লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৮৪-[১৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে সে লোকের কথা বলে দেব না? যার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম হবে, যাকে জাহান্নামের আগুন পরিত্যাগ করবে। সে ঐ লোক, যার মেজাজ নরম, স্বভাব কোমল ও আচরণ নম্র। [আহমাদ ও তিরমিযী; আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীসটি গরীব।)[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِلَّا أُخْبِرُكُمْ بِمَنْ يَحْرُمُ عَلَى النَّارِ وَبِمَنْ تَحْرُمُ النَّارُ عَلَيْهِ؟ عَلَى كُلِّ هَيِّنٍ لَيِّنٍ قَرِيبٍ سَهْلٍ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيب
ব্যাখ্যাঃ (عَلٰى كُلِّ هَيِّنٍ لَيِّنٍ) অর্থাৎ জাহান্নাম ঐ ব্যক্তির জন্য হারাম যার আচরণ নম্র, হাসি মুখে মানুষের সাথে কথা বলে, সহনশীল ও যার স্বভাব কোমল। (قَرِيبٍ) অর্থাৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মানুষের সাথে একত্রিত হওয়া ও অত্যন্ত হৃদ্যতার সাথে মানুষের সাথে মেলামেশা করা। (سَهْلٍ) অর্থাৎ শক্তি ও সাধ্যানুযায়ী অন্যের প্রয়োজন মেটাতে সচেষ্ট হওয়া, ক্রয়বিক্রয় ইত্যাদির মধ্যে উদারতা ও সহনশীলতা প্রদর্শন করা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)