লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৫৩-[৪০] জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নুশরাহ্ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো, উত্তর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তা তো শয়তানের কাজ। (আবূ দাঊদ)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
وَعَن جَابر قَالَ: سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ النُّشْرَةِ فَقَالَ: «هُوَ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ নিহায়াহ্ গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, ‘নুশরাহ্’ এক প্রকারের ঝাড়ফুঁক ও চিকিৎসা। জাহিলী যুগে কোন ব্যক্তি জীন-পরী দ্বারা প্রভাবিত হলে উক্ত বিশেষ ঝাড়ফুঁক দ্বারা তাকে চিকিৎসা করা হত। ‘নুশরাহ্’ নামকরণের কারণ হলো যে রোগ বিস্তার লাভ করেছিল। তাই এটা দ্বারা দূর করার দরুন একে ‘নুশরাহ্’ বলা হয়েছিল।
হাসান (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘নুশরাহ্’ এক ধরনের যাদু। ‘ফাতহুল ওয়াদূদ’ কিতাবে এসেছে, সম্ভবত তা (‘নুশরাহ্) ব্যবহৃত হয় শয়তানদের নামে, অথবা এমন ভাষায় যা বোঝা যায় না, আর সে কারণেই একে যাদু বলা হয়। এর দ্বারা রোগ বিস্তার লাভ করার কারণে এবং বালা-মুসীবাত ছড়ানোর কারণে একে ‘নুশরাহ্’ নামকরণ করা হয়েছে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৬৪)
هُوَ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ অর্থাৎ এটা সেই প্রকারের অন্তর্ভুক্ত যেটা দিয়ে জাহিলী যুগের লোকেরা চিকিৎসা করত এবং তাতে তারা বিশ্বাস রাখত। পক্ষান্তরে যাতে কুরআনুল মাজীদের আয়াতসমূহ বিদ্যমান থাকে, মহান আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ থাকে এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশুদ্ধ দু‘আসমূহ থাকে তাতে কোন সমস্যা নেই। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৬৪)