লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জ্যোতিষীর গণনা
৪৬০৩-[১২] বর্ণনাকারী রবী’ হতেও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে। অবশ্য তিনি অতিরিক্ত এটাও বলেছেনঃ আল্লাহর কসম! আল্লাহ তা’আলা নক্ষত্রের মধ্যে না কারো হায়াত নির্ধারণ করে রেখেছেন, না কারো রিযক আর না কারো মৃত্যু। বস্তুতঃ এ সমস্ত লোকেরা আল্লাহর ওপর মিথ্যারোপ করে এবং নক্ষত্রসমূহকে কোন বস্তুর হওয়া না হওয়ার কারণ সাব্যস্ত করে।[1]
وَعَن الربيعِ مِثْلُهُ وَزَادَ: وَاللَّهِ مَا جَعَلَ اللَّهُ فِي نَجْمٍ حَيَاةَ أَحَدٍ وَلَا رِزْقَهُ وَلَا مَوْتَهُ وَإِنَّمَا يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ وَيَتَعَلَّلُونَ بِالنُّجُومِ
ব্যাখ্যাঃ (وَاللهِ مَا جَعَلَ اللهُ فِي نَجْمٍ حَيَاةَ أَحَدٍ) অর্থাৎ তার জন্ম অথবা তার বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকা।
(وَلَا رِزْقَهٗ) অর্থাৎ তার সম্পদও না আবার তার প্রতিপত্তিও না।
(عَلَى اللهِ الْكَذِبَ وَيَتَعَلَّلُونَ بِالنُّجُومِ) অর্থাৎ তারা কোন নক্ষত্র উদয় হওয়াকে কোন জিনিস হওয়া না হওয়ার কারণ মনে করত, যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে। অথবা এর অর্থ হলো, তাদের মিথ্যাকে নক্ষত্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত করার কথা গোপন রাখত।
‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ জেনে রাখ যে, শায়খ আবুল কাসিম ‘আবদুল করিম ইবনু সাওয়াজিন আল কুশায়রী (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর কিতাব ‘‘মাফাতিহুল হুজাজ ফী ইবত্বালি মাযহাবিল মুনায্ যামীন’’ তাদের কথাগুলো উল্লেখ করেছেন। তাদের কথার মধ্যে ঐ ব্যক্তির কথা সবচেয়ে নিকটতম যে বলে, এ জমিন-আসমান সবকিছু আল্লাহ আপন শক্তি ও পছন্দমত তৈরি করেছেন। তিনি নিয়ম করেছেন যে, নক্ষত্রগুলো আকাশে জ্বলে থাকবে, কোন পথে চলবে, কার সাথে মিলিত হবে। যেমনিভাবে তিনি নিয়ম করেছেন যে, সহবাসের পর সন্তান জন্ম লাভ করবে, খাওয়ার পরে পরিতৃপ্তি আসবে। এ রকম নির্ধারণ করা জায়িয আছে, তবে তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না। সহবাসের পর সন্তান হবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার, মহান আল্লাহর তৈরি করা বিধান। তবে অকাট্য এটা বলা যাবে না যে, সন্তান হবেই হবে। এটা বলা জায়িয নেই। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)