৪৫৩২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৩২-[১৯] উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন : হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি ঔষধ ব্যবহার করব? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হ্যাঁ। হে আল্লাহর বান্দাগণ! চিকিৎসা করো। কেননা বার্ধক্য রোগ ব্যতীত আল্লাহ তা’আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার নিরাময় সৃষ্টি করেননি। (আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ قَالَ: قَالُوا: يَا رَسُول الله أفنتداوى؟ قَالَ: «نعم يَا عبد اللَّهِ تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلَّا وَضَعَ لَهُ شِفَاءً غَيْرَ دَاءٍ وَاحِدٍ الْهَرم» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যাঃ (أفنتداوى) ‘‘আমরা কি ঔষধপত্র ব্যবহার করব?’’ অর্থাৎ আমরা কোন কিছু বিবেচনা না করে অসুখ হলে ঔষধপত্র ব্যবহার করে আসমান-জমিনের সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভর করব কি? এখানে প্রশ্নটা করা হয়েছে তাকদীর সমর্থনের জন্য।

(يَا عِبَادَ اللهِ) ‘‘হে আল্লাহর বান্দা’’ এখানে ইঙ্গিত আছে যে, চিকিৎসা ব্যবস্থা তথা ঔষধপত্র ব্যবহার করা আল্লাহর বান্দা হওয়ার জন্য প্রতিবন্ধক নয়। প্রতিপালনকারীর জন্য (ব্যবস্থা গ্রহণ করতে) তাওয়াক্কুল বাধা প্রদান করে না। এ কারণেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- ‘‘তুমি আগে তোমার উটটি বাঁধ, অতঃপর তাওয়াক্কুল কর। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

(تَدَاوَوْا) ‘‘তোমরা ঔষধপত্র ব্যবহার কর’’। ফাতহুল ওয়াদূদ প্রণেতা বলেনঃ হাদীসটি হতে বাহ্যিকভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, আদেশটি বৈধতা ও অনুমতির জন্য। আর এটিই হলো সঠিক দাবী। কেননা প্রশ্নটি করা হয়েছিল এটা অকাট্যভাবে বৈধ কিনা তা জানার জন্য। পরবর্তীতে তার দ্রুত জবাব দেয়াটা প্রমাণ করে যে, এটি তিনি বৈধতার জন্য বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ হাদীসটি হতে বুঝেছেন হাদীসটিতে যে নির্দেশ দেয়া হলো তাতে প্রমাণিত হয় মানদূব, অর্থাৎ কাজটি করা চান। তবে এটি সত্য হওয়া থেকে অনেক দূরে। কোন কোন বর্ণনায় যারা আল্লাহর ওপর তাওয়াক্বুল করে চিকিৎসা ও ঔষধপত্র ব্যবহার করা ছেড়ে দেয় তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। হ্যাঁ। তবে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন, এ কাজ যে জায়িয তা প্রমাণ করার জন্য। অতএব যে ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের নিয়্যাত করবে এর জন্য তাকে প্রতিদান দেয়া হবে।

(الْهَرم) ‘‘বার্ধক্য’’। ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ বার্ধক্যকে রোগ বলা হয়। এটা কেবল বার্ধক্যের দুর্বলতা। এটা এমন রোগের মতো নয় যা শরীরে রোগের সৃষ্টি করে। বয়স বৃদ্ধি হওয়ার ফলে অভ্যাসসমূহ পরিবর্তন হয় এবং হাড়সমূহ দুর্বল হয়ে পড়ে। এটাকে (বার্ধক্যকে) রোগের সাথে তুলনা করার কারণ হলো এটা সেই ক্ষতি ও রোগসমূহ নিয়ে আসে যার ফলে মৃত্যু ও ধ্বংস অনিবার্য হয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৫১; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৩৮)