمَى فَقُلُوبُنَا بِهِ مُوقِنَاتٌ أَنَّ مَا قَالَ وَاقِعُ يَبِيتُ يُجَافِي جَنْبَهُ عَنْ فِرَاشِهِ إِذَا اسْتَثْقَلَتْ بِالْمُشْرِكِينَ الْمَضَاجِعُ فَقَالَتْ : آمَنْتُ بِاللَّهِ وَكَذَّبْتُ الْبَصَرَ . ثُمَّ غَدَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَخْبَرَهُ ، فَضَحِكَ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ ইকরিমা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ