৩৯৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা

৩৯৫৬-[২০] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহর নামে, আল্লাহর সাহায্যে এবং তাঁর রসূলের দীনের উপর রওয়ানা হয়ে যাও। সাবধান! বয়োঃবৃদ্ধ, ছোট শিশু, বালক-বালিকা এবং কোনো মহিলাকে হত্যা করো না। গনীমাতের মালে খিয়ানাত করো না এবং গনীমাতের সমস্ত মাল আমীরের (নেতার) নিকট একত্রিত করবে, পরস্পর সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকবে এবং সদাচরণ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে ভালোবাসেন। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «انْطَلِقُوا بِاسْمِ اللَّهِ وَبِاللَّهِ وعَلى ملِّة رسولِ الله لَا تقْتُلوا شَيْخًا فَانِيًا وَلَا طِفْلًا صَغِيرًا وَلَا امْرَأَةً وَلَا تَغُلُّوا وَضُمُّوا غَنَائِمَكُمْ وَأَصْلِحُوا وَأَحْسِنُوا فَإِنَّ اللَّهَ يحبُّ المحسنينَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যা: «الشَّيْخِ الْفَانِي» (অতিবৃদ্ধ) ‘যাকে হত্যা করা হবে না’ এমন ব্যক্তি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ঐ ব্যক্তি যে যুদ্ধ করার ব্যাপারে ক্ষমতা রাখে না, দু’দল একত্রিত হওয়ার সময় শেস্নাগান দিতে পারে না, গর্ভবতীকরণে সক্ষম নয়, কেননা সক্ষম ব্যক্তির মাধ্যমে সন্তান উৎপাদন হয়। অতঃপর মুসলিমদের বিরুদ্ধে যোদ্ধাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এটা যাখীরাহ্ গ্রন্থকার উল্লেখ করেছেন।

শায়খ আবূ বাকর الرَّازِيُّ فِي كِتَابِ الْمُرْتَدِّ فِي شَرْحِ الطَّحَاوِيِّ (আর্ রাযী কিতাবুল মুরতাদ্দি ফী শার্হিত্ব ত্বহাবী)-তে একটু বেশি উল্লেখ করেছেন যে, বৃদ্ধ যখন পূর্ণ জ্ঞানের অধিকারী হবে তখন আমরা তাকে হত্যা করব আর তার মতো ঐ ব্যক্তিকে হত্যা করব যে পূর্ণ জ্ঞান থাকাবস্থায় মুরতাদ হয়ে যাবে। আর যাকে আমরা হত্যা করব না সে হলো ঐ বৃদ্ধ ব্যক্তি, যে ভালো-মন্দের পার্থক্যকারী জ্ঞানীদের সীমা বহির্ভূত। তখন এ ব্যক্তি পাগলের স্তরে থাকবে, বিধায় আমরা তাকে হত্যা করব না। এমন পাগল যখন মুরতাদ হয়ে যাবে তাকেও আমরা হত্যা করব না। ডান হাত যার কর্তিত, যার হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কর্তিত তাকেও আমরা হত্যা করব না।

সীয়ারে কাবীরে উল্লেখ আছে, খ্রীষ্টান ধর্মযাজককে তার গীর্জাতে হত্যা করা যাবে না। আর ইয়াহূদীদের গির্জাসমূহের ঐ সকল অধিবাসীদেরও হত্যা করা যাবে না যারা মানুষের সাথে উঠা-বসা করে না। তবে তারা যদি মানুষের সাথে উঠা-বসা করে তাহলে তাদেরকে হত্যা করতে হবে, যেমন খ্রীষ্টান ধর্মযাজকরা। মালিক তার মুয়াত্ত্বাতে ইয়াহ্য়া বিন সা‘ঈদ থেকে বর্ণনা করেন যে, আবূ বাকর শামের (সিরিয়ার) দিকে সৈন্যবাহিনী পাঠালেন, তখন আবূ বাকর ইয়াযীদ বিন আবূ সুফ্ইয়ান-এর সাথী হয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে তাকে বললেন, ‘‘নিশ্চয় আমি তোমাকে দশটি বিষয়ের ব্যাপারে উপদেশ দিচ্ছি- তুমি শিশু, মহিলা, অতিবৃদ্ধ হত্যা করবে না, ফলদার বৃক্ষ কাটবে না, বকরী হত্যা করবে না, গাভী হত্যা করবে না, তবে খাওয়ার উদ্দেশে যাবাহ করতে পার, কোনো কিছু জ্বালিয়ে দিবে না, আবাদ ভূমিকে নষ্ট করবে না, মা ও সন্তানের মাঝে বিচ্ছিন্ন করবে না, কাপুরুষতার পথ অবলম্বন করবে না ও আত্মাসাৎ করবে না।’’ (মিরকাতুল মাফাতীহ)

‘আওনুল মা‘বূদে (৫ম খন্ড, হাঃ ২৬১১) আছে, (وَلَا اِمْرَأَةً) অর্থাৎ- মহিলা যখন যোদ্ধা অথবা রাণী না হবে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ