লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৫৪-[৪৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নির্লজ্জতা বা অশ্লীলতা ত্রুটিপূর্ণ করে। আর কোন কিছুকে লজ্জাশীলতা বা শালীনতা সেটাকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে তোলে। (তিরমিযী)[1]
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا كَانَ الْفُحْشُ فِي شَيْءٍ إِلَّا شَانَهُ وَمَا كَانَ الْحَيَاءُ فِي شيءٍ إِلا زانَهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যাঃ (مَا كَانَ الْفُحْشُ فِي شَيْءٍ إِلَّا شَانَهٗ) কোন ব্যাপারে অশ্লীল কথার মাত্রা বেশী হলে তা তাকে দোষণীয় করে তোলে। অথবা এখানে الْفُحْشُ (অশ্লীল) দ্বারা কঠোরতা উদ্দেশ্য। যেমন অন্য বর্ণনায় এসেছে, مَا كَانَ الرِّفْقُ فِي شَيْءٍ إِلَّا زَانَهٗ وَلَا نُزِعَ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا شَانَهٗ কোন কিছুতে কোমলতা তার সৌন্দর্যতাকে বৃদ্ধি করে এবং কোন কিছু তা উঠিয়ে নিলে তাকে দোষণীয় করে।
(وَمَا كَانَ الْحَيَاءُ فِي شيءٍ إِلا زانَهٗ) এবং কোন কিছুতে লজ্জাশীলতা তার সৌন্দর্যতাকে বৃদ্ধি করে। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ হাদীসের বাণীفِي شيءٍ কোন কিছুর বলার মধ্যে আধিক্যতা রয়েছে। অর্থাৎ যদি অশ্লীলতা অথবা লজ্জাশীলতা কোন জড় পদার্থের থাকে তাহলে সৌন্দর্যমন্ডিত অথবা দোষণীয় করে তোলে। তাহলে উক্ত গুণ দু’টি মানুষের ক্ষেত্রে হলে কেমন হবে? (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৯৭৪)