লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুকুর সম্পর্কে বর্ণনা
৪০৯৯-[২] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি গবাদিপশু পাহারাদানকারী কিংবা শিকারের জন্য নিয়োজিত অথবা খেত-খামারের ফসলাদি রক্ষণাবেক্ষণকারী কুকুর ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশে কুকুর পালে, প্রতিদিন তার ’আমলের সাওয়াব হতে এক ক্বীরাত্ব পরিমাণ কমে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ ذِكْرِ الْكَلْبِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: «من اتَّخَذَ كَلْبًا إِلَّا كَلْبَ مَاشِيَةٍ أَوْ صَيْدٍ أَو زرعٍ انتقَصَ منْ أجرِه كلَّ يومٍ قِيرَاط»
ব্যাখ্যাঃ মুসলিম ও নাসায়ীর বর্ণনায় আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, যে ব্যক্তি এমন কুকুর পালবে যা শিকারী কিংবা সেচন কাজ অথবা পাহারার জন্য ব্যবহার করা হয় না। এ কুকুর পালনে প্রতিদিন দুই ক্বীরাত্ব করে নেকী কমে যাবে। এছাড়া আবূ হাযিম থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, বাড়ীওয়ালা তার বাড়ীতে কুকুর বেঁধে রাখবে যা শিকারী কিংবা পাহারাদার নয় তাহলে পালনেওয়ালার ‘আমল থেকে প্রতিদিন দুই ক্বীরাত্ব নেকী কমতে থাকবে।
আলোচ্য হাদীসে প্রতীয়মান হয় যে, শিকারী ও পাহারার জন্য কুকুর গ্রহণ করা বৈধ। ক্ষেত খামারের ক্ষেত্রেই অনুরূপ বিধান প্রযোজ্য। কেননা কুকুর এ সকল ক্ষেত্রে রক্ষণশীল বেশি। এছাড়া অন্য কোন কাজের জন্য কুকুর প্রতিপালন করা অপছন্দনীয়।
উল্লেখিত হাদীসে কুকুর প্রতিপালনের এক ক্বীরাত্ব নেকী কমে যাওয়ার কথা রয়েছে। আবার অন্য বর্ণনায় দুই ক্বীরাত্ব নেকী কমে যাওয়ার কথা রয়েছে। এর কারণ হলো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে এক ক্বীরাত্ব কমে যাওয়ার কথা বলেছেন, প্রথম রাবী এটা শ্রবণ করে হুবহু তিনি বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরবর্তীতে দুই ক্বীরাত্ব কমে যাওয়ার কথা বলেছেন, দ্বিতীয় রাবী তা শ্রবণ করেই বর্ণনা করেছেন। আবার কারো মতে দু’টি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দু’টি বিধান অবতীর্ণ হয়েছে। দুই ক্বীরাত্ব কমে যাওয়া কুকুর দ্বারা ক্ষতির আধিক্য উদ্দেশ্য, অর্থাৎ যে কুকুর দ্বারা মানুষের ক্ষতি বেশি সে কুকুর প্রতিপালনে দুই ক্বীরাত্ব নেকী কমবে। আর যে কুকুর দ্বারা মানুষের ক্ষতি কম হয় তা প্রতিপালনে এক ক্বীরাত্ব নেকী কমবে। কেউ কেউ বলেছেন, মদীনাহ্ আশ্ শারীফায় হলে কুকুর প্রতিপালন করলে দুই ক্বীরাত্ব কমবে আর মদীনার বাইরে হলে এক ক্বীরাত্ব কমবে। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৩২২)