লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৯৭-[৩৯] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রসুন কিংবা পেঁয়াজ খায়, সে যেন আমাদের নিকট হতে সরে থাকে। অথবা বলেছেনঃ সে যেন আমাদের মসজিদ হতে দূরে থাকে অথবা নিজ বাড়ি-ঘরে বসে থাকে। এক সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাতে (রান্না করা) একটি তরকারীর পাতিল আনা হলো। তিনি তাতে এক ধরনের গন্ধ অনুভব করলেন, তখন তা (হতে নিজে না খেয়ে উপস্থিত) একজন সাহাবীর সম্মুখে এগিয়ে দিতে বললেন এবং সে সাহাবীকে বললেনঃ তুমি খেতে পার। কারণ আমি যার সাথে গোপনে কথা বলি, তুমি তার সাথে কথা বলো না। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
الْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ جَابِرٌ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلًا فَلْيَعْتَزِلْنَا» أَوْ قَالَ: «فَلْيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا أَوْ لِيَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ» . وَإِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِقِدْرٍ فِيهِ خَضِرَاتٌ مِنْ بُقُولٍ فَوَجَدَ لَهَا رِيحًا فَقَالَ: «قَرِّبُوهَا» إِلَى بَعْضِ أَصْحَابِهِ وَقَالَ: «كُلْ فَإِنِّي أُنَاجِي مَنْ لَا تُناجي»
ব্যাখ্যাঃ (فَلْيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا) ‘‘সে যেন আমাদের মসজিদ হতে দূরে থাকে।’’ কেননা মসজিদ হলো মুসলিমদের সমবেত হওয়ার জায়গা। আর তা আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাদের) অবতরণের জায়গাও বটে। কিছু ‘আলিমদের মতে এই নিষেধাজ্ঞা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মসজিদের জন্য খাস। জামহূর ‘উলামার মতে, এ নিষেধাজ্ঞা সকল মসজিদের জন্যই প্রযোজ্য। কেননা একটি বর্ণনার শব্দ এ রকম فَلَا يَقْرَبَنَّ مَسَاجِدَ ‘‘সে যেন আমাদের মসজিদসমূহের নিকটবর্তী না হয়।’’ অতএব এ নিষেধাজ্ঞা সকল মসজিদের জন্য।
(كُلْ فَإِنِّىْ أُنَاجِىْ مَنْ لَا تُنَاجِىْ) ‘‘তুমি খাও, কেননা আমি এমন ব্যক্তির সাথে কথা বলি যার মাঝে তুমি কথা বল না।’’ অর্থাৎ মালাক (ফেরেশতা) অথবা জিবরীল (আ.)-কে উদ্দেশ্য করেছেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৮১৮)
ইবনু দাক্বীক আল ‘ঈদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ পেঁয়াজ ও রসুন খেয়ে মসজিদে আসার নিষেধের কারণ হলো, দুর্গন্ধের কারণে মানুষ অথবা মালায়িকাহ্ কষ্ট পায়। আর তা সকল মসজিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, অতএব এ নিষেধাজ্ঞা সকল মসজিদের জন্যই। জেনে রাখা ভালো যে, এ নিষেধাজ্ঞা মসজিদে আসার জন্য, এ নিষেধ পেঁয়াজ বা রসুন খাওয়া নিষেধ নয়। সর্বসম্পত্তিক্রমে তা খাওয়া বৈধ। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম, খন্ড হাঃ ১৮০৬)