লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৪০০০-[১৬] ’আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খায়বার যুদ্ধের দিন আমি একটি চর্বিভর্তি থলি পেয়ে উঠিয়ে নিলাম আর (মনে মনে) বলতে লাগলাম, আজ আমি এটা হতে অন্য কাউকেও ভাগ দেব না। এমন সময় পাশে তাকিয়ে দেখি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিকে চেয়ে মৃদু হাসছেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
এ সম্পর্কে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ আছে, ’’শাসনকর্তাদের (কর্মচারীদের) মজুরি’’ অধ্যায়ে।
بَابُ قِسْمَةِ الْغَنَائِمِ وَالْغُلُوْلِ فِيْهَا
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ قَالَ: أَصَبْتُ جِرَابًا مِنْ شَحْمٍ يَوْمَ خَيْبَرَ فَالْتَزَمْتُهُ فَقُلْتُ: لَا أُعْطِي الْيَوْمَ أَحَدًا مِنْ هَذَا شَيْئًا فَالْتَفَتُّ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يبتسم إِلَيّ. مُتَّفق عَلَيْهِ. وَذكر الحَدِيث أَبِي هُرَيْرَةَ «مَا أُعْطِيكُمْ» فِي بَابِ «رِزْقِ الْوُلَاة»
ব্যাখ্যা: ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল ছিলেন একজন জলীলুল কাদ্র সাহাবী, আহলে সুফ্ফার অন্যতম সদস্য। ‘উমার দশজন সাহাবীকে বাসরায় শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন তিনি তাদের অন্যতম ছিলেন।
তিনি খায়বারের যুদ্ধে চর্বিভর্তি একটি থলি তুলে নিয়ে প্রকাশ্যে অথবা মনে মনে বলেন, এটা আমি নিয়ে নিবো, এ থেকে কাউকে কিছুই দেবো না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কথা শুনে মুচকি মুচকি হাসলেন এবং তাকে কিছুই বললেন না।
‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ তিনি ঐ দিনে থলির প্রতি এত বেশী মুহতাজ ছিলেন যে, সেটা ছাড়া তার চলতই না। তার এই অধিক প্রয়োজনীয়তার কথা বুঝেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নিষেধ করেননি, বরং মৃদু হাসি দিয়েছেন।
ইবনুল মালিক (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীস থেকে প্রমাণিত যে, ইসলামী যোদ্ধারা গনীমাতের মাল থেকে (খাদ্যদ্রব্য যা রয়েছে তা থেকে) প্রয়োজন পরিমাণ অর্থাৎ ক্ষুধা নিবারণ হয় এ পরিমাণ খাদ্য নিতে পারবে। অনুরূপ শরীরে মালিশের জন্য অথবা জ্বালানীর জন্য তৈল বা তৈল জাতীয় দ্রব্যও গ্রহণ করতে পারবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩১৫৩; শারহে মুসলিম ১২শ খন্ড, হাঃ ১৭৭২)